সম্পাদকীয়
বাঘা যতীন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম নায়ক। তাঁর আসল নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি একত্র করেছিলেন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিপ্লবী সংগঠনগুলো। এরপর সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরে বিপ্লবী দলগুলো অনেক বেশি সহিংস হয়ে উঠেছিল। সেই সময়েই তিনি বিপ্লবী দলগুলোর মধ্যে নতুন এক চিন্তা ঢোকান, সেটা ছিল—‘এক হাতে রিভলভার আর অন্য হাতে সায়ানাইডের বিষ’। আর নতুন এক কৌশল, ‘সরাসরি লাট সাহেবদের মেরে, তাদের মধ্যে বিপুলভাবে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া’—এভাবে ইংরেজ বাহিনীকে পর্যুদস্ত করার পথ তিনি বাতলে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক যোগাযোগ সৃষ্টি করে অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনা তাঁর কাছ থেকে প্রথম আসে। এ জন্য তিনি জার্মানি থেকে একটি জাহাজে করে অস্ত্র আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সেই অস্ত্র জাহাজ থেকে নামিয়ে আনতে বাঘা যতীন তাঁর চারজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে নিয়ে ওডিশার বালেশ্বরের দিকে যাত্রা করেন। সে খবর ব্রিটিশদের কাছে পৌঁছে যায়। তিনি যখন তাঁর দল নিয়ে সেখানে পৌঁছান, তখন ব্রিটিশ পুলিশের বিরাট বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। শুধু পাঁচজন মিলে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে যুদ্ধ চালিয়ে তাঁরা ব্রিটিশ পুলিশের কাছে হেরে যান। সেখানেই তাঁর এক সহযোদ্ধা মারা যান। আর বাঘা যতীনসহ বাকিজনদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন হাসপাতালে মারা যান বাঘা যতীন। অন্যদের পরে ফাঁসি হয়।
বিপ্লবী বাঘা যতীনের এই আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে ইতিহাসের পাতায়। বাঘা যতীন বলেছিলেন, তিনি হয় ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক’ হয়ে ফিরবেন, নতুবা ‘স্বাধীন দেশের স্বপ্ন’ হবেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়টাই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি কুষ্টিয়ার মাতুলালয় কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের সাধুহাটির রিশখালি গ্রামে।
বাঘা যতীন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম নায়ক। তাঁর আসল নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি একত্র করেছিলেন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিপ্লবী সংগঠনগুলো। এরপর সংঘবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরে বিপ্লবী দলগুলো অনেক বেশি সহিংস হয়ে উঠেছিল। সেই সময়েই তিনি বিপ্লবী দলগুলোর মধ্যে নতুন এক চিন্তা ঢোকান, সেটা ছিল—‘এক হাতে রিভলভার আর অন্য হাতে সায়ানাইডের বিষ’। আর নতুন এক কৌশল, ‘সরাসরি লাট সাহেবদের মেরে, তাদের মধ্যে বিপুলভাবে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া’—এভাবে ইংরেজ বাহিনীকে পর্যুদস্ত করার পথ তিনি বাতলে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক যোগাযোগ সৃষ্টি করে অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনা তাঁর কাছ থেকে প্রথম আসে। এ জন্য তিনি জার্মানি থেকে একটি জাহাজে করে অস্ত্র আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সেই অস্ত্র জাহাজ থেকে নামিয়ে আনতে বাঘা যতীন তাঁর চারজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে নিয়ে ওডিশার বালেশ্বরের দিকে যাত্রা করেন। সে খবর ব্রিটিশদের কাছে পৌঁছে যায়। তিনি যখন তাঁর দল নিয়ে সেখানে পৌঁছান, তখন ব্রিটিশ পুলিশের বিরাট বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। শুধু পাঁচজন মিলে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে যুদ্ধ চালিয়ে তাঁরা ব্রিটিশ পুলিশের কাছে হেরে যান। সেখানেই তাঁর এক সহযোদ্ধা মারা যান। আর বাঘা যতীনসহ বাকিজনদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন হাসপাতালে মারা যান বাঘা যতীন। অন্যদের পরে ফাঁসি হয়।
বিপ্লবী বাঘা যতীনের এই আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে ইতিহাসের পাতায়। বাঘা যতীন বলেছিলেন, তিনি হয় ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক’ হয়ে ফিরবেন, নতুবা ‘স্বাধীন দেশের স্বপ্ন’ হবেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়টাই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি কুষ্টিয়ার মাতুলালয় কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের সাধুহাটির রিশখালি গ্রামে।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৪ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
৫ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৮ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
২০ দিন আগে