অনলাইন ডেস্ক
তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বলেছিল, ইসরায়েলকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হবে। তবে সেই ঘোষণার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও ইসরায়েলকে শাস্তি দিতে ইরানি তোড়জোড় খুব এক লক্ষ্য করা যায়নি।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন ইসমাইল হানিয়া। সে সময় তিনি ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল, ইসরায়েলে ইরানি হামলা অত্যাসন্ন। তবে সে ধরনের কোনো ঘটন ঘটেনি।
গত সপ্তাহে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) মুখপাত্র বলেন যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ফলে ইরান কবে ইসরায়েলে হামলা চালাবে সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা শুরু হয়।
এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা হামলা চালিয়ে দেশটির দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে। ইরান ত্বরিত সেই হামলার জবাব দিয়েছিল। ৩ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ঝাঁকের সাহায্যে ইরান ইসরায়েলে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু এবার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের প্রতিশোধ নিতে বিলম্ব করার বিষয়টি তেহরানের বর্তমান কৌশল সম্পর্কে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
ইরান কেন ইসরায়েলে হামলা করার বিষয়টি নিয়ে দ্বিধান্বিত—তা ব্যাখ্যা করতে বিশ্লেষকেরা কয়েকটি পয়েন্ট সামনে হাজির করেছেন। সেগুলোর মধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো, ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ইরান হয়তো দ্বিধান্বিত এবং এই হামলার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি জড়িত হয়ে পড়ে তবে তা একটি বিস্তৃত সংঘাতে পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ইরানের বর্তমান নেতৃত্ব—যার সর্বোপরি ইরানের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়—সম্ভবত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক যা তাদের নিয়ন্ত্রণকে দুর্বল করতে পারে।
বোস্টন ইউনিভার্সিটির ফ্রেডরিক এস পারডি সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লং-রেঞ্জ ফিউচারের ভিজিটিং ফেলো আরাশ আজিজি বলেন, ‘ইরানের অনেকেই—দেশটির রাজনৈতিক শ্রেণির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বসহ—দেশটির নেতৃত্বকে সর্বাত্মক যুদ্ধের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করছেন যা দেশের জন্য সত্যিকার অর্থে ধ্বংসাত্মক এবং সরকারের জন্য মারাত্মক হতে পারে।’
এ ছাড়া, ইরানের জলসীমার কাছাকাছি মার্কিন সামরিক উপস্থিতিও হয়তো তেহরানকে বিরত রাখতে বাধ্য করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের মতে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ইরানের নেতাদের চিন্তাভাবনাকে ঠান্ডা করে দিয়েছে।
ইরান এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি তীব্রভাবে এড়িয়ে গেছে। এর একটি প্রমাণ হলো—ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সুলাইমানিকে ২০২০ সালে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু তখনো ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এমনকি কাসেম সুলাইমানির ব্যাপক গুরুত্ব থাকার পরও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো থেকে বিরত ছিল।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থাকার আরেকটি কারণ হতে পারে, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা। ইরান চায় না এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যা এই আলোচনাকে লাইনচ্যুত করতে পারে। এ ছাড়া, এমনটা করে ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দোষী হিসেবেও বিবেচিত হতে চায় না।
আগামী নভেম্বরে হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও সতর্ক ইরান। তেহরানে ক্ষমতাসীনরা এমন কিছু করতে চায় না যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টিই ত্বরান্বিত হয়। কারণ, বর্তমান বাইডেন প্রশাসন ইরানের ব্যাপারে যতটা নমনীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো তার চেয়েও অনেক বেশি আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে। যার প্রমাণ নিকট অতীতেই পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ গোলকার বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে (ইরানের) যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বড় সংঘর্ষে টেনে আনবে, যা নভেম্বরের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করতে পারে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র (ইরান) ট্রাম্পকে আবার নির্বাচিত হওয়া থেকে আটকাতে যা প্রয়োজন নিজের তরফ থেকে, তার সবটাই করবে।’
তবে এতগুলো শর্ত বা কারণ হাজির থাকার পরও হয়তো ইরান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য। বিশেষ করে নিজের মাটিতে মিত্র গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর বিষয়টি ইরানের জন্য ইজ্জতের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গত এপ্রিল ইরান ইসরায়েলে যে প্রতীকী আক্রমণ চালিয়েছিল, সে ধরনের কোনো আক্রমণ চালিয়ে হলেও প্রতিশোধ নিতে হবে বাধ্য ইরান। তবে এবারে এপ্রিলে ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল তার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরাসরি ব্যবহার করা নাও হতে পারে।
সব মিলিয়ে ইরান এখনো কিছুটা দ্বিধান্বিত। বিশেষ করে কীভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বাধা দেওয়া যায়—সেই বিষয়টি নিয়ে ইরান অনেক বেশি দ্বিধান্বিত। বর্তমানে ইরানের নেতৃত্ব এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটির সমর্থকদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মাঝে যে দূরত্ব সেটি কীভাবে মেটানো যায় সেটিই এখন তেহরানের মূল চিন্তা।
আল-আরাবিয়া থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বলেছিল, ইসরায়েলকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হবে। তবে সেই ঘোষণার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও ইসরায়েলকে শাস্তি দিতে ইরানি তোড়জোড় খুব এক লক্ষ্য করা যায়নি।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন ইসমাইল হানিয়া। সে সময় তিনি ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল, ইসরায়েলে ইরানি হামলা অত্যাসন্ন। তবে সে ধরনের কোনো ঘটন ঘটেনি।
গত সপ্তাহে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) মুখপাত্র বলেন যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ফলে ইরান কবে ইসরায়েলে হামলা চালাবে সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা শুরু হয়।
এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা হামলা চালিয়ে দেশটির দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে। ইরান ত্বরিত সেই হামলার জবাব দিয়েছিল। ৩ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ঝাঁকের সাহায্যে ইরান ইসরায়েলে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু এবার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের প্রতিশোধ নিতে বিলম্ব করার বিষয়টি তেহরানের বর্তমান কৌশল সম্পর্কে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
ইরান কেন ইসরায়েলে হামলা করার বিষয়টি নিয়ে দ্বিধান্বিত—তা ব্যাখ্যা করতে বিশ্লেষকেরা কয়েকটি পয়েন্ট সামনে হাজির করেছেন। সেগুলোর মধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো, ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ইরান হয়তো দ্বিধান্বিত এবং এই হামলার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি জড়িত হয়ে পড়ে তবে তা একটি বিস্তৃত সংঘাতে পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ইরানের বর্তমান নেতৃত্ব—যার সর্বোপরি ইরানের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়—সম্ভবত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক যা তাদের নিয়ন্ত্রণকে দুর্বল করতে পারে।
বোস্টন ইউনিভার্সিটির ফ্রেডরিক এস পারডি সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লং-রেঞ্জ ফিউচারের ভিজিটিং ফেলো আরাশ আজিজি বলেন, ‘ইরানের অনেকেই—দেশটির রাজনৈতিক শ্রেণির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বসহ—দেশটির নেতৃত্বকে সর্বাত্মক যুদ্ধের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করছেন যা দেশের জন্য সত্যিকার অর্থে ধ্বংসাত্মক এবং সরকারের জন্য মারাত্মক হতে পারে।’
এ ছাড়া, ইরানের জলসীমার কাছাকাছি মার্কিন সামরিক উপস্থিতিও হয়তো তেহরানকে বিরত রাখতে বাধ্য করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের মতে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ইরানের নেতাদের চিন্তাভাবনাকে ঠান্ডা করে দিয়েছে।
ইরান এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি তীব্রভাবে এড়িয়ে গেছে। এর একটি প্রমাণ হলো—ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সুলাইমানিকে ২০২০ সালে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু তখনো ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এমনকি কাসেম সুলাইমানির ব্যাপক গুরুত্ব থাকার পরও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো থেকে বিরত ছিল।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থাকার আরেকটি কারণ হতে পারে, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা। ইরান চায় না এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যা এই আলোচনাকে লাইনচ্যুত করতে পারে। এ ছাড়া, এমনটা করে ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দোষী হিসেবেও বিবেচিত হতে চায় না।
আগামী নভেম্বরে হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও সতর্ক ইরান। তেহরানে ক্ষমতাসীনরা এমন কিছু করতে চায় না যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টিই ত্বরান্বিত হয়। কারণ, বর্তমান বাইডেন প্রশাসন ইরানের ব্যাপারে যতটা নমনীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো তার চেয়েও অনেক বেশি আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে। যার প্রমাণ নিকট অতীতেই পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ গোলকার বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে (ইরানের) যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বড় সংঘর্ষে টেনে আনবে, যা নভেম্বরের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করতে পারে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র (ইরান) ট্রাম্পকে আবার নির্বাচিত হওয়া থেকে আটকাতে যা প্রয়োজন নিজের তরফ থেকে, তার সবটাই করবে।’
তবে এতগুলো শর্ত বা কারণ হাজির থাকার পরও হয়তো ইরান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য। বিশেষ করে নিজের মাটিতে মিত্র গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর বিষয়টি ইরানের জন্য ইজ্জতের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গত এপ্রিল ইরান ইসরায়েলে যে প্রতীকী আক্রমণ চালিয়েছিল, সে ধরনের কোনো আক্রমণ চালিয়ে হলেও প্রতিশোধ নিতে হবে বাধ্য ইরান। তবে এবারে এপ্রিলে ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল তার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরাসরি ব্যবহার করা নাও হতে পারে।
সব মিলিয়ে ইরান এখনো কিছুটা দ্বিধান্বিত। বিশেষ করে কীভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বাধা দেওয়া যায়—সেই বিষয়টি নিয়ে ইরান অনেক বেশি দ্বিধান্বিত। বর্তমানে ইরানের নেতৃত্ব এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটির সমর্থকদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মাঝে যে দূরত্ব সেটি কীভাবে মেটানো যায় সেটিই এখন তেহরানের মূল চিন্তা।
আল-আরাবিয়া থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৮ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৮ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
৯ দিন আগেএই শহরের সমর্থকেরা, এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। শহরটিতে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সংযোগ সাধন করা হবে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই শহরের মূল ধারণাটি আসলে জটিল। মূলত এই শহরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে এটি একটি ‘অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে এবং ভারতে প্রবেশে একটি দুয়ার হি
৯ দিন আগে