ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে