সম্পাদকীয়
খান সারওয়ার মুরশিদের বড় পরিচয় তিনি রাজনীতি ও সমাজমনষ্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর স্বভাবধর্মে ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, যা তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে অন্যত্রও করেছেন।
শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন আদর্শ এবং কিংবদন্তিতুল্য প্রতিভার অধিকারী। ১৯৪৭ সালের পরে কিছুদিন তিনি ইংরেজি ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নিউ ভ্যালুজ’ সম্পাদনা করেন। এটি শুধু উচ্চমানের সাহিত্য পত্রিকা ছিল না, একই সঙ্গে ওই সময়ের বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে উৎকণ্ঠা, পাকিস্তানের রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা, পূর্ববাংলার নিজস্ব উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করত। পত্রিকাটি একটি ইহজাগতিক, গণতান্ত্রিক ও সীমিতভাবে হলেও সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল।
খান সারওয়ার মুরশিদ ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। এরপর ব্রিটেনের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ইয়েটস, হাক্সলে ও এলিয়টের ওপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব।
১৯৫১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংস্কৃতি সংসদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রবল বাধা পেরিয়ে ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী পালনে নেতৃত্ব দেন। তিনি এ উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি প্রণয়নে নীতিনির্ধারকদের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পরপর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এখানে তাঁর অন্যতম কৃতি হলো, ‘ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’ প্রতিষ্ঠা করা। এক সমাবর্তনে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ফরাসি বুদ্ধিজীবী আন্দ্রে মার্লোকে সম্মানজনক ডি-লিট প্রদান করেন। তারপর তিনি পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন গণ-আদালতের গণতদন্ত কমিশনের সদস্য ছিলেন।
খান সারওয়ার মুরশিদের একমাত্র গ্রন্থ ‘কালের কথা’। তাঁর প্রকাশিত নিউ ভ্যালুজ পত্রিকার লেখা নিয়ে ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করে ‘খান সারওয়ার মুরশিদ’স নিউ ভ্যালুজ ফর এ নিউ জেনারেশন’।
কৃতী এই শিক্ষাবিদ ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
খান সারওয়ার মুরশিদের বড় পরিচয় তিনি রাজনীতি ও সমাজমনষ্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর স্বভাবধর্মে ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, যা তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে অন্যত্রও করেছেন।
শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন আদর্শ এবং কিংবদন্তিতুল্য প্রতিভার অধিকারী। ১৯৪৭ সালের পরে কিছুদিন তিনি ইংরেজি ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নিউ ভ্যালুজ’ সম্পাদনা করেন। এটি শুধু উচ্চমানের সাহিত্য পত্রিকা ছিল না, একই সঙ্গে ওই সময়ের বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে উৎকণ্ঠা, পাকিস্তানের রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা, পূর্ববাংলার নিজস্ব উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করত। পত্রিকাটি একটি ইহজাগতিক, গণতান্ত্রিক ও সীমিতভাবে হলেও সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল।
খান সারওয়ার মুরশিদ ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। এরপর ব্রিটেনের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ইয়েটস, হাক্সলে ও এলিয়টের ওপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব।
১৯৫১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংস্কৃতি সংসদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রবল বাধা পেরিয়ে ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী পালনে নেতৃত্ব দেন। তিনি এ উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি প্রণয়নে নীতিনির্ধারকদের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পরপর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এখানে তাঁর অন্যতম কৃতি হলো, ‘ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’ প্রতিষ্ঠা করা। এক সমাবর্তনে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ফরাসি বুদ্ধিজীবী আন্দ্রে মার্লোকে সম্মানজনক ডি-লিট প্রদান করেন। তারপর তিনি পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন গণ-আদালতের গণতদন্ত কমিশনের সদস্য ছিলেন।
খান সারওয়ার মুরশিদের একমাত্র গ্রন্থ ‘কালের কথা’। তাঁর প্রকাশিত নিউ ভ্যালুজ পত্রিকার লেখা নিয়ে ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করে ‘খান সারওয়ার মুরশিদ’স নিউ ভ্যালুজ ফর এ নিউ জেনারেশন’।
কৃতী এই শিক্ষাবিদ ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১৮ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে