শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
১৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন। নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ মো. নুরুজ্জামান, রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারি ইমরান নাজির, অফিস সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও অর্থ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বীরত্বপূর্ণ অবদান ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাঁরা বলেন, অন্যায় এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে হাদির আপসহীন অবস্থান ভবিষ্যতেও সংগ্রামীদের প্রেরণা জোগাবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন। নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ মো. নুরুজ্জামান, রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারি ইমরান নাজির, অফিস সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও অর্থ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বীরত্বপূর্ণ অবদান ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাঁরা বলেন, অন্যায় এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে হাদির আপসহীন অবস্থান ভবিষ্যতেও সংগ্রামীদের প্রেরণা জোগাবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
১৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী তোফায়েল হোসেন বাবলু, ৫ নম্বর কালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ মিয়া, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুমন আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল আলম, কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমির হামজা, বড়লেখা শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ খান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. মাহমুদ হাসান, শ্রমিক লীগ নেতা আল আমিন ও যুবলীগ নেতা মো. সোহেল মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী তোফায়েল হোসেন বাবলু, ৫ নম্বর কালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ মিয়া, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুমন আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল আলম, কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমির হামজা, বড়লেখা শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ খান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. মাহমুদ হাসান, শ্রমিক লীগ নেতা আল আমিন ও যুবলীগ নেতা মো. সোহেল মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
১৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ এসব আদেশ দেন।
যাদের ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রত্যেকের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢামেক ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মারা যান।
হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুইদিন পর গত রোববার ১৪ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাদী মৃত্যুবরণ করলে গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাদি হত্যা চেষ্টা মামলায় দন্ডবিধির ৩০২ ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩০২ ধারা সংযোজনের আবেদন মঞ্জুর করার পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
এই মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কেউ আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়ের এর পর মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাদিকে হত্যাচেষ্টায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হিসাবে মো. আব্দুল হান্নানকেও গত ১৪ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। তিনি কারাগারে আছেন। এ মামলায় ফয়সালের সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙ্গা কবির সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ফয়সালের মা ও বাবা ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলায়। তারা কারাগারে আছেন।
মাইক্রোবাস চালক নুরুজ্জামান কারাগারে
ফয়সালকে যে মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে পাচার করা হয়েছিল সেই মাইক্রোবাসের চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফায়সালকে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে রেন্ট এ কারের মালিক নুরুজ্জামানকে গত ১৭ ডিসেম্বর তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ এসব আদেশ দেন।
যাদের ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রত্যেকের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢামেক ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মারা যান।
হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুইদিন পর গত রোববার ১৪ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাদী মৃত্যুবরণ করলে গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাদি হত্যা চেষ্টা মামলায় দন্ডবিধির ৩০২ ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩০২ ধারা সংযোজনের আবেদন মঞ্জুর করার পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
এই মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কেউ আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়ের এর পর মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাদিকে হত্যাচেষ্টায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হিসাবে মো. আব্দুল হান্নানকেও গত ১৪ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। তিনি কারাগারে আছেন। এ মামলায় ফয়সালের সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙ্গা কবির সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ফয়সালের মা ও বাবা ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলায়। তারা কারাগারে আছেন।
মাইক্রোবাস চালক নুরুজ্জামান কারাগারে
ফয়সালকে যে মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে পাচার করা হয়েছিল সেই মাইক্রোবাসের চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফায়সালকে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে রেন্ট এ কারের মালিক নুরুজ্জামানকে গত ১৭ ডিসেম্বর তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ মিনিট আগে
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে সদস্যদের সরাসরি ভোটে আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। র্যাকের বিদায়ী সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রফিক উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময় টেলিভিশনের সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তাসলিমুল আলম তৌহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মারুফ কিবরিয়া।
দৈনিক আজকালের খবরের সাইফুল ইসলাম মন্টু অর্থ সম্পাদক, রাজধানী টিভির মাসুদ রানা দপ্তর সম্পাদক, সারাবাংলা ডটনেটের নাজনীন আক্তার লাকি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসি প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠের ফজলুর রহমান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কাশেম, দৈনিক যুগান্তরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান শিপু, দৈনিক খবরের কাগজের মতলু মল্লিক ও রূপালী বাংলাদেশের সাইফ বাবলু বিজয়ী হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান।

দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে সদস্যদের সরাসরি ভোটে আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। র্যাকের বিদায়ী সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রফিক উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময় টেলিভিশনের সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তাসলিমুল আলম তৌহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মারুফ কিবরিয়া।
দৈনিক আজকালের খবরের সাইফুল ইসলাম মন্টু অর্থ সম্পাদক, রাজধানী টিভির মাসুদ রানা দপ্তর সম্পাদক, সারাবাংলা ডটনেটের নাজনীন আক্তার লাকি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসি প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠের ফজলুর রহমান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কাশেম, দৈনিক যুগান্তরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান শিপু, দৈনিক খবরের কাগজের মতলু মল্লিক ও রূপালী বাংলাদেশের সাইফ বাবলু বিজয়ী হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী কলেজ মাঠে জানাজার আয়োজন করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গাড়ি চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগে