শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪২ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪২ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪২ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে