
মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরের ২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল দ্বন্দ্ব। এই বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপি ক্রমেই জনমত হাসিল করেছে। তার ফলাফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পাওয়া বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
যা হোক, ১৫২৮ সালে মীর বাকির নির্মিত বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। মারাঠারা সে বছর অযোধ্যা, কাশী, মাথুরাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। এর ফলে বেশ কয়েক দফা বিবাদ-সংঘাত সংঘটিত হয়। যদিও এর কোনো রেকর্ড কোনো নথিপত্রে পাওয়া যায় না।
এরপর ১০০ বছরের বেশি সময় পর সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক এক বছর পর ১৮৫৮ সালে নিহাং শিখরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালায় এবং ‘হওয়ান’ নামে একধরনের আচার পালন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের নথি অনুসারে, বাবরি মসজিদ দখলের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। নিহাং শিখদের পর সে সময় স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদে প্রবেশ করে পূজা করেছিল।
তবে আইনি দিক থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৮৮৫ সালে। নির্মোহী আখড়া নামে একটি গোষ্ঠীর সন্ন্যাসী মোহন্ত রঘুবীর দাস উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রঘুবীর দাবি করেন, তাঁকে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণে একটি মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। সে সময় আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৯৪৯ সালে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে ‘রাম লাল্লার’ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সে বছর ডিসেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে একদল হিন্দু মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। অনেকে দাবি করেন, সে সময় রামের সেই মূর্তি ‘অলৌকিকভাবে’ মসজিদের ভেতরে গিয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিতে মুসলিম ও হিন্দু—দুই সম্প্রদায়ের জন্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সরকারের হাওলায় ছেড়ে দেন।
যা হোক, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, তা আর সরানো হয়নি। পরে ১৯৫০ সালে সেই মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে গোপাল শিমলা বিশারদ নামে একজন ফয়জাবাদ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রায় ৯ বছর পর নির্মোহী আখড়া আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়। সে বছর গোষ্ঠীটি বাবরি মসজিদের স্থানে মূর্তিপূজার অনুমতি চায়। ১৯৬১ সালে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড মসজিদ খুলে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে।
১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে স্থানীয় আদালত হিন্দুদের জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলার অনুমতি দেন। ধারণা করা হয়, সে সময় রাজীব গান্ধীর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৬-৮৭ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বাবরি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন জায়গা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানায়। পাশাপাশি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো একটি বিশাল মন্দির প্রতিষ্ঠারও দাবি জানায় গোষ্ঠীটি।
কিন্তু দুই বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত বাবরি মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ পুনর্বহাল করেন। পরে ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি আবেদন করে। আবেদনে বিতর্কিত জায়গাটিকে ভগবান রামের নামের ঘোষণা করার আরজি জানানো হয়।
একই বছরে ফয়জাবাদ আদালতে এ-সংক্রান্ত যত মামলা ঝুলে ছিল, তা হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সে বছরের নভেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিতর্কিত ভূমিসংলগ্ন একটি ভূমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সে মাসেই রাজীব গান্ধী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন ফয়জাবাদ থেকে।
এ বছরই প্রথমবার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দেয় বিজেপি। দলটি পালামপুর অধিবেশনে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস করে। সেখানে বলা হয়, বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক বিরোধ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এটি সম্ভব না হলে সক্রিয় আইনের মাধ্যমে তা করা উচিত। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এটা হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয় এবং তাই এটি কোনোভাবেই আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
বিজেপির নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যা অভিমুখে একটি ‘যাত্রা’র আয়োজন করেন। তিনি দাবি করেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে বছরের অক্টোবরে বিহারে আদভানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি গ্রেপ্তার হলেও যাত্রা থামেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা অযোধ্যা অভিমুখে যাত্রা এগিয়ে নেন এবং মসজিদ ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। অক্টোবরের ৩০ তারিখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ যাত্রায় গুলি করে। ফলে বাবরি মসজিদ সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র এক মাস ছয় দিনের মাথায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কল্যাণ সিং। ঘটনার দিন কয়েক হাজার করসেবক (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক) মসজিদ ভেঙে ফেলেন।
তার আগে, বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, নৃত্য গোপাল দাস ও সাধ্বী রীতাম্বরা সমবেত ব্যক্তিদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর করসেবকেরা বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাঠামো ভেঙে ফেলেন। সে সময় কল্যাণ সিং সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মসজিদের ক্ষতি হবে না—এমন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ করসেবকদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
এই ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে মসজিদ ধ্বংসের জন্য অজ্ঞাত করসেবকদের আসামি করা হয় এবং অপরটিতে বিজেপি নেতা আদভানি, যোশী, উমা ভারতী ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের আগে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য সবাই অভিযোগ থেকে খালাস পান। এর পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত স্থানসহ অযোধ্যায় ৬৭ দশমিক ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে বছরের অক্টোবরে সিবিআই আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট ফাইল করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। একই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ বিতর্কিত এলাকার সব মামলার শুনানি শুরু করেন এবং সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ বিতর্কিত স্থানটির খনন শুরু করে। ২০০৯ সালে লিবারহান কমিশন গঠনের ১৬ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না; বরং এটি দীর্ঘদিনে শ্রমসাধ্য প্রস্তুতি ও পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল।
এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে এই বিতর্কিত ভূমিকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বলে ঘোষণা দেন। পরে আদালত ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত এলাকাটি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে ভাগ করে দেন। পরে সে বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষের আপিলের ওপর স্টে অর্ডার দেন।
ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ২০১৭ সালের মার্চে বিরোধের বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। সে বছরের আগস্টে বিরোধের বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমি বিরোধ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এই মামলার শুনানির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের স্থাপিত একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন ছিল।’ রায়ে নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মুসলমানদের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির পার্লামেন্টে জানান, মন্ত্রিসভা মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সভাপতি হবেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি ও রাম জন্মভূমি নিবাসের প্রধান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। পরে সে বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।
পরে মন্দির নির্মাণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৫ দিনব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি সংগ্রহ করা হয় এবং সর্বশেষ স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরের ২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল দ্বন্দ্ব। এই বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপি ক্রমেই জনমত হাসিল করেছে। তার ফলাফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পাওয়া বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
যা হোক, ১৫২৮ সালে মীর বাকির নির্মিত বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। মারাঠারা সে বছর অযোধ্যা, কাশী, মাথুরাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। এর ফলে বেশ কয়েক দফা বিবাদ-সংঘাত সংঘটিত হয়। যদিও এর কোনো রেকর্ড কোনো নথিপত্রে পাওয়া যায় না।
এরপর ১০০ বছরের বেশি সময় পর সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক এক বছর পর ১৮৫৮ সালে নিহাং শিখরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালায় এবং ‘হওয়ান’ নামে একধরনের আচার পালন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের নথি অনুসারে, বাবরি মসজিদ দখলের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। নিহাং শিখদের পর সে সময় স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদে প্রবেশ করে পূজা করেছিল।
তবে আইনি দিক থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৮৮৫ সালে। নির্মোহী আখড়া নামে একটি গোষ্ঠীর সন্ন্যাসী মোহন্ত রঘুবীর দাস উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রঘুবীর দাবি করেন, তাঁকে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণে একটি মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। সে সময় আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৯৪৯ সালে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে ‘রাম লাল্লার’ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সে বছর ডিসেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে একদল হিন্দু মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। অনেকে দাবি করেন, সে সময় রামের সেই মূর্তি ‘অলৌকিকভাবে’ মসজিদের ভেতরে গিয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিতে মুসলিম ও হিন্দু—দুই সম্প্রদায়ের জন্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সরকারের হাওলায় ছেড়ে দেন।
যা হোক, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, তা আর সরানো হয়নি। পরে ১৯৫০ সালে সেই মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে গোপাল শিমলা বিশারদ নামে একজন ফয়জাবাদ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রায় ৯ বছর পর নির্মোহী আখড়া আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়। সে বছর গোষ্ঠীটি বাবরি মসজিদের স্থানে মূর্তিপূজার অনুমতি চায়। ১৯৬১ সালে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড মসজিদ খুলে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে।
১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে স্থানীয় আদালত হিন্দুদের জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলার অনুমতি দেন। ধারণা করা হয়, সে সময় রাজীব গান্ধীর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৬-৮৭ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বাবরি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন জায়গা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানায়। পাশাপাশি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো একটি বিশাল মন্দির প্রতিষ্ঠারও দাবি জানায় গোষ্ঠীটি।
কিন্তু দুই বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত বাবরি মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ পুনর্বহাল করেন। পরে ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি আবেদন করে। আবেদনে বিতর্কিত জায়গাটিকে ভগবান রামের নামের ঘোষণা করার আরজি জানানো হয়।
একই বছরে ফয়জাবাদ আদালতে এ-সংক্রান্ত যত মামলা ঝুলে ছিল, তা হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সে বছরের নভেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিতর্কিত ভূমিসংলগ্ন একটি ভূমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সে মাসেই রাজীব গান্ধী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন ফয়জাবাদ থেকে।
এ বছরই প্রথমবার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দেয় বিজেপি। দলটি পালামপুর অধিবেশনে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস করে। সেখানে বলা হয়, বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক বিরোধ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এটি সম্ভব না হলে সক্রিয় আইনের মাধ্যমে তা করা উচিত। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এটা হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয় এবং তাই এটি কোনোভাবেই আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
বিজেপির নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যা অভিমুখে একটি ‘যাত্রা’র আয়োজন করেন। তিনি দাবি করেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে বছরের অক্টোবরে বিহারে আদভানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি গ্রেপ্তার হলেও যাত্রা থামেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা অযোধ্যা অভিমুখে যাত্রা এগিয়ে নেন এবং মসজিদ ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। অক্টোবরের ৩০ তারিখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ যাত্রায় গুলি করে। ফলে বাবরি মসজিদ সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র এক মাস ছয় দিনের মাথায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কল্যাণ সিং। ঘটনার দিন কয়েক হাজার করসেবক (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক) মসজিদ ভেঙে ফেলেন।
তার আগে, বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, নৃত্য গোপাল দাস ও সাধ্বী রীতাম্বরা সমবেত ব্যক্তিদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর করসেবকেরা বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাঠামো ভেঙে ফেলেন। সে সময় কল্যাণ সিং সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মসজিদের ক্ষতি হবে না—এমন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ করসেবকদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
এই ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে মসজিদ ধ্বংসের জন্য অজ্ঞাত করসেবকদের আসামি করা হয় এবং অপরটিতে বিজেপি নেতা আদভানি, যোশী, উমা ভারতী ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের আগে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য সবাই অভিযোগ থেকে খালাস পান। এর পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত স্থানসহ অযোধ্যায় ৬৭ দশমিক ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে বছরের অক্টোবরে সিবিআই আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট ফাইল করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। একই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ বিতর্কিত এলাকার সব মামলার শুনানি শুরু করেন এবং সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ বিতর্কিত স্থানটির খনন শুরু করে। ২০০৯ সালে লিবারহান কমিশন গঠনের ১৬ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না; বরং এটি দীর্ঘদিনে শ্রমসাধ্য প্রস্তুতি ও পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল।
এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে এই বিতর্কিত ভূমিকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বলে ঘোষণা দেন। পরে আদালত ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত এলাকাটি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে ভাগ করে দেন। পরে সে বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষের আপিলের ওপর স্টে অর্ডার দেন।
ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ২০১৭ সালের মার্চে বিরোধের বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। সে বছরের আগস্টে বিরোধের বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমি বিরোধ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এই মামলার শুনানির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের স্থাপিত একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন ছিল।’ রায়ে নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মুসলমানদের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির পার্লামেন্টে জানান, মন্ত্রিসভা মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সভাপতি হবেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি ও রাম জন্মভূমি নিবাসের প্রধান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। পরে সে বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।
পরে মন্দির নির্মাণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৫ দিনব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি সংগ্রহ করা হয় এবং সর্বশেষ স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১৩ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১৩ মিনিট আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১৩ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১৩ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে