কামরুল হাসান

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
হাতে জরুরি কাজ ছিল। সেটা শেষ করে গেলাম মিনিট বিশেক পরে। দেখি অনেকগুলো কাগজ হাতে দুজনে জড়সড় হয়ে বসে আছেন। মনে হলো আমাকে দেখে হালে পানি পেলেন। ছেলেটি বেশ ঋজু আর মেয়েটি সপ্রতিভ। যা বলার মেয়েটিই বলবেন। কথা শুরুর আগে মেয়েটি বললেন, ‘আমার ঘটনাটা অনেক লম্বা। একটু বেশি সময় দিতে হবে।’ বললাম, আচ্ছা বলুন।
মেয়েটা বলে চলেন একেবারে খুঁটিনাটি ধরে ধরে। তার পরও কোথাও একটু ছেদ পড়লে ছেলেটা ধরিয়ে দেন। ছেলেটা কখনো দোহারি করলে মেয়েটি থামিয়ে দিয়ে বলেন…দাঁড়াও আমি সব বলছি। আমি তাঁদের আর থামাতে পারি না, যেন তুফানমেইল। সবই শুনতে হয়। শেষ করি পাক্কা দেড় ঘণ্টায়। এটা ২০০৬ সালের জুন-জুলাইয়ের কথা।
মেয়েটির নাম সুবর্না—সুবর্না সরকার। দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন। বাবা নেই, মা একটি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কাকরাইলের একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে। সেখানে পরিচয় হয় একই ক্লাসে পড়া খ্রিষ্টান যুবক এলিন ববির সঙ্গে। প্রথমে সহপাঠী হলেও পরে দুজনকে দুজনের ভালো লেগে যায়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। দ্বিতীয় বর্ষে উঠে ২০০৫ সালের ১৭ মার্চ হঠাৎ করে দুজনে আদালতে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলেন।
প্রথম কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। মাস তিনেক পরে মেয়ের চলাফেরা দেখে সুবর্নার মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি মেয়েকে জেরা করতে শুরু করেন। সুবর্না সবকিছু আড়াল করে কিছুদিন কাটিয়ে দেন। সুবর্নার ভয়, হিন্দু মেয়ের সঙ্গে খ্রিষ্টান ছেলের বিয়ে মা কিছুতেই মেনে নেবেন না। দুজনে সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। একদিন বিয়ের অ্যাফিডেভিটের কপি বাড়িতে রেখে চুপচাপ ববির বাড়িতে চলে আসেন সুবর্না। প্রথমে ওঠেন ববিদের আরামবাগের বাড়িতে। কিন্তু ববির মা সুবর্নাকে দেখে ভয় পেয়ে যান। কোনো বিপদ হতে পারে ভেবে বাড্ডায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলে ও ছেলের বউকে পাঠিয়ে দেন।
সুবর্নার মা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মেয়ের বিয়ের কাগজ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে মেয়েকে ফোন দেন। টেলিফোনে অনেক কান্নাকাটি করেন। মেয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেন। সুবর্না ধরে নেন, মেয়ের এই অবাধ্যপনাটা মেনে নিয়েছেন মা।
এভাবে কয়েক দিন যায়। দুই সপ্তাহ পর সুবর্নাকে আবার ফোন করেন তাঁর মা। তিনি মতিঝিলে আসতে বলেন জরুরি কিছু কাগজপত্র নিতে। সুবর্না তাঁর স্বামী ববিকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর যে পরিস্থিতির মুখে পড়েন, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। মতিঝিল অগ্রণী ব্যাংকের একটি গলির মুখে যাওয়ার পর ৩০-৪০ জন তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁরা সুবর্নাকে একদিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর অপহরণকারী বলে ববিকে গণপিটুনি দিতে শুরু করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অপহরণকারী সাজিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ববিকে মেরে ফেলা। সুবর্না এটা বুঝতে পেরে দৌড়ে গিয়ে ববিকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে থাকেন। একদিকে ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা ববিকে টানছেন, অন্যদিকে সুবর্না তাঁকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছেন।
মুহূর্তে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য এগিয়ে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সুবর্নার মায়ের লোকেরা সরে পড়েন। সে যাত্রায় ববিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান সুবর্না।
মাস তিনেক পর আবার মায়ের ফোন। এবার একেবারে নরম সুর। আগে যা হয়েছে সব ভুলে যেতে বলেন। মেয়েকে তাঁর কর্মস্থলে ডেকে নেন ব্যাংকে ঋণের কিছু কাগজে সই দিতে হবে বলে। সুবর্না মায়ের কথা শুনে সই করে চলে আসেন। কয়েক দিন পর আবার মায়ের ফোন। এবার আবদার, মায়ের বাড়িতে কয়েক দিন কাটাতে হবে। রাজি হন সুবর্না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর দেখেন পরিস্থিতি অন্য রকম। মায়ের বাড়ির একটি ঘরে তাঁকে আটকে ফেলা হয়, তাঁর ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।
ঋণের কাগজে সই দেওয়ার কথা বলে সুবর্না যে কাগজে সই দিয়েছিলেন, তা দিয়ে ডিভোর্সের কাগজ তৈরি করা হয়। একদিন রাতে সুবর্নাকে জোর করে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকগঞ্জে সুবর্নার খালাতো বোনের বাড়িতে। সেখানেও বন্দিদশা। সবাই নিয়ম করে তাঁকে পাহারা দিতে থাকেন, যাতে পালাতে না পারেন। সেই বাড়িতে থাকার সময় সুবর্না জানতে পারেন ঘুমের ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে তাঁকে রোগী সাজিয়ে ভারতে পাঠানো হবে। এ জন্য তাঁকে এই বাড়িতে আনা হয়েছে। ভারতে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত পাকা—এ কথা কানে আসামাত্র প্রাণপণে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে ভুল বাসে উঠে চলে যান পাটুরিয়া ঘাটে। সেখান থেকে ফোন করলে ববি তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
কয়েক দিন পর ববিদের আরামবাগের বাড়িতে পুলিশ আসে। অভিযোগ, সুবর্নাকে অপহরণ করার অভিযোগে ববি, তাঁর মাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সুবর্নার মা সেই মামলা করেছেন। পুলিশ ববিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। সুবর্নাও স্বামীর সঙ্গে থানায় চলে যান। পুলিশ তাঁকে চাপ দিতে থাকে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সুবর্না অটল। পরে পুলিশ ভিকটিম হিসেবে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত ববিকে কারাগারে আর সুবর্নাকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠান। ৯ দিন পর জামিনে বেরিয়ে আসেন ববি। সুবর্নাকে নিরাপদ হেফাজতে কাটাতে হয় ২১ দিন। এর মধ্যে নিরাপদ হেফাজতে মায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের কথায় রাজি না হলে তাঁরা ববিকে মেরে ফেলবেন। এই হুমকিতেও টলেননি তিনি। এরপর সুবর্নাকে আদালতে নেওয়া হলে নিজেই আদালতে বলেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। এরপর আদালত তাঁকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এভাবে মাস তিনেক চলে যায়। হঠাৎ একদিন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন বাতিল করে ববিকে কারাগারে পাঠান আদালত। তিন মাস কয়েদ খেটে বেরিয়ে আসেন ববি।
সুবর্নার ঘণ্টা দেড়েকের নিখুঁত বিবরণ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। মনে হয় কোথাও এতটুকু ফাঁক নেই। মেয়েটির দিকে তাকালে বিস্ময় লাগে। তাঁর দাবি, তাঁকে নিয়ে যেন একটা নিউজ করি। সুবর্নার দাবি মেনে একটি খবর প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয়। তাতে অবশ্য কিছুটা লাভ হয় তরুণ দম্পতির। তাঁরা বিচারক ও আইনজীবীদের সহানুভূতি পান।
এর পর থেকে ববি-সুবর্না প্রায়ই ফোন করেন। নানা সুখ-দুঃখের কথা জানান। একদিন প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার খবরও দেন ববি। বাচ্চা প্রসবের জন্য মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন সুবর্না। তবু বিপদ তাঁদের পিছু ছাড়ে না। প্রথম বাচ্চা জন্মের পরদিন দুপুরে হঠাৎ সুবর্নার ফোন। কান্নাকাটি করে বলছেন, ‘ভাই, এবার র্যাব এসেছে। ববিকে তুলে নিয়ে যেতে চায়।’ হাসপাতালে এক দিনের সন্তান ফেলে স্বামীকে বাঁচাতে র্যাবের মুখোমুখি দাঁড়ান সুবর্না। তারা সুবর্নার কাছে হার মেনে ফিরে যায়।
মামলা চলতেই থাকে। প্রথম সন্তান জন্মের পাঁচ দিনের মাথায় মামলায় হাজিরার দিন। পাঁচ দিনের সন্তান কোলে নিয়ে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী অপহরণের মামলার হাজিরা দিতে যান সুবর্না। বিচারক সব দেখে নীরব থাকেন। এভাবে মামলা চলে। বিচারক যান বিচারক আসেন, কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না। দুই সন্তানের মা হন সুবর্না। একদিন দুই সন্তান সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে যান। তখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি আলী আসগর স্বপন সন্তানদের দেখিয়ে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, বলুন কে অপহরণের ভিকটিম, আর কে আসামি?’ সব শুনে আদালত ববিসহ সবাইকে খালাস দেন। কিন্তু তত দিনে হারিয়ে গেছে আটটি বছর।
মামলায় খালাস পেয়ে মিষ্টি হাতে ববি-সুবর্না আসেন প্রথম আলোয়, কৃতজ্ঞতা জানাতে। আমি তাঁর শেষ লড়াই শুনে আবারও আপ্লুত হই। ববি-সুবর্না এখন সাভারে নিজেদের বাড়িতে থাকেন। মায়ের সঙ্গেও মিল হয়েছে তাঁদের। ববি শাশুড়ির আদরের জামাতা। সুবর্নার তিন সন্তানের দুজন স্কুলে যায়। ববি একটি সরকারি ব্যাংকে চড়া বেতনের আইটি কর্মকর্তা। আর সুবর্ণা হলেন ওমর আলীর কবিতা… ‘সে চায় ভালোবাসার উপহার সন্তানের মুখ/এক হাতে আঁতুড়ে শিশু, অন্য হাতে রান্নার উনুন’।
এই লেখার আগে ফোন করেছিলাম সুবর্নাকে। বললেন, ১৭ বছরের সংসারে এখন সুখের বন্যা। জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই তাঁর। ফেলে আসা দিনের কথা এক ফাঁকে মনে করিয়ে দিতেই আবারও দেড় ঘণ্টা সেই পুরোনো কাসুন্দি। তারপর আবদার, ‘ভাই, কবে আসবেন আমাকে দেখতে?’
বললাম, আসব, নিশ্চয় একদিন আসব।

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
হাতে জরুরি কাজ ছিল। সেটা শেষ করে গেলাম মিনিট বিশেক পরে। দেখি অনেকগুলো কাগজ হাতে দুজনে জড়সড় হয়ে বসে আছেন। মনে হলো আমাকে দেখে হালে পানি পেলেন। ছেলেটি বেশ ঋজু আর মেয়েটি সপ্রতিভ। যা বলার মেয়েটিই বলবেন। কথা শুরুর আগে মেয়েটি বললেন, ‘আমার ঘটনাটা অনেক লম্বা। একটু বেশি সময় দিতে হবে।’ বললাম, আচ্ছা বলুন।
মেয়েটা বলে চলেন একেবারে খুঁটিনাটি ধরে ধরে। তার পরও কোথাও একটু ছেদ পড়লে ছেলেটা ধরিয়ে দেন। ছেলেটা কখনো দোহারি করলে মেয়েটি থামিয়ে দিয়ে বলেন…দাঁড়াও আমি সব বলছি। আমি তাঁদের আর থামাতে পারি না, যেন তুফানমেইল। সবই শুনতে হয়। শেষ করি পাক্কা দেড় ঘণ্টায়। এটা ২০০৬ সালের জুন-জুলাইয়ের কথা।
মেয়েটির নাম সুবর্না—সুবর্না সরকার। দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন। বাবা নেই, মা একটি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কাকরাইলের একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে। সেখানে পরিচয় হয় একই ক্লাসে পড়া খ্রিষ্টান যুবক এলিন ববির সঙ্গে। প্রথমে সহপাঠী হলেও পরে দুজনকে দুজনের ভালো লেগে যায়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। দ্বিতীয় বর্ষে উঠে ২০০৫ সালের ১৭ মার্চ হঠাৎ করে দুজনে আদালতে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলেন।
প্রথম কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। মাস তিনেক পরে মেয়ের চলাফেরা দেখে সুবর্নার মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি মেয়েকে জেরা করতে শুরু করেন। সুবর্না সবকিছু আড়াল করে কিছুদিন কাটিয়ে দেন। সুবর্নার ভয়, হিন্দু মেয়ের সঙ্গে খ্রিষ্টান ছেলের বিয়ে মা কিছুতেই মেনে নেবেন না। দুজনে সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। একদিন বিয়ের অ্যাফিডেভিটের কপি বাড়িতে রেখে চুপচাপ ববির বাড়িতে চলে আসেন সুবর্না। প্রথমে ওঠেন ববিদের আরামবাগের বাড়িতে। কিন্তু ববির মা সুবর্নাকে দেখে ভয় পেয়ে যান। কোনো বিপদ হতে পারে ভেবে বাড্ডায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলে ও ছেলের বউকে পাঠিয়ে দেন।
সুবর্নার মা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মেয়ের বিয়ের কাগজ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে মেয়েকে ফোন দেন। টেলিফোনে অনেক কান্নাকাটি করেন। মেয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেন। সুবর্না ধরে নেন, মেয়ের এই অবাধ্যপনাটা মেনে নিয়েছেন মা।
এভাবে কয়েক দিন যায়। দুই সপ্তাহ পর সুবর্নাকে আবার ফোন করেন তাঁর মা। তিনি মতিঝিলে আসতে বলেন জরুরি কিছু কাগজপত্র নিতে। সুবর্না তাঁর স্বামী ববিকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর যে পরিস্থিতির মুখে পড়েন, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। মতিঝিল অগ্রণী ব্যাংকের একটি গলির মুখে যাওয়ার পর ৩০-৪০ জন তাঁদের ঘিরে ধরেন। তাঁরা সুবর্নাকে একদিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর অপহরণকারী বলে ববিকে গণপিটুনি দিতে শুরু করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অপহরণকারী সাজিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ববিকে মেরে ফেলা। সুবর্না এটা বুঝতে পেরে দৌড়ে গিয়ে ববিকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে থাকেন। একদিকে ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা ববিকে টানছেন, অন্যদিকে সুবর্না তাঁকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছেন।
মুহূর্তে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য এগিয়ে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সুবর্নার মায়ের লোকেরা সরে পড়েন। সে যাত্রায় ববিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান সুবর্না।
মাস তিনেক পর আবার মায়ের ফোন। এবার একেবারে নরম সুর। আগে যা হয়েছে সব ভুলে যেতে বলেন। মেয়েকে তাঁর কর্মস্থলে ডেকে নেন ব্যাংকে ঋণের কিছু কাগজে সই দিতে হবে বলে। সুবর্না মায়ের কথা শুনে সই করে চলে আসেন। কয়েক দিন পর আবার মায়ের ফোন। এবার আবদার, মায়ের বাড়িতে কয়েক দিন কাটাতে হবে। রাজি হন সুবর্না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর দেখেন পরিস্থিতি অন্য রকম। মায়ের বাড়ির একটি ঘরে তাঁকে আটকে ফেলা হয়, তাঁর ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।
ঋণের কাগজে সই দেওয়ার কথা বলে সুবর্না যে কাগজে সই দিয়েছিলেন, তা দিয়ে ডিভোর্সের কাগজ তৈরি করা হয়। একদিন রাতে সুবর্নাকে জোর করে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকগঞ্জে সুবর্নার খালাতো বোনের বাড়িতে। সেখানেও বন্দিদশা। সবাই নিয়ম করে তাঁকে পাহারা দিতে থাকেন, যাতে পালাতে না পারেন। সেই বাড়িতে থাকার সময় সুবর্না জানতে পারেন ঘুমের ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে তাঁকে রোগী সাজিয়ে ভারতে পাঠানো হবে। এ জন্য তাঁকে এই বাড়িতে আনা হয়েছে। ভারতে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত পাকা—এ কথা কানে আসামাত্র প্রাণপণে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে ভুল বাসে উঠে চলে যান পাটুরিয়া ঘাটে। সেখান থেকে ফোন করলে ববি তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
কয়েক দিন পর ববিদের আরামবাগের বাড়িতে পুলিশ আসে। অভিযোগ, সুবর্নাকে অপহরণ করার অভিযোগে ববি, তাঁর মাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সুবর্নার মা সেই মামলা করেছেন। পুলিশ ববিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। সুবর্নাও স্বামীর সঙ্গে থানায় চলে যান। পুলিশ তাঁকে চাপ দিতে থাকে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সুবর্না অটল। পরে পুলিশ ভিকটিম হিসেবে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত ববিকে কারাগারে আর সুবর্নাকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠান। ৯ দিন পর জামিনে বেরিয়ে আসেন ববি। সুবর্নাকে নিরাপদ হেফাজতে কাটাতে হয় ২১ দিন। এর মধ্যে নিরাপদ হেফাজতে মায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের কথায় রাজি না হলে তাঁরা ববিকে মেরে ফেলবেন। এই হুমকিতেও টলেননি তিনি। এরপর সুবর্নাকে আদালতে নেওয়া হলে নিজেই আদালতে বলেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। এরপর আদালত তাঁকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এভাবে মাস তিনেক চলে যায়। হঠাৎ একদিন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন বাতিল করে ববিকে কারাগারে পাঠান আদালত। তিন মাস কয়েদ খেটে বেরিয়ে আসেন ববি।
সুবর্নার ঘণ্টা দেড়েকের নিখুঁত বিবরণ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। মনে হয় কোথাও এতটুকু ফাঁক নেই। মেয়েটির দিকে তাকালে বিস্ময় লাগে। তাঁর দাবি, তাঁকে নিয়ে যেন একটা নিউজ করি। সুবর্নার দাবি মেনে একটি খবর প্রকাশিত হয় প্রথম আলোয়। তাতে অবশ্য কিছুটা লাভ হয় তরুণ দম্পতির। তাঁরা বিচারক ও আইনজীবীদের সহানুভূতি পান।
এর পর থেকে ববি-সুবর্না প্রায়ই ফোন করেন। নানা সুখ-দুঃখের কথা জানান। একদিন প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার খবরও দেন ববি। বাচ্চা প্রসবের জন্য মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন সুবর্না। তবু বিপদ তাঁদের পিছু ছাড়ে না। প্রথম বাচ্চা জন্মের পরদিন দুপুরে হঠাৎ সুবর্নার ফোন। কান্নাকাটি করে বলছেন, ‘ভাই, এবার র্যাব এসেছে। ববিকে তুলে নিয়ে যেতে চায়।’ হাসপাতালে এক দিনের সন্তান ফেলে স্বামীকে বাঁচাতে র্যাবের মুখোমুখি দাঁড়ান সুবর্না। তারা সুবর্নার কাছে হার মেনে ফিরে যায়।
মামলা চলতেই থাকে। প্রথম সন্তান জন্মের পাঁচ দিনের মাথায় মামলায় হাজিরার দিন। পাঁচ দিনের সন্তান কোলে নিয়ে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী অপহরণের মামলার হাজিরা দিতে যান সুবর্না। বিচারক সব দেখে নীরব থাকেন। এভাবে মামলা চলে। বিচারক যান বিচারক আসেন, কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না। দুই সন্তানের মা হন সুবর্না। একদিন দুই সন্তান সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে যান। তখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি আলী আসগর স্বপন সন্তানদের দেখিয়ে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, বলুন কে অপহরণের ভিকটিম, আর কে আসামি?’ সব শুনে আদালত ববিসহ সবাইকে খালাস দেন। কিন্তু তত দিনে হারিয়ে গেছে আটটি বছর।
মামলায় খালাস পেয়ে মিষ্টি হাতে ববি-সুবর্না আসেন প্রথম আলোয়, কৃতজ্ঞতা জানাতে। আমি তাঁর শেষ লড়াই শুনে আবারও আপ্লুত হই। ববি-সুবর্না এখন সাভারে নিজেদের বাড়িতে থাকেন। মায়ের সঙ্গেও মিল হয়েছে তাঁদের। ববি শাশুড়ির আদরের জামাতা। সুবর্নার তিন সন্তানের দুজন স্কুলে যায়। ববি একটি সরকারি ব্যাংকে চড়া বেতনের আইটি কর্মকর্তা। আর সুবর্ণা হলেন ওমর আলীর কবিতা… ‘সে চায় ভালোবাসার উপহার সন্তানের মুখ/এক হাতে আঁতুড়ে শিশু, অন্য হাতে রান্নার উনুন’।
এই লেখার আগে ফোন করেছিলাম সুবর্নাকে। বললেন, ১৭ বছরের সংসারে এখন সুখের বন্যা। জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই তাঁর। ফেলে আসা দিনের কথা এক ফাঁকে মনে করিয়ে দিতেই আবারও দেড় ঘণ্টা সেই পুরোনো কাসুন্দি। তারপর আবদার, ‘ভাই, কবে আসবেন আমাকে দেখতে?’
বললাম, আসব, নিশ্চয় একদিন আসব।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
২০ নভেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
২০ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
২০ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারি মিষ্টি মুখের এক তরুণী এসেছেন তাঁরই বয়সী এক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ বসে আছেন অভ্যর্থনার সামনে। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চান। সহকর্মী মর্জিনা বেগম এইটুকু বলে অনুরোধ করলেন, আমি যেন তরুণ-তরুণীর কথাটা শুনি।
২০ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে