সম্পাদকীয়
নিজের জীবন উৎসর্গ করে মঈন হোসেন রাজু হয়ে উঠেছিলেন ইতিহাসের সন্তান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণার উৎস। একজন রাজুর আত্মদানে জন্ম নেয় হাজারো রাজু, যারা শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস আর দখলদারির বিরুদ্ধে আজও মেরুদণ্ড সোজা করে প্রতিবাদ করে।
মঈন হোসেন রাজুর জন্ম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তবে তাঁর পরিবার প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ঢাকায় থাকার সময় তিনি স্কুলজীবনেই যুক্ত হন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে। ১৯৮৭ সালে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ছিলেন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তিনি নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ক্যাম্পাসে তখনকার বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের জোট গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের বন্দুকযুদ্ধ চলাকালেই গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মঈন হোসেন রাজু মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর শহীদি আত্মবলিদানকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনের সড়ক মোড়ে তৈরি করা হয় ‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য’। তাঁর মৃত্যুর পর এ দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান তাঁকে নিয়ে ‘পুরানের পাখি’ নামের কবিতাটি লিখেছিলেন।
১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন। ভাস্কর্যটির নকশাকার ছিলেন ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী। প্রতিবছর ১৩ মার্চ ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু দিবস পালন করা হয়।
নিজের জীবন উৎসর্গ করে মঈন হোসেন রাজু হয়ে উঠেছিলেন ইতিহাসের সন্তান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণার উৎস। একজন রাজুর আত্মদানে জন্ম নেয় হাজারো রাজু, যারা শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস আর দখলদারির বিরুদ্ধে আজও মেরুদণ্ড সোজা করে প্রতিবাদ করে।
মঈন হোসেন রাজুর জন্ম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তবে তাঁর পরিবার প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ঢাকায় থাকার সময় তিনি স্কুলজীবনেই যুক্ত হন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে। ১৯৮৭ সালে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ছিলেন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তিনি নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ক্যাম্পাসে তখনকার বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের জোট গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের বন্দুকযুদ্ধ চলাকালেই গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মঈন হোসেন রাজু মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর শহীদি আত্মবলিদানকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনের সড়ক মোড়ে তৈরি করা হয় ‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য’। তাঁর মৃত্যুর পর এ দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান তাঁকে নিয়ে ‘পুরানের পাখি’ নামের কবিতাটি লিখেছিলেন।
১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন। ভাস্কর্যটির নকশাকার ছিলেন ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী। প্রতিবছর ১৩ মার্চ ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু দিবস পালন করা হয়।
আজ ‘গৃহস্থালি কাজকে না বলুন’ দিবস। এই দিনে সবাইকে উৎসাহিত করা হয় গৃহস্থালি কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নিজের জন্য সময় দেওয়ায়। ১৯৮০–এর দশকে এই দিনটির প্রচলন হয়। দিবসটির সূচনা করেন থমাস এবং রুথ রায়, যারা ওই সময় বিভিন্ন মজার ছুটি তৈরির জন্য পরিচিত ছিলেন।
১ দিন আগে১৯৮৮ সালের ৮ আগস্ট, প্যারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দরে পৌঁছান ৪২ বছর বয়সী নাসেরি। তাঁর গন্তব্য ছিল লন্ডন। সে জন্য ফ্রান্সে ট্রানজিট নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাঁধে বিপত্তি। তাঁর কাছে বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। এ কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোনো ফ্লাইটে উঠতে দেয়নি। ফলস্বরূপ তিনি আটকা পড়ে যান সেখানেই।
৫ দিন আগেকানাডার অন্টারিও প্রদেশের কিংস্টোন শহরে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই ঈদ উল্ ফিতর উদ্যাপন করেছেন কুইনস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও কমিউনিটির সদস্যরা। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা ইন-ডোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন...
৬ দিন আগে১৭০০ সালের ফ্রান্সে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো প্রকাশ্যে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ত মানুষ। তবে এখানেও ছিল শ্রেণিবৈষম্য! গরিব অপরাধীদের জন্য সাধারণ শাস্তি ছিল কোয়ার্টারিং। কোয়ার্টারিং এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে অপরাধীর চার হাত-পা চারটি গরুর সঙ্গে বাঁধা হতো।
১১ দিন আগে