
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট বিভাগে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্তার পানি। সিরাজগঞ্জে ভয় দেখাচ্ছে যমুনা।
এদিকে বানের স্রোতে ভেসে ও পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই মারা গেছে তিনজন। সুনামগঞ্জে একজন কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর নেত্রকোনায় মারা গেছে একটি শিশু।
সিলেটজুড়ে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় সিলেট-সুনামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও গোয়াইনঘাট এখনো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ নদ-নদীর পানি গতকালও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
গতকালও সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘির পাড়, উপশহর, যতরপুর, সোবাহানীঘাট, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পানি আগের থেকে কিছুটা কমলেও বৃষ্টি শুরু হলে আবার বেড়ে যাবে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট প্রকট হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষও পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না। যদিও প্রশাসন দাবি করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা বেশি আক্রান্ত। বুধবার রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
কুশিয়ারার পানি বেড়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ১০টি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীঘেঁষা বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রামের ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ বন্যাকবলিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভাগীয় অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) রনি দাস বলেন, ‘সুরমার ৫টি, কুশিয়ারার ৩টি ও মনু নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাটনাই ও মহাশিং নদীর একটি করে পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। চার জেলায় ১ হাজার ৭০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
কুড়িগ্রামে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে বুধবার থেকেই। এরপর আক্রান্ত হয়েছে ভূরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলাও। পানির তোড়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি দেবীবাড়ি এলাকায় ভেঙে গেছে। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। চিলমারীতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন বীজতলা, মরিচ, বেগুন ও তোষা পাটখেত। পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি আরও বাড়তে পারে।
উত্তরে বাড়ছে শঙ্কা
নীলফামারীর ডিমলায় সুন্দর খাতা এলাকায় গতকাল ভোররাতে বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পাউবো সূত্র বলেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি। এরই মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিন জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামে গতকাল সকালে বন্যার পানিতে ডুবে হৃদয় আহমেদ (১৬) ও ছাদি মিয়া (৯) নামের দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বড়লেখার ভাগাডহর গ্রামে দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আয়শা বেগম (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সকালে পানিতে পড়ে মারা গেছে তোরা মনি (৮)। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিকেলে ঘাস কাটতে গিয়ে বানের স্রোতে ভেসে রুহুল আমিন (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট এবং সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, গোয়াইনঘাট (সিলেট), কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার), জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ), নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ও ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি]

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট বিভাগে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্তার পানি। সিরাজগঞ্জে ভয় দেখাচ্ছে যমুনা।
এদিকে বানের স্রোতে ভেসে ও পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই মারা গেছে তিনজন। সুনামগঞ্জে একজন কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর নেত্রকোনায় মারা গেছে একটি শিশু।
সিলেটজুড়ে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় সিলেট-সুনামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও গোয়াইনঘাট এখনো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ নদ-নদীর পানি গতকালও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
গতকালও সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘির পাড়, উপশহর, যতরপুর, সোবাহানীঘাট, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পানি আগের থেকে কিছুটা কমলেও বৃষ্টি শুরু হলে আবার বেড়ে যাবে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট প্রকট হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষও পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না। যদিও প্রশাসন দাবি করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা বেশি আক্রান্ত। বুধবার রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
কুশিয়ারার পানি বেড়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ১০টি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীঘেঁষা বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রামের ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ বন্যাকবলিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভাগীয় অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) রনি দাস বলেন, ‘সুরমার ৫টি, কুশিয়ারার ৩টি ও মনু নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাটনাই ও মহাশিং নদীর একটি করে পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। চার জেলায় ১ হাজার ৭০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
কুড়িগ্রামে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে বুধবার থেকেই। এরপর আক্রান্ত হয়েছে ভূরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলাও। পানির তোড়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি দেবীবাড়ি এলাকায় ভেঙে গেছে। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। চিলমারীতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন বীজতলা, মরিচ, বেগুন ও তোষা পাটখেত। পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি আরও বাড়তে পারে।
উত্তরে বাড়ছে শঙ্কা
নীলফামারীর ডিমলায় সুন্দর খাতা এলাকায় গতকাল ভোররাতে বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পাউবো সূত্র বলেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি। এরই মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিন জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামে গতকাল সকালে বন্যার পানিতে ডুবে হৃদয় আহমেদ (১৬) ও ছাদি মিয়া (৯) নামের দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বড়লেখার ভাগাডহর গ্রামে দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আয়শা বেগম (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সকালে পানিতে পড়ে মারা গেছে তোরা মনি (৮)। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিকেলে ঘাস কাটতে গিয়ে বানের স্রোতে ভেসে রুহুল আমিন (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট এবং সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, গোয়াইনঘাট (সিলেট), কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার), জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ), নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ও ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি]

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট বিভাগে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্তার পানি। সিরাজগঞ্জে ভয় দেখাচ্ছে যমুনা।
এদিকে বানের স্রোতে ভেসে ও পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই মারা গেছে তিনজন। সুনামগঞ্জে একজন কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর নেত্রকোনায় মারা গেছে একটি শিশু।
সিলেটজুড়ে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় সিলেট-সুনামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও গোয়াইনঘাট এখনো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ নদ-নদীর পানি গতকালও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
গতকালও সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘির পাড়, উপশহর, যতরপুর, সোবাহানীঘাট, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পানি আগের থেকে কিছুটা কমলেও বৃষ্টি শুরু হলে আবার বেড়ে যাবে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট প্রকট হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষও পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না। যদিও প্রশাসন দাবি করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা বেশি আক্রান্ত। বুধবার রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
কুশিয়ারার পানি বেড়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ১০টি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীঘেঁষা বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রামের ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ বন্যাকবলিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভাগীয় অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) রনি দাস বলেন, ‘সুরমার ৫টি, কুশিয়ারার ৩টি ও মনু নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাটনাই ও মহাশিং নদীর একটি করে পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। চার জেলায় ১ হাজার ৭০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
কুড়িগ্রামে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে বুধবার থেকেই। এরপর আক্রান্ত হয়েছে ভূরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলাও। পানির তোড়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি দেবীবাড়ি এলাকায় ভেঙে গেছে। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। চিলমারীতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন বীজতলা, মরিচ, বেগুন ও তোষা পাটখেত। পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি আরও বাড়তে পারে।
উত্তরে বাড়ছে শঙ্কা
নীলফামারীর ডিমলায় সুন্দর খাতা এলাকায় গতকাল ভোররাতে বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পাউবো সূত্র বলেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি। এরই মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিন জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামে গতকাল সকালে বন্যার পানিতে ডুবে হৃদয় আহমেদ (১৬) ও ছাদি মিয়া (৯) নামের দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বড়লেখার ভাগাডহর গ্রামে দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আয়শা বেগম (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সকালে পানিতে পড়ে মারা গেছে তোরা মনি (৮)। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিকেলে ঘাস কাটতে গিয়ে বানের স্রোতে ভেসে রুহুল আমিন (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট এবং সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, গোয়াইনঘাট (সিলেট), কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার), জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ), নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ও ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি]

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট বিভাগে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্তার পানি। সিরাজগঞ্জে ভয় দেখাচ্ছে যমুনা।
এদিকে বানের স্রোতে ভেসে ও পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই মারা গেছে তিনজন। সুনামগঞ্জে একজন কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর নেত্রকোনায় মারা গেছে একটি শিশু।
সিলেটজুড়ে ৫০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় সিলেট-সুনামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও গোয়াইনঘাট এখনো যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ নদ-নদীর পানি গতকালও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
গতকালও সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘির পাড়, উপশহর, যতরপুর, সোবাহানীঘাট, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পানি আগের থেকে কিছুটা কমলেও বৃষ্টি শুরু হলে আবার বেড়ে যাবে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট প্রকট হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষও পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না। যদিও প্রশাসন দাবি করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা বেশি আক্রান্ত। বুধবার রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
কুশিয়ারার পানি বেড়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ১০টি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীঘেঁষা বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রামের ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ বন্যাকবলিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভাগীয় অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) রনি দাস বলেন, ‘সুরমার ৫টি, কুশিয়ারার ৩টি ও মনু নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাটনাই ও মহাশিং নদীর একটি করে পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। চার জেলায় ১ হাজার ৭০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
কুড়িগ্রামে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে বুধবার থেকেই। এরপর আক্রান্ত হয়েছে ভূরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলাও। পানির তোড়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি দেবীবাড়ি এলাকায় ভেঙে গেছে। এতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। চিলমারীতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন বীজতলা, মরিচ, বেগুন ও তোষা পাটখেত। পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি আরও বাড়তে পারে।
উত্তরে বাড়ছে শঙ্কা
নীলফামারীর ডিমলায় সুন্দর খাতা এলাকায় গতকাল ভোররাতে বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পাউবো সূত্র বলেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি। এরই মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিন জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামে গতকাল সকালে বন্যার পানিতে ডুবে হৃদয় আহমেদ (১৬) ও ছাদি মিয়া (৯) নামের দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বড়লেখার ভাগাডহর গ্রামে দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আয়শা বেগম (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সকালে পানিতে পড়ে মারা গেছে তোরা মনি (৮)। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিকেলে ঘাস কাটতে গিয়ে বানের স্রোতে ভেসে রুহুল আমিন (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট এবং সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, গোয়াইনঘাট (সিলেট), কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার), জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ), নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ও ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি]

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪১ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্
২১ জুন ২০২৪
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪১ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্
২১ জুন ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪১ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্
২১ জুন ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪১ মিনিট আগেসিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সিলেট জেলার কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে ভূরুঙ্গামারীর একটি ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় বাড়ছে তিস্
২১ জুন ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে