
বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, দারিদ্র্য দূর করেছে এবং ক্ষুদ্রঋণের জন্ম দিয়ে সামাজিক উদ্যোগের সিলিকন ভ্যালিতে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
বিশ্বের কাপড়ের চাহিদা পূরণ করতে তৈরি পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাখো নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, যা শত শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আনছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। বিশ্বে যেসব ভাষায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলা পঞ্চম।
দুঃখজনকভাবে, গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি আমরা পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী কোনো বাংলাদেশিই এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। বিগত ১৫ বছরে সরকার আমাদের দেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে, বিচার ও শিক্ষা বিভাগের আগাগোড়াই নষ্ট করে ফেলেছে তারা।
এর ফলে, বিভিন্ন খাতে আমাদের দেশের সেরা মেধাবী মুখগুলো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁদের হয় শেখ হাসিনার সামনে মাথা নত করতে হয়েছে, নয়তো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছেন। আমি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়েছিলাম এবং সে কারণেই গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করা মামলার সর্বোচ্চ দণ্ড যাবজ্জীবন। আমার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জরুরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বাজারভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসার পদ্ধতির রূপরেখার মতো পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা ছেড়ে আমাকে আইনি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, আদালত কক্ষে সময় কাটাতে হয়েছে। তবে হয়রানির এই চক্রে আমি কেবল একাই পড়িনি। এই বিষয়ে পুরস্কারজয়ী আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ও অন্যদের এই ব্যাপারে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
গত মাসজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছে। যদিও এই আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং এক দফার—শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ—আন্দোলনে পরিণত হয়।
৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গেলে সেই দাবি পূরণ হয়। দেশের সব নাগরিকের মতো আমিও আনন্দিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতায় তিন শতাধিক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছিলাম। এখন সেই জীবনগুলো যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের সোনালি যুগের সূচনা করতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপটি হওয়া উচিত একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা; যারা রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দী—সবাইকে মুক্তি দেবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। আমি এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং আশা করি অন্যরাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।
আমাদের জরুরিভিত্তিক নতুন রাজনীতিবিদ ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। সর্বোপরি, আমাদের এমন তরুণদের প্রয়োজন, যারা অতীতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়—যেমনটা আমরা অতীতের অনেক সরকারের ক্ষেত্রে দেখেছি। আমাদের এমন নেতা দরকার, যারা আমাদের মহান জাতির ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের নেতা হওয়ার জন্য আগ্রহী। যে ছাত্রনেতারা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার অগ্রভাগে ছিলেন—১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর—তাদের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি এবং উৎসাহের সঙ্গে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তাদের ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড’ বা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। সেই তিন শূন্য হলো—কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, সম্পদ এক জায়গায় ঘনীভূত হওয়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনা।
শেখ হাসিনার অধীনে যে অন্ধকার বছরগুলো আমরা পেরিয়ে এসেছি, সে সময়ও যারা বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছেন—তাদের প্রতি, দেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মানবাধিকার সংস্থা যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বিশ্বব্যাপী মানুষ আমাদের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁদের আওয়াজ তুলেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণ-তরুণীরা তাঁদের জন্মভূমিতে ন্যায়বিচার ও মুক্তি আনতে বিদেশ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আশা করি, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদের গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও আমাদের অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।
কিছু দেশ যেমন, ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশি জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে। তবে এ ধরনের ক্ষত সারানো সম্ভব এবং শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় জোট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পুনরায় শুরু করার অনেক সুযোগ আছে। প্রকৃতপক্ষে, আমি আশা করি যে আমাদের মুক্তি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্থগিত দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে এবং এটিকে আমাদের অঞ্চল ও এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ছিল পশ্চাদ্গামী। আসুন, আমরা ৫ আগস্ট যে দ্বিতীয় মুক্তির স্বাদ পেয়েছি, আজ তার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করি। যারা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতাদের এগিয়ে আসা উচিত। জাতির জন্য তাদের শক্তি ও স্বপ্ন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করতে পারে। এমন সুযোগ আমাদের হেলায় হারানো উচিত নয়।
দ্য ইকোনমিস্টে লিখিত ড. ইউনূসের নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, দারিদ্র্য দূর করেছে এবং ক্ষুদ্রঋণের জন্ম দিয়ে সামাজিক উদ্যোগের সিলিকন ভ্যালিতে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
বিশ্বের কাপড়ের চাহিদা পূরণ করতে তৈরি পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাখো নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, যা শত শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আনছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। বিশ্বে যেসব ভাষায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলা পঞ্চম।
দুঃখজনকভাবে, গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি আমরা পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী কোনো বাংলাদেশিই এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। বিগত ১৫ বছরে সরকার আমাদের দেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে, বিচার ও শিক্ষা বিভাগের আগাগোড়াই নষ্ট করে ফেলেছে তারা।
এর ফলে, বিভিন্ন খাতে আমাদের দেশের সেরা মেধাবী মুখগুলো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁদের হয় শেখ হাসিনার সামনে মাথা নত করতে হয়েছে, নয়তো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছেন। আমি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়েছিলাম এবং সে কারণেই গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করা মামলার সর্বোচ্চ দণ্ড যাবজ্জীবন। আমার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জরুরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বাজারভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসার পদ্ধতির রূপরেখার মতো পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা ছেড়ে আমাকে আইনি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, আদালত কক্ষে সময় কাটাতে হয়েছে। তবে হয়রানির এই চক্রে আমি কেবল একাই পড়িনি। এই বিষয়ে পুরস্কারজয়ী আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ও অন্যদের এই ব্যাপারে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
গত মাসজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছে। যদিও এই আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং এক দফার—শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ—আন্দোলনে পরিণত হয়।
৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গেলে সেই দাবি পূরণ হয়। দেশের সব নাগরিকের মতো আমিও আনন্দিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতায় তিন শতাধিক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছিলাম। এখন সেই জীবনগুলো যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের সোনালি যুগের সূচনা করতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপটি হওয়া উচিত একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা; যারা রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দী—সবাইকে মুক্তি দেবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। আমি এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং আশা করি অন্যরাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।
আমাদের জরুরিভিত্তিক নতুন রাজনীতিবিদ ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। সর্বোপরি, আমাদের এমন তরুণদের প্রয়োজন, যারা অতীতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়—যেমনটা আমরা অতীতের অনেক সরকারের ক্ষেত্রে দেখেছি। আমাদের এমন নেতা দরকার, যারা আমাদের মহান জাতির ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের নেতা হওয়ার জন্য আগ্রহী। যে ছাত্রনেতারা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার অগ্রভাগে ছিলেন—১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর—তাদের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি এবং উৎসাহের সঙ্গে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তাদের ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড’ বা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। সেই তিন শূন্য হলো—কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, সম্পদ এক জায়গায় ঘনীভূত হওয়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনা।
শেখ হাসিনার অধীনে যে অন্ধকার বছরগুলো আমরা পেরিয়ে এসেছি, সে সময়ও যারা বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছেন—তাদের প্রতি, দেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মানবাধিকার সংস্থা যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বিশ্বব্যাপী মানুষ আমাদের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁদের আওয়াজ তুলেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণ-তরুণীরা তাঁদের জন্মভূমিতে ন্যায়বিচার ও মুক্তি আনতে বিদেশ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আশা করি, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদের গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও আমাদের অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।
কিছু দেশ যেমন, ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশি জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে। তবে এ ধরনের ক্ষত সারানো সম্ভব এবং শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় জোট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পুনরায় শুরু করার অনেক সুযোগ আছে। প্রকৃতপক্ষে, আমি আশা করি যে আমাদের মুক্তি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্থগিত দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে এবং এটিকে আমাদের অঞ্চল ও এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ছিল পশ্চাদ্গামী। আসুন, আমরা ৫ আগস্ট যে দ্বিতীয় মুক্তির স্বাদ পেয়েছি, আজ তার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করি। যারা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতাদের এগিয়ে আসা উচিত। জাতির জন্য তাদের শক্তি ও স্বপ্ন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করতে পারে। এমন সুযোগ আমাদের হেলায় হারানো উচিত নয়।
দ্য ইকোনমিস্টে লিখিত ড. ইউনূসের নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, দারিদ্র্য দূর করেছে এবং ক্ষুদ্রঋণের জন্ম দিয়ে সামাজিক উদ্যোগের সিলিকন ভ্যালিতে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
বিশ্বের কাপড়ের চাহিদা পূরণ করতে তৈরি পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাখো নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, যা শত শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আনছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। বিশ্বে যেসব ভাষায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলা পঞ্চম।
দুঃখজনকভাবে, গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি আমরা পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী কোনো বাংলাদেশিই এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। বিগত ১৫ বছরে সরকার আমাদের দেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে, বিচার ও শিক্ষা বিভাগের আগাগোড়াই নষ্ট করে ফেলেছে তারা।
এর ফলে, বিভিন্ন খাতে আমাদের দেশের সেরা মেধাবী মুখগুলো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁদের হয় শেখ হাসিনার সামনে মাথা নত করতে হয়েছে, নয়তো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছেন। আমি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়েছিলাম এবং সে কারণেই গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করা মামলার সর্বোচ্চ দণ্ড যাবজ্জীবন। আমার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জরুরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বাজারভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসার পদ্ধতির রূপরেখার মতো পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা ছেড়ে আমাকে আইনি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, আদালত কক্ষে সময় কাটাতে হয়েছে। তবে হয়রানির এই চক্রে আমি কেবল একাই পড়িনি। এই বিষয়ে পুরস্কারজয়ী আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ও অন্যদের এই ব্যাপারে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
গত মাসজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছে। যদিও এই আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং এক দফার—শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ—আন্দোলনে পরিণত হয়।
৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গেলে সেই দাবি পূরণ হয়। দেশের সব নাগরিকের মতো আমিও আনন্দিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতায় তিন শতাধিক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছিলাম। এখন সেই জীবনগুলো যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের সোনালি যুগের সূচনা করতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপটি হওয়া উচিত একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা; যারা রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দী—সবাইকে মুক্তি দেবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। আমি এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং আশা করি অন্যরাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।
আমাদের জরুরিভিত্তিক নতুন রাজনীতিবিদ ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। সর্বোপরি, আমাদের এমন তরুণদের প্রয়োজন, যারা অতীতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়—যেমনটা আমরা অতীতের অনেক সরকারের ক্ষেত্রে দেখেছি। আমাদের এমন নেতা দরকার, যারা আমাদের মহান জাতির ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের নেতা হওয়ার জন্য আগ্রহী। যে ছাত্রনেতারা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার অগ্রভাগে ছিলেন—১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর—তাদের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি এবং উৎসাহের সঙ্গে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তাদের ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড’ বা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। সেই তিন শূন্য হলো—কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, সম্পদ এক জায়গায় ঘনীভূত হওয়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনা।
শেখ হাসিনার অধীনে যে অন্ধকার বছরগুলো আমরা পেরিয়ে এসেছি, সে সময়ও যারা বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছেন—তাদের প্রতি, দেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মানবাধিকার সংস্থা যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বিশ্বব্যাপী মানুষ আমাদের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁদের আওয়াজ তুলেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণ-তরুণীরা তাঁদের জন্মভূমিতে ন্যায়বিচার ও মুক্তি আনতে বিদেশ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আশা করি, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদের গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও আমাদের অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।
কিছু দেশ যেমন, ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশি জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে। তবে এ ধরনের ক্ষত সারানো সম্ভব এবং শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় জোট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পুনরায় শুরু করার অনেক সুযোগ আছে। প্রকৃতপক্ষে, আমি আশা করি যে আমাদের মুক্তি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্থগিত দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে এবং এটিকে আমাদের অঞ্চল ও এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ছিল পশ্চাদ্গামী। আসুন, আমরা ৫ আগস্ট যে দ্বিতীয় মুক্তির স্বাদ পেয়েছি, আজ তার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করি। যারা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতাদের এগিয়ে আসা উচিত। জাতির জন্য তাদের শক্তি ও স্বপ্ন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করতে পারে। এমন সুযোগ আমাদের হেলায় হারানো উচিত নয়।
দ্য ইকোনমিস্টে লিখিত ড. ইউনূসের নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, দারিদ্র্য দূর করেছে এবং ক্ষুদ্রঋণের জন্ম দিয়ে সামাজিক উদ্যোগের সিলিকন ভ্যালিতে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
বিশ্বের কাপড়ের চাহিদা পূরণ করতে তৈরি পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাখো নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, যা শত শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আনছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। বিশ্বে যেসব ভাষায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলা পঞ্চম।
দুঃখজনকভাবে, গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি আমরা পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী কোনো বাংলাদেশিই এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। বিগত ১৫ বছরে সরকার আমাদের দেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে, বিচার ও শিক্ষা বিভাগের আগাগোড়াই নষ্ট করে ফেলেছে তারা।
এর ফলে, বিভিন্ন খাতে আমাদের দেশের সেরা মেধাবী মুখগুলো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁদের হয় শেখ হাসিনার সামনে মাথা নত করতে হয়েছে, নয়তো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছেন। আমি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়েছিলাম এবং সে কারণেই গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করা মামলার সর্বোচ্চ দণ্ড যাবজ্জীবন। আমার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জরুরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বাজারভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসার পদ্ধতির রূপরেখার মতো পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা ছেড়ে আমাকে আইনি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, আদালত কক্ষে সময় কাটাতে হয়েছে। তবে হয়রানির এই চক্রে আমি কেবল একাই পড়িনি। এই বিষয়ে পুরস্কারজয়ী আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ও অন্যদের এই ব্যাপারে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
গত মাসজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছে। যদিও এই আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং এক দফার—শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ—আন্দোলনে পরিণত হয়।
৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গেলে সেই দাবি পূরণ হয়। দেশের সব নাগরিকের মতো আমিও আনন্দিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতায় তিন শতাধিক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছিলাম। এখন সেই জীবনগুলো যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের সোনালি যুগের সূচনা করতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপটি হওয়া উচিত একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা; যারা রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দী—সবাইকে মুক্তি দেবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। আমি এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং আশা করি অন্যরাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।
আমাদের জরুরিভিত্তিক নতুন রাজনীতিবিদ ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। সর্বোপরি, আমাদের এমন তরুণদের প্রয়োজন, যারা অতীতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়—যেমনটা আমরা অতীতের অনেক সরকারের ক্ষেত্রে দেখেছি। আমাদের এমন নেতা দরকার, যারা আমাদের মহান জাতির ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের নেতা হওয়ার জন্য আগ্রহী। যে ছাত্রনেতারা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার অগ্রভাগে ছিলেন—১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর—তাদের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি এবং উৎসাহের সঙ্গে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তাদের ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড’ বা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। সেই তিন শূন্য হলো—কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, সম্পদ এক জায়গায় ঘনীভূত হওয়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনা।
শেখ হাসিনার অধীনে যে অন্ধকার বছরগুলো আমরা পেরিয়ে এসেছি, সে সময়ও যারা বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছেন—তাদের প্রতি, দেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মানবাধিকার সংস্থা যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বিশ্বব্যাপী মানুষ আমাদের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁদের আওয়াজ তুলেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণ-তরুণীরা তাঁদের জন্মভূমিতে ন্যায়বিচার ও মুক্তি আনতে বিদেশ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আশা করি, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদের গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও আমাদের অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।
কিছু দেশ যেমন, ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশি জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে। তবে এ ধরনের ক্ষত সারানো সম্ভব এবং শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় জোট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পুনরায় শুরু করার অনেক সুযোগ আছে। প্রকৃতপক্ষে, আমি আশা করি যে আমাদের মুক্তি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্থগিত দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে এবং এটিকে আমাদের অঞ্চল ও এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ছিল পশ্চাদ্গামী। আসুন, আমরা ৫ আগস্ট যে দ্বিতীয় মুক্তির স্বাদ পেয়েছি, আজ তার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করি। যারা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতাদের এগিয়ে আসা উচিত। জাতির জন্য তাদের শক্তি ও স্বপ্ন নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করতে পারে। এমন সুযোগ আমাদের হেলায় হারানো উচিত নয়।
দ্য ইকোনমিস্টে লিখিত ড. ইউনূসের নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ...
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এত দিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবেন, তাঁদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এত দিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবেন, তাঁদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান কর
০৭ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ...
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারী আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আজ শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্তর্বর্তী সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এই হামলায় জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা জনগণের সার্বিক সহযোগিতা পাব বলে বিশ্বাস করি। হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার সকল চেষ্টা সরকার দমন করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চলমান। ডেভিল হান্ট ফেস-২ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারী আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আজ শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্তর্বর্তী সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এই হামলায় জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা জনগণের সার্বিক সহযোগিতা পাব বলে বিশ্বাস করি। হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার সকল চেষ্টা সরকার দমন করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চলমান। ডেভিল হান্ট ফেস-২ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সালকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান কর
০৭ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ...
৪ ঘণ্টা আগেযমুনায় বৈঠক
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। আমাদের পূর্বের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন কথা আমরা কেন বলব? সব দলকে তাদের কমিটমেন্ট ঠিক করতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই কিছু লোক এই অভ্যুত্থানকে খাটো করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সুসংগঠিতভাবে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চলছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের নানা স্তরে এই কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও এর ভুক্তভোগী হবে। কেউই একা সরকার চালাতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টকশোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশেষ কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমরা এটা নেব না। জুলাইকে সবাই মিলে ওউন করতে হবে। জুলাইকে কে কী বলবে—এই টানাপোড়েনে আমরা জুলাইকে শেষ করে দিচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে আমাদের পরাজয় হিসেবে দেখছে। তারা ভারতে বসে যা ইচ্ছা তা-ই করছে, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী বেশে, সাংস্কৃতিক কর্মী বেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারীদের থামাতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে—ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।’
‘নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে, ’ দলগুলোর প্রতি এই পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের শুধু দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থের বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি হতে না দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের নানা বক্তব্য একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পেয়েছে। আমাদের পূর্বের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন কথা আমরা কেন বলব? সব দলকে তাদের কমিটমেন্ট ঠিক করতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই কিছু লোক এই অভ্যুত্থানকে খাটো করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সুসংগঠিতভাবে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চলছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের নানা স্তরে এই কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও এর ভুক্তভোগী হবে। কেউই একা সরকার চালাতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মনে হয় যারা অভ্যুত্থান করেছে তারা অপরাধ করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নরমালাইজ করতে নানা চেষ্টা চলছে। টিভি টকশোতে তারা নিয়মিত অংশ নিচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিলিত হচ্ছে এবং আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিচ্ছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশেষ কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমরা এটা নেব না। জুলাইকে সবাই মিলে ওউন করতে হবে। জুলাইকে কে কী বলবে—এই টানাপোড়েনে আমরা জুলাইকে শেষ করে দিচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে আমাদের পরাজয় হিসেবে দেখছে। তারা ভারতে বসে যা ইচ্ছা তা-ই করছে, আর আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী বেশে, সাংস্কৃতিক কর্মী বেশে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারীদের থামাতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে দলগুলো আওয়ামী লীগকে নানা রকম সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে—ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।’
‘নির্বাচনের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে মাথায় রাখতে হবে—এটি যেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে থাকে, ’ দলগুলোর প্রতি এই পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের শুধু দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থের বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান কর
০৭ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা দেশ তাঁর জন্য দোয়া করছে। তাঁর সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সবাই চেষ্টা করছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয়, যেখানে পাঠানোর প্রয়োজন হবে, সরকার সেখানেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’

ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদণ্ড।’
তিনি বলেন, ‘ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার, যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।’

অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল, ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করত। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে, সেটা তদন্ত করুন।’
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফাতেমা তাসনিম জুমা।
এমন নৃশংস হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুরো চক্রকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা দেশ তাঁর জন্য দোয়া করছে। তাঁর সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সবাই চেষ্টা করছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয়, যেখানে পাঠানোর প্রয়োজন হবে, সরকার সেখানেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’

ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদণ্ড।’
তিনি বলেন, ‘ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার, যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।’

অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল, ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করত। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে, সেটা তদন্ত করুন।’
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ফাতেমা তাসনিম জুমা।
এমন নৃশংস হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুরো চক্রকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান কর
০৭ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নস্যাৎ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করার সব অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকার...
২ ঘণ্টা আগে