
হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু গত শনিবার সকালে হামাস পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপের সঙ্গে বুলডোজার, গ্লাইডার এবং মোটরবাইক নিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। এটি নিঃসন্দেহে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাত। ৫০ বছর আগে সিরিয়া ও মিসর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পুরো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। সেই স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনল হামাস।
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে হামাস যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। তারা নতুন করে আর যুদ্ধ চায় না। তারা চায় গাজার অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মীদের জন্য টাকা। এই ফাঁকেই গোপনের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এমনকি উন্মুক্ত স্থানেই বড় বহর নিয়ে চলেছে প্রশিক্ষণ। হামাসের যোদ্ধারাও জানতেন না সামনে কী হতে চলেছে।
সূত্রটি হামলার বিবরণ এবং প্রস্তুতির বিশদ তথ্য রয়টার্সকে দিয়েছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থার তিনটি সূত্রও এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সংবাদ সংস্থাটিকে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি বলেছে, হামাস কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশল ব্যবহার করেছে। হামাস ইসরায়েলকে ধারণা দিয়েছিল, তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয়। কিন্তু তারা ব্যাপক অভিযানের প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছে। এমনকি এই দুই বছর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সামরিক নিপীড়ন ঠিকই চলেছে। এরপরও হামাসের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে যে ইহুদিদের পবিত্র দিন সাবাথ ও ধর্মীয় ছুটির মধ্যে এমন হামলা সত্যিই তাদের অবাক করেছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের শহরগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্তত ৭০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। বহু ইসরায়েলি ও বিদেশিকে জিম্মি করেছে। এরপর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র মেজর নির দিনার বলেছেন, ‘এটি আমাদের ৯/১১। তারা আমাদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জল, স্থল ও আকাশপথে আক্রমণ চালিয়ে তারা আমাদের হতবাক করেছে।’
লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি ওসামা হামদান রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই হামলায় ফিলিস্তিনিরা দেখিয়ে দিয়েছে লক্ষ্য অর্জনে তারা কিছুতেই পিছপা হবে না। ইসরায়েলের যত বড়ই সামরিক শক্তি ও সক্ষমতা থাকুক না কেন।’
গোপন প্রশিক্ষণ
হামলার কিছুদিন আগে হামাস গাজায় একটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতির অনুকরণে একটি এলাকা তৈরি করেছিল। এরপর সেটি ধ্বংসের মহড়া দেওয়া হয়। সেটিরও ভিডিও তৈরি করে তারা। ইসরায়েল তাদের কার্যক্রম দেখেছে ঠিকই কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি। তারা ভেবেছিল, হামাস কোনো সংঘর্ষে জড়াতে আগ্রহী নয়।
একই সময়ে হামাস ইসরায়েলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে তারা গাজার বেকার মানুষদের কর্মসংস্থান চায়। সীমান্তের ওপারে কীভাবে কাজ জোটাবে সে নিয়েই ব্যস্ত হামাস।
হামাসের সঙ্গে ২০২১ সালের যুদ্ধের পর থেকে হাজার হাজার গাজাবাসীকে ইসরায়েলে ও পশ্চিম তীরে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে তেল আবিব। যেখানে নির্মাণ, কৃষি বা সেবা খাতের চাকরিগুলোতে গাজার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরেক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম তারা উপার্জনের টাকায় গাজায় শান্তিপূর্ণভাবে বাস করবে। কিন্তু আমরা ভুল ছিলাম।’
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র স্বীকার করেছে, ‘ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগ হামাসের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। আমাদের তারা বুঝিয়েছিল, তারা শুধু টাকা চায়। কিন্তু সর্বদা তারা সেই টাকা ব্যবহার করে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।’
গত দুই বছরে হামাস নিষ্ক্রিয় থাকলেও গাজাভিত্তিক আরেকটি ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের উত্থান ঘটে। তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ ও সিরিজ রকেট হামলাও চালায়।
হামলার কোনো আগাম তথ্য ছিল না
হামাসের এই দীর্ঘ সংযম অনেকের সন্দেহের জন্ম দিয়েছে, সেই সঙ্গে অনস্থা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। খোদ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগাইনাইজেশনের (পিএলও) নেতারাও হামাসের সমালোচনা করেছে। যুদ্ধ ছেড়ে হামাস অর্থনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে—এমনটিও বলা হয়েছে।
পশ্চিম তীরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং তাঁর ফাতাহ গোষ্ঠীও হামাসের শান্ত আচরণের নিন্দা করেছিল। ২০২২ সালের জুনে ফাতাহ এক বিবৃতিতে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, এরা গাজাবাসীকে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজেরা আয়েশি জীবন যাপন করছে। তারা আরব দেশের রাজধানীগুলোতে গিয়ে বিলাসবহুল জীবন বেছে নিয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিভাগের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল আগে ভাবত, হামাস নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার ইহুদিদের শায়েস্তা করার পরিবর্তে গাজা পরিচালনায় ব্যস্ত। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবীকরণের প্রক্রিয়ার মধ্যে ইসরায়েল হামাস থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিল।
হামাসের সূত্রটি জানায়, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অনুপ্রবেশ ও তাদের কার্যকলাপ নিরীক্ষণের সক্ষমতা নিয়ে দম্ভ করেছে। এই আত্মবিশ্বাসই ইসরায়েলের কাল হয়েছে। শুরু থেকেই হামাস পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস এড়াতে সতর্ক ছিল। অনেক হামাস নেতাও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন না। হামলায় অংশ নেওয়া ১ হাজার যোদ্ধাও টের পায়নি কেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল।
হামলার দিন শনিবার হামাস মুক্তিসেনাদের চার ভাগে বিভক্ত করা হয়। সেদিনই তাঁদের মিশনের কথা বিস্তারিত জানানো হয়। প্রথম পদক্ষেপটি ছিল গাজা থেকে ছোড়া তিন হাজার রকেটের সঙ্গে গ্লাইডার বা মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার দিয়ে হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলের মাটিতে অবতরণ। হ্যাং গ্লাইডারের যোদ্ধারা মাটিতে নামার পর বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেন। যোদ্ধারা বোমা বর্ষণ করে সব বাধা গুঁড়িয়ে দেন এবং মোটরবাইকে করে সীমানা অতিক্রম করেন। বুলডোজার দিয়ে প্রবেশপথগুলো আরও প্রসারিত করেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা
হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, হামাসের একটি কমান্ডো ইউনিট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণ গাজা সদর দপ্তরে আক্রমণ করে এবং এর যোগাযোগব্যবস্থা বিকল করে দেয়। এরপর জিম্মিদের গাজায় স্থানান্তর করা হয়। এসবের বেশির ভাগই আক্রমণের প্রথম দিকে করা হয়েছিল।
জিম্মিদের ধরার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যোদ্ধারা গাজার কাছে নাচ-গানের পার্টি থেকে ইসরায়েলিদের জিম্মি করেন। এ সময় কয়েক ডজন লোককে মাঠের মধ্য দিয়ে এবং রাস্তার ওপর দিয়ে দৌড়াতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিভাগের সূত্রটি প্রশ্ন রেখে বলে, ‘কীভাবে এই পার্টি (গাজার) কাছেই আয়োজন করা হলো? যেখানে দক্ষিণ ইসরায়েলে সম্পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়োজিত ছিল না। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সুরক্ষার জন্য অধিকাংশই পশ্চিম তীরে মোতায়েন করা হয়েছিল। হামাস এর সুযোগ নিয়েছে।’
সাবেক মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ও বর্তমানে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে কর্মরত ডেনিস রস বলেন, ‘ইসরায়েল পশ্চিম তীরে সহিংসতায় বিভ্রান্ত হয়েছে, ফলে দক্ষিণে নগণ্য সংখ্যক সামরিক বাহিনী মোতায়েন ছিল। হামাস সম্ভবত প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফলতা পেয়েছে। এখন তাদের বিনাশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ইয়াকভ আমিদ্রর গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই হামলা দক্ষিণে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সামরিক বিভাগের এক বড় ব্যর্থতা।’
আমিদ্রর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এখন জেরুজালেম ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সিকিউরিটির সিনিয়র ফেলো হিসেবে নিয়োজিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলের কিছু মিত্র বলছে, হামাসকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে। আমরা একটি ভুল করেছি, কিন্তু আর নয়। আমরা হামাসকে ধীরে ধীরে অবশ্যই ধ্বংস করব।’

হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু গত শনিবার সকালে হামাস পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপের সঙ্গে বুলডোজার, গ্লাইডার এবং মোটরবাইক নিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। এটি নিঃসন্দেহে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাত। ৫০ বছর আগে সিরিয়া ও মিসর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পুরো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। সেই স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনল হামাস।
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে হামাস যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। তারা নতুন করে আর যুদ্ধ চায় না। তারা চায় গাজার অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মীদের জন্য টাকা। এই ফাঁকেই গোপনের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এমনকি উন্মুক্ত স্থানেই বড় বহর নিয়ে চলেছে প্রশিক্ষণ। হামাসের যোদ্ধারাও জানতেন না সামনে কী হতে চলেছে।
সূত্রটি হামলার বিবরণ এবং প্রস্তুতির বিশদ তথ্য রয়টার্সকে দিয়েছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থার তিনটি সূত্রও এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সংবাদ সংস্থাটিকে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি বলেছে, হামাস কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশল ব্যবহার করেছে। হামাস ইসরায়েলকে ধারণা দিয়েছিল, তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয়। কিন্তু তারা ব্যাপক অভিযানের প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছে। এমনকি এই দুই বছর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সামরিক নিপীড়ন ঠিকই চলেছে। এরপরও হামাসের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে যে ইহুদিদের পবিত্র দিন সাবাথ ও ধর্মীয় ছুটির মধ্যে এমন হামলা সত্যিই তাদের অবাক করেছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের শহরগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্তত ৭০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। বহু ইসরায়েলি ও বিদেশিকে জিম্মি করেছে। এরপর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র মেজর নির দিনার বলেছেন, ‘এটি আমাদের ৯/১১। তারা আমাদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জল, স্থল ও আকাশপথে আক্রমণ চালিয়ে তারা আমাদের হতবাক করেছে।’
লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি ওসামা হামদান রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই হামলায় ফিলিস্তিনিরা দেখিয়ে দিয়েছে লক্ষ্য অর্জনে তারা কিছুতেই পিছপা হবে না। ইসরায়েলের যত বড়ই সামরিক শক্তি ও সক্ষমতা থাকুক না কেন।’
গোপন প্রশিক্ষণ
হামলার কিছুদিন আগে হামাস গাজায় একটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতির অনুকরণে একটি এলাকা তৈরি করেছিল। এরপর সেটি ধ্বংসের মহড়া দেওয়া হয়। সেটিরও ভিডিও তৈরি করে তারা। ইসরায়েল তাদের কার্যক্রম দেখেছে ঠিকই কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি। তারা ভেবেছিল, হামাস কোনো সংঘর্ষে জড়াতে আগ্রহী নয়।
একই সময়ে হামাস ইসরায়েলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে তারা গাজার বেকার মানুষদের কর্মসংস্থান চায়। সীমান্তের ওপারে কীভাবে কাজ জোটাবে সে নিয়েই ব্যস্ত হামাস।
হামাসের সঙ্গে ২০২১ সালের যুদ্ধের পর থেকে হাজার হাজার গাজাবাসীকে ইসরায়েলে ও পশ্চিম তীরে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে তেল আবিব। যেখানে নির্মাণ, কৃষি বা সেবা খাতের চাকরিগুলোতে গাজার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরেক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম তারা উপার্জনের টাকায় গাজায় শান্তিপূর্ণভাবে বাস করবে। কিন্তু আমরা ভুল ছিলাম।’
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র স্বীকার করেছে, ‘ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগ হামাসের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। আমাদের তারা বুঝিয়েছিল, তারা শুধু টাকা চায়। কিন্তু সর্বদা তারা সেই টাকা ব্যবহার করে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।’
গত দুই বছরে হামাস নিষ্ক্রিয় থাকলেও গাজাভিত্তিক আরেকটি ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের উত্থান ঘটে। তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ ও সিরিজ রকেট হামলাও চালায়।
হামলার কোনো আগাম তথ্য ছিল না
হামাসের এই দীর্ঘ সংযম অনেকের সন্দেহের জন্ম দিয়েছে, সেই সঙ্গে অনস্থা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। খোদ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগাইনাইজেশনের (পিএলও) নেতারাও হামাসের সমালোচনা করেছে। যুদ্ধ ছেড়ে হামাস অর্থনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে—এমনটিও বলা হয়েছে।
পশ্চিম তীরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং তাঁর ফাতাহ গোষ্ঠীও হামাসের শান্ত আচরণের নিন্দা করেছিল। ২০২২ সালের জুনে ফাতাহ এক বিবৃতিতে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, এরা গাজাবাসীকে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজেরা আয়েশি জীবন যাপন করছে। তারা আরব দেশের রাজধানীগুলোতে গিয়ে বিলাসবহুল জীবন বেছে নিয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিভাগের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল আগে ভাবত, হামাস নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার ইহুদিদের শায়েস্তা করার পরিবর্তে গাজা পরিচালনায় ব্যস্ত। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবীকরণের প্রক্রিয়ার মধ্যে ইসরায়েল হামাস থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিল।
হামাসের সূত্রটি জানায়, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অনুপ্রবেশ ও তাদের কার্যকলাপ নিরীক্ষণের সক্ষমতা নিয়ে দম্ভ করেছে। এই আত্মবিশ্বাসই ইসরায়েলের কাল হয়েছে। শুরু থেকেই হামাস পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস এড়াতে সতর্ক ছিল। অনেক হামাস নেতাও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন না। হামলায় অংশ নেওয়া ১ হাজার যোদ্ধাও টের পায়নি কেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল।
হামলার দিন শনিবার হামাস মুক্তিসেনাদের চার ভাগে বিভক্ত করা হয়। সেদিনই তাঁদের মিশনের কথা বিস্তারিত জানানো হয়। প্রথম পদক্ষেপটি ছিল গাজা থেকে ছোড়া তিন হাজার রকেটের সঙ্গে গ্লাইডার বা মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার দিয়ে হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলের মাটিতে অবতরণ। হ্যাং গ্লাইডারের যোদ্ধারা মাটিতে নামার পর বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেন। যোদ্ধারা বোমা বর্ষণ করে সব বাধা গুঁড়িয়ে দেন এবং মোটরবাইকে করে সীমানা অতিক্রম করেন। বুলডোজার দিয়ে প্রবেশপথগুলো আরও প্রসারিত করেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা
হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, হামাসের একটি কমান্ডো ইউনিট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণ গাজা সদর দপ্তরে আক্রমণ করে এবং এর যোগাযোগব্যবস্থা বিকল করে দেয়। এরপর জিম্মিদের গাজায় স্থানান্তর করা হয়। এসবের বেশির ভাগই আক্রমণের প্রথম দিকে করা হয়েছিল।
জিম্মিদের ধরার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যোদ্ধারা গাজার কাছে নাচ-গানের পার্টি থেকে ইসরায়েলিদের জিম্মি করেন। এ সময় কয়েক ডজন লোককে মাঠের মধ্য দিয়ে এবং রাস্তার ওপর দিয়ে দৌড়াতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিভাগের সূত্রটি প্রশ্ন রেখে বলে, ‘কীভাবে এই পার্টি (গাজার) কাছেই আয়োজন করা হলো? যেখানে দক্ষিণ ইসরায়েলে সম্পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়োজিত ছিল না। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সুরক্ষার জন্য অধিকাংশই পশ্চিম তীরে মোতায়েন করা হয়েছিল। হামাস এর সুযোগ নিয়েছে।’
সাবেক মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ও বর্তমানে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে কর্মরত ডেনিস রস বলেন, ‘ইসরায়েল পশ্চিম তীরে সহিংসতায় বিভ্রান্ত হয়েছে, ফলে দক্ষিণে নগণ্য সংখ্যক সামরিক বাহিনী মোতায়েন ছিল। হামাস সম্ভবত প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফলতা পেয়েছে। এখন তাদের বিনাশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ইয়াকভ আমিদ্রর গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই হামলা দক্ষিণে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সামরিক বিভাগের এক বড় ব্যর্থতা।’
আমিদ্রর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এখন জেরুজালেম ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সিকিউরিটির সিনিয়র ফেলো হিসেবে নিয়োজিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলের কিছু মিত্র বলছে, হামাসকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে। আমরা একটি ভুল করেছি, কিন্তু আর নয়। আমরা হামাসকে ধীরে ধীরে অবশ্যই ধ্বংস করব।’

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১০ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১০ মিনিট আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১০ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

হামাস এমন চাতুর্য দেখিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাও টের পায়নি। ইসরায়েলের একের পর এক অভিযানের পরও গত দুই বছর হামাস প্রকাশ্যে গাজায় পাল্টা সামরিক তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘ সংঘাতে ক্লান্ত, তারা আর যুদ্ধ চায় না—ইসরায়েলকে এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১০ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে