
আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে দেহত্যাগ করলেন তিনি। তিনি রণজিৎ গুহ। একটু ইতিহাস জানা মানুষমাত্রই জানেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদদের মধ্যে কিংবদন্তিতুল্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রণজিৎ গুহের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার উডসে বসবাস করতেন। সেখানেই নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রণজিৎ গুহ শীর্ষ বাঙালি ইতিহাসবিদদের অন্যতম। ১৯২৩ সালের ২৩ মে অবিভক্ত ভারতের বাকেরগঞ্জের (ঝালকাঠির জেলার নলছিটি) সিদ্ধকাঠি গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। গত শতকের তিরিশের দশকে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান।
ইতিহাস গবেষণায় তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তা ঈর্ষণীয়, একই সঙ্গে তুঙ্গস্পর্শী তো বটেই। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ক্রিস মাঞ্জাপ্রার সঙ্গে ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবীর মৌখিক ইতিহাস প্রকল্প’ নিয়ে কাজ করেছিলেন রণজিৎ গুহ। সে সময় তিনি এক বক্তৃতায় পূর্ব বাংলায় (বর্তমানে বাংলাদেশ) তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন।
রণজিৎ জানান, কৈশোরকালেই তিনি ডিএইচ লরেন্স, দস্তয়েভস্কি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পড়ে ফেলেছিলেন। কীভাবে সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল, সেসবও বলেছিলেন তিনি।
রণজিৎ গুহ নিঃসন্দেহে বেঁচে থাকবেন উত্তর-ঔপনিবেশিক ও নিম্নবর্গের ইতিহাসের পথিকৃৎ হিসেবে। ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে ভিন্নধর্মী ইতিহাস লিখেও তিনি চিরস্মরণীয় স্থান দখল করেছেন।
রণজিতের বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি দেশ ভাগেরও আগে ১৯৩৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেখানেই পরিবার নিয়ে থিতু হন।
কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন রণজিৎ গুহ। পরে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
২০০৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে রণজিৎ তাঁর জীবনে প্রেসিডেন্সি কলেজের অবদানের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে বুদ্ধজীবী ভাবি না, এমনকি রাজনৈতিক কর্মীও ভাবি না। আমি শুধু নিরলসভাবে একাডেমিক কাজ করে গেছি। আর আমার এ কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজ।’
গত শতকের চল্লিশের দশকে রণজিৎ গুহ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন। সে সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড তুলে তাঁর লন্ডন যাত্রার খরচ জোগাড় করেছিল।
পরের সাত বছরও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫৩ সালে হঠাৎ তাঁর মনে হয়, তিনি আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগ দেবেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি ওই বছরেই লন্ডন থেকে কলকাতা ফিরে আসেন।
১৯৫৩ সালে চন্দন গড় কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন রণজিৎ গুহ। এরপর সেখান থেকে সেন্ট্রাল কলকাতা কলেজে (বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ) যোগ দেন। তবে তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই চাকরি চলে যায়।
রণজিৎ গুহ এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। কলকাতার এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উদারতাবাদী একাডেমিশিয়ানদের জন্য লীলাভূমি ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ খুলেছিলেন।
১৯৫৯ সালে রণজিৎ গুহ ফেলোশিপ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘দ্য রুল অফ প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল’ নামে সাড়া জাগানো প্রবন্ধ লিখে ফেলেন রণজিৎ গুহ।
কিন্তু রণজিৎ গুহের গবেষণাজীবনের প্রথম দিককার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ১৯৬১ সালে তাঁর বিখ্যাত দ্য রুল অব প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল প্রবন্ধটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে সেটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে প্যারিসেরই প্রকাশনা সংস্থা মাউটন থেকে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রণজিৎ গুহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এই সময়ে তিনি কোনো গবেষণা প্রবন্ধ কিংবা বই প্রকাশ করেননি। এমনকি কোনো একাডেমিক সম্মেলনেও যোগ দেননি।
তবে এই স্বেচ্ছাগোপনে থাকার সময়ে তিনি কলকাতায় তাঁর সমসাময়িক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ‘ভারতীয় সামাজিক আন্দোলনের ওপর গান্ধীবাদী প্রভাব’ বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য ১৯৭০-৭১ সালে তিনি ভারতে ছিলেন। তখন তাঁর মনোযোগ ছিল ভারতের কৃষক বিদ্রোহের দিকে। তাঁর বিখ্যাত গবেষণা প্রবন্ধটি ১৯৮৩ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
রণজিৎ কখনোই শিকড়কে ভোলেননি। তিনি ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘নিম্নবর্গের ইতিহাস’ নামে প্রবন্ধ পড়েছেন। পরে সেটি বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্নাল ‘এক্ষণ’ এ প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী দুই দশক ছিল রণজিৎ গুহের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের স্বর্ণসময়। কয়েক খণ্ডে ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ’ প্রকাশ করা ছাড়াও এ সময়ে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে বই প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে রণজিৎ গুহ সাসেক্স থেকে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৮ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। অবসরজীবন তিনি স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহকে নিয়ে অস্ট্রিয়ার এক শহরতলিতে কাটিয়ে দিয়েছেন।
অবসরে গেলেও তিনি তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা থেকে কখনোই অবসর নেননি। সমসাময়িক তরুণদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তরুণ কবিদের সঙ্গেও তাঁর ছিল নিবিড় সখ্য।
অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর পরেই রণজিৎ ঘোষণা দেন, এখন থেকে তিনি শুধু বাংলা ভাষায় লিখবেন। তাঁর এ ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। সকলের বিস্ময়কে আরও উসকে দিয়ে তিনি পরবর্তী জীবনে বহু প্রবন্ধ ও বই বাংলায় লিখেছেন।
আজ এই কিংবদন্তির জীবনাবসান হলো। কিন্তু বাঙালির ইতিহাসচর্চা যত দিন থাকবে, তত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন নিঃসন্দেহে।
স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে দেহত্যাগ করলেন তিনি। তিনি রণজিৎ গুহ। একটু ইতিহাস জানা মানুষমাত্রই জানেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদদের মধ্যে কিংবদন্তিতুল্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রণজিৎ গুহের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার উডসে বসবাস করতেন। সেখানেই নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রণজিৎ গুহ শীর্ষ বাঙালি ইতিহাসবিদদের অন্যতম। ১৯২৩ সালের ২৩ মে অবিভক্ত ভারতের বাকেরগঞ্জের (ঝালকাঠির জেলার নলছিটি) সিদ্ধকাঠি গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। গত শতকের তিরিশের দশকে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান।
ইতিহাস গবেষণায় তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তা ঈর্ষণীয়, একই সঙ্গে তুঙ্গস্পর্শী তো বটেই। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ক্রিস মাঞ্জাপ্রার সঙ্গে ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবীর মৌখিক ইতিহাস প্রকল্প’ নিয়ে কাজ করেছিলেন রণজিৎ গুহ। সে সময় তিনি এক বক্তৃতায় পূর্ব বাংলায় (বর্তমানে বাংলাদেশ) তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন।
রণজিৎ জানান, কৈশোরকালেই তিনি ডিএইচ লরেন্স, দস্তয়েভস্কি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পড়ে ফেলেছিলেন। কীভাবে সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল, সেসবও বলেছিলেন তিনি।
রণজিৎ গুহ নিঃসন্দেহে বেঁচে থাকবেন উত্তর-ঔপনিবেশিক ও নিম্নবর্গের ইতিহাসের পথিকৃৎ হিসেবে। ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে ভিন্নধর্মী ইতিহাস লিখেও তিনি চিরস্মরণীয় স্থান দখল করেছেন।
রণজিতের বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি দেশ ভাগেরও আগে ১৯৩৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেখানেই পরিবার নিয়ে থিতু হন।
কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন রণজিৎ গুহ। পরে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
২০০৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে রণজিৎ তাঁর জীবনে প্রেসিডেন্সি কলেজের অবদানের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে বুদ্ধজীবী ভাবি না, এমনকি রাজনৈতিক কর্মীও ভাবি না। আমি শুধু নিরলসভাবে একাডেমিক কাজ করে গেছি। আর আমার এ কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজ।’
গত শতকের চল্লিশের দশকে রণজিৎ গুহ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন। সে সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড তুলে তাঁর লন্ডন যাত্রার খরচ জোগাড় করেছিল।
পরের সাত বছরও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫৩ সালে হঠাৎ তাঁর মনে হয়, তিনি আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগ দেবেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি ওই বছরেই লন্ডন থেকে কলকাতা ফিরে আসেন।
১৯৫৩ সালে চন্দন গড় কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন রণজিৎ গুহ। এরপর সেখান থেকে সেন্ট্রাল কলকাতা কলেজে (বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ) যোগ দেন। তবে তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই চাকরি চলে যায়।
রণজিৎ গুহ এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। কলকাতার এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উদারতাবাদী একাডেমিশিয়ানদের জন্য লীলাভূমি ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ খুলেছিলেন।
১৯৫৯ সালে রণজিৎ গুহ ফেলোশিপ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘দ্য রুল অফ প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল’ নামে সাড়া জাগানো প্রবন্ধ লিখে ফেলেন রণজিৎ গুহ।
কিন্তু রণজিৎ গুহের গবেষণাজীবনের প্রথম দিককার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ১৯৬১ সালে তাঁর বিখ্যাত দ্য রুল অব প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল প্রবন্ধটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে সেটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে প্যারিসেরই প্রকাশনা সংস্থা মাউটন থেকে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রণজিৎ গুহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এই সময়ে তিনি কোনো গবেষণা প্রবন্ধ কিংবা বই প্রকাশ করেননি। এমনকি কোনো একাডেমিক সম্মেলনেও যোগ দেননি।
তবে এই স্বেচ্ছাগোপনে থাকার সময়ে তিনি কলকাতায় তাঁর সমসাময়িক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ‘ভারতীয় সামাজিক আন্দোলনের ওপর গান্ধীবাদী প্রভাব’ বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য ১৯৭০-৭১ সালে তিনি ভারতে ছিলেন। তখন তাঁর মনোযোগ ছিল ভারতের কৃষক বিদ্রোহের দিকে। তাঁর বিখ্যাত গবেষণা প্রবন্ধটি ১৯৮৩ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
রণজিৎ কখনোই শিকড়কে ভোলেননি। তিনি ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘নিম্নবর্গের ইতিহাস’ নামে প্রবন্ধ পড়েছেন। পরে সেটি বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্নাল ‘এক্ষণ’ এ প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী দুই দশক ছিল রণজিৎ গুহের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের স্বর্ণসময়। কয়েক খণ্ডে ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ’ প্রকাশ করা ছাড়াও এ সময়ে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে বই প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে রণজিৎ গুহ সাসেক্স থেকে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৮ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। অবসরজীবন তিনি স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহকে নিয়ে অস্ট্রিয়ার এক শহরতলিতে কাটিয়ে দিয়েছেন।
অবসরে গেলেও তিনি তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা থেকে কখনোই অবসর নেননি। সমসাময়িক তরুণদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তরুণ কবিদের সঙ্গেও তাঁর ছিল নিবিড় সখ্য।
অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর পরেই রণজিৎ ঘোষণা দেন, এখন থেকে তিনি শুধু বাংলা ভাষায় লিখবেন। তাঁর এ ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। সকলের বিস্ময়কে আরও উসকে দিয়ে তিনি পরবর্তী জীবনে বহু প্রবন্ধ ও বই বাংলায় লিখেছেন।
আজ এই কিংবদন্তির জীবনাবসান হলো। কিন্তু বাঙালির ইতিহাসচর্চা যত দিন থাকবে, তত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন নিঃসন্দেহে।
স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১২ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১২ মিনিট আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১২ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১২ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে