কৃষকের বাজার থেকে পণ্য কিনে হাসিমুখে ফিরছেন তাঁরা

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫০
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৯
সীতাকুণ্ডে কৃষকের বাজারে পণ্য কিনতে এসেছেন ক্রেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষকের বাজারে পণ্য কিনতে এসেছিলেন হতদরিদ্র সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাক নাসির উদ্দিন। তিনি বাজার ঘুরে সবজি, ডিমের পাশাপাশি কিনেছেন বেশ কয়েকটি পণ্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে।

শুধু নাসির উদ্দিন নন, সম্প্রতি চালু হওয়া এ কৃষকের বাজার থেকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনতে পেরে আত্মতৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ জনগণের মুখে।

আলাপকালে অটোরিকশা চালক নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা চালান। দিন শেষে যা উপার্জন হয় তা থেকে মালিকের ৪৫০ টাকা জমা দেওয়ার পর হাতে আর তেমন টাকা থাকে না। তবে উপার্জন কম হলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়া পণ্যের দামের কারণে অর্থাভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটছে।

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভালো-মন্দ খাওয়া তো দূরে থাক, পরিবারের সদস্যদের মুখে দুই বেলা দুই মুঠো ভাত তুলে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কৃষকের বাজার বসিয়ে উপজেলা প্রশাসন যেভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’

আয়োজকেরা জানান, সাধারণ জনগণের কিছুটা দুর্দশা লাঘবে সীতাকুণ্ডের পৌরসভার মুখে এ কৃষকের বাজার বসিয়েছেন তারা। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বসানো এ বাজারের সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ বাজার চলবে।

এই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বাজারে বরকটি ৫৫, ঝিঙে ৫৫, ঢ্যাঁড়স ৫৫, লাউ বড় (আকারের) ৫৫ ও একটু ছোট আকারের ৫০, মিষ্টি কুমড়ো প্রতিটি ৮০, (দুই থেকে তিন কেজি) লাল শাক ২০, কাঁকরোল ৭০ ও ডিম ১ ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাজারে আসা ক্রেতা মিলন দাস বলেন, পরিবারের জন্য দুই বেলা দুমুঠো খাবারের জোগাড় করা অনেকটাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেটের এ বাজারে উপজেলা প্রশাসনের কৃষকের বাজার চালুর এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ বাজার থেকে সাধ্যমতো দামে পণ্য কিনতে পেরে আনন্দিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষকের বাজারে স্বল্পমূল্যে জনসাধারণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও সবজি বিক্রয় করা হচ্ছে। সরাসরি পাইকারি দামে কৃষকের পণ্য এখানে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে এখানে নেই কোনো সিন্ডিকেট।

তিনি আরও বলেন, ব্যতিক্রমী কৃষকের এই বাজারে পণ্য বিক্রি করে একদিকে যেমন কৃষক লাভবান হচ্ছেন অন্যদিকে সাধ্যানুযায়ী দামে পণ্য কিনতে পেরে স্বস্তিতে সাধারণ জনগণ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে দারুণ সাড়া ফেলা এ কৃষকের বাজার পণ্যের দাম না কমা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত