সম্পাদকীয়
১৯৯০ সাল। ঢাকার রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছিল সব মত ও পেশার মানুষ। লক্ষ্য একটাই ছিল—এরশাদ স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তাই ঢাকা শহর সে সময় পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ২৩ দফার ভিত্তিতে যখন অগণতান্ত্রিক সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই সামরিক স্বৈরাচারের দোসরদের সহায়তায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি। এর বিরুদ্ধে বিএমএ-এর নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশে চলছিল চিকিৎসকদের কর্মবিরতি।
২৭ নভেম্বর তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চলছিল বিএমএ আহূত চিকিৎসক সমাবেশ। এতে যোগদানের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে রিকশাযোগে শাহবাগের পিজি হাসপাতালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বিএমএর যুগ্ম সম্পাদক ডা. মিলন ও মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-সংলগ্ন টিএসসি মোড় অতিক্রমের সময় তাঁদের রিকশা লক্ষ্য করে গুলি চালায় সামরিক জান্তা বাহিনী। বুকে গুলি লেগে রিকশা থেকে লুটিয়ে পড়েন ডা. মিলন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
পুরো নাম শামসুল আলম খান মিলন হলেও তিনি শহীদ ডা. মিলন নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায়। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সেখানেই ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডা. মিলন একজন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। ছাত্রজীবনে জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশের পেশাজীবী আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক।
১৯৯০ সাল। ঢাকার রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছিল সব মত ও পেশার মানুষ। লক্ষ্য একটাই ছিল—এরশাদ স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তাই ঢাকা শহর সে সময় পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ২৩ দফার ভিত্তিতে যখন অগণতান্ত্রিক সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই সামরিক স্বৈরাচারের দোসরদের সহায়তায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি। এর বিরুদ্ধে বিএমএ-এর নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশে চলছিল চিকিৎসকদের কর্মবিরতি।
২৭ নভেম্বর তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চলছিল বিএমএ আহূত চিকিৎসক সমাবেশ। এতে যোগদানের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে রিকশাযোগে শাহবাগের পিজি হাসপাতালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বিএমএর যুগ্ম সম্পাদক ডা. মিলন ও মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-সংলগ্ন টিএসসি মোড় অতিক্রমের সময় তাঁদের রিকশা লক্ষ্য করে গুলি চালায় সামরিক জান্তা বাহিনী। বুকে গুলি লেগে রিকশা থেকে লুটিয়ে পড়েন ডা. মিলন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
পুরো নাম শামসুল আলম খান মিলন হলেও তিনি শহীদ ডা. মিলন নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায়। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সেখানেই ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডা. মিলন একজন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। ছাত্রজীবনে জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশের পেশাজীবী আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক।
আল বিরুনি একাধারে ছিলেন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক, পঞ্জিকাবিদ, দার্শনিক, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। তাঁর পুরো নাম আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৯৭৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের খোয়ারিজম (বর্তমান খিভা) শহরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালির হৃদয়তন্ত্রীতে ধ্বনিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...’ অমর পঙ্ক্তিমালা, যার রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে খ্যাতিমান এই মানুষটি গোটা জীবন কাটিয়েছেন লেখালেখি করেই। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। আমৃত্যু কলম ছাড়েননি।
২ দিন আগেকবি বিনয় মজুমদার তাঁর বাবার কর্মস্থল মিয়ানমারের মিকটিলা জেলার টোডো শহরে ১৯৩৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে বাংলায় পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় চলে আসেন পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের বৌলতলী গ্রামে।
৩ দিন আগেইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার ১৮৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্তমান নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের কড়চমারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর পর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে কলকাতার হেয়ার স্কুল ও সিটি কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে আবার ফিরে এসে রাজশাহী কলেজিয়েট
৪ দিন আগে