সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ১০ মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা আট মরদেহ নিতে কেউ আবেদন করেননি। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্তের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তাঁদের পরিচয় মেলেনি। ফলে গত ২০ এপ্রিল আদালতের অনুমতি নিয়ে নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মরদেহগুলো দাফন করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ।
জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহগুলো শনাক্ত করতে পারেননি।
পরে গত বছরের ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ জনের মরদেহ। পরবর্তীকালে গত বছরের অক্টোবরে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তের পর আরও ছয় মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলা ও মর্গে থাকা মরদেহের পরিচয় শনাক্তের কাজ তদারকি করেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে পুড়ে অঙ্গার হওয়া পরিচয়বিহীন ২২ মরদেহের মধ্যে ১৪টি মরদেহ পরিচয় শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি সীতাকুণ্ড থানা থেকে অন্যত্র বদলি হলে মামলাটি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁরা মর্গে পড়ে থাকা আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও মর্গে পড়ে থাকা মরদেহগুলো ফিরে পেতে কোনো স্বজনেরা যোগাযোগ করেননি। সেই সঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো দাফন করতে আদালতের শরণাপন্ন হন। এতে আদালতের অনুমতি দিলে গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা মসজিদে দাফন করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো তাঁরা কবর দিয়েছেন এবং সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। তবে কোনো স্বজন যদি মরদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে আসেন, তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।
আরও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত শতাধিক
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ৩৪
‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের ডিপোতে বিস্ফোরণ’
২৪ একরের ডিপোতে ছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কনটেইনার
কারও হাত উড়ে গেছে, কারও শরীরের অর্ধেকই পোড়া
অগ্নিদগ্ধদের রক্ত দিতে মধ্যরাতে হাসপাতালে ছুটলেন চবির শত শত শিক্ষার্থী
ভোর পাঁচটাতেও জ্বলছিল ডিপো, পুড়েছে ৫০০ কনটেইনার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ১০ মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা আট মরদেহ নিতে কেউ আবেদন করেননি। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্তের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তাঁদের পরিচয় মেলেনি। ফলে গত ২০ এপ্রিল আদালতের অনুমতি নিয়ে নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মরদেহগুলো দাফন করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ।
জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহগুলো শনাক্ত করতে পারেননি।
পরে গত বছরের ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ জনের মরদেহ। পরবর্তীকালে গত বছরের অক্টোবরে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তের পর আরও ছয় মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলা ও মর্গে থাকা মরদেহের পরিচয় শনাক্তের কাজ তদারকি করেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে পুড়ে অঙ্গার হওয়া পরিচয়বিহীন ২২ মরদেহের মধ্যে ১৪টি মরদেহ পরিচয় শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি সীতাকুণ্ড থানা থেকে অন্যত্র বদলি হলে মামলাটি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁরা মর্গে পড়ে থাকা আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও মর্গে পড়ে থাকা মরদেহগুলো ফিরে পেতে কোনো স্বজনেরা যোগাযোগ করেননি। সেই সঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো দাফন করতে আদালতের শরণাপন্ন হন। এতে আদালতের অনুমতি দিলে গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা মসজিদে দাফন করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো তাঁরা কবর দিয়েছেন এবং সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। তবে কোনো স্বজন যদি মরদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে আসেন, তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।
আরও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত শতাধিক
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ৩৪
‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের ডিপোতে বিস্ফোরণ’
২৪ একরের ডিপোতে ছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কনটেইনার
কারও হাত উড়ে গেছে, কারও শরীরের অর্ধেকই পোড়া
অগ্নিদগ্ধদের রক্ত দিতে মধ্যরাতে হাসপাতালে ছুটলেন চবির শত শত শিক্ষার্থী
ভোর পাঁচটাতেও জ্বলছিল ডিপো, পুড়েছে ৫০০ কনটেইনার
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৪ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে