
রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
বিদেশ সফর
বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের গমন ও প্রত্যাবর্তনকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।
দেশের অভ্যন্তরে সফর
১. দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে উপদেষ্টাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী তাঁদের ঢাকা ত্যাগ ও প্রত্যাবর্তনস্থলে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের উপদেষ্টার একান্ত সচিব উপস্থিত থাকবেন।
২. জেলা সদরে যথাসম্ভব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে আগমন ও বিদায়ের স্থানে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন।
৩. জেলা সদরে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপারের নিজের সরকারি সফর বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। তবে জেলা প্রশাসক আগেই নিজের সফরসূচি জারি করে থাকলে উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার পরই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হবেন যে জেলা প্রশাসকের সদরে থাকা আবশ্যক কি না। উপদেষ্টা এরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করলে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তাঁর সফরসূচি বাতিল করবেন।
৪. উপজেলা সদর অথবা উপজেলার অন্য কোনো স্থানে উপদেষ্টার সফরকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। আবশ্যক না হলে জেলা প্রশাসক কিংবা পুলিশ সুপারের এ ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।
৫. উপদেষ্টার আগমন ও প্রস্থানের সময় আবশ্যক না হলে বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনে জেলা প্রশাসক ঢাকা বা চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। পুলিশ সুপার কক্সবাজার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
৬. কোনো জেলা বা উপজেলায় উপদেষ্টার আগমন বা প্রস্থানের সময় আশপাশের জেলার বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হলে ট্রানজিট স্থানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই; এ ক্ষেত্রে ট্রানজিট স্থানে জেলা প্রশাসকের উপযুক্ত প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৭. উপদেষ্টাদের আগমন ও প্রস্থানের সময় বিভাগীয় কমিশনার অথবা সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (ডিআইজি) উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। বিভাগীয় কমিশনার সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকলে উপদেষ্টার আগমনের পর তিনি তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।
৮. উপদেষ্টাদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৯. দেশের অভ্যন্তরে উপদেষ্টার রেলযোগে ভ্রমণকালে রেলওয়ে পুলিশ নিচের নির্দেশাবলি অনুসরণ করবে:
ক. উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশ সুপার তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট রুটের সব পুলিশ স্টেশন বা ফাঁড়িকে অবহিত করবেন।
খ. যে স্টেশনে উপদেষ্টা ট্রেন থেকে অবতরণ ও ট্রেনে পুনরায় আরোহণ করবেন অথবা কোনো জংশনে যে স্থানে ট্রেন বদলের প্রয়োজন হবে, সেসব স্থানে পুলিশের একজন পরিদর্শক বা উপপরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন।
গ. রেলযোগে চট্টগ্রামে গমন ও প্রস্থানের সময় সেখানে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন।
সাধারণ নির্দেশাবলি
১. উপদেষ্টাদের সফরসূচি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে যথাসময়ে পাঠাতে হবে। সফরসূচিতে কোনো পরিবর্তন হলে তা–ও যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।
২. সার্কিট হাউস বা সরকারি রেস্ট হাউস ব্যতীত নিজ বাড়ি কিংবা অন্যত্র অবস্থানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার–সংক্রান্ত বিদ্যমান নির্দেশাবলি প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. সফরসূচি প্রণয়নের সময় সফরটি সরকারি না ব্যক্তিগত, তা উপদেষ্টাদের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হবে। সরকারি সফরের সময় উপদেষ্টাদের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এ–সংক্রান্ত সেবার মূল্য পরিশোধের প্রচলিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
৪. উপদেষ্টার একান্ত সচিব বা সহকারী একান্ত সচিবেরা উপদেষ্টার ইচ্ছা অনুযায়ী এতৎসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে গমন ও দেশে প্রত্যাগমনের সময় বিমানবন্দরে এবং দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অনুসরণীয় রাষ্ট্রাচার (প্রটোকল)–সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের ০৪.০০.০০০০.৪২৩.২২.০০১.১৪.৬২ নম্বর স্মারকে জারিকৃত নির্দেশাবলি এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
বিদেশ সফর
বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের গমন ও প্রত্যাবর্তনকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।
দেশের অভ্যন্তরে সফর
১. দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে উপদেষ্টাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী তাঁদের ঢাকা ত্যাগ ও প্রত্যাবর্তনস্থলে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের উপদেষ্টার একান্ত সচিব উপস্থিত থাকবেন।
২. জেলা সদরে যথাসম্ভব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে আগমন ও বিদায়ের স্থানে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন।
৩. জেলা সদরে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপারের নিজের সরকারি সফর বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। তবে জেলা প্রশাসক আগেই নিজের সফরসূচি জারি করে থাকলে উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার পরই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হবেন যে জেলা প্রশাসকের সদরে থাকা আবশ্যক কি না। উপদেষ্টা এরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করলে সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তাঁর সফরসূচি বাতিল করবেন।
৪. উপজেলা সদর অথবা উপজেলার অন্য কোনো স্থানে উপদেষ্টার সফরকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। আবশ্যক না হলে জেলা প্রশাসক কিংবা পুলিশ সুপারের এ ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।
৫. উপদেষ্টার আগমন ও প্রস্থানের সময় আবশ্যক না হলে বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনে জেলা প্রশাসক ঢাকা বা চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। পুলিশ সুপার কক্সবাজার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
৬. কোনো জেলা বা উপজেলায় উপদেষ্টার আগমন বা প্রস্থানের সময় আশপাশের জেলার বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হলে ট্রানজিট স্থানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই; এ ক্ষেত্রে ট্রানজিট স্থানে জেলা প্রশাসকের উপযুক্ত প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
৭. উপদেষ্টাদের আগমন ও প্রস্থানের সময় বিভাগীয় কমিশনার অথবা সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (ডিআইজি) উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। বিভাগীয় কমিশনার সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকলে উপদেষ্টার আগমনের পর তিনি তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।
৮. উপদেষ্টাদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৯. দেশের অভ্যন্তরে উপদেষ্টার রেলযোগে ভ্রমণকালে রেলওয়ে পুলিশ নিচের নির্দেশাবলি অনুসরণ করবে:
ক. উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশ সুপার তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট রুটের সব পুলিশ স্টেশন বা ফাঁড়িকে অবহিত করবেন।
খ. যে স্টেশনে উপদেষ্টা ট্রেন থেকে অবতরণ ও ট্রেনে পুনরায় আরোহণ করবেন অথবা কোনো জংশনে যে স্থানে ট্রেন বদলের প্রয়োজন হবে, সেসব স্থানে পুলিশের একজন পরিদর্শক বা উপপরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন।
গ. রেলযোগে চট্টগ্রামে গমন ও প্রস্থানের সময় সেখানে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন।
সাধারণ নির্দেশাবলি
১. উপদেষ্টাদের সফরসূচি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে যথাসময়ে পাঠাতে হবে। সফরসূচিতে কোনো পরিবর্তন হলে তা–ও যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।
২. সার্কিট হাউস বা সরকারি রেস্ট হাউস ব্যতীত নিজ বাড়ি কিংবা অন্যত্র অবস্থানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার–সংক্রান্ত বিদ্যমান নির্দেশাবলি প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. সফরসূচি প্রণয়নের সময় সফরটি সরকারি না ব্যক্তিগত, তা উপদেষ্টাদের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হবে। সরকারি সফরের সময় উপদেষ্টাদের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এ–সংক্রান্ত সেবার মূল্য পরিশোধের প্রচলিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
৪. উপদেষ্টার একান্ত সচিব বা সহকারী একান্ত সচিবেরা উপদেষ্টার ইচ্ছা অনুযায়ী এতৎসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে গমন ও দেশে প্রত্যাগমনের সময় বিমানবন্দরে এবং দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অনুসরণীয় রাষ্ট্রাচার (প্রটোকল)–সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের ০৪.০০.০০০০.৪২৩.২২.০০১.১৪.৬২ নম্বর স্মারকে জারিকৃত নির্দেশাবলি এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
আরও খবর পড়ুন:

নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অনুরোধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে তিন মাসের ডিটেনশন (আটক) আদেশ রয়েছে। জিএমপির পক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিএমপিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর আতাউর রহমানকে ইতিমধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই আটকের নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অনুরোধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে তিন মাসের ডিটেনশন (আটক) আদেশ রয়েছে। জিএমপির পক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিএমপিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর আতাউর রহমানকে ইতিমধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই আটকের নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
২৮ আগস্ট ২০২৪
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশটি “দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” নামে অভিহিত হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে দুদক হবে অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন। আগে কমিশনের সদস্যসংখ্যা ছিল তিন। একই সঙ্গে কমিশনের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল পাঁচ বছর।
কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কমিশনে অন্তত একজন নারী কমিশনার এবং অন্তত একজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কমিশনার থাকতে হবে। কমিশনের সদস্যদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
তবে বিদ্যমান কমিশনের ক্ষেত্রে এই সংশোধিত অধ্যাদেশ কার্যকর হবে কি না-সে সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর ন্যস্ত রাখা হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশ নিয়ে দুদক সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের মতে, চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার একমত হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হলেও, চারজন কমিশনার একমত হলেও চেয়ারম্যান ভিন্নমত পোষণ করলে সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর দুদককে তাদের কার্যক্রমের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি দুদকের সব কর্মকর্তার জন্য সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতাও দুদককে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুদক আইনের খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় সরকার। সংশোধিত খসড়া প্রকাশের পর সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইস্তেখারুজ্জামান এর তীব্র সমালোচনা করেন। দুই মাস পর সেই খসড়ায় কিছু সংশোধনী এনে গতকাল চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হলো।

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশটি “দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” নামে অভিহিত হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে দুদক হবে অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন। আগে কমিশনের সদস্যসংখ্যা ছিল তিন। একই সঙ্গে কমিশনের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল পাঁচ বছর।
কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কমিশনে অন্তত একজন নারী কমিশনার এবং অন্তত একজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কমিশনার থাকতে হবে। কমিশনের সদস্যদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
তবে বিদ্যমান কমিশনের ক্ষেত্রে এই সংশোধিত অধ্যাদেশ কার্যকর হবে কি না-সে সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর ন্যস্ত রাখা হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশ নিয়ে দুদক সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের মতে, চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার একমত হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হলেও, চারজন কমিশনার একমত হলেও চেয়ারম্যান ভিন্নমত পোষণ করলে সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর দুদককে তাদের কার্যক্রমের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি দুদকের সব কর্মকর্তার জন্য সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতাও দুদককে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুদক আইনের খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় সরকার। সংশোধিত খসড়া প্রকাশের পর সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইস্তেখারুজ্জামান এর তীব্র সমালোচনা করেন। দুই মাস পর সেই খসড়ায় কিছু সংশোধনী এনে গতকাল চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হলো।

রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
২৮ আগস্ট ২০২৪
নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
আজ বুধবার তাঁকে ওই পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৪।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
আজ বুধবার তাঁকে ওই পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৪।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
২৮ আগস্ট ২০২৪
নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর জেরে প্রথমে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর বাংলাদেশও ভারতে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে। এ ছাড়া ঢাকার অভিযোগ, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘নসিহত’ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। দিল্লিতে তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এর আগের দিন গত সোমবারও নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয়ে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিপরীতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্পর্কের অবনতি হওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। এটি শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, বরং উদ্বেগজনক। এ রকম চলতে থাকলে দুই দেশে চরমপন্থীদের উত্থান ঘটবে এবং নির্বাচনে তার অশুভ প্রভাব পড়বে। এর ফলে নির্বাচিত সরকার এলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এর জবাবে গত সপ্তাহে ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজ দেশকে ‘পারমাণবিক শক্তিধর দেশ’ এবং ‘বাংলাদেশকে শিক্ষা দেওয়া উচিত’ মন্তব্য করে ঢাকাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়।
১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দিনই বিকেলের দিকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলের আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। যদিও পুলিশি বাধায় রাজধানীর বাড্ডায় সেই মিছিল আটকে যায়। এই বিক্ষোভ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের আগে ওই দিন দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঠিক ওই দিন রাতেই ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি পোশাক কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে তাঁর লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জেরে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। হুমকি দেওয়া হয় হাইকমিশনারকে। ওই রাতেই খবর আসে, গুলিবিদ্ধ হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় চট্টগ্রাম উপহাইকমিশনের কার্যালয়ে। এসব ঘটনার ঠিক আগের দিন গত শনিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর গুজব প্রত্যক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০-২৫ জন তরুণ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।’
রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ চালানো হচ্ছে, ভারত এ কথা বললেও কোনোভাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। দুষ্কৃতকারীদের হাইকমিশনের সীমানার ঠিক বাইরে কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে প্রশ্ন তোলেন, হাইকমিশনের মতো সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা যেতে পারল? তিনি বলেন, বিক্ষোভের ওই ঘটনার পর থেকে নয়াদিল্লিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিবার ঝুঁকি অনুভব করছে। উপদেষ্টা বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে বাংলাদেশ মিশনের অবস্থান খুবই নিরাপদ স্থানে, সেখানে হিন্দু চরমপন্থীরা ওই এলাকার মধ্যে আসতে পারবে কেন? তাহলে তাদের আসতে দেওয়া হয়েছে।’
পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে গত সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দিল্লিতে অন্য কনস্যুলার পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রেখেছে ঢাকা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম শিলিগুড়ি টাইমস জানায়, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে ভিএইচপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়, ভাঙার চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড। কলকাতার বিক্ষোভে সংহতি জানাতে পরে বিজেপি নেতারাও যোগ দেন।
এদিনই প্রণয় ভার্মাকে তলব করে নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কূটনৈতিক স্থাপনায় এ রকম পরিকল্পিত সহিংসতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের ঘটনা শুধু কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না; বরং পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার নীতিকেও ক্ষুণ্ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে প্রবেশ করেন। আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৫ মিনিটের মতো তিনি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। এ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
এরপর গতকাল বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
সার্বিক বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও একটা বললে আমি একটা বলব, এমন প্রতিযোগিতা ঠিক নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কীভাবে ওখান থেকে সরে এসে একটা স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা। তাই বলে স্বাভাবিক সম্পর্ক মানেই নতজানু সম্পর্ক নয়।’
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে সম্পর্কের অবনতি রোধ প্রথম করণীয়। এ জন্য যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের দায় অনেক। অপর পক্ষ কী করছে, তার পাল্টা কীভাবে নেওয়া যায়, তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং নিজ উদ্যোগে সম্পর্কের অবনতি কীভাবে রোধ করা যায়, তাতে সচেষ্ট হতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর জেরে প্রথমে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর বাংলাদেশও ভারতে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে। এ ছাড়া ঢাকার অভিযোগ, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘নসিহত’ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। দিল্লিতে তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এর আগের দিন গত সোমবারও নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয়ে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিপরীতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্পর্কের অবনতি হওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। এটি শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, বরং উদ্বেগজনক। এ রকম চলতে থাকলে দুই দেশে চরমপন্থীদের উত্থান ঘটবে এবং নির্বাচনে তার অশুভ প্রভাব পড়বে। এর ফলে নির্বাচিত সরকার এলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এর জবাবে গত সপ্তাহে ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজ দেশকে ‘পারমাণবিক শক্তিধর দেশ’ এবং ‘বাংলাদেশকে শিক্ষা দেওয়া উচিত’ মন্তব্য করে ঢাকাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়।
১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দিনই বিকেলের দিকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলের আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। যদিও পুলিশি বাধায় রাজধানীর বাড্ডায় সেই মিছিল আটকে যায়। এই বিক্ষোভ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের আগে ওই দিন দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঠিক ওই দিন রাতেই ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি পোশাক কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে তাঁর লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জেরে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। হুমকি দেওয়া হয় হাইকমিশনারকে। ওই রাতেই খবর আসে, গুলিবিদ্ধ হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় চট্টগ্রাম উপহাইকমিশনের কার্যালয়ে। এসব ঘটনার ঠিক আগের দিন গত শনিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর গুজব প্রত্যক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০-২৫ জন তরুণ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।’
রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ চালানো হচ্ছে, ভারত এ কথা বললেও কোনোভাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। দুষ্কৃতকারীদের হাইকমিশনের সীমানার ঠিক বাইরে কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে প্রশ্ন তোলেন, হাইকমিশনের মতো সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা যেতে পারল? তিনি বলেন, বিক্ষোভের ওই ঘটনার পর থেকে নয়াদিল্লিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিবার ঝুঁকি অনুভব করছে। উপদেষ্টা বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে বাংলাদেশ মিশনের অবস্থান খুবই নিরাপদ স্থানে, সেখানে হিন্দু চরমপন্থীরা ওই এলাকার মধ্যে আসতে পারবে কেন? তাহলে তাদের আসতে দেওয়া হয়েছে।’
পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে গত সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দিল্লিতে অন্য কনস্যুলার পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রেখেছে ঢাকা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম শিলিগুড়ি টাইমস জানায়, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে ভিএইচপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়, ভাঙার চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড। কলকাতার বিক্ষোভে সংহতি জানাতে পরে বিজেপি নেতারাও যোগ দেন।
এদিনই প্রণয় ভার্মাকে তলব করে নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কূটনৈতিক স্থাপনায় এ রকম পরিকল্পিত সহিংসতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের ঘটনা শুধু কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না; বরং পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার নীতিকেও ক্ষুণ্ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে প্রবেশ করেন। আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৫ মিনিটের মতো তিনি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। এ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
এরপর গতকাল বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
সার্বিক বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও একটা বললে আমি একটা বলব, এমন প্রতিযোগিতা ঠিক নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কীভাবে ওখান থেকে সরে এসে একটা স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা। তাই বলে স্বাভাবিক সম্পর্ক মানেই নতজানু সম্পর্ক নয়।’
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে সম্পর্কের অবনতি রোধ প্রথম করণীয়। এ জন্য যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের দায় অনেক। অপর পক্ষ কী করছে, তার পাল্টা কীভাবে নেওয়া যায়, তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং নিজ উদ্যোগে সম্পর্কের অবনতি কীভাবে রোধ করা যায়, তাতে সচেষ্ট হতে হবে।

রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশে ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার বা প্রটোকল বিষয়ে নতুন নির্দেশাবলি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশাবলি জারি করা হয়।
২৮ আগস্ট ২০২৪
নরসিংদী থেকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে