ইশতিয়াক হাসান

একটা গির্জার ঘড়ি বেজে উঠল দূর থেকে। সেন্ট পলসের ঘড়ি। সাড়ে এগারোটা বাজল...কাছাকাছি একটা কুকুর ডেকে উঠল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে...একটা লোক ডান দিকের পাঁচিল থেকে লাফিয়ে ফেলুদার ওপর পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা। ফেলুদার হাতের বাক্সটা আর হাতে নেই। সে হাত খালি করে এক ঝটকায় ঘাড় থেকে প্রথম লোকটাকে ফেলে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।....'
বুঝতেই পারছেন আগাগোড়া রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর ফেলুদার একটি কাহিনির কিছুটা অংশ তুলে দিয়েছি। বইয়ের নামটা কী? জানা না থাকলে, লেখাটা শেষ অবধি অপেক্ষা করুন।
তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আব্বুর চাকরিসূত্রে থাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ডাক্তার দেখাতে কিংবা ছুটিছাটায় আসা হতো ঢাকায়। বেইলি রোডে খালার বাসা ছিল সাময়িক আস্তানা হিসেবে ভারি প্রিয়। কারণ, দুই খালাতো ভাই নাহিদ ভাইয়া, আর জাহিদ। ওদের সঙ্গে আচ্ছাসে দুষ্টুমির সুযোগ মিলত।
নাহিদ ভাইয়া বইয়রে পোকা। তাঁর বইয়ের আলমারিতে হত্যাপুরী, বাক্স রহস্য, গোরস্তানে সাবধান, দার্জিলিং জমজমাট, গ্যাংটকে গণ্ডোগল বইগুলো দেখতাম। কৌতূহলও জাগত মনে। তবে তখনও গোয়েন্দা বইয়ের দুনিয়া নিতান্ত অপরিচিত। আমার দৌড় রূপকথা আর কমিকস পর্যন্ত।
পরের বছর। ক্লাস ফোরে পড়ি। তিন গোয়েন্দা দিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ জগতে পদার্পণ হয়েছে এরই মধ্যে। একদিন নাহিদ ভাইয়ার আলমারি থেকে কি মনে হতে সাহস করে হত্যাপুরী বইটা নিলাম। পড়তে পড়তে খুন-জখম-সাগর–সৈকতময় এক কেসে ফেলুদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম আমিও। ব্যাস, পরের কয়েকটা দিন ফেলুদায় বুঁদ হয়ে রইলাম।
ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে। এদের বাস্তব অস্তিত্ব নেই—এটা বিশ্বাস করতে মন চাইত না। এখনো মানতে পারি না।
এর পর থেকে ফেলুদা পড়েই যাচ্ছি। নতুন বই কিনেছি ঢাকার নিউমার্কেট থেকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাইব্রেরি থেকে, কলেজে ওঠার পর নীলক্ষেত থেকে। একই বই কয়েকবারও কিনেছি, পড়েছি।
চেহারাটা ভাসছে লিখতে বসে। সাতাশ বছরের এক তরুণ, বয়স যার আটকে আছে। উচ্চতা ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। ঠোঁটে চারমিনার। মার্শাল আর্টে দক্ষ ফেলুদা, সঙ্গের ৩২ কোল্ট রিভলবার ভয়ানক সব অপরাধীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বাড়তি সু্বিধা দেয়। তবে তাঁর মূল অস্ত্র ধারালো মগজটা। দুর্দান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা ব্যবহার করে জটিল সব রহস্য সমাধান করে অবলীলায়।
একটা বই পড়ি, নতুন একটা দুয়ার খুলে যায় আমার সামনে। রহস্য-রোমাঞ্চের প্রতি মারাত্মক একটা টান ছিল ছোটবেলায়। ফেলুদা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় সেই মনটাকেও উন্মাতাল করে তুলল।
গ্যাংটকে গন্ডগোল পড়তে পড়তে বরফঢাকাও শহরটিতে না গিয়েও যেন যাওয়া হয়ে গেল আমার। সিকিমের রাজধানীটিতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারিনি এখনো, তবে ফেলুদা বা শ্রী প্রদোষচন্দ্র মিত্রর ট্রেইল অনুসরণ করে গিয়েছি অনেক জায়গাতেই।
‘রাজেনবাবুকে রোজ বিকেলে ম্যাল্-এ আসতে দেখি। মাথার চুল সব পাকা, গায়ের রং ফরসা, মুখের ভাব হাসিখুশি। পুরনো নেপালি জিনিস-টিনিসের যে দোকানটা আছে, সেটায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে বাইরে এসে বেঞ্চিতে আধঘণ্টার মতো বসে সন্ধে হব-হব হলে জলাপাহাড়ে বাড়ি ফিরে যান।’ ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’র শুরুটা এভাবেই, দার্জিলিংয়ে। ওটাই ছিল ফেলুদার প্রথম গোয়েন্দা কাহিনি। সন্দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ডিসেম্বর ১৯৬৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ তক। তবে আমার দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। কারণ ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির আগেই আমার পড়া হয়ে যায় দার্জিলিং জমজমাট।
তেমনি তোপসের মতো আমিও কিউরিও যে পুরোনো দুষ্প্রাপ্য জিনিস, সেটা শিখি ফেলুদার কাছ থেকেই। তাই ২০১৭ সালে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, সিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নিই।
তবে আমার ফেলুদাকে অনুসরণের শুরু আরও আগে। সালটা ২০১৪, জানুয়ারির ৭ তারিখ রাতে স্ত্রী পুনমসহ মধুচন্দ্রমিায় পৌঁছাই কাঠমাণ্ডু। নেপাল আমাকে টেনেছিল, সেই ক্লাস সেভেনে পড়ায় সময়। তখন ফেলুদার যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডু পড়েই বলা চলে হিমালয়রাজ্যের শহরটা মনে গেঁথে যায়। এক খুনির পিছু নিয়ে তোপসে আর লালমোহন গাঙ্গুলীসমতে প্রাচীন শহরটিতে হাজির হয়েছিলেন ফেলুদা। তারপর চিরশত্রু মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে টক্কর। নেপালের রাজধানী শহরে যাওয়ার বড় সাধ জাগে কিশোর মনে। বহু বছর বাদে সেটা পূরণ হয়।
একইভাবে ২০১৮ সালে ঋষিকেষের রামঝুলা-লছমন ঝুলা দেখতে যাওয়ার পেছনেও ওই ফেলুদাই। লছমন ঝুলার কথা প্রথম জানতে পারি ফেলুদার ‘বাদশাহী আংটি’ পড়ে। পাহাড়-অরণ্যময় জায়গা না হয়েও ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ভারতের কলকাতার প্রতি আমার টানটা ফেলুদা এবং কলেজ স্ট্রিটের কল্যাণেই।
তবে গতবার কলকাতায় গিয়ে গোরস্তানে সাবধানের সেই পার্ক স্ট্রিট সিমেট্রিতে একবার ঢুঁ মারতে না পারার যন্ত্রণাটা পোড়াচ্ছে এখনো। আশ্চর্য ব্যাপার ফেলুদার ওই বইয়ের স্মৃতি আমার মনে ভেসে ওঠে এখনো কোনো গোরস্তানে গেলে। বিশেষ করে ওয়ারি এবং বান্দুরার খ্রিষ্টান গোরস্তানটায় যখন গিয়েছি, অনুভূতিটা প্রকট হয়ে উঠেছে। আবার গত বছর বরিশাল শহরের গাছগাছালিময় একটি মুসলিম কবরস্তানে গিয়েও কেমন ফেলুদা ফেলুদা মনে হচ্ছিল নিজেকে।
আমার ধারণা রহস্য-রোমাঞ্চ-ইতিহাসের রাজ্যে ঢুঁ মারার পাশাপাশি, ভারতের জঙ্গল-পাহাড়-সৈকত-গ্রাম-কলকাতায় ইচ্ছেমতো চষে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়াতেই বেশি করে মজেছি প্রদোষ চন্দ্র মিত্রর বইগুলোতে। আমার ভ্রমণ প্রিয় হয়ে ওঠার পেছনেও তাই ফেলুদা, মায় সত্যজিতের অবদান কম-বেশি আছেই।
প্রদোষচন্দ্র মিত্র একা নয়। আরও কত চরিত্র মিলে আশ্চর্য ও এক আকর্ষণীয় রূপ প্রাপ্তি। তোপসে, অর্থাৎ তপেশরঞ্জন মিত্রর কথা বলতে হবে সবার আগে। একেবারে শুরু থেকেই যে প্রিয় গোয়েন্দার সঙ্গে আছে, তাঁর খুড়তুতো ভাইটি। তাঁর জবানিতেই ফেলুদার কাহিনিগুলো জানতে পারি। তা ছাড়া যখন ফেলুদা পড়া শুরু করি, তোপসের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেওয়াটা তখন অনেক সহজ ছিল।
সোনার কেল্লায় ওই যে লালমোহন গাঙ্গুলির সঙ্গে পরিচয় হলো, তারপর থেকে ফেলুদার প্রতিটি বইয়ের আশ্চর্য এক চাটনি হয়ে উঠলেন রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যিক জটায়ু। টানটান উত্তেজনায় ভরা রহস্যকাহিনিগুলোয় জটায়ুর অদ্ভুত, হাস্যরসাত্মক কাণ্ড-কীর্তি যেন আনন্দময় রিলিফ। ফেলুদা পড়তে পড়তে আরও কত চরিত্র যে আপন হয়ে গেল আমার! দুর্ধর্ষ মগনলাল মেঘরাজ, জীবন্ত জ্ঞানকোষ সিধু জ্যাঠা, ছিন্নমস্তার অভিশাপের দুর্ধর্ষ কারাণ্ডিকার, ধাঁধাপাগল মহেশ চৌধুরী, বাদশাহী আংটির বনবিহারী বাবু, সোনার কেল্লার মুকুলসহ কত কত চরিত্র লিখতে বসে চোখের সামনে চলে আসছে। সাধারণত কোনো বই পড়তে গেলে চরিত্রগুলোর চেহারা-ছবি নিজের মতো করে তৈরি করে নিই মনে মনে। তবে এ ক্ষেত্রে সত্যজিতের আঁকায় যে সাদাকালো চেহারাগুলো পেয়েছি, সেগুলো প্রভাব বিস্তার করেছে মনের ওপর বড় বেশি।
আশ্চর্য ব্যাপার এই আধবুড়ো বয়সেও ফেলুদা আমাকে টানে। এখনো হাতের কাছে মনের মতো বই না পেলে বুকশেলফের ভেতরের নির্দিষ্ট একটি তাক চাবি দিয়ে খুলে বের করে আনি জয় বাবা ফেলুনাথ কিংবা গ্যাংটকে গণ্ডগোল। তারপর বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে হারিয়ে যাই প্রিয় ফেলুদার সঙ্গে।
প্রত্যেকটি শুরুরই কোনো না কোনো অনুপ্রেরণা থাকে। ফেলুদার জন্মটা যে শার্লক হোমসে অনুপ্রাণিত হয়ে বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। সত্যজিৎ ফেলুদার গুরু হিসেবে বারবারই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন হোমসকে। এমনকি ফেলুদাকে ঘুরিয়ে এনেছেন তাঁর গুরু হোমসের বেকার স্ট্রিট থেকে। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ রায় ফেলুদার আস্তানা হিসাবে ২২১ বি বেকার স্ট্রিটের অদলেই হয়তো দেখিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার ২১ রজনী সেন রোডকে। মজার ঘটনা ২২১ বি নামে বাড়ির কোনো অস্তিত্ত্ব যেমন নেই, তেমনি রজনী সেন রোড থাকলেও ২১ নম্বর বাড়ির খোঁজ মেলেনি সেখানে।
এবার ফেলুদা নিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে দিচ্ছি ঝটপট। ফেলুদা চরিত্রটির জন্ম যেন অনেকটা হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছিল। ক্ষুরধার গোয়েন্দাটির স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের একটি লাল খেরো খাতা ছিল। ওখানে নিজের গল্পগুলোর খসড়া লিখতেন। খসড়া লেখার জন্য আরও বেশ কয়েকটি খাতাও ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য! ১৯৬৫ সালের আগে কোথাও ফেলুদা চরিত্রটি সম্পর্কে কিছুই ছিল না। ১৯৬৫ সালে লাল খেরো খাতার তৃতীয় পাতায় হঠাৎ করেই এই গোয়েন্দার দেখা মেলে।
তারপর তো ১৯৬৫ সালে সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি দিয়ে আবির্ভাব। তবে ফেলুদার প্রথম উপন্যাস বাদশাহী আংটি, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বই আকারে যেটি বের হয় ১৯৬৯-এ। সত্যজিৎ সম্ভবত নিজেও ভাবেননি এভাবে বাঙালি পাঠকের মন জয় করে নেবে ফেলুদা। সিরিজটির জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে ছিল যে, বাদশাহী আংটির পর থেকে ফি বছরই বলা চলে গোয়েন্দাটিকে নিয়ে উপন্যাস, না হয় গল্প; কিছু না কিছু লিখেছেন সত্যজিৎ। ১৯৯২ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রবল জনপ্রিয় এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সত্যজিৎ লেখেন ৩৫টি সম্পূর্ণ গল্প-উপন্যাস। এ ছাড়া শেষ হয়নি এমন কয়কেটি পাণ্ডুলিপিও ছিল।

সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরের ঘটনা। চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছি। আবারও সেই নাহিদ ভাইয়াদের বাসা। ওর বাবা তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। নিউমার্কেটে গেলাম সবাই মিলে। দুটো বই কিনলাম। এর একটা রবার্টসনের রুবি। স্পষ্ট মনে আছে, বইটি কেনার সময় বিষাদে ছেয়ে গিয়েছিল মনটা, কারণ সত্যজিৎ ততদিনে দুনিয়া ছেড়ে গিয়েছেন। আমার সঙ্গে অনেক পাঠকই একমত হবেন, বইটি ফেলুদা হিসেবে খুব আহমরি কিছু হয়নি। জানামতে ওটাই ফেলুদার পূর্ণাঙ্গ শেষ উপন্যাস। কেন এই ছন্দপতন, তা আজও আমার কাছে এক রহস্য।
রবার্টসনের রুবি কেনার সময়, কিংবা পরে একটা চিন্তা বারবারই উদয় হয়েছে মনে। আহ্, সত্যজিৎ যদি অন্তত আরও পাঁচটা বছর বাঁচতেন! গোটা আটেক ফেলুদা, দুই-তিনটা শঙ্কু কিংবা একটা তাড়ীনিখুড়োর বই নিঃসন্দেহে পেয়ে যেতাম। বড় স্বার্থপর চিন্তা! কী বলব, বলুন! সত্যজিতের এই অমর সৃষ্টিগুলো যে এখনো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে আমাকে।
ফেলুদাকে নিয়ে হয়ছে বেশ কয়েকটি সিনেমা, হালফিল ওয়েব সিরিজও। এ ব্যাপারে বেশি কিছু লিখতে চাই না। তবে পর্দায় ফেলুদা হিসেবে আমার প্রথম পছন্দ সব্যসাচী চক্রবর্তী। যদিও চেহারাটা শুরুতে মোটেই ফেলুদাকে যেভাবে মনে মনে কল্পনা করেছি, তার সঙ্গে যায়নি। তবে সব্যসাচীর অভিনয়ে মুগ্ধ হই।
প্রথম ফেলুদা হিসেবে দেখেছি কিন্তু সৌমিত্রকেই। ১৯৭৪ সালে, সোনার কেল্লা দিয়ে তাঁর আবির্ভাব। চেহারার কথা বললে কল্পনার ফেলুদার সঙ্গে তাঁর মিলই পেয়েছি বেশি। হবে নাই বা কেন, আমার জানামতে সত্যজিৎ ফেলুদাকে বইয়ে এঁকেছিলেন সৌমিত্রকে মাথায় রেখেই। ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্রের অভিনয় ফেলুদার স্রষ্টার কাছে কিন্তু ছিল দশে–দশই। ওপার বাংলার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠার শুরু সেই তোপসে দিয়েই।
শুরুতে যে বইটার কাহিনি দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটার নামটা বলে দিচ্ছি, যারা জানেন না তাঁদের জন্য, বাক্স রহস্য। ফেলুদার গল্প-উপন্যাস খুব একটা পড়েননি, তাঁদের বলছি ফেলুদা সমগ্র না কিনে আলাদা আলাদা বই কিনলেই পড়ে আনন্দ পাবেন বেশি।
ফেলুদাকে নিয়ে অনেকক্ষণ বক বক করলাম। কিন্তু যে কারণে লেখা, সটোই বলা হয়নি এখনো। ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায় মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৯২ সালে। তবে আজকের লেখার উদ্দেশ্য, তাঁর জন্মদিন স্মরণ। ১৯২১ সালের এই দিনে, মানে ২ মে পৃথিবীতে এসেছিলেন। অর্থাৎ বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ১০০। তাঁকে মনে না করে কী উপায় বলুন, তিনি পৃথিবীতে না এলে কি প্রিয় ফেলুদা আসতেন?
আরও পড়ুন:

একটা গির্জার ঘড়ি বেজে উঠল দূর থেকে। সেন্ট পলসের ঘড়ি। সাড়ে এগারোটা বাজল...কাছাকাছি একটা কুকুর ডেকে উঠল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে...একটা লোক ডান দিকের পাঁচিল থেকে লাফিয়ে ফেলুদার ওপর পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা। ফেলুদার হাতের বাক্সটা আর হাতে নেই। সে হাত খালি করে এক ঝটকায় ঘাড় থেকে প্রথম লোকটাকে ফেলে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।....'
বুঝতেই পারছেন আগাগোড়া রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর ফেলুদার একটি কাহিনির কিছুটা অংশ তুলে দিয়েছি। বইয়ের নামটা কী? জানা না থাকলে, লেখাটা শেষ অবধি অপেক্ষা করুন।
তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আব্বুর চাকরিসূত্রে থাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ডাক্তার দেখাতে কিংবা ছুটিছাটায় আসা হতো ঢাকায়। বেইলি রোডে খালার বাসা ছিল সাময়িক আস্তানা হিসেবে ভারি প্রিয়। কারণ, দুই খালাতো ভাই নাহিদ ভাইয়া, আর জাহিদ। ওদের সঙ্গে আচ্ছাসে দুষ্টুমির সুযোগ মিলত।
নাহিদ ভাইয়া বইয়রে পোকা। তাঁর বইয়ের আলমারিতে হত্যাপুরী, বাক্স রহস্য, গোরস্তানে সাবধান, দার্জিলিং জমজমাট, গ্যাংটকে গণ্ডোগল বইগুলো দেখতাম। কৌতূহলও জাগত মনে। তবে তখনও গোয়েন্দা বইয়ের দুনিয়া নিতান্ত অপরিচিত। আমার দৌড় রূপকথা আর কমিকস পর্যন্ত।
পরের বছর। ক্লাস ফোরে পড়ি। তিন গোয়েন্দা দিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ জগতে পদার্পণ হয়েছে এরই মধ্যে। একদিন নাহিদ ভাইয়ার আলমারি থেকে কি মনে হতে সাহস করে হত্যাপুরী বইটা নিলাম। পড়তে পড়তে খুন-জখম-সাগর–সৈকতময় এক কেসে ফেলুদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম আমিও। ব্যাস, পরের কয়েকটা দিন ফেলুদায় বুঁদ হয়ে রইলাম।
ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে। এদের বাস্তব অস্তিত্ব নেই—এটা বিশ্বাস করতে মন চাইত না। এখনো মানতে পারি না।
এর পর থেকে ফেলুদা পড়েই যাচ্ছি। নতুন বই কিনেছি ঢাকার নিউমার্কেট থেকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাইব্রেরি থেকে, কলেজে ওঠার পর নীলক্ষেত থেকে। একই বই কয়েকবারও কিনেছি, পড়েছি।
চেহারাটা ভাসছে লিখতে বসে। সাতাশ বছরের এক তরুণ, বয়স যার আটকে আছে। উচ্চতা ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। ঠোঁটে চারমিনার। মার্শাল আর্টে দক্ষ ফেলুদা, সঙ্গের ৩২ কোল্ট রিভলবার ভয়ানক সব অপরাধীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বাড়তি সু্বিধা দেয়। তবে তাঁর মূল অস্ত্র ধারালো মগজটা। দুর্দান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা ব্যবহার করে জটিল সব রহস্য সমাধান করে অবলীলায়।
একটা বই পড়ি, নতুন একটা দুয়ার খুলে যায় আমার সামনে। রহস্য-রোমাঞ্চের প্রতি মারাত্মক একটা টান ছিল ছোটবেলায়। ফেলুদা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় সেই মনটাকেও উন্মাতাল করে তুলল।
গ্যাংটকে গন্ডগোল পড়তে পড়তে বরফঢাকাও শহরটিতে না গিয়েও যেন যাওয়া হয়ে গেল আমার। সিকিমের রাজধানীটিতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারিনি এখনো, তবে ফেলুদা বা শ্রী প্রদোষচন্দ্র মিত্রর ট্রেইল অনুসরণ করে গিয়েছি অনেক জায়গাতেই।
‘রাজেনবাবুকে রোজ বিকেলে ম্যাল্-এ আসতে দেখি। মাথার চুল সব পাকা, গায়ের রং ফরসা, মুখের ভাব হাসিখুশি। পুরনো নেপালি জিনিস-টিনিসের যে দোকানটা আছে, সেটায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে বাইরে এসে বেঞ্চিতে আধঘণ্টার মতো বসে সন্ধে হব-হব হলে জলাপাহাড়ে বাড়ি ফিরে যান।’ ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’র শুরুটা এভাবেই, দার্জিলিংয়ে। ওটাই ছিল ফেলুদার প্রথম গোয়েন্দা কাহিনি। সন্দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ডিসেম্বর ১৯৬৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ তক। তবে আমার দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। কারণ ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির আগেই আমার পড়া হয়ে যায় দার্জিলিং জমজমাট।
তেমনি তোপসের মতো আমিও কিউরিও যে পুরোনো দুষ্প্রাপ্য জিনিস, সেটা শিখি ফেলুদার কাছ থেকেই। তাই ২০১৭ সালে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, সিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নিই।
তবে আমার ফেলুদাকে অনুসরণের শুরু আরও আগে। সালটা ২০১৪, জানুয়ারির ৭ তারিখ রাতে স্ত্রী পুনমসহ মধুচন্দ্রমিায় পৌঁছাই কাঠমাণ্ডু। নেপাল আমাকে টেনেছিল, সেই ক্লাস সেভেনে পড়ায় সময়। তখন ফেলুদার যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডু পড়েই বলা চলে হিমালয়রাজ্যের শহরটা মনে গেঁথে যায়। এক খুনির পিছু নিয়ে তোপসে আর লালমোহন গাঙ্গুলীসমতে প্রাচীন শহরটিতে হাজির হয়েছিলেন ফেলুদা। তারপর চিরশত্রু মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে টক্কর। নেপালের রাজধানী শহরে যাওয়ার বড় সাধ জাগে কিশোর মনে। বহু বছর বাদে সেটা পূরণ হয়।
একইভাবে ২০১৮ সালে ঋষিকেষের রামঝুলা-লছমন ঝুলা দেখতে যাওয়ার পেছনেও ওই ফেলুদাই। লছমন ঝুলার কথা প্রথম জানতে পারি ফেলুদার ‘বাদশাহী আংটি’ পড়ে। পাহাড়-অরণ্যময় জায়গা না হয়েও ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ভারতের কলকাতার প্রতি আমার টানটা ফেলুদা এবং কলেজ স্ট্রিটের কল্যাণেই।
তবে গতবার কলকাতায় গিয়ে গোরস্তানে সাবধানের সেই পার্ক স্ট্রিট সিমেট্রিতে একবার ঢুঁ মারতে না পারার যন্ত্রণাটা পোড়াচ্ছে এখনো। আশ্চর্য ব্যাপার ফেলুদার ওই বইয়ের স্মৃতি আমার মনে ভেসে ওঠে এখনো কোনো গোরস্তানে গেলে। বিশেষ করে ওয়ারি এবং বান্দুরার খ্রিষ্টান গোরস্তানটায় যখন গিয়েছি, অনুভূতিটা প্রকট হয়ে উঠেছে। আবার গত বছর বরিশাল শহরের গাছগাছালিময় একটি মুসলিম কবরস্তানে গিয়েও কেমন ফেলুদা ফেলুদা মনে হচ্ছিল নিজেকে।
আমার ধারণা রহস্য-রোমাঞ্চ-ইতিহাসের রাজ্যে ঢুঁ মারার পাশাপাশি, ভারতের জঙ্গল-পাহাড়-সৈকত-গ্রাম-কলকাতায় ইচ্ছেমতো চষে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়াতেই বেশি করে মজেছি প্রদোষ চন্দ্র মিত্রর বইগুলোতে। আমার ভ্রমণ প্রিয় হয়ে ওঠার পেছনেও তাই ফেলুদা, মায় সত্যজিতের অবদান কম-বেশি আছেই।
প্রদোষচন্দ্র মিত্র একা নয়। আরও কত চরিত্র মিলে আশ্চর্য ও এক আকর্ষণীয় রূপ প্রাপ্তি। তোপসে, অর্থাৎ তপেশরঞ্জন মিত্রর কথা বলতে হবে সবার আগে। একেবারে শুরু থেকেই যে প্রিয় গোয়েন্দার সঙ্গে আছে, তাঁর খুড়তুতো ভাইটি। তাঁর জবানিতেই ফেলুদার কাহিনিগুলো জানতে পারি। তা ছাড়া যখন ফেলুদা পড়া শুরু করি, তোপসের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেওয়াটা তখন অনেক সহজ ছিল।
সোনার কেল্লায় ওই যে লালমোহন গাঙ্গুলির সঙ্গে পরিচয় হলো, তারপর থেকে ফেলুদার প্রতিটি বইয়ের আশ্চর্য এক চাটনি হয়ে উঠলেন রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যিক জটায়ু। টানটান উত্তেজনায় ভরা রহস্যকাহিনিগুলোয় জটায়ুর অদ্ভুত, হাস্যরসাত্মক কাণ্ড-কীর্তি যেন আনন্দময় রিলিফ। ফেলুদা পড়তে পড়তে আরও কত চরিত্র যে আপন হয়ে গেল আমার! দুর্ধর্ষ মগনলাল মেঘরাজ, জীবন্ত জ্ঞানকোষ সিধু জ্যাঠা, ছিন্নমস্তার অভিশাপের দুর্ধর্ষ কারাণ্ডিকার, ধাঁধাপাগল মহেশ চৌধুরী, বাদশাহী আংটির বনবিহারী বাবু, সোনার কেল্লার মুকুলসহ কত কত চরিত্র লিখতে বসে চোখের সামনে চলে আসছে। সাধারণত কোনো বই পড়তে গেলে চরিত্রগুলোর চেহারা-ছবি নিজের মতো করে তৈরি করে নিই মনে মনে। তবে এ ক্ষেত্রে সত্যজিতের আঁকায় যে সাদাকালো চেহারাগুলো পেয়েছি, সেগুলো প্রভাব বিস্তার করেছে মনের ওপর বড় বেশি।
আশ্চর্য ব্যাপার এই আধবুড়ো বয়সেও ফেলুদা আমাকে টানে। এখনো হাতের কাছে মনের মতো বই না পেলে বুকশেলফের ভেতরের নির্দিষ্ট একটি তাক চাবি দিয়ে খুলে বের করে আনি জয় বাবা ফেলুনাথ কিংবা গ্যাংটকে গণ্ডগোল। তারপর বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে হারিয়ে যাই প্রিয় ফেলুদার সঙ্গে।
প্রত্যেকটি শুরুরই কোনো না কোনো অনুপ্রেরণা থাকে। ফেলুদার জন্মটা যে শার্লক হোমসে অনুপ্রাণিত হয়ে বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। সত্যজিৎ ফেলুদার গুরু হিসেবে বারবারই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন হোমসকে। এমনকি ফেলুদাকে ঘুরিয়ে এনেছেন তাঁর গুরু হোমসের বেকার স্ট্রিট থেকে। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ রায় ফেলুদার আস্তানা হিসাবে ২২১ বি বেকার স্ট্রিটের অদলেই হয়তো দেখিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার ২১ রজনী সেন রোডকে। মজার ঘটনা ২২১ বি নামে বাড়ির কোনো অস্তিত্ত্ব যেমন নেই, তেমনি রজনী সেন রোড থাকলেও ২১ নম্বর বাড়ির খোঁজ মেলেনি সেখানে।
এবার ফেলুদা নিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে দিচ্ছি ঝটপট। ফেলুদা চরিত্রটির জন্ম যেন অনেকটা হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছিল। ক্ষুরধার গোয়েন্দাটির স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের একটি লাল খেরো খাতা ছিল। ওখানে নিজের গল্পগুলোর খসড়া লিখতেন। খসড়া লেখার জন্য আরও বেশ কয়েকটি খাতাও ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য! ১৯৬৫ সালের আগে কোথাও ফেলুদা চরিত্রটি সম্পর্কে কিছুই ছিল না। ১৯৬৫ সালে লাল খেরো খাতার তৃতীয় পাতায় হঠাৎ করেই এই গোয়েন্দার দেখা মেলে।
তারপর তো ১৯৬৫ সালে সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি দিয়ে আবির্ভাব। তবে ফেলুদার প্রথম উপন্যাস বাদশাহী আংটি, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বই আকারে যেটি বের হয় ১৯৬৯-এ। সত্যজিৎ সম্ভবত নিজেও ভাবেননি এভাবে বাঙালি পাঠকের মন জয় করে নেবে ফেলুদা। সিরিজটির জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে ছিল যে, বাদশাহী আংটির পর থেকে ফি বছরই বলা চলে গোয়েন্দাটিকে নিয়ে উপন্যাস, না হয় গল্প; কিছু না কিছু লিখেছেন সত্যজিৎ। ১৯৯২ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রবল জনপ্রিয় এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সত্যজিৎ লেখেন ৩৫টি সম্পূর্ণ গল্প-উপন্যাস। এ ছাড়া শেষ হয়নি এমন কয়কেটি পাণ্ডুলিপিও ছিল।

সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরের ঘটনা। চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছি। আবারও সেই নাহিদ ভাইয়াদের বাসা। ওর বাবা তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। নিউমার্কেটে গেলাম সবাই মিলে। দুটো বই কিনলাম। এর একটা রবার্টসনের রুবি। স্পষ্ট মনে আছে, বইটি কেনার সময় বিষাদে ছেয়ে গিয়েছিল মনটা, কারণ সত্যজিৎ ততদিনে দুনিয়া ছেড়ে গিয়েছেন। আমার সঙ্গে অনেক পাঠকই একমত হবেন, বইটি ফেলুদা হিসেবে খুব আহমরি কিছু হয়নি। জানামতে ওটাই ফেলুদার পূর্ণাঙ্গ শেষ উপন্যাস। কেন এই ছন্দপতন, তা আজও আমার কাছে এক রহস্য।
রবার্টসনের রুবি কেনার সময়, কিংবা পরে একটা চিন্তা বারবারই উদয় হয়েছে মনে। আহ্, সত্যজিৎ যদি অন্তত আরও পাঁচটা বছর বাঁচতেন! গোটা আটেক ফেলুদা, দুই-তিনটা শঙ্কু কিংবা একটা তাড়ীনিখুড়োর বই নিঃসন্দেহে পেয়ে যেতাম। বড় স্বার্থপর চিন্তা! কী বলব, বলুন! সত্যজিতের এই অমর সৃষ্টিগুলো যে এখনো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে আমাকে।
ফেলুদাকে নিয়ে হয়ছে বেশ কয়েকটি সিনেমা, হালফিল ওয়েব সিরিজও। এ ব্যাপারে বেশি কিছু লিখতে চাই না। তবে পর্দায় ফেলুদা হিসেবে আমার প্রথম পছন্দ সব্যসাচী চক্রবর্তী। যদিও চেহারাটা শুরুতে মোটেই ফেলুদাকে যেভাবে মনে মনে কল্পনা করেছি, তার সঙ্গে যায়নি। তবে সব্যসাচীর অভিনয়ে মুগ্ধ হই।
প্রথম ফেলুদা হিসেবে দেখেছি কিন্তু সৌমিত্রকেই। ১৯৭৪ সালে, সোনার কেল্লা দিয়ে তাঁর আবির্ভাব। চেহারার কথা বললে কল্পনার ফেলুদার সঙ্গে তাঁর মিলই পেয়েছি বেশি। হবে নাই বা কেন, আমার জানামতে সত্যজিৎ ফেলুদাকে বইয়ে এঁকেছিলেন সৌমিত্রকে মাথায় রেখেই। ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্রের অভিনয় ফেলুদার স্রষ্টার কাছে কিন্তু ছিল দশে–দশই। ওপার বাংলার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠার শুরু সেই তোপসে দিয়েই।
শুরুতে যে বইটার কাহিনি দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটার নামটা বলে দিচ্ছি, যারা জানেন না তাঁদের জন্য, বাক্স রহস্য। ফেলুদার গল্প-উপন্যাস খুব একটা পড়েননি, তাঁদের বলছি ফেলুদা সমগ্র না কিনে আলাদা আলাদা বই কিনলেই পড়ে আনন্দ পাবেন বেশি।
ফেলুদাকে নিয়ে অনেকক্ষণ বক বক করলাম। কিন্তু যে কারণে লেখা, সটোই বলা হয়নি এখনো। ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায় মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৯২ সালে। তবে আজকের লেখার উদ্দেশ্য, তাঁর জন্মদিন স্মরণ। ১৯২১ সালের এই দিনে, মানে ২ মে পৃথিবীতে এসেছিলেন। অর্থাৎ বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ১০০। তাঁকে মনে না করে কী উপায় বলুন, তিনি পৃথিবীতে না এলে কি প্রিয় ফেলুদা আসতেন?
আরও পড়ুন:

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
১৪ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১ দিন আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১ দিন আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়! ফলে অফিসে আসতে দেরি হয়। এমন মানুষদের সরল বাংলায় বলা হয় ‘লেট লতিফ’। তবে এই লেট লতিফেরা আসলে কেন দেরি করে আসেন, তার কিছু প্রবণতা ব্যাখ্যা করেছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ তাদের দেরি হওয়ার এই অভ্যাসের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
মনোবিজ্ঞান, ক্রোনোবায়োলজি এবং আচরণগত বিভিন্ন গবেষণা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা জানাচ্ছে, তার মোদ্দাকথা হলো, দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে নয়; বরং এটি আমাদের মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। দেরি করা মানেই সব সময় অনিচ্ছাকৃত অবহেলা নয়। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক গঠনের একটি জটিল প্রতিফলন। নিজের এই প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনলে এই লেট লতিফ তকমা ঘোচানো সম্ভব।

পরিকল্পনার ভুল বা প্ল্যানিং ফ্যালাসি
দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। একে বলা যেতে পারে কগনিটিভ বায়াস বা জ্ঞানীয় পক্ষপাত। অর্থাৎ কোনো কাজ সম্পন্ন করতে আসলে কত সময় লাগবে, তা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে না পারা; বিশেষ করে আশাবাদী মানুষেরা মনে করেন, সবকিছুই খুব মসৃণভাবে চলবে। তাঁরা রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের কথা বিবেচনায় রাখেন না বলে তাঁদের হাতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকে না। ফলে একবার জ্যামে পড়েই সব শেষ। এ ছাড়া অনেকের মধ্যে পার্সোনাল স্পিড ইলিউশন কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সময়সূচি সংকুচিত করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা দেরি করেন।
ব্যক্তিত্বের ধরন: সচেতনতা বনাম বিশৃঙ্খলা
ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যও সময়ানুবর্তিতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেশি, তাঁরা প্রাকৃতিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা করেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেন। ফলে তাঁরা সময়মতো সবখানে পৌঁছাতে পারেন। অন্যদিকে, যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অগোছালো, তাঁদের পক্ষে সময়ের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এটি পরিবর্তনের জন্য আমূল ব্যক্তিত্ব বদলানোর প্রয়োজন নেই। ঘড়ি বা অ্যালার্মের মতো বাহ্যিক সাহায্যের মাধ্যমে এই সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।
বহুমুখী কাজ এবং সংস্কৃতির প্রভাব
যাঁরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের দেরি করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাঁরা ঘড়ির কাঁটার চেয়ে মুহূর্তের গুরুত্ব বা সম্পর্কের ওপর বেশি জোর দেন। ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা সময়ের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর সঙ্গে সংস্কৃতির একটি যোগসূত্র আছে। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিক্রোনিক সংস্কৃতিতে সামাজিক যোগাযোগকে সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর জার্মানি, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে সময়কে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে দেখা হয়। এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও অনেকে নিজের অজান্তে লেট লতিফ হয়ে ওঠেন।
রাতজাগা পাখি ও জৈবিক ঘড়ি
আমাদের শরীরের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম থাকে। যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে নাইট আউল বা রাতজাগা পাখি, তাঁদের মস্তিষ্ক সকালে দেরিতে সক্রিয় হয়। তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন দেরিতে নিঃসৃত হয়। ফলে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই জৈবিক কারণে সকালের প্রতিটি কাজে তাঁদের দেরি হতে থাকে এবং সারা দিন এর প্রভাব বজায় থাকে।
টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব
এডিএইচডি, অটিজম বা ডিসলেক্সিয়ার মতো নিউরোডাইভারজেন্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে প্রায়ই টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব দেখা যায়। তাঁদের কাছে সময় অত্যন্ত অননুমেয়ভাবে অতিবাহিত হয়। তাঁরা কোনো একটি কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার সময়টুকুর হিসাব রাখতে পারেন না। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং তাঁদের মস্তিষ্কের গঠনগত কারণেই তাঁরা সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খান।
সমাধানের পথ কী
বিজ্ঞান শুধু সমস্যার কথাই বলে না। উত্তরণের পথও দেখায়। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—
সময়ের হিসাব দ্বিগুণ করা: কোনো কাজ বা যাতায়াতে যতটুকু সময় লাগবে বলে মনে হয়, হিসাবে তার দ্বিগুণ সময় হাতে রাখা।
বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা: কোথাও যাওয়ার জন্য প্রতিটি ছোট ছোট পদক্ষেপ; যেমন তৈরি হওয়া, জুতা পরা, বের হওয়া ইত্যাদির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা।
বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার: কেবল ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে অ্যালার্ম, চেক লিস্ট বা ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা।
সহমর্মিতা: সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং লেট লতিফদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকে সময়কে ভিন্নভাবে অনুভব করেন। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।
সূত্র: লাইফ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়! ফলে অফিসে আসতে দেরি হয়। এমন মানুষদের সরল বাংলায় বলা হয় ‘লেট লতিফ’। তবে এই লেট লতিফেরা আসলে কেন দেরি করে আসেন, তার কিছু প্রবণতা ব্যাখ্যা করেছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ তাদের দেরি হওয়ার এই অভ্যাসের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
মনোবিজ্ঞান, ক্রোনোবায়োলজি এবং আচরণগত বিভিন্ন গবেষণা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা জানাচ্ছে, তার মোদ্দাকথা হলো, দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে নয়; বরং এটি আমাদের মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। দেরি করা মানেই সব সময় অনিচ্ছাকৃত অবহেলা নয়। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক গঠনের একটি জটিল প্রতিফলন। নিজের এই প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনলে এই লেট লতিফ তকমা ঘোচানো সম্ভব।

পরিকল্পনার ভুল বা প্ল্যানিং ফ্যালাসি
দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। একে বলা যেতে পারে কগনিটিভ বায়াস বা জ্ঞানীয় পক্ষপাত। অর্থাৎ কোনো কাজ সম্পন্ন করতে আসলে কত সময় লাগবে, তা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে না পারা; বিশেষ করে আশাবাদী মানুষেরা মনে করেন, সবকিছুই খুব মসৃণভাবে চলবে। তাঁরা রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের কথা বিবেচনায় রাখেন না বলে তাঁদের হাতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকে না। ফলে একবার জ্যামে পড়েই সব শেষ। এ ছাড়া অনেকের মধ্যে পার্সোনাল স্পিড ইলিউশন কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সময়সূচি সংকুচিত করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা দেরি করেন।
ব্যক্তিত্বের ধরন: সচেতনতা বনাম বিশৃঙ্খলা
ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যও সময়ানুবর্তিতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেশি, তাঁরা প্রাকৃতিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা করেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেন। ফলে তাঁরা সময়মতো সবখানে পৌঁছাতে পারেন। অন্যদিকে, যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অগোছালো, তাঁদের পক্ষে সময়ের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এটি পরিবর্তনের জন্য আমূল ব্যক্তিত্ব বদলানোর প্রয়োজন নেই। ঘড়ি বা অ্যালার্মের মতো বাহ্যিক সাহায্যের মাধ্যমে এই সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।
বহুমুখী কাজ এবং সংস্কৃতির প্রভাব
যাঁরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের দেরি করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাঁরা ঘড়ির কাঁটার চেয়ে মুহূর্তের গুরুত্ব বা সম্পর্কের ওপর বেশি জোর দেন। ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা সময়ের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর সঙ্গে সংস্কৃতির একটি যোগসূত্র আছে। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিক্রোনিক সংস্কৃতিতে সামাজিক যোগাযোগকে সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর জার্মানি, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে সময়কে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে দেখা হয়। এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও অনেকে নিজের অজান্তে লেট লতিফ হয়ে ওঠেন।
রাতজাগা পাখি ও জৈবিক ঘড়ি
আমাদের শরীরের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম থাকে। যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে নাইট আউল বা রাতজাগা পাখি, তাঁদের মস্তিষ্ক সকালে দেরিতে সক্রিয় হয়। তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন দেরিতে নিঃসৃত হয়। ফলে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই জৈবিক কারণে সকালের প্রতিটি কাজে তাঁদের দেরি হতে থাকে এবং সারা দিন এর প্রভাব বজায় থাকে।
টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব
এডিএইচডি, অটিজম বা ডিসলেক্সিয়ার মতো নিউরোডাইভারজেন্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে প্রায়ই টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব দেখা যায়। তাঁদের কাছে সময় অত্যন্ত অননুমেয়ভাবে অতিবাহিত হয়। তাঁরা কোনো একটি কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার সময়টুকুর হিসাব রাখতে পারেন না। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং তাঁদের মস্তিষ্কের গঠনগত কারণেই তাঁরা সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খান।
সমাধানের পথ কী
বিজ্ঞান শুধু সমস্যার কথাই বলে না। উত্তরণের পথও দেখায়। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—
সময়ের হিসাব দ্বিগুণ করা: কোনো কাজ বা যাতায়াতে যতটুকু সময় লাগবে বলে মনে হয়, হিসাবে তার দ্বিগুণ সময় হাতে রাখা।
বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা: কোথাও যাওয়ার জন্য প্রতিটি ছোট ছোট পদক্ষেপ; যেমন তৈরি হওয়া, জুতা পরা, বের হওয়া ইত্যাদির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা।
বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার: কেবল ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে অ্যালার্ম, চেক লিস্ট বা ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা।
সহমর্মিতা: সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং লেট লতিফদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকে সময়কে ভিন্নভাবে অনুভব করেন। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।
সূত্র: লাইফ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে।
০২ মে ২০২১
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১ দিন আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১ দিন আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে।
০২ মে ২০২১
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
১৪ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১ দিন আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে।
০২ মে ২০২১
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
১৪ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১ দিন আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে।
০২ মে ২০২১
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
১৪ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১ দিন আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১ দিন আগে