Ajker Patrika

প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের রোমাঞ্চকর অভিযান

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩: ১২
প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের রোমাঞ্চকর অভিযান

সাঙ্গু নদী ধরে চলেছে নৌকা। আন্ধারমানিকের কাছে হঠাৎ নদীর পাশে ঝোপের মধ্যে দেখা গেল অতিদুর্লভ, বিষধর একটি সাপ। শরীরের বেশির ভাগ সবুজ, তবে চোখ আর লেজ লাল। পোপস পিট ভাইপার। সরীসৃপটিকে শান্তিতে থাকতে দিয়ে কিছুটা এগোনোর পর নৌকার ওপরে তাকাতেই আঁতকে উঠলেন। পাহাড়ের ঢালে নদীর দিকে হেলে পড়া এক গাছের ডালে পেঁচিয়ে আছে বিশালাকায় একটা গোলবাহার অজগর বা রেটিকুলেটেড পাইথন। পেটটা ভুলে আছে বেঢপভাবে। কিছুক্ষণ আগেই হয়তো শিকার ধরে খেয়েছে। 

আন্ধারমানিকের কাছে এক গাছের ডালে পেঁচিয়ে আছে বিশালাকায় একটা গোলবাহার অজগররোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খানের। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন-পাহাড়ে রোমাঞ্চের নেশায়, ঝরনা দেখতে ঘুরে বেড়ান অনেক তরুণই। তবে দুই যুগ ধরে এই শিক্ষক পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-অরণ্য, নদী-ঝিরিতে চষে বেড়ানোর বড় কারণ বন্যপ্রাণীর খোঁজ করা আর এদের বাসস্থান, অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ। আর তাঁর সেই রোমাঞ্চকর অভিযানের কাহিনি ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাণবৈচিত্র্যের সন্ধানে’ নামে দুই মলাটের মধ্যে বন্দী করেছে প্রথমা প্রকাশন। বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪৫০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন মাহবুব রহমান। 

কাসালং সংরক্ষিত বনের গহিনে ভুলংতলি পাহাড় এবং এর আশপাশের অরণ্যকখনো রাঙামাটির দুর্গম কাসালং সংরক্ষিত অরণ্যে কিংবা কাপ্তাইয়ের সীতা পাহাড়, রাম পাহাড়, কখনো আবার বান্দরবানের সাঙ্গু-মাতামুহুরী বা কিরস তংয়ের গহিন অরণ্যে চষে বেড়িয়েছেন। পাহাড়ি দুরারোহ পথে ১০-১২ ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে বড় কোনো যাত্রাবিরতি ছাড়াই। দেশের জন্য নতুন এমন বেশ কয়েকটি প্রাণীও আবিষ্কার করেছেন পাহাড়ের গহিনের এসব রোমাঞ্চকর অভিযানের সময়। ২০০৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই যুগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে ১০টি অধ্যায়ে ভাগ করে বর্ণনা করেছেন লেখক। পাঠকদের জন্য বাড়তি পাওনা অরণ্য-পাহাড় আর বন্যপ্রাণীর চমৎকার কিছু ছবি। 

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন রাঙামাটির কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট। ১ হাজার ৬৪৫ বর্গকিলোমিটারে বনটির বর্তমানে ৪০০ বর্গকিলোমিটার ভালো বন অবশিষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন লেখক মনিরুল খান। কাসালং বনে লেখক গিয়েছেন মোটমাট চারবার। আর এই বনে রোমাঞ্চকর অভিযানের বর্ণনা পাবেন ‘কাসালংয়ের অজানা অরণ্যে’ অধ্যায়টিতে। এর মধ্যে বনের গভীরে ঢুকতে পেরেছেন দুবার। প্রথম এখানকার গহিন অরণ্যে প্রবেশ করতে পারেন মনিরুল খান ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। ঢাকা থেকে সঙ্গে ছিল তাঁর ছাত্র আশিকুর রহমান। পরে অবশ্য মাসালং থেকে গাইড হিসেবে যোগ দেন আরও দুজন। 

বাংলাদেশে নতুন প্রজাতির পাখি গোল্ডেন ক্রেস্টেড বা সোনাঝুঁটি ময়নাজলপথে যাওয়া সহজ হলেও সেবার কাসালংয়ের অরণ্যে তাঁদের যাত্রাটা হয় পায়ে হেঁটে। লেখকের বর্ণনায় দেখি মান্দিরছড়ার পরে ঘন বনের শুরু। দুর্গম যাত্রায় কখনো পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়, কখনো আবার চলতে হয় ছড়া ধরে। এভাবে চলতে চলতেই তাঁরা পৌঁছান লালু-কালু এলাকার পূর্ব দিকে। এখান থেকে পশ্চিমে দেখতে পাচ্ছিলেন এই এলাকার সবচেয়ে বড় ও গভীর বনানীর পাহাড় ভুলংতলি। বইটি পড়ার সময় মনে হবে আপনিও গহিন কোনো অরণ্যপথে হাঁটছেন লেখকদের ছোট দলটির একজন সদস্য হয়ে। গাইডদের বাঁশ কেটে তৈরি করা চোঙে মাছ আর পাহাড়ি কন্দ যোগ করে রান্না করে বুনো স্বাদের সেই তরকারির স্বাদ পাচ্ছেন। পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা হলে যখন তাঁরা বলে দুই বছর আগে (২০০৯) নাবা এলাকায় বাঘ দেখেছে, তখন শিহরিত হবেন আপনিও। 

সেই ভ্রমণে ফিরতি যাত্রা ছিল বেশ মজার। মাসালং নদীর একটি শাখায় বাঁশের চালি ভাসিয়ে আনা হচ্ছিল। এতে উঠে তাঁরা চলে আসেন মাসালং বাজারে। 

রাঙিপাড়ার অরণ্যে বুনো হাতিপরের সফরটি এক দশক পরে, ২০২১ সালে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এ সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। চারটি নৌকায় চেপে, সঙ্গে প্রয়োজনীয় চাল-ডাল নিয়ে কাসালং নদী ধরে মাসালং বাজার থেকে রওনা দেন তাঁরা। একপর্যায়ে লালু পৌঁছান তারা। লেখকের ভাষায়, এখান থেকেই গহিন বনের শুরু, যেটা উজানের দিকে চলে গেছে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। 

লেখক বলেছেন, কাসালংয়ের গহিন বনে কোনো পাড়া নেই। তবে মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছাউনি আছে। নৌকা থেকে নেমে গহিন এক ছড়া ধরে যাওয়ার সময় আপনিও মনে মনে সঙ্গী হয়ে যাবেন অভিযাত্রীদের। আচমকা আপনার দেখা হয়ে যাবে ভালুকের সঙ্গে চেহারার মিল আছে এমন একধরনের গাছ খাটাশ, বিন্টুরং বা বাঁশ ভালুকের। ছড়া থেকে ফিরে এসে লেখক আরও দুজনের সঙ্গে রাত কাটিয়েছিলেন একটি নৌকায়। রাতে প্রবল বৃষ্টিতে দেখা গেল নৌকা জলে ভরে যাচ্ছে। তাঁরা লেগে গেলেন পানি সেচতে। এমনই নানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয় এই ভ্রমণে। ফেরার পথে আবিষ্কার করে বসেন বাংলাদেশের জন্য ময়নার এক নতুন প্রজাতি গোল্ডেন ক্রেস্টেড বা সোনাঝুঁটি ময়না। 

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে আশ্চর্য সুন্দর পাখি কাঠময়ূরেরমজার ঘটনা, কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যেতে হলে সাজেক যাওয়ার পথেই নামতে হবে আপনাকে। আর এই অধ্যায়টিতে সাজেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেছেন। পুরোনো সেই বুনো সাজেক আর এখনকার কংক্রিটের অট্টালিকায় ভরা সাজেক দুটোর তুলনা করতে গিয়ে লেখককে অনেকটাই দিশেহারা মনে হয়েছে। তিনি আফসোস করেন, এখন সাজেকে সবাই সুখী, তবে দুঃখী শুধু সেই হারিয়ে যাওয়া নির্মল সবুজ পাহাড়, কংক্রিট আর আবর্জনায় ঢাকা পড়ছে যেটি। 

‘বন্য হাতির মুখোমুখি’ অধ্যায়ে আবার হাতির মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার একাধিক রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ২০০২ সালে যেমন রাঙিপাড়ায় গিয়েছিলেন। তিন দিকে জলবেষ্টিত একটি পাহাড়ে উঠেছিলেন। ভেতরে ঢোকার পথ কেবল একটি। ঝোপ-জঙ্গলে ঠাসা পাহাড়টিতে হঠাৎ হাতির কাছে চলে গিয়ে বিপদে পড়ার আশঙ্কা বারো আনা। একপর্যায়ে হাতির ডাল ভাঙার শব্দ শুনলেন। একটু পরেই গাছপালার ফাঁক দিয়ে দেখা পেলেন বিশালদেহী ঐরাবতদের—একটি-দুটি নয়, সাতটি। একপর্যায়ে আবিষ্কার করলেন, লতা-পাতা খেতে খেতে তাদের বেরোনোর পথটাই আটকে দাঁড়িয়েছে হাতির পাল। একপর্যায়ে হাতিগুলো বনের ভেতরে ঢুকে গেল, তাদের শব্দও থেমে গেল। 

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মিলনস্থলে অবস্থিত তিন মাথা পিলারএকটু অপেক্ষা করে যাওয়া নিরাপদ মনে করে সরু পথটা ধরে একজনের পেছনে আরেকজন লাইন ধরে এগোলেন। এই জায়গায় পথ ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়েছে। বাঁক ঘুরেই আঁতকে উঠলেন। ঠিক সামনে পাঁচ মিটার দূরে পথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে প্রকাণ্ড এক হাতি। হাতিটা বিরক্ত হয়ে জোরে একটা শ্বাস নিতেই অন্য হাতিদের শব্দে জেগে উঠল বনানী। তাঁরা ঘুরে দিলেন দৌড়। পেছনে জঙ্গল ভেঙে ছুটে আসছে হাতির পাল। তারপর কী ঘটল জানার জন্য বইটি পড়তে হবে আপনাকে। 

বান্দরবানের দুর্গমে মিয়ানমার সীমান্তে সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন। এনায়েত মাওলার ‘যখন শিকারি ছিলাম’ বইয়ে বড় মোদকের দিকের এক অভিযানের কাহিনি পড়ে বনটির প্রতি আগ্রহ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে মনিরুল খানের। এনায়েত মাওলাদের অভিযানটি ছিল ১৯৫৭ সালের। মনিরুল খান ২০০৫ সালে প্রথম যান সাঙ্গুর গহিনে। তারপর ২০০৮ ও ২০২১ সালে সাঙ্গু-মাতামুহুরীর দিকে আবার অভিযানে যান। আর পাঠক যেন লেখকের সঙ্গে চলে যাবেন অন্য এক পৃথিবীতে। ওই যে লেখার শুরুতে সাঙ্গু নদীর ধারে গোলবাহার অজগর দেখার যে বর্ণনা দিয়েছিলাম, সেটা কিন্তু প্রথমবার সাঙ্গু রিজার্ভ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে এই ভ্রমণ রোমাঞ্চ ও বনপ্রেমী পাঠকদের মন কেড়ে নেবে। 

কিরস তং এলাকায় অতি বিরল ধনেশ রিথড হর্নবিল। ছবি: মনিরুল খানকখনো নদীর দুই পাড়ের ঘন পাহাড়ি বন, উঁচু ট্রি-ফার্ন ও লতানো বাঁশসহ নানা উদ্ভিদ লেখকের সঙ্গে আপনাকেও যেন হারানো পৃথিবীর কথা মনে করিয়ে দেবে। একপর্যায়ে চমকে গিয়ে আবিষ্কার করবেন লেখকও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে গাইডের সঙ্গে উচ্চিংড়া নামে একধরনের পোকার ভাজি ও কুমড়াপাতা সিদ্ধ দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। সাঙ্গু নদীর উজানে শেষ গ্রামটি পেরিয়ে লেখকের সঙ্গে রওনা দেবেন লিক্রি পাহাড়ের গহিন অরণ্যের দিকে, যেখানে বন্যপ্রাণীদের আড্ডাখানা। চন্দইপাড়ার গ্রামপ্রধান যখন বলবেন ওই পাহাড়ে আগের বছর (২০০৪) রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কালো চিতার মুখোমুখি হয়েছেন, তখন রোমাঞ্চে গা কাঁটা দেবে আপনার। তারপর লিক্রি পাহাড় ও ইয়ামবং পাহাড় পেরিয়ে দশ-এগারো ঘণ্টার এক যাত্রা করেন লেখক এবং তাঁর সঙ্গীরা পাহাড়ের অন্য পাশে অর্থাৎ আলীকদমের দিকে পৌঁছাতে। 

বইটির অন্যান্য অধ্যায়গুলো কম রোমাঞ্চকর নয়। কখনো লেখক বন্যপ্রাণী সন্ধানে চলে যান দেশে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলো যেমন সাকা হাকং, কেওক্রাডং কিংবা তাজিংডংয়ের দিকে। কখনো আবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার-ভারতের সীমানা চিহ্নিত করা তিন মাথা পিলার এলাকায়। কখনো আবার লেখকের সঙ্গে দুঃখ ভারাক্রান্ত হবে আপনার মন। যেমন কেওক্রাডং পাহাড় পেরিয়ে জাদিপাই ঝরনায় যাওয়ার আগে জাদিপাই গ্রামে গিয়ে দেখেন ছোট্ট এক মেয়ে শিশুর মৃতদেহ কফিনে ভরার প্রস্তুতি চলছে। বেশ কিছুদিন ম্যালেরিয়ায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। 

কখনো কখনো লেখকের সঙ্গে দেশের জন্য নতুন কোনো প্রাণী আবিষ্কারের আনন্দ পাবেন। ক্যাপিটাল হিল পেরিয়ে একটি বনে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে দেখেন খুব ছোট এক ধরনের কাঠবিড়ালিকে। সাধারণত দেখা যাওয়া বাদামি কাঠবিড়ালির অর্ধেক, নাম হিমালয়ান স্ট্রাইপড স্কুইরেল। বাংলাদেশ এই কাঠবিড়ালি দেখা যাওয়ার এটাই প্রথম রেকর্ড। 

সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে নৌকায় বসা লেখক। পেছনে দুই ছাত্র জাহাঙ্গীর ও সামিউলএ ছাড়া ‘কিরস তং যেন হারানো পৃথিবী’তে কিরস তং বনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তুলনা করেছেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের সেই হারানো পৃথিবীর সঙ্গে। চিম্বুক পাহাড়শ্রেণীর মাঝামাঝি অবস্থিত কিরস তংয়ের শত শত বছরের পুরোনো বনের আবহ পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন লেখক। বারবার ছুটে গিয়েছেন সেখানে। তবে মানুষের লোভের কারণে আদিম এই অরণ্য আর কত দিন টিকে থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এখানে ২০১৯ সালে চিতা বাঘের তাজা পায়ের ছাপ পান লেখক। বনটি তাঁর এত প্রিয় যে অধ্যায়ের শেষ করেন এভাবে, যত দিন আমি টিকে আছি এই ধরনীতে, তত দিন বারবার ফিরে যাব কিরস তংয়ের কোলে। 

এ ছাড়াও অন্যান্য অধ্যায়গুলোতে কখনো মনিরুল খানকে দেখা যায় দেও হাঁসের খোঁজে পাবলাখালী-রাঙিপাড়ার পাহাড়ের চষে বেড়াতে, কখনো ফ্রান্সিস বুকাননের পথ ধরে রাঙামাটির কাপ্তাই কিংবা বরকলের গহিন অরণ্যে চলে যেতে। স্কটিশ জরিপকারী বুকানন এসব এলাকা ভ্রমণ করেছিলেন সোয়া দুই শ বছর আগে, ১৭৮৩ সালে। আবার বগা লেকের পাশে অ্যালেংথং পাহাড়ে বাদুড়ের গুহায় ভ্রমণ কিংবা রাইংক্ষিয়ং রিজার্ভ ফরেস্টে তাঁর রোমাঞ্চকর অভিযানও মুগ্ধ করবে পাঠককে। 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া সাকা হাফং। দাঁড়ানো ব্যক্তির সামনে মিয়ানমার, পেছনে বাংলাদেশবইটি পড়তে পড়তে বন্যপ্রাণীপ্রেমীরা কখনো চমকিত হবেন লেখকের সঙ্গে নিকট অতীতে পাহাড়ি বনে বাঘ দেখা যাওয়ার খবর শুনে। কখনো আবার মন কেঁদে উঠবে বাঘ-হরিণ কিংবা অন্য কোনো বিপন্ন বন্যপ্রাণী শিকারের খবর শুনে, অরণ্য ধ্বংসের বৃত্তান্ত পড়ে। 

সবকিছু মিলিয়ে তাই বলা যায় শুধুমাত্র বন্যপ্রাণীপ্রেমী নয় পাহাড়ে-জঙ্গল-ঝরনা যাদের পছন্দ সেসব অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদেরও ভালো লাগবে বইটি। আর যেসব পাহাড়-অরণ্যপ্রেমী নানা ব্যস্ততায় সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যেতে পারছেন না তাঁরাও কয়েকটা ঘণ্টার জন্য হারিয়ে যেতে পারবেন রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে, আশ্চর্য সুন্দর এক পৃথিবীতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত