Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ, অশনাক্ত ৮ মরদেহ দাফন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মে ২০২৩, ১৯: ৪৬
সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ, অশনাক্ত ৮ মরদেহ দাফন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ১০ মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা আট মরদেহ নিতে কেউ আবেদন করেননি। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্তের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তাঁদের পরিচয় মেলেনি। ফলে গত ২০ এপ্রিল আদালতের অনুমতি নিয়ে নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মরদেহগুলো দাফন করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ।

জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহগুলো শনাক্ত করতে পারেননি। 

পরে গত বছরের ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ জনের মরদেহ। পরবর্তীকালে গত বছরের অক্টোবরে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তের পর আরও ছয় মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ফাইল ছবিপুলিশ জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলা ও মর্গে থাকা মরদেহের পরিচয় শনাক্তের কাজ তদারকি করেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে পুড়ে অঙ্গার হওয়া পরিচয়বিহীন ২২ মরদেহের মধ্যে ১৪টি মরদেহ পরিচয় শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি সীতাকুণ্ড থানা থেকে অন্যত্র বদলি হলে মামলাটি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁরা মর্গে পড়ে থাকা আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও মর্গে পড়ে থাকা মরদেহগুলো ফিরে পেতে কোনো স্বজনেরা যোগাযোগ করেননি। সেই সঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো দাফন করতে আদালতের শরণাপন্ন হন। এতে আদালতের অনুমতি দিলে গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা মসজিদে দাফন করা হয়।

ওসি আরও বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো তাঁরা কবর দিয়েছেন এবং সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। তবে কোনো স্বজন যদি মরদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে আসেন, তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।

আরও পড়ুন:

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুলিস্তানে হোটেল রমনার পাশার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর গুলিস্তান মোড়ে হোটেল রমনার পাশের একটি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম দোলা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ পাওয়ার পর সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১২টা ৩৫ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ৬ তলা বিশিষ্ট রমনা ভবনের ৩ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। প্রাথমিকভাবে আগুনের উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং উৎসুক জনতাকে দূরে রাখতে কাজ করছে।

ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে গাড়িতে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে পার্কিং করা একটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে পার্কিং করা একটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে পার্কিং করা একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাতে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাফি আল ফারুক জানান, রাত ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে পার্কিং করা একটি গাড়িতে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে প্রাথমিকভাবে কীভাবে আগুন লেগেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিপরীত পাশের রাস্তায় পার্কিং করা একটি গাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। পরে সেখান থেকে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের

বেরোবি সংবাদদাতা
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৪৯
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন না দিয়ে শীতকালীন ছুটির মধ্যে রাখায় এই তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করেন তাঁরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় তফসিল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ঘোষণার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, গ্রুপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বেরোবি শিক্ষার্থীরা। এর আগে তফসিল ঘোষণার দাবিতে সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

তফসিল ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, 'আজ একটি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একধরনের হঠকারিতা করল। এটাকে নির্বাচন বিলম্বিত করা এবং ব্রাকসুকে দীর্ঘায়িত করার একটি প্রচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। বন্ধের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি প্রতারণার শামিল। এই তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে আমরা বলতে চাই, তফসিল পুনর্বিবেচনা করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।'

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, 'তাঁরা নামমাত্র একটা তারিখ প্রকাশ করেছে। এতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা বলব, শীতকালীন ছুটির আগে তারা যেন কোনো তারিখ পুনর্বিবেচনা করে। যদি তারা না করে, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।'

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আহমাদুল হক আলবীর বলেন, ‘আমরা এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করি। কারণ, এতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হবে না। এ ছাড়া আরও সমস্যা আছে; যেমন এই সময়গুলোতে জাতীয় নির্বাচনের উৎসব চলে আসবে। তখন আমাদের ব্রাকসু হবে কি না, এটা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাব।'

অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, 'এই তফসিলে আমাদের কোনো আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। আমরা এটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা দলের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করেছে।'

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. মাসুদ রানা বলেন, 'ইতিমধ্যে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, কী রকম সময় লাগে এবং যেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলোতে তারিখ পরিবর্তন হচ্ছে বা হয়েছে, সে রকম যেন আমাদের ব্রাকসুতে তারিখ পরিবর্তন করতে না হয়, সব দিক বিবেচনা করেই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শীতকালীন ছুটির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের আগামীকাল (বুধবার) মিটিং ডাকা হয়েছে; ডিসেম্বরের ছুটি পিছিয়ে সেটি জানুয়ারিতে করা হতে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২৯ ডিসেম্বর ব্রাকসু নির্বাচনের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে শিশুশ্রম, মোকাবিলায় কারিতাসের ১১ দফা সুপারিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে শিশুশ্রম, মোকাবিলায় কারিতাসের ১১ দফা সুপারিশ

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দারিদ্র্য বাড়ছে, জীবিকা সংকুচিত হচ্ছে এবং সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছে শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষা। জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগের পর সবচেয়ে বেশি বাড়ছে শিশুশ্রমের প্রবণতা। এ অবস্থায় মানবসম্পদে বিনিয়োগ বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসনে শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করেছে কারিতাস বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ক্লাইমেট চেঞ্জ ইম্প্যাক্ট অন চাইল্ড এডেকুশেন অ্যান্ড মডার্ন স্লেভারি-শীর্ষক একটি অ্যাডভোকেসি সেমিনারে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর গোলাম মাইনউদ্দীন সুপারিশমালা তুলে ধরে বলেন, মানবসম্পদে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনায় শিশুবান্ধব অগ্রাধিকার, জলবায়ু–প্রভাবিত পরিবারে সামাজিক সুরক্ষা জোরদার, শর্তযুক্ত শিক্ষা সহায়তা প্রাতিষ্ঠানিক করা, জীবিকার বৈচিত্র্য ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি, শিশুশ্রমবিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, স্থানীয় পর্যায়ে শনাক্তকরণ ও রেফারেল ব্যবস্থা গড়ে তোলা, তথ্য সংগ্রহ ও মনিটরিংকে আরও কার্যকর করা, জনসচেতনতা বাড়ানো ও বহু-স্টেকহোল্ডার অংশীদারত্ব, জলবায়ু সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ, দুর্যোগ-পরবর্তী সহজ শর্তের ঋণ দেওয়া।

অন্য বক্তারা বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) ও নির্ধারিত অবদান (এনডিসি)-এ শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা ও নিরাপদ স্কুল ব্যবস্থা পরিষ্কারভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। জলবায়ু সহনশীল স্কুল, ডিজিটাল শিক্ষা ও দুর্যোগ-পরবর্তী শিক্ষা পুনর্বহাল ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, ‘গত বছর নোয়াখালীতে বন্যা হলো। তথ্য মতে, অনেক মেয়ে বলেছে, আমরা পিল খেয়েছি কারণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ আমরা পাইনি।’

অনেক অভিভাবকেরা বাধ্য হয়ে তাদের পিল খাইয়েছে। নোয়াখালীতে গত বছরে রিলিফের সঙ্গে হাজার হাজার বোতল পানির বোতল দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের প্রভাব কিশোর-কিশোরীদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আর এতে শিশুদের স্কুলে যাওয়া কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, লবণাক্ততা, পানি সংকট ও জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা শ্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। স্কুল থেকে ঝরে যাচ্ছে।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, পরিবেশ দূষণ নিরক্ষর মানুষ করে না। লেখাপড়া করা মানুষ তা করে। ব্যাংক লুট ও শিক্ষিত মানুষেরা করে। নিরক্ষর মানুষ তো করে না। যারা কম লেখাপড়া করে তারা এগুলো করে না। অতএব আমাদের মধ্যে সচেতনতা আরও অনেক বেশি দরকার। আমাদের লেখাপড়া জানা মানুষের মধ্যেই জ্ঞান পাপীরা, যা আমরা খেয়াল করি না।

সকারের কাছে সাহায্য না চেয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা খালি সরকারের কাছে হাত না পেতে যারা এগুলোতে অনুদান দেন তাদের সঙ্গে লবিং করা উচিত। অ্যাডভোকেসি করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার পরিবর্তন হয়। আমাদের সরকার পরিবর্তনের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নীতি বদলায়। ইউএসএ এইড ফান্ড উইথড্র করল। যেটার জন্য অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের জানা মতে অনেকগুলো সংগঠনের প্রায় ২০ হাজারের ওপরে আমাদের এনজিও কর্মী কাজ হারিয়েছে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, কারিতাস বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দাউদ জীবন দাস, সুবাশ অ্যান্থনি গোমেজ, মো. নাজমুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত