Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রংপুর

ভারতে বাংলাদেশি নাগরিককে হেনস্তা

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

ভারতে বাংলাদেশি নাগরিককে হেনস্তা
ভারতে বাংলাদেশি নাগরিককে হেনস্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের চ্যাংড়াবান্ধায় আজাদুর রহমান আজাদ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার চ্যাংড়াবান্ধায় জনৈক কাস্টমস কর্মকর্তার ইন্ধনে গাড়িচালক ও মানি এক্সচেঞ্জ দোকানের কর্মচারীর যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটে। পরে দেশে ফিরে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

জানা গেছে, ঢাকার পল্লবী এলাকার বাসিন্দা আজাদুর রহমান আজাদের ছেলে ভারতের দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং এলাকার একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তিনি ছেলেকে আনতে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে সে দেশে প্রবেশ করেন।

এ সময় কোনো দালাল না ধরে সরাসরি ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে জনৈক কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে যান। কাস্টমস কর্মকর্তা মানি এক্সচেঞ্জের (মুদ্রা বিনিময়) একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে টাকা বিনিময় করার কথা বলেন। আজাদ এ সময় নিজের ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠানে ইউএস ডলার মুদ্রা বিনিময় করবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তাকে।

এ কথা বলায় ওই কর্মকর্তা কয়েকজন গাড়িচালক ও মানি এক্সচেঞ্জ দোকানের কর্মচারীকে আজাদের পেছনে লেলিয়ে দেন। আজাদ অন্য প্রতিষ্ঠানে মুদ্রা বিনিময় করে গাড়িতে উঠতে গেলে কয়েকজন চালক ও দোকানের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বাধা দেন। এ সময় আজাদের সঙ্গে থাকা তাঁর ট্রাভেল ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেন এবং তাঁকে (আজাদ) হেঁটে যেতে বলেন। তিনি সড়কে চলাচলরত অটোগাড়িতে ও মাথাভাঙ্গা যাওয়ার বাসে উঠতে চাইলেও উঠতে দেননি তাঁরা।

একপর্যায়ে আজাদ প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক হেঁটে চ্যাংড়াবান্ধা সড়কের ট্রাফিক পুলিশের শরণাপন্ন হন। এ সময় মেখলিগঞ্জ থানা-পুলিশের ওসি ও চ্যাংড়াবান্ধা পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ডেকে আনেন ওই ব্যক্তিরা। পরে তাঁকে (আজাদ) ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন তাঁরা।

এ সময় তাঁরা (চালক-কর্মচারীরা) আজাদ ভারতকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছেন বলে উচ্চ বাচ্য করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আজাদকে পুলিশ মেখলিগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। মেখলিগঞ্জ থানা-পুলিশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন পুলিশকে একটি লিখিত (ফরওয়ার্ডিং) দিয়ে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে চ্যাংড়াবান্ধায় পাঠায়।

চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীকালে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁর ভিসা বাতিল করে ফেরত পাঠানোর সময় ক্ষমা না চাইলে দেশে ফিরে যেতে দেবেন না বলে জানান ওই ব্যক্তিরা। এ সময় জামাতি ও বাংলাদেশি আতঙ্কবাদী, ধর ধর, লাথি মার বলে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। বিকেলে আজাদকে ফেরত পাঠায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

সন্ধ্যায় আজাদুর রহমান আজাদ সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘চ্যাংড়াবান্ধায় কোনো দালালের মাধ্যমে কাজ না করায় ও ওখানকার কাস্টমস কর্মকর্তার পছন্দমতো মানি এক্সচেঞ্জে টাকা বিনিময় না করায় গাড়িচালক-মানি এক্সচেঞ্জ দোকানের কর্মচারীদের দিয়ে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে আমাকে হয়রানি ও অপমান, অপদস্থ করা হয়েছে।’

আজাদ বলেন, ‘ঈদে আমার ছেলেকে আনতে পারিনি। আমি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশন ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ঘটনার তদন্ত করে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিচার দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি ওই ব্যক্তি ভারতে গিয়ে শেয়ারিং গাড়িতে ওঠা নিয়ে চালকের সঙ্গে বিতর্ক হয়। ইন্ডিয়া নিয়ে নাকি আপত্তিকর কথা বলায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়। পরে তাঁকে ফেরত পাঠায়।’

এক টাকায় ঈদবাজার পেল ২৫০ পরিবার

ফুলবাড়ীতে পত্রিকা বিক্রেতাদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ

সীমান্তে বাংলাদেশিদের মাছ চুরি ভারতীয়দের, মারামারিতে আহত ৩

গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১

অসহায় দাবি করে পরিবারে আশ্রয়, ৪ শিশু নিয়ে নারীর পালানোর চেষ্টা

ওষুধ সরবরাহ ৪ মাস বন্ধ, চিকিৎসা ব্যাহত

বদ্ধ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন মা, কাঁদছিল শিশু

ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএসের চালসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

স্বাধীনতার ম্যুরাল ঢেকে দিল জেলা প্রশাসন, অন্যত্র শ্রদ্ধা টিআইবি-সনাকের