শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন গোয়েন্দা গল্পলেখক। তিনি চিত্রনাট্যকার হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৯৯ সালের ৩০ মার্চ উত্তর প্রদেশের জৌনপুর শহরে। আদি নিবাস ছিল উত্তর কলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চলে। স্কুলজীবন কেটেছে মুঙ্গেরে। ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় এসে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে আইএ এবং বিএ পাস করেন। এরপর বিহারের পাটনায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে যান। আইন পাস করে ওকালতি শুরু করলেও কিছুদিন পর ছেড়ে দেন।
১৯৩৮ সালে তিনি পাটনা ছেড়ে মুম্বাই গিয়ে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ‘ভাবী’, ‘বচন’, ‘দুর্গা’, ‘কঙ্গন’, ‘নবজীবন’, ‘আজাদ’, ‘পুনর্মিলন’—এসব সিনেমার গল্প লিখেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর আবার সেখান থেকে পুনে চলে গিয়ে পুরোপুরি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন।
১৯৩২ সালে তিনি সৃষ্টি করেন জনপ্রিয় চরিত্র ‘ব্যোমকেশ বক্সী’। ‘পথের কাঁটা’ উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। ব্যোমকেশ একজন গোয়েন্দা, নিজেকে সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে ব্যোমকেশ-কাহিনি মোট ৩২টি। শরদিন্দুর ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কালের মন্দিরা, গৌড়মল্লার, তুমি সন্ধ্যার মেঘ, কুমারসম্ভবের কবি, তুঙ্গভদ্রার তীরে।
জাতিস্মর, ব্যুমেরাং, চুয়াচন্দন-এর মতো গল্পসংকলনও উল্লেখযোগ্য। শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন শরদিন্দু। মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘সদাশিব’।
১৯৩৬ সালে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রেডিওতে লেখকদের নিয়ে ‘বৈকুন্ঠের খাতা’য় কেদারের চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। পরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গেও অভিনয় করেছিলেন।
শরদিন্দুর ব্যোমকেশ-কাহিনি নিয়ে ‘চিড়িয়াখানা’ চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়। এতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার। হাল আমলেও ব্যোমকেশকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলা-হিন্দি নাটক-সিনেমা। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঝিন্দের বন্দী’, তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’র মতো বিখ্যাত সিনেমাগুলো শরদিন্দুর রচনা থেকেই নির্মাণ করা হয়েছিল।
তিনি ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন গোয়েন্দা গল্পলেখক। তিনি চিত্রনাট্যকার হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৯৯ সালের ৩০ মার্চ উত্তর প্রদেশের জৌনপুর শহরে। আদি নিবাস ছিল উত্তর কলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চলে। স্কুলজীবন কেটেছে মুঙ্গেরে। ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় এসে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে আইএ এবং বিএ পাস করেন। এরপর বিহারের পাটনায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে যান। আইন পাস করে ওকালতি শুরু করলেও কিছুদিন পর ছেড়ে দেন।
১৯৩৮ সালে তিনি পাটনা ছেড়ে মুম্বাই গিয়ে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ‘ভাবী’, ‘বচন’, ‘দুর্গা’, ‘কঙ্গন’, ‘নবজীবন’, ‘আজাদ’, ‘পুনর্মিলন’—এসব সিনেমার গল্প লিখেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর আবার সেখান থেকে পুনে চলে গিয়ে পুরোপুরি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন।
১৯৩২ সালে তিনি সৃষ্টি করেন জনপ্রিয় চরিত্র ‘ব্যোমকেশ বক্সী’। ‘পথের কাঁটা’ উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। ব্যোমকেশ একজন গোয়েন্দা, নিজেকে সত্যান্বেষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে ব্যোমকেশ-কাহিনি মোট ৩২টি। শরদিন্দুর ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কালের মন্দিরা, গৌড়মল্লার, তুমি সন্ধ্যার মেঘ, কুমারসম্ভবের কবি, তুঙ্গভদ্রার তীরে।
জাতিস্মর, ব্যুমেরাং, চুয়াচন্দন-এর মতো গল্পসংকলনও উল্লেখযোগ্য। শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন শরদিন্দু। মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘সদাশিব’।
১৯৩৬ সালে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রেডিওতে লেখকদের নিয়ে ‘বৈকুন্ঠের খাতা’য় কেদারের চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। পরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গেও অভিনয় করেছিলেন।
শরদিন্দুর ব্যোমকেশ-কাহিনি নিয়ে ‘চিড়িয়াখানা’ চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়। এতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার। হাল আমলেও ব্যোমকেশকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলা-হিন্দি নাটক-সিনেমা। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঝিন্দের বন্দী’, তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’র মতো বিখ্যাত সিনেমাগুলো শরদিন্দুর রচনা থেকেই নির্মাণ করা হয়েছিল।
তিনি ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
১ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগেমাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
৩ দিন আগে