রানা আব্বাস
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।
প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।
প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।
প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?
স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?
স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।
প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।
২০২৫, ২০২৬, ২০২৭-তিন আইপিএলের সূচি জানা গেছে গত রাতেই। সূচি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর জানা গেল আইপিএলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ঐতিহাসিক টেস্টের সূচি। কারণ, ২০২৭ আইপিএল চলার সময়ই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) শুরু হবে ১৫০ বছর পূর্তির এই টেস্ট ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগেমেঘনা ব্যাংক ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে সহিংসতার জেরে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ঢাকা মেট্রোপলিস ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৮ খেলোয়াড় ও ১ দল কর্মকর্তাকে এক বছর নিষিদ্ধ এবং আর্থিক জরিমানা প্রদান করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ক্রিকেট দল উল্লাস করতে ব্যস্ত। কিন্তু বিরাট কোহলির কারণে মুহূর্তেই তা হরিষে বিষাদে পরিণত হয়। কারণ, তিনি সংকেত দিয়েছেন যে ক্যাচটা তিনি মিস করেছেন। এমন লোপ্পা ক্যাচ কোহলির হাতছাড়া করাটা বিশ্বাসই করতে পারেননি জসপ্রীত বুমরা-লোকেশ রাহুলরা।
২ ঘণ্টা আগেচোটে পড়ায় মুশফিকুর রহিম নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। সাকিব আল হাসানের ঘটনা আবার ভিন্ন। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও পাওয়া যাবে না টেস্ট সিরিজে। একগাদা তারকা খেলোয়াড় না থাকার পরও দুশ্চিন্তা নেই বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের।
৩ ঘণ্টা আগে