রানা আব্বাস

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।
রানা আব্বাস

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২০ মিনিট আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৪ মিনিট আগে
টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ।
৩৪ মিনিট আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
হোটল থেকে মেসিকে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নেওয়ার পরই গন্ডগোলের শুরু। একদল লোক মেসিকে ঘিরে রাখলে গ্যালারির দর্শকদের আড়াল হয়ে যান তিনি। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মেসিকে এক নজর দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠের ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শকেরা। দর্শকদের লুট-তারাজ, ভাঙচুরের শিকার হয় যুব ভারতী। এই অরাজকতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসির ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তাঁকে আটকের জানিয়েছে ভারতের পত্রপত্রিকা।
বিমানবন্দরে মেসিদের বিদায় দিতে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা টিকিট কেটে মাঠে ঢুকেছেন কিন্তু মেসিকে দেখতে পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন শতদ্রু দত্ত।

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
হোটল থেকে মেসিকে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নেওয়ার পরই গন্ডগোলের শুরু। একদল লোক মেসিকে ঘিরে রাখলে গ্যালারির দর্শকদের আড়াল হয়ে যান তিনি। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মেসিকে এক নজর দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠের ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শকেরা। দর্শকদের লুট-তারাজ, ভাঙচুরের শিকার হয় যুব ভারতী। এই অরাজকতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসির ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তাঁকে আটকের জানিয়েছে ভারতের পত্রপত্রিকা।
বিমানবন্দরে মেসিদের বিদায় দিতে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা টিকিট কেটে মাঠে ঢুকেছেন কিন্তু মেসিকে দেখতে পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন শতদ্রু দত্ত।

স্টুয়ার্ট ল গত দুই বছর কাজ করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবাদের বড় সাফল্য গত পরশু দুবাইয়ে এশিয়া কাপ জয়। দুবাই থেকে কাল দল ফিরলেও ল কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়। এরপর শুরু করবেন যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। গতকাল দুবাই থেকে মোবাইল ফোনে ল বললেন এশিয়া কাপের সাফল্য আর বিশ্ব
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৪ মিনিট আগে
টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ।
৩৪ মিনিট আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।
গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।

লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।
গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।

স্টুয়ার্ট ল গত দুই বছর কাজ করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবাদের বড় সাফল্য গত পরশু দুবাইয়ে এশিয়া কাপ জয়। দুবাই থেকে কাল দল ফিরলেও ল কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়। এরপর শুরু করবেন যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। গতকাল দুবাই থেকে মোবাইল ফোনে ল বললেন এশিয়া কাপের সাফল্য আর বিশ্ব
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২০ মিনিট আগে
টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ।
৩৪ মিনিট আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ। তবে মঙ্গলবার সকালে তারা বাংলাদেশ ছাড়বেন বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ইব্রাহীম নাওয়াজের বাবা সরফরাজ নেওয়াজ ও ক্যাসপার হকের চাচা রুবায়েত হক হিমেল।
আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের নির্ধারিত কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ধরতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত বিমানে ওঠা সম্ভব হয়নি এই দুই ফুটবলারের।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর পক্ষ থেকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছিল, সেটির ভিত্তিতেই কাসপার-ইব্রাহিম বিমানবন্দরে যান। গত এক সপ্তাহ ধরে টিকিটের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হলেও বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরে গিয়ে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রদত্ত টিকিটটি কনফার্ম নয়; এটি ছিল কেবল বুকিং, যার শতভাগ নিশ্চয়তা নেই।
এই ঘটনায় ক্যাসপার-ইব্রাহীম নাওয়াজের পরিবার বাফুফের ওপর চরম বিরক্তি ও হতাশা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এতে বাফুফে সম্পর্কে খুবই নেতিবাচক একটি ছাপ তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তখন বাফুফে থেকে বলা হয় টিকিটের টাকা আলাদা করে অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
বাফুফে তরফ থেকে দুই পরিবারকে জানানো হয় লাতিন–বাংলা সুপার কাপের আয়োজক প্রোমোটারদের কাছ থেকে এখনো অর্থ না পাওয়ায় টিকিট কনফার্ম করা সম্ভব হয়নি। তবে আয়োজকদের সঙ্গে বাফুফের আর্থিক লেনদেন ঠিকমতো না হওয়ার প্রভাব কেন খেলোয়াড় ওপর এসে পড়বে?
যদিও বাফুফের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ উদ্যোগে ক্যাসপার ও ইব্রাহিম নতুন টিকিট কেটে ফেলেছেন। এক সপ্তাহ সময় থাকার পরও কোনো স্পষ্ট আপডেট না দেওয়া এবং শেষ মুহূর্তে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়াকে চরম অপেশাদার আচরণ হিসেবে দেখছে কাসপার-ইব্রাহিমের পরিবার। এ ব্যাপারে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘আমাদের তো একটা কথা ছিল শুধুমাত্র টিম দিবো আর মাঠটা পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করবো। আয়োজক যারা টিকিট দিয়েছে, যাওয়ার টিকিট আর দেয়নি। ওটা নিয়ে আজকে দিচ্ছি, কালকে দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে। পরে আমি বলছি টিকিট করে দাও অথবা ওরা করুক, আমরা ওদের টাকা দিয়ে দেব।’
কোনো উত্তর দেননি। লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন কাসপার-ইব্রাহিম।

টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ। তবে মঙ্গলবার সকালে তারা বাংলাদেশ ছাড়বেন বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ইব্রাহীম নাওয়াজের বাবা সরফরাজ নেওয়াজ ও ক্যাসপার হকের চাচা রুবায়েত হক হিমেল।
আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের নির্ধারিত কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ধরতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত বিমানে ওঠা সম্ভব হয়নি এই দুই ফুটবলারের।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর পক্ষ থেকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছিল, সেটির ভিত্তিতেই কাসপার-ইব্রাহিম বিমানবন্দরে যান। গত এক সপ্তাহ ধরে টিকিটের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হলেও বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরে গিয়ে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রদত্ত টিকিটটি কনফার্ম নয়; এটি ছিল কেবল বুকিং, যার শতভাগ নিশ্চয়তা নেই।
এই ঘটনায় ক্যাসপার-ইব্রাহীম নাওয়াজের পরিবার বাফুফের ওপর চরম বিরক্তি ও হতাশা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এতে বাফুফে সম্পর্কে খুবই নেতিবাচক একটি ছাপ তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তখন বাফুফে থেকে বলা হয় টিকিটের টাকা আলাদা করে অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
বাফুফে তরফ থেকে দুই পরিবারকে জানানো হয় লাতিন–বাংলা সুপার কাপের আয়োজক প্রোমোটারদের কাছ থেকে এখনো অর্থ না পাওয়ায় টিকিট কনফার্ম করা সম্ভব হয়নি। তবে আয়োজকদের সঙ্গে বাফুফের আর্থিক লেনদেন ঠিকমতো না হওয়ার প্রভাব কেন খেলোয়াড় ওপর এসে পড়বে?
যদিও বাফুফের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ উদ্যোগে ক্যাসপার ও ইব্রাহিম নতুন টিকিট কেটে ফেলেছেন। এক সপ্তাহ সময় থাকার পরও কোনো স্পষ্ট আপডেট না দেওয়া এবং শেষ মুহূর্তে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়াকে চরম অপেশাদার আচরণ হিসেবে দেখছে কাসপার-ইব্রাহিমের পরিবার। এ ব্যাপারে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘আমাদের তো একটা কথা ছিল শুধুমাত্র টিম দিবো আর মাঠটা পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করবো। আয়োজক যারা টিকিট দিয়েছে, যাওয়ার টিকিট আর দেয়নি। ওটা নিয়ে আজকে দিচ্ছি, কালকে দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে। পরে আমি বলছি টিকিট করে দাও অথবা ওরা করুক, আমরা ওদের টাকা দিয়ে দেব।’
কোনো উত্তর দেননি। লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন কাসপার-ইব্রাহিম।

স্টুয়ার্ট ল গত দুই বছর কাজ করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবাদের বড় সাফল্য গত পরশু দুবাইয়ে এশিয়া কাপ জয়। দুবাই থেকে কাল দল ফিরলেও ল কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়। এরপর শুরু করবেন যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। গতকাল দুবাই থেকে মোবাইল ফোনে ল বললেন এশিয়া কাপের সাফল্য আর বিশ্ব
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২০ মিনিট আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৪ মিনিট আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াই ছাড়াও আজ টিভিতে আছে আরও বেশকিছু ম্যাচ। একনজরে আজকের টিভি সূচি।
ক্রিকেট
যুব এশিয়া কাপ
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
সরাসরি, বেলা ১১ টা
টি স্পোর্টস
বিগ ব্যাশ
ফাইনাল
হোবার্ট-পার্থ
সরাসরি, বেলা ২টা ১০ মি.
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
আইএল টি-টোয়েন্টি
আবুধাবি-দুবাই
সরাসরি, রাত সাড়ে ৮ টা
টি স্পোর্টস
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
চেলসি-এভারটন
সরাসরি, রাত ৯ টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২
লিভারপুল-ব্রাইটন
সরাসরি, রাত ৯ টা
বার্নলি-ফুলহাম
সরাসরি, রাত সাড়ে ১১ টা
আর্সেনাল-উলভস
সরাসরি, রাত ২ টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেছে আফগানরা। জিততে হলে এই চ্যালেঞ্জ টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম, সামিউন বাশির রাতুলদের। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াই ছাড়াও আজ টিভিতে আছে আরও বেশকিছু ম্যাচ। একনজরে আজকের টিভি সূচি।
ক্রিকেট
যুব এশিয়া কাপ
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
সরাসরি, বেলা ১১ টা
টি স্পোর্টস
বিগ ব্যাশ
ফাইনাল
হোবার্ট-পার্থ
সরাসরি, বেলা ২টা ১০ মি.
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
আইএল টি-টোয়েন্টি
আবুধাবি-দুবাই
সরাসরি, রাত সাড়ে ৮ টা
টি স্পোর্টস
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
চেলসি-এভারটন
সরাসরি, রাত ৯ টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২
লিভারপুল-ব্রাইটন
সরাসরি, রাত ৯ টা
বার্নলি-ফুলহাম
সরাসরি, রাত সাড়ে ১১ টা
আর্সেনাল-উলভস
সরাসরি, রাত ২ টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

স্টুয়ার্ট ল গত দুই বছর কাজ করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবাদের বড় সাফল্য গত পরশু দুবাইয়ে এশিয়া কাপ জয়। দুবাই থেকে কাল দল ফিরলেও ল কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়। এরপর শুরু করবেন যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। গতকাল দুবাই থেকে মোবাইল ফোনে ল বললেন এশিয়া কাপের সাফল্য আর বিশ্ব
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।
২০ মিনিট আগে
লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৪ মিনিট আগে
টিকিট জটিলতার কারণে আজ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে ফিরতে পারেননি লাতিন–বাংলা সুপার কাপে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারের দুই প্রবাসী ফুটবলার ক্যাসপার হক ও ইব্রাহিম নাওয়াজ।
৩৪ মিনিট আগে