নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করতে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতে যান দুজন। মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, টিকিট এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গুছিয়ে দেন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পর শাহীনের বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট থেকে তাদের দুজনের দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ভারত যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন।
এ দিকে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডে জানিয়েছেন—মোস্তাফিজুর ও ফয়সালের সঙ্গে শিমুল ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করেন। তাদেরকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখান তিনি। শিমুল ভূঁইয়া তাদের দুজনকে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলেন। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সকল কাজ শিমুল ভূঁইয়া করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে টাকাও দেন।
জরুরিভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল গত ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। তারা দুজনে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার এল ব্লকের ৩২ নম্বর রোডের ১৯২৯ নম্বর বাসায় ওঠেন। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক ওই বাসায় যান। শাহীনের নির্দেশে দুজনকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যান। শাহীন দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ওই দুজনকে জানান সিয়াম নামের ওই ব্যক্তি।
শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) জানিয়েছিলেন যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছেন।
শাহীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ মে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামের ওই বাসায় যান।
আনোয়ারুল আজীম আনার ওই বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তারা আবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শাহীনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হলে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল ওই বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ বলছে—পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তবে তারা দুজনেই পাসপোর্ট রেখে যান শাহিনের বাসায়। পুলিশ তাদের পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য একটি জিডি করেন। গত ২৯ জুন শাহিনের বসুন্ধরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। নতুন দুটি পাসপোর্টে তাদের ভারতে যাওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এমপি আনোয়ারুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
মোস্তাফিজকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জবানবন্দি রেকর্ডের পর মোস্তাফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনায় কলকাতাতেও একটি মামলা করেছে সে দেশের পুলিশ। সেখানেও দুই আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে।
আরও পড়ুন:

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করতে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতে যান দুজন। মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, টিকিট এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গুছিয়ে দেন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পর শাহীনের বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট থেকে তাদের দুজনের দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ভারত যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন।
এ দিকে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডে জানিয়েছেন—মোস্তাফিজুর ও ফয়সালের সঙ্গে শিমুল ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করেন। তাদেরকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখান তিনি। শিমুল ভূঁইয়া তাদের দুজনকে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলেন। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সকল কাজ শিমুল ভূঁইয়া করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে টাকাও দেন।
জরুরিভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল গত ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। তারা দুজনে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার এল ব্লকের ৩২ নম্বর রোডের ১৯২৯ নম্বর বাসায় ওঠেন। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক ওই বাসায় যান। শাহীনের নির্দেশে দুজনকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যান। শাহীন দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ওই দুজনকে জানান সিয়াম নামের ওই ব্যক্তি।
শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) জানিয়েছিলেন যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছেন।
শাহীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ মে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামের ওই বাসায় যান।
আনোয়ারুল আজীম আনার ওই বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তারা আবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শাহীনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হলে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল ওই বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ বলছে—পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তবে তারা দুজনেই পাসপোর্ট রেখে যান শাহিনের বাসায়। পুলিশ তাদের পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য একটি জিডি করেন। গত ২৯ জুন শাহিনের বসুন্ধরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। নতুন দুটি পাসপোর্টে তাদের ভারতে যাওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এমপি আনোয়ারুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
মোস্তাফিজকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জবানবন্দি রেকর্ডের পর মোস্তাফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনায় কলকাতাতেও একটি মামলা করেছে সে দেশের পুলিশ। সেখানেও দুই আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে।
আরও পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করতে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতে যান দুজন। মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, টিকিট এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গুছিয়ে দেন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পর শাহীনের বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট থেকে তাদের দুজনের দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ভারত যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন।
এ দিকে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডে জানিয়েছেন—মোস্তাফিজুর ও ফয়সালের সঙ্গে শিমুল ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করেন। তাদেরকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখান তিনি। শিমুল ভূঁইয়া তাদের দুজনকে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলেন। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সকল কাজ শিমুল ভূঁইয়া করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে টাকাও দেন।
জরুরিভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল গত ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। তারা দুজনে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার এল ব্লকের ৩২ নম্বর রোডের ১৯২৯ নম্বর বাসায় ওঠেন। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক ওই বাসায় যান। শাহীনের নির্দেশে দুজনকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যান। শাহীন দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ওই দুজনকে জানান সিয়াম নামের ওই ব্যক্তি।
শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) জানিয়েছিলেন যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছেন।
শাহীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ মে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামের ওই বাসায় যান।
আনোয়ারুল আজীম আনার ওই বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তারা আবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শাহীনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হলে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল ওই বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ বলছে—পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তবে তারা দুজনেই পাসপোর্ট রেখে যান শাহিনের বাসায়। পুলিশ তাদের পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য একটি জিডি করেন। গত ২৯ জুন শাহিনের বসুন্ধরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। নতুন দুটি পাসপোর্টে তাদের ভারতে যাওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এমপি আনোয়ারুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
মোস্তাফিজকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জবানবন্দি রেকর্ডের পর মোস্তাফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনায় কলকাতাতেও একটি মামলা করেছে সে দেশের পুলিশ। সেখানেও দুই আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে।
আরও পড়ুন:

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করতে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতে যান দুজন। মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, টিকিট এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গুছিয়ে দেন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পর শাহীনের বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট থেকে তাদের দুজনের দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ভারত যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন।
এ দিকে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডে জানিয়েছেন—মোস্তাফিজুর ও ফয়সালের সঙ্গে শিমুল ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করেন। তাদেরকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখান তিনি। শিমুল ভূঁইয়া তাদের দুজনকে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলেন। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সকল কাজ শিমুল ভূঁইয়া করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে টাকাও দেন।
জরুরিভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল গত ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। তারা দুজনে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার এল ব্লকের ৩২ নম্বর রোডের ১৯২৯ নম্বর বাসায় ওঠেন। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক ওই বাসায় যান। শাহীনের নির্দেশে দুজনকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যান। শাহীন দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ওই দুজনকে জানান সিয়াম নামের ওই ব্যক্তি।
শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল) জানিয়েছিলেন যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছেন।
শাহীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ মে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কলকাতায় যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামের ওই বাসায় যান।
আনোয়ারুল আজীম আনার ওই বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তারা আবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শাহীনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হলে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল ওই বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
পুলিশ বলছে—পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তবে তারা দুজনেই পাসপোর্ট রেখে যান শাহিনের বাসায়। পুলিশ তাদের পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য একটি জিডি করেন। গত ২৯ জুন শাহিনের বসুন্ধরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। নতুন দুটি পাসপোর্টে তাদের ভারতে যাওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এমপি আনোয়ারুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
মোস্তাফিজকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জবানবন্দি রেকর্ডের পর মোস্তাফিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনায় কলকাতাতেও একটি মামলা করেছে সে দেশের পুলিশ। সেখানেও দুই আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্ত
০৩ জুলাই ২০২৪
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্ত
০৩ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্ত
০৩ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই দুজনের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় এসে চিকিৎসা ভিসা পান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। এরপর তাঁরা ঢাকা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে যান। গত ২ মে শিমুল ভূঁইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্ত
০৩ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে