সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেকে।
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নীলগাই ঢুকে পড়ে সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নীলগাই আটক করে বংশবৃদ্ধির জন্য নিয়ে যায় দিনাজপুরের রামসাগর উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সালের পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামের পাশে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বয়ে যাওয়া কুলিক নদের ধারে একটি মাদি নীলগাই দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। গ্রামবাসী মিলে নীলগাইটিকে আটক করেন। পরদিন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এটিকে উদ্ধার করে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর সেই নীলগাই মৃত বাচ্চা প্রসব করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ১৮ মার্চ উদ্যানটির বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্ত্রী নীলগাইটি মারা যায়।
এরপর ২০২১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই আটক করে স্থানীয়রা। পরে নীলগাইটি বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের জুলাই মাসে রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার পেরিয়ে একটি ধূসর রঙের পুরুষ প্রজাতির নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি দেখে ধরার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
সম্প্রতি আবারও হরিপুর উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ধরা পড়ে একটি পুরুষ নীলগাই। তবে ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় কাঁটাতারের খোঁচায় প্রাণীটির শরীর মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুরুষ নীলগাইটির মৃত্যু হয়।
নীলগাইয়ের বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীলগাই একটি সময় এ দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যেত। ধীরে ধীরে বনভূমি উজাড় ও শিকারিদের হাতে মারা পড়ার কারণে বিলুপ্তির মুখে পড়ে এই হরিণবিশেষ প্রাণীটি। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই প্রাণীকে গৃহপালিত পশু হিসেবে লালন পালন করে থাকে।’
আমাদের দেশে জনসাধারণ জন্য এ প্রাণীটি লালন পালন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। যার কারণে প্রাণীটি প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্যোগ নেয়নি প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এটি দুগ্ধজাতীয় পশু না হলেও এর মাংস খেতে হরিণের মতোই। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাণীটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিলুপ্ত এই প্রাণীগুলো সম্প্রতি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসার কারণ কি এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নীলগাই একটি তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার তাগিদে এরা ঘাস, লতাপাতা, গুল্ম ও বিভিন্ন ফসলের শস্যদানা খেয়ে জীবন ধারণ করে। বন জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে মানুষের ফসলের শস্যদানা খেয়ে ফেলছে। প্রাণীটির হাত থেকে ফসল রক্ষার্থে সম্প্রতি ভারতের অধিকাংশ এলাকায় এ প্রাণীটিকে হত্যা ও শিকার করা হচ্ছে। যার কারণে ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে বর্ডার ক্রস করে এরা বাংলাদেশে চলে আসছে। তবে বাংলাদেশে যেহেতু প্রাণীটি দেখা পাওয়া যায় না তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। তবে প্রাণীটি ক্ষতিকর নয়। এটি হরিণের মতোই নিরীহ একটি প্রাণী। যেহেতু আমাদের দেশ থেকে এ নীলগাইটি বিলুপ্ত তাই এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রাণীটি যে বর্ডার পার হয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে ওই এলাকা গুলো চিহ্নিত করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যেন প্রাণীগুলো নিরাপদে এই দেশে আসতে পারে।’
মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘একটি স্ত্রী নীলগাই দুই বছরের মধ্যে সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করলেও পুরুষ নীলগাইয়ের সময় লাগে তিন বছর। তবে প্রজননক্রিয়ার জন্য এরা চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে। প্রাণীটির গড় আয়ু ২১-২২ বছরের মতো হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boselaphus Tragocamelus। ১০০ বছরের ও আগে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। ওই সময়ে ঠাকুরগাঁওসহ দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট ও নীলফামারীর মাঠে-ঘাটে নীলগাইয়ের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।’

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেকে।
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নীলগাই ঢুকে পড়ে সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নীলগাই আটক করে বংশবৃদ্ধির জন্য নিয়ে যায় দিনাজপুরের রামসাগর উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সালের পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামের পাশে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বয়ে যাওয়া কুলিক নদের ধারে একটি মাদি নীলগাই দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। গ্রামবাসী মিলে নীলগাইটিকে আটক করেন। পরদিন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এটিকে উদ্ধার করে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর সেই নীলগাই মৃত বাচ্চা প্রসব করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ১৮ মার্চ উদ্যানটির বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্ত্রী নীলগাইটি মারা যায়।
এরপর ২০২১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই আটক করে স্থানীয়রা। পরে নীলগাইটি বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের জুলাই মাসে রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার পেরিয়ে একটি ধূসর রঙের পুরুষ প্রজাতির নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি দেখে ধরার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
সম্প্রতি আবারও হরিপুর উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ধরা পড়ে একটি পুরুষ নীলগাই। তবে ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় কাঁটাতারের খোঁচায় প্রাণীটির শরীর মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুরুষ নীলগাইটির মৃত্যু হয়।
নীলগাইয়ের বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীলগাই একটি সময় এ দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যেত। ধীরে ধীরে বনভূমি উজাড় ও শিকারিদের হাতে মারা পড়ার কারণে বিলুপ্তির মুখে পড়ে এই হরিণবিশেষ প্রাণীটি। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই প্রাণীকে গৃহপালিত পশু হিসেবে লালন পালন করে থাকে।’
আমাদের দেশে জনসাধারণ জন্য এ প্রাণীটি লালন পালন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। যার কারণে প্রাণীটি প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্যোগ নেয়নি প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এটি দুগ্ধজাতীয় পশু না হলেও এর মাংস খেতে হরিণের মতোই। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাণীটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিলুপ্ত এই প্রাণীগুলো সম্প্রতি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসার কারণ কি এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নীলগাই একটি তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার তাগিদে এরা ঘাস, লতাপাতা, গুল্ম ও বিভিন্ন ফসলের শস্যদানা খেয়ে জীবন ধারণ করে। বন জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে মানুষের ফসলের শস্যদানা খেয়ে ফেলছে। প্রাণীটির হাত থেকে ফসল রক্ষার্থে সম্প্রতি ভারতের অধিকাংশ এলাকায় এ প্রাণীটিকে হত্যা ও শিকার করা হচ্ছে। যার কারণে ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে বর্ডার ক্রস করে এরা বাংলাদেশে চলে আসছে। তবে বাংলাদেশে যেহেতু প্রাণীটি দেখা পাওয়া যায় না তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। তবে প্রাণীটি ক্ষতিকর নয়। এটি হরিণের মতোই নিরীহ একটি প্রাণী। যেহেতু আমাদের দেশ থেকে এ নীলগাইটি বিলুপ্ত তাই এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রাণীটি যে বর্ডার পার হয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে ওই এলাকা গুলো চিহ্নিত করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যেন প্রাণীগুলো নিরাপদে এই দেশে আসতে পারে।’
মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘একটি স্ত্রী নীলগাই দুই বছরের মধ্যে সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করলেও পুরুষ নীলগাইয়ের সময় লাগে তিন বছর। তবে প্রজননক্রিয়ার জন্য এরা চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে। প্রাণীটির গড় আয়ু ২১-২২ বছরের মতো হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boselaphus Tragocamelus। ১০০ বছরের ও আগে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। ওই সময়ে ঠাকুরগাঁওসহ দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট ও নীলফামারীর মাঠে-ঘাটে নীলগাইয়ের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।’
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেকে।
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নীলগাই ঢুকে পড়ে সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নীলগাই আটক করে বংশবৃদ্ধির জন্য নিয়ে যায় দিনাজপুরের রামসাগর উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সালের পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামের পাশে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বয়ে যাওয়া কুলিক নদের ধারে একটি মাদি নীলগাই দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। গ্রামবাসী মিলে নীলগাইটিকে আটক করেন। পরদিন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এটিকে উদ্ধার করে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর সেই নীলগাই মৃত বাচ্চা প্রসব করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ১৮ মার্চ উদ্যানটির বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্ত্রী নীলগাইটি মারা যায়।
এরপর ২০২১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই আটক করে স্থানীয়রা। পরে নীলগাইটি বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের জুলাই মাসে রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার পেরিয়ে একটি ধূসর রঙের পুরুষ প্রজাতির নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি দেখে ধরার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
সম্প্রতি আবারও হরিপুর উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ধরা পড়ে একটি পুরুষ নীলগাই। তবে ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় কাঁটাতারের খোঁচায় প্রাণীটির শরীর মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুরুষ নীলগাইটির মৃত্যু হয়।
নীলগাইয়ের বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীলগাই একটি সময় এ দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যেত। ধীরে ধীরে বনভূমি উজাড় ও শিকারিদের হাতে মারা পড়ার কারণে বিলুপ্তির মুখে পড়ে এই হরিণবিশেষ প্রাণীটি। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই প্রাণীকে গৃহপালিত পশু হিসেবে লালন পালন করে থাকে।’
আমাদের দেশে জনসাধারণ জন্য এ প্রাণীটি লালন পালন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। যার কারণে প্রাণীটি প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্যোগ নেয়নি প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এটি দুগ্ধজাতীয় পশু না হলেও এর মাংস খেতে হরিণের মতোই। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাণীটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিলুপ্ত এই প্রাণীগুলো সম্প্রতি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসার কারণ কি এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নীলগাই একটি তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার তাগিদে এরা ঘাস, লতাপাতা, গুল্ম ও বিভিন্ন ফসলের শস্যদানা খেয়ে জীবন ধারণ করে। বন জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে মানুষের ফসলের শস্যদানা খেয়ে ফেলছে। প্রাণীটির হাত থেকে ফসল রক্ষার্থে সম্প্রতি ভারতের অধিকাংশ এলাকায় এ প্রাণীটিকে হত্যা ও শিকার করা হচ্ছে। যার কারণে ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে বর্ডার ক্রস করে এরা বাংলাদেশে চলে আসছে। তবে বাংলাদেশে যেহেতু প্রাণীটি দেখা পাওয়া যায় না তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। তবে প্রাণীটি ক্ষতিকর নয়। এটি হরিণের মতোই নিরীহ একটি প্রাণী। যেহেতু আমাদের দেশ থেকে এ নীলগাইটি বিলুপ্ত তাই এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রাণীটি যে বর্ডার পার হয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে ওই এলাকা গুলো চিহ্নিত করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যেন প্রাণীগুলো নিরাপদে এই দেশে আসতে পারে।’
মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘একটি স্ত্রী নীলগাই দুই বছরের মধ্যে সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করলেও পুরুষ নীলগাইয়ের সময় লাগে তিন বছর। তবে প্রজননক্রিয়ার জন্য এরা চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে। প্রাণীটির গড় আয়ু ২১-২২ বছরের মতো হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boselaphus Tragocamelus। ১০০ বছরের ও আগে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। ওই সময়ে ঠাকুরগাঁওসহ দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট ও নীলফামারীর মাঠে-ঘাটে নীলগাইয়ের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।’

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেকে।
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নীলগাই ঢুকে পড়ে সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নীলগাই আটক করে বংশবৃদ্ধির জন্য নিয়ে যায় দিনাজপুরের রামসাগর উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সালের পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামের পাশে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বয়ে যাওয়া কুলিক নদের ধারে একটি মাদি নীলগাই দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। গ্রামবাসী মিলে নীলগাইটিকে আটক করেন। পরদিন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এটিকে উদ্ধার করে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর সেই নীলগাই মৃত বাচ্চা প্রসব করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ১৮ মার্চ উদ্যানটির বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্ত্রী নীলগাইটি মারা যায়।
এরপর ২০২১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই আটক করে স্থানীয়রা। পরে নীলগাইটি বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের জুলাই মাসে রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার পেরিয়ে একটি ধূসর রঙের পুরুষ প্রজাতির নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি দেখে ধরার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
সম্প্রতি আবারও হরিপুর উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ধরা পড়ে একটি পুরুষ নীলগাই। তবে ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় কাঁটাতারের খোঁচায় প্রাণীটির শরীর মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুরুষ নীলগাইটির মৃত্যু হয়।
নীলগাইয়ের বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীলগাই একটি সময় এ দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যেত। ধীরে ধীরে বনভূমি উজাড় ও শিকারিদের হাতে মারা পড়ার কারণে বিলুপ্তির মুখে পড়ে এই হরিণবিশেষ প্রাণীটি। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্র এই প্রাণীকে গৃহপালিত পশু হিসেবে লালন পালন করে থাকে।’
আমাদের দেশে জনসাধারণ জন্য এ প্রাণীটি লালন পালন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। যার কারণে প্রাণীটি প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্যোগ নেয়নি প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এটি দুগ্ধজাতীয় পশু না হলেও এর মাংস খেতে হরিণের মতোই। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাণীটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিলুপ্ত এই প্রাণীগুলো সম্প্রতি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসার কারণ কি এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নীলগাই একটি তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার তাগিদে এরা ঘাস, লতাপাতা, গুল্ম ও বিভিন্ন ফসলের শস্যদানা খেয়ে জীবন ধারণ করে। বন জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে মানুষের ফসলের শস্যদানা খেয়ে ফেলছে। প্রাণীটির হাত থেকে ফসল রক্ষার্থে সম্প্রতি ভারতের অধিকাংশ এলাকায় এ প্রাণীটিকে হত্যা ও শিকার করা হচ্ছে। যার কারণে ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে বর্ডার ক্রস করে এরা বাংলাদেশে চলে আসছে। তবে বাংলাদেশে যেহেতু প্রাণীটি দেখা পাওয়া যায় না তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। তবে প্রাণীটি ক্ষতিকর নয়। এটি হরিণের মতোই নিরীহ একটি প্রাণী। যেহেতু আমাদের দেশ থেকে এ নীলগাইটি বিলুপ্ত তাই এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রাণীটি যে বর্ডার পার হয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে ওই এলাকা গুলো চিহ্নিত করে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যেন প্রাণীগুলো নিরাপদে এই দেশে আসতে পারে।’
মো. মাজেদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘একটি স্ত্রী নীলগাই দুই বছরের মধ্যে সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করলেও পুরুষ নীলগাইয়ের সময় লাগে তিন বছর। তবে প্রজননক্রিয়ার জন্য এরা চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে। প্রাণীটির গড় আয়ু ২১-২২ বছরের মতো হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Boselaphus Tragocamelus। ১০০ বছরের ও আগে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। ওই সময়ে ঠাকুরগাঁওসহ দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট ও নীলফামারীর মাঠে-ঘাটে নীলগাইয়ের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪০ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেক
২৯ নভেম্বর ২০২১
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪০ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেক
২৯ নভেম্বর ২০২১
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪০ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেক
২৯ নভেম্বর ২০২১
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৪০ মিনিট আগেসিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় নীলগাইয়ের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় ও শিকারের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। এ বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে বিরল প্রজাতির এ নীলগাইয়ের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। একটি দুটি নয় এ পর্যন্ত চারটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এ জেলা থেক
২৯ নভেম্বর ২০২১
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৩ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৩ মিনিট আগে