
লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মতো কিছু হবে না। আজ আমরা পরিচিত হবে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে।
তুলুজ, ফ্রান্স
লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় সবার ওপরে আছে ফ্রান্সের তুলুজ। গেহনে নদীর তীরে গড়ে ওঠা পুরোনো এই শহরটি প্রচুর সংখ্যায় জাদুঘর এবং ঐতিহাসিক সব দালান-কোঠার জন্য বিখ্যাত। এখনকার খাবারেরও আলাদা নাম আছে।
লোনলি প্ল্যানেটের কনটেন্ট ও নির্বাহী সম্পাদক নিতিয়া চেম্বারস সিএনএনকে বলেন, ‘ছুটি কাটানোর জন্য এটি দারুণ একটি জায়গা। শিল্পসামগ্রীর গ্যালারি, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, রেস্তোরাঁ মিলিয়ে দারুণ ও বৈচিত্র্যময় এক শহর এটি।’
জনসংখ্যার দিক থেকে প্যারিস, মার্সেই এবং লিওর পরে ফ্রান্সের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এটি। এর বিভিন্ন দালানকোঠায় গোলাপি রংয়ের ছটার কারণে কেউ কেউ একে পিংক সিটি নামেও ডাকে। ১২২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য ইউনিভার্সিটি অব তুলুজ ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি। এখানকার সেতুগুলো মুগ্ধ করবে আপনাকে। আর বার, ক্লাব ও লাইভ মিউজিক মিলিয়ে রাতে জীবন্ত এক শহর তুলুজ।
পদুচেরি, ভারত
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় দুইয়ে থাকা শহরটি আপনাকে চমকে দিতে পারে। এটি ভারতের পদুচেরি, যেটি একটা সময় পরিচিত ছিল পন্ডিচেরি নামে।
নিতিয়া চেম্বার বলেন, ‘পদুচেরি তালিকায় দুইয়ে থাকার কারণ এখানকার সৈকত এবং তীরে আছড়ে পড়া একের পর এক ঢেউ। এদিকে সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সৈকতগুলোকেও পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এখানে।’ চেন্নাই থেকে সহজেই ট্রেনে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন জায়গাটিকে।
১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ফরাসি কলোনিয়াল শাসন চলে জায়গাটিতে। এখানকার পথ-ঘাট, স্থাপত্য, খাবার-দাবার সবকিছুতে এখনো ফরাসিদের প্রভাব চোখে পড়ে। এখানকার কিছু মানুষ এখনো ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। অনেকেই জায়গাটিতে ভারতের ‘লিটল ফ্রান্স’ নামে ডাকেন আদর করে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ শ্রী অরবিন্দ আশ্রম শহরের উত্তরে অবস্থিত।
বাঁচকো, বুলগেরিয়া
বুলগেরিয়ার ছোট্ট এই পার্বত্য শহরটি বছরজুড়েই টানে পর্যটকদের। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় তিনে থাকা শহরটি সবচেয়ে বেশি নাম কাটিয়েছেন বরফে ঢাকা পর্বতে স্কিইংয়ের জন্য।
রোমাঞ্চপ্রিয় কিংবা প্রকৃতির কোলে শান্ত একটি শহরের প্রত্যাশা করা পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য এটি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি ডিজিটাল নোমাডদের পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ সুন্দর এ শহরটিতে থেকে অনলাইনে চাকরি করেন কোনো ব্যস্ত শহরের প্রতিষ্ঠানে।
পুরোনো জাদুঘর, গির্জাসহ নানা স্থাপনাও আকৃষ্ট করবে। এখানকার মুখোরোচক খাওয়া-দাওয়াও আকৃষ্ট করবে আপনাকে। গন্ডোলা বা ক্যাবল কারে চলা, মাউন্টেন বাইকিং, পাহাড়ে ট্র্যাকিং এমন রোমাঞ্চকর আরও নানা কিছু করার সুযোগ মেলে এখানে স্কিইংয়ের পাশাপাশি।
চিয়াং মাই
থাইল্যান্ডের শীতল শহরগুলির একটি চিয়াং মাই। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় এর অবস্থান চার। ‘আপনি যদি একজন ভোজনবিলাসী ভ্রমণপ্রেমী হন কিংবা নতুন স্বাদ নিতে আগ্রহী থাকেন তবে এটি আপনার পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে। এখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ খাবার-দাবারের সঙ্গে দারুণ মানানসই।’ বলেন চেম্বারস।
ব্যস্ত শহর এবং জমকালো সমুদ্র সৈকতগুলি এমনিতে থাইল্যান্ডকে পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তবে চিয়াং মাইয়ের শান্ত পাহাড়ি প্রকৃতি সম্পূর্ণ বিপরীত একটি পরিস্থিতি নিয়ে হাজির হয় পর্যটকদের সামনে। শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প এবং পাকা সব রাঁধুনির জন্য আলাদা নাম আছে শহরটির। বুঝতেই পারছেন এখানে দেখার এবং করার মতো অনেক কিছু রয়েছে।
প্রাচীর ঘেরা পুরোনো শহর ছাড়িয়ে, রোমাঞ্চপ্রেমীরা পছন্দ অনুযায়ী জায়গা বেছে নেওয়াতেও বাধা নেই। জঙ্গল, নদী, গুহা, পাহাড় এবং জলপ্রপাত সবই পাবেন আশপাশে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে খাবার এবং অরণ্য চিয়াং মাই-এর বড় আকর্ষণ। আপনি যতবারই যান না কেন সেখানে সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করা যায়।
জেনোয়া, ইতালি
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পাঁচে জেনোয়া। ইতালির বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটিতে পরস্পরবিরোধী কিছু বিষয় চোখে পড়বে। কোথাও জমকালো, ঝলমলে আলো এবং কোথাও গভীর ছায়ায় পূর্ণ। এটি অনেক ভ্রমণকারীর জন্য নৌভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ সকরে। তবে এর স্থাপত্য ঐতিহ্য তার পুরোনো গৌরবের কথা মনে করিয়ে দেয়। রিপাবলিক অব জেনোয়া বারো এবং তেরো শতকে ভূমধ্যসাগর শাসন করে। জেনোয়াতে এলে পুরোনো সেই ইতিহাস জীবন্ত হয়ে যেন আপনার সামনে ধরা দেবে। পুরোনো সেই শহরের অনেক কিছুই এখনো অক্ষত এখানে।
এখনকার স্থানীয় নানা খাবার মুগ্ধ করবে আপনাকে। শহরের বাসিন্দারাও খুব বন্ধুভাবাপন্ন। তেমনি সমুদ্রবিষয়ক জাদুঘর, থিয়েটার ও সংগীত পরিবেশনার নানা জায়গা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
পিটার্সবার্গ, যুক্তরাষ্ট্র
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পিটসবার্গের অবস্থান ছয়ে। ফিলাডেলফিয়ার পর পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় জনবহুল শহর এটি। অ্যালিঘেনি এবং মনোনগাহেলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থান শহরটির। এ দুটি নদী মিলে জন্ম দিয়েছে ওহাইও নদীর।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত শিল্পে বড় অবদানের জন্য একসময় স্টিল সিটি নামেই বেশি পরিচিত ছিল। তবে এখনকার নতুন কিছু পরিচয় যোগ হয়েছে শহরটির। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।
শহর জুড়ে গড়ে উঠেছে মুখরোচক খাবারের সব রেস্তোরাঁ, জাদুঘরগুলো বিশ্বমানের শিল্প ও আঞ্চলিক ইতিহাসে ভরপুর; শহরের তিনটি নদী বরাবর সারা বছর প্রচুর কার্যকলাপের সুযোগ আছে।
ওসাকা, জাপান
বিশ্বে জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস। আর লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন সপ্তম শহর এটি।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান ওসাকা ক্যাসল। চৌদ্দ শ বছর আগে স্থাপিত বৌদ্ধ মন্দির শিতেনো-জি ছাড়াও বিখ্যাত ওসাকা অ্যাকোরিয়াম কাইয়ুকান এবং তেমপোজান নাগরদোলা এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য জায়গা।
কুরিতিবা, ব্রাজিল
ব্রাজিলের পারানা রাজ্যের রাজধানী শহর কুরিতিবা তার উদ্ভাবনী নগর-পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিখ্যাত। কীভাবে একটি শহর সফলভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্য পরিচিত শহরটি। এখানকার উদ্ভিদ উদ্যানটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। শহরটিতে অসংখ্য আর্ট গ্যালারি, থিয়েটার রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাজিলিয়ান খাবার থেকে শুরু করে নানা দেশের বিভিন্ন পদের খাবারের জন্য আলাদা নাম আছে। কুরিতিবায় ৩০টির বেশি পার্ক এবং সবুজ আচ্ছাদনযুক্ত জায়গা রয়েছে।
পালমা দে মালোরকা, স্পেন
মালোরকা দ্বীপের রাজধানীটি একই নামের একটি উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এখানকার চমৎকার জলবায়ু পর্যটকদের ভারি পছন্দ। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। চমৎকার সব সৈকত এবং ঐতিহ্যবাহী ইমারতে ভরপুর পুরোনো শহর পালমা দে মালোরকাকে পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।
এখানে বেড়াতে আসা মানুষদের দ্য ক্যাথেড্রাল, দা আলদমাদাইনা প্যালেস, প্লাজা মেয়র স্কয়ারের জন্য হাতে আলাদা করে কিছুটা সময় রাখতে হয়। পাইনের জঙ্গল এবং পাম গাছের সারি শহরের বড় বৈশিষ্ট্য।
দ্বীপের উপকূল বরাবর সৈকত এবং পাহাড়ের দেখা মেলে। ভেতরের দিকে গ্রাম এবং এক হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার পর্বতশ্রেণী রয়েছে।
এডমন্টন, কানাডা
কানাডার আলবার্টা শহরের রাজধানী এডমন্টন। ঝাঁ চকচকে আকাশচুম্বী ভবন, বিভিন্ন বিনোদনের সুবিধা এবং নানা ধরনের উৎসব মিলিয়ে আলবার্টার মতো শহর পাবেন কমই । ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে কানাডার পঞ্চম বৃহত্তম শহরটি গত এক দশকে পরিবর্তিত হয়েছে।
নর্থ সাসকাচোয়ান নদীর তীরের এর অবস্থান। বছরে ২২০০ ঘণ্টার বেশি উজ্জ্বল সূর্যালোক পায় শহরটি। গ্রীষ্মে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যালোক পায় এটি। শীতে নিয়মিতই দেখা মেলে নর্দান লাইটের। বছরজুড়ে অন্তত ৩০টি ফেস্টিভ্যাল বা উৎসব হয় এখানে। শহরের কেন্দ্র থেকে কেবল এক ঘণ্টায় গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারবেন বিখ্যাত এল্ক আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, সিএনএন, ফ্যাক্টস ডট নেট, ওয়ার্ল্ড সিটি ট্রেইল ডট কম
আরও পড়ুন:

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মতো কিছু হবে না। আজ আমরা পরিচিত হবে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে।
তুলুজ, ফ্রান্স
লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় সবার ওপরে আছে ফ্রান্সের তুলুজ। গেহনে নদীর তীরে গড়ে ওঠা পুরোনো এই শহরটি প্রচুর সংখ্যায় জাদুঘর এবং ঐতিহাসিক সব দালান-কোঠার জন্য বিখ্যাত। এখনকার খাবারেরও আলাদা নাম আছে।
লোনলি প্ল্যানেটের কনটেন্ট ও নির্বাহী সম্পাদক নিতিয়া চেম্বারস সিএনএনকে বলেন, ‘ছুটি কাটানোর জন্য এটি দারুণ একটি জায়গা। শিল্পসামগ্রীর গ্যালারি, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, রেস্তোরাঁ মিলিয়ে দারুণ ও বৈচিত্র্যময় এক শহর এটি।’
জনসংখ্যার দিক থেকে প্যারিস, মার্সেই এবং লিওর পরে ফ্রান্সের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এটি। এর বিভিন্ন দালানকোঠায় গোলাপি রংয়ের ছটার কারণে কেউ কেউ একে পিংক সিটি নামেও ডাকে। ১২২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য ইউনিভার্সিটি অব তুলুজ ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি। এখানকার সেতুগুলো মুগ্ধ করবে আপনাকে। আর বার, ক্লাব ও লাইভ মিউজিক মিলিয়ে রাতে জীবন্ত এক শহর তুলুজ।
পদুচেরি, ভারত
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় দুইয়ে থাকা শহরটি আপনাকে চমকে দিতে পারে। এটি ভারতের পদুচেরি, যেটি একটা সময় পরিচিত ছিল পন্ডিচেরি নামে।
নিতিয়া চেম্বার বলেন, ‘পদুচেরি তালিকায় দুইয়ে থাকার কারণ এখানকার সৈকত এবং তীরে আছড়ে পড়া একের পর এক ঢেউ। এদিকে সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সৈকতগুলোকেও পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এখানে।’ চেন্নাই থেকে সহজেই ট্রেনে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন জায়গাটিকে।
১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ফরাসি কলোনিয়াল শাসন চলে জায়গাটিতে। এখানকার পথ-ঘাট, স্থাপত্য, খাবার-দাবার সবকিছুতে এখনো ফরাসিদের প্রভাব চোখে পড়ে। এখানকার কিছু মানুষ এখনো ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। অনেকেই জায়গাটিতে ভারতের ‘লিটল ফ্রান্স’ নামে ডাকেন আদর করে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ শ্রী অরবিন্দ আশ্রম শহরের উত্তরে অবস্থিত।
বাঁচকো, বুলগেরিয়া
বুলগেরিয়ার ছোট্ট এই পার্বত্য শহরটি বছরজুড়েই টানে পর্যটকদের। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় তিনে থাকা শহরটি সবচেয়ে বেশি নাম কাটিয়েছেন বরফে ঢাকা পর্বতে স্কিইংয়ের জন্য।
রোমাঞ্চপ্রিয় কিংবা প্রকৃতির কোলে শান্ত একটি শহরের প্রত্যাশা করা পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য এটি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি ডিজিটাল নোমাডদের পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ সুন্দর এ শহরটিতে থেকে অনলাইনে চাকরি করেন কোনো ব্যস্ত শহরের প্রতিষ্ঠানে।
পুরোনো জাদুঘর, গির্জাসহ নানা স্থাপনাও আকৃষ্ট করবে। এখানকার মুখোরোচক খাওয়া-দাওয়াও আকৃষ্ট করবে আপনাকে। গন্ডোলা বা ক্যাবল কারে চলা, মাউন্টেন বাইকিং, পাহাড়ে ট্র্যাকিং এমন রোমাঞ্চকর আরও নানা কিছু করার সুযোগ মেলে এখানে স্কিইংয়ের পাশাপাশি।
চিয়াং মাই
থাইল্যান্ডের শীতল শহরগুলির একটি চিয়াং মাই। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় এর অবস্থান চার। ‘আপনি যদি একজন ভোজনবিলাসী ভ্রমণপ্রেমী হন কিংবা নতুন স্বাদ নিতে আগ্রহী থাকেন তবে এটি আপনার পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে। এখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ খাবার-দাবারের সঙ্গে দারুণ মানানসই।’ বলেন চেম্বারস।
ব্যস্ত শহর এবং জমকালো সমুদ্র সৈকতগুলি এমনিতে থাইল্যান্ডকে পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তবে চিয়াং মাইয়ের শান্ত পাহাড়ি প্রকৃতি সম্পূর্ণ বিপরীত একটি পরিস্থিতি নিয়ে হাজির হয় পর্যটকদের সামনে। শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প এবং পাকা সব রাঁধুনির জন্য আলাদা নাম আছে শহরটির। বুঝতেই পারছেন এখানে দেখার এবং করার মতো অনেক কিছু রয়েছে।
প্রাচীর ঘেরা পুরোনো শহর ছাড়িয়ে, রোমাঞ্চপ্রেমীরা পছন্দ অনুযায়ী জায়গা বেছে নেওয়াতেও বাধা নেই। জঙ্গল, নদী, গুহা, পাহাড় এবং জলপ্রপাত সবই পাবেন আশপাশে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে খাবার এবং অরণ্য চিয়াং মাই-এর বড় আকর্ষণ। আপনি যতবারই যান না কেন সেখানে সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করা যায়।
জেনোয়া, ইতালি
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পাঁচে জেনোয়া। ইতালির বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটিতে পরস্পরবিরোধী কিছু বিষয় চোখে পড়বে। কোথাও জমকালো, ঝলমলে আলো এবং কোথাও গভীর ছায়ায় পূর্ণ। এটি অনেক ভ্রমণকারীর জন্য নৌভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ সকরে। তবে এর স্থাপত্য ঐতিহ্য তার পুরোনো গৌরবের কথা মনে করিয়ে দেয়। রিপাবলিক অব জেনোয়া বারো এবং তেরো শতকে ভূমধ্যসাগর শাসন করে। জেনোয়াতে এলে পুরোনো সেই ইতিহাস জীবন্ত হয়ে যেন আপনার সামনে ধরা দেবে। পুরোনো সেই শহরের অনেক কিছুই এখনো অক্ষত এখানে।
এখনকার স্থানীয় নানা খাবার মুগ্ধ করবে আপনাকে। শহরের বাসিন্দারাও খুব বন্ধুভাবাপন্ন। তেমনি সমুদ্রবিষয়ক জাদুঘর, থিয়েটার ও সংগীত পরিবেশনার নানা জায়গা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
পিটার্সবার্গ, যুক্তরাষ্ট্র
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পিটসবার্গের অবস্থান ছয়ে। ফিলাডেলফিয়ার পর পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় জনবহুল শহর এটি। অ্যালিঘেনি এবং মনোনগাহেলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থান শহরটির। এ দুটি নদী মিলে জন্ম দিয়েছে ওহাইও নদীর।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত শিল্পে বড় অবদানের জন্য একসময় স্টিল সিটি নামেই বেশি পরিচিত ছিল। তবে এখনকার নতুন কিছু পরিচয় যোগ হয়েছে শহরটির। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।
শহর জুড়ে গড়ে উঠেছে মুখরোচক খাবারের সব রেস্তোরাঁ, জাদুঘরগুলো বিশ্বমানের শিল্প ও আঞ্চলিক ইতিহাসে ভরপুর; শহরের তিনটি নদী বরাবর সারা বছর প্রচুর কার্যকলাপের সুযোগ আছে।
ওসাকা, জাপান
বিশ্বে জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস। আর লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন সপ্তম শহর এটি।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান ওসাকা ক্যাসল। চৌদ্দ শ বছর আগে স্থাপিত বৌদ্ধ মন্দির শিতেনো-জি ছাড়াও বিখ্যাত ওসাকা অ্যাকোরিয়াম কাইয়ুকান এবং তেমপোজান নাগরদোলা এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য জায়গা।
কুরিতিবা, ব্রাজিল
ব্রাজিলের পারানা রাজ্যের রাজধানী শহর কুরিতিবা তার উদ্ভাবনী নগর-পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিখ্যাত। কীভাবে একটি শহর সফলভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্য পরিচিত শহরটি। এখানকার উদ্ভিদ উদ্যানটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। শহরটিতে অসংখ্য আর্ট গ্যালারি, থিয়েটার রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাজিলিয়ান খাবার থেকে শুরু করে নানা দেশের বিভিন্ন পদের খাবারের জন্য আলাদা নাম আছে। কুরিতিবায় ৩০টির বেশি পার্ক এবং সবুজ আচ্ছাদনযুক্ত জায়গা রয়েছে।
পালমা দে মালোরকা, স্পেন
মালোরকা দ্বীপের রাজধানীটি একই নামের একটি উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এখানকার চমৎকার জলবায়ু পর্যটকদের ভারি পছন্দ। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। চমৎকার সব সৈকত এবং ঐতিহ্যবাহী ইমারতে ভরপুর পুরোনো শহর পালমা দে মালোরকাকে পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।
এখানে বেড়াতে আসা মানুষদের দ্য ক্যাথেড্রাল, দা আলদমাদাইনা প্যালেস, প্লাজা মেয়র স্কয়ারের জন্য হাতে আলাদা করে কিছুটা সময় রাখতে হয়। পাইনের জঙ্গল এবং পাম গাছের সারি শহরের বড় বৈশিষ্ট্য।
দ্বীপের উপকূল বরাবর সৈকত এবং পাহাড়ের দেখা মেলে। ভেতরের দিকে গ্রাম এবং এক হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার পর্বতশ্রেণী রয়েছে।
এডমন্টন, কানাডা
কানাডার আলবার্টা শহরের রাজধানী এডমন্টন। ঝাঁ চকচকে আকাশচুম্বী ভবন, বিভিন্ন বিনোদনের সুবিধা এবং নানা ধরনের উৎসব মিলিয়ে আলবার্টার মতো শহর পাবেন কমই । ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে কানাডার পঞ্চম বৃহত্তম শহরটি গত এক দশকে পরিবর্তিত হয়েছে।
নর্থ সাসকাচোয়ান নদীর তীরের এর অবস্থান। বছরে ২২০০ ঘণ্টার বেশি উজ্জ্বল সূর্যালোক পায় শহরটি। গ্রীষ্মে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যালোক পায় এটি। শীতে নিয়মিতই দেখা মেলে নর্দান লাইটের। বছরজুড়ে অন্তত ৩০টি ফেস্টিভ্যাল বা উৎসব হয় এখানে। শহরের কেন্দ্র থেকে কেবল এক ঘণ্টায় গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারবেন বিখ্যাত এল্ক আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, সিএনএন, ফ্যাক্টস ডট নেট, ওয়ার্ল্ড সিটি ট্রেইল ডট কম
আরও পড়ুন:

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মত
২৪ অক্টোবর ২০২৪
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মত
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মত
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মত
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে