সাহস মোস্তাফিজ
মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো খুবই গতিপ্রিয়। পবিত্র আল-কোরআনে সুরা বনী ইসরায়েলে এভাবেই মানুষের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নাটকে স্যাটায়ার করে বারবারই বলেছেন—‘হে মানবজাতি, তোমদের বড়ই তাড়াহুড়া!’ এতই তাড়া যে, একজন মানুষ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দিতে হবে, ‘তিনি আর নেই...’!
গত কয়েক বছরে সংবাদমাধ্যমের নিয়মিত একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোনো বিশেষ ব্যক্তির মৃত্যুর গুজব নিয়ে প্রতিবেদন করা। ‘নায়ক ফারুক মারা যাননি’, ‘নায়ক আলমগীর মারা যাননি’, ‘আমার জানের দাদাকে নিয়ে ফেক নিউজ করবেন না’, ‘শিল্পী ফকির আলমগীর মারা যাননি’, ‘অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান মারা যাননি’, ‘ইত্যাদির সেই নাতি মারা যাননি’, ‘পরেশ রাওয়াল ঘুমাচ্ছিলেন’—এমন শিরোনাম দিয়ে সংবাদ করাটাই যেন এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। না করেই বা করবে কী? কারণ, কয়েক দিন পরপর মৃত্যুর অসত্য তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। কে জানে, ক’দিন পর সংবাদমাধ্যমগুলোতে মৃত্যুর গুজববিষয়ক নতুন ‘বিট’ খুলতে হয় কি না।
এই ধরুন, গত দুদিন ধরে ফেসবুকে পোস্ট করে লোকে জানান দিচ্ছে—সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আর নেই। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। কোত্থেকে ফেসবুকে কেউ পোস্ট করেছে, চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল মারা গেছেন। না জেনে, না বুঝে শেয়ার করে জীবিত মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেখা গেছে, অনেক সচেতন মানুষই সেটা করছেন। হয়তো না বুঝেই।
ফেসবুকে যেসব মানুষের মৃত্যুর অসত্য তথ্য ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা গেছে, সমাজের মানুষ বিশ্বাস করেন এমন অনেকেই তাঁর ফেসবুকে ওই তথ্য দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে যাকে মৃত ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, তাঁর কাছের লোকেরাও এই ভুল করেন।
আমরা দেখতে পাই, মৃত্যুর এই খবরগুলো ছড়ায় আগুনের মতো। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের ওয়াল থেকে ওয়ালে। শেয়ার করার আগে কেউ বাছবিচার করেন না। উল্টো, ওই ব্যক্তির সঙ্গে নিজের কোনো ছবি আছে কি না, তা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কে কার আগে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে সমবেদনা জানাবেন, তারই যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পোস্টগুলো এমন মানুষের ওয়ালে শেয়ার করতে দেখা যায়, যার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির কোনো সম্পর্কই নেই। তবু এ ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়।
একজন জীবিত মানুষ যখন ফেসবুকে মৃতের খেতাব পান, তাঁর পরিবারের অবস্থাটা একবার ভাবুন। নিজেকে ওই জায়গায় বসান। অনেক আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে থাকতে পারেন, ঢাকার বাইরে থাকতে পারেন। তাঁদের মানসিক অবস্থাটা ভাবুন। বিষয়টা এমন হয়ে যায় যে, অসুস্থ নিকটজনের সেবা করার চেয়ে তিনি মারা গেছেন কি না, সেটার আপডেট দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় স্বজনদের। কারণ, ফেসবুকের ওই পোস্ট দেখে একের পর এক ফোন আসতে থাকে ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী বা স্বামীর মোবাইল ফোনে। সবাইকে একই উত্তর দিতে হয়—‘তিনি মারা যাননি’।
অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনির কান্নার কথা মনে আছে তো? বরেণ্য ওই শিল্পী মারা যাওয়ার আগেই তোলপাড় শুরু হলো। মৃত্যুর খবর এল সংবাদমাধ্যমেও, ছড়াল ফেসবুকে। যেন দ্রুত বিদায় দিতে পারলেই সবার কত লাভ। হাসপাতালের নানা ঝক্কি সামলে বাচ্চা মেয়েটি ফেসবুক লাইভে এসে হাত জোড় করে মিনতি করে জানিয়েছিল—‘জানের দাদা বেঁচে আছেন, ফেক নিউজ ছড়াবেন না।’ এ টি এম শামসুজ্জামান বেঁচে থাকতে বেশ কয়েকবার মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। একবার তো নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে বললেন, তিনি বেঁচে আছেন। অবশেষে তিনি যেন মরে গিয়েই বেঁচে গেছেন। অনেকটা গল্পের সেই কাদম্বিনীর মতো, যাকে মরে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে, সে আগে মরেনি। আক্ষরিক অর্থে না হলেও বাংলাদেশে এই কাদম্বিনীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
ফেসবুকটা আমাদের জন্য এখনো নতুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জায়গাটা তাই বাড়ছেই। সামাজিক মাধ্যমের জীবনাচার জানা নেই, কিন্তু আইডি আছে। টিকটক জেনারেশনের মধ্যে এই গলদ তো ছিলই, সাম্প্রতিককালে পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের ফেসবুকে যুক্ত হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের সবকিছু বিশ্বাস করার বাতিক তাঁদের মধ্যে বেশি লক্ষ করা যায়। একশ্রেণির ফেসবুক ব্যবসায়ী তাঁদের পেজের কাটতি বাড়াতে যা ইচ্ছা তাই পোস্ট করছেন। যত বিভ্রান্তিকর তথ্য, তত ভিউ, তত পয়সা।
একজন বাবা তাঁর পরিবারের কাছে বটবৃক্ষের ছায়া। একটি মানুষের মৃত্যু তাঁর পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাই মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট করার আগে সতর্ক হতে হবে আমাদের। কারও মৃত্যুর খবর পোস্ট করার আগে নিজেকেই কিছু প্রশ্ন করুন। জানুন, সেই খবরের উৎস কী? যিনি তথ্য দিচ্ছেন, তিনি কে? তিনি কি এমন কেউ, যিনি মৃত ব্যক্তির কাছে আছেন? এমন কেউ কি, যিনি মৃতের আপনজন? খবরটি কি কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এসেছে? কোনো স্পষ্ট ছবি বা ভিডিও কি দেখেছেন? এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনার কাছে না থাকলে ফেসবুকে মৃত্যুর সংবাদ পোস্ট করবেন না। যদি দিতেই হয়, অন্তত নির্ভরযোগ্য কোনো নিকটাত্মীয়কেই ফোন দিয়ে নিশ্চিত হোন বা নিজে হাসপাতালে যান।
তবে এ রকম অবস্থায় হাসপাতালে ভিড় করা বা নিকটাত্মীয়কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করাটাও খুব জরুরি কি? যদি তা না হয়, তবে তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরাটাই শ্রেয় নয় কি? আপনি ফেসবুক স্ট্যাটাস না দিলে মৃতের খুব বেশি উপকার তো হবে না। কিন্তু ভুল খবর দিলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো খুবই গতিপ্রিয়। পবিত্র আল-কোরআনে সুরা বনী ইসরায়েলে এভাবেই মানুষের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নাটকে স্যাটায়ার করে বারবারই বলেছেন—‘হে মানবজাতি, তোমদের বড়ই তাড়াহুড়া!’ এতই তাড়া যে, একজন মানুষ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দিতে হবে, ‘তিনি আর নেই...’!
গত কয়েক বছরে সংবাদমাধ্যমের নিয়মিত একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোনো বিশেষ ব্যক্তির মৃত্যুর গুজব নিয়ে প্রতিবেদন করা। ‘নায়ক ফারুক মারা যাননি’, ‘নায়ক আলমগীর মারা যাননি’, ‘আমার জানের দাদাকে নিয়ে ফেক নিউজ করবেন না’, ‘শিল্পী ফকির আলমগীর মারা যাননি’, ‘অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান মারা যাননি’, ‘ইত্যাদির সেই নাতি মারা যাননি’, ‘পরেশ রাওয়াল ঘুমাচ্ছিলেন’—এমন শিরোনাম দিয়ে সংবাদ করাটাই যেন এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। না করেই বা করবে কী? কারণ, কয়েক দিন পরপর মৃত্যুর অসত্য তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। কে জানে, ক’দিন পর সংবাদমাধ্যমগুলোতে মৃত্যুর গুজববিষয়ক নতুন ‘বিট’ খুলতে হয় কি না।
এই ধরুন, গত দুদিন ধরে ফেসবুকে পোস্ট করে লোকে জানান দিচ্ছে—সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আর নেই। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। কোত্থেকে ফেসবুকে কেউ পোস্ট করেছে, চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল মারা গেছেন। না জেনে, না বুঝে শেয়ার করে জীবিত মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেখা গেছে, অনেক সচেতন মানুষই সেটা করছেন। হয়তো না বুঝেই।
ফেসবুকে যেসব মানুষের মৃত্যুর অসত্য তথ্য ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা গেছে, সমাজের মানুষ বিশ্বাস করেন এমন অনেকেই তাঁর ফেসবুকে ওই তথ্য দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে যাকে মৃত ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, তাঁর কাছের লোকেরাও এই ভুল করেন।
আমরা দেখতে পাই, মৃত্যুর এই খবরগুলো ছড়ায় আগুনের মতো। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের ওয়াল থেকে ওয়ালে। শেয়ার করার আগে কেউ বাছবিচার করেন না। উল্টো, ওই ব্যক্তির সঙ্গে নিজের কোনো ছবি আছে কি না, তা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কে কার আগে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে সমবেদনা জানাবেন, তারই যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পোস্টগুলো এমন মানুষের ওয়ালে শেয়ার করতে দেখা যায়, যার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির কোনো সম্পর্কই নেই। তবু এ ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়।
একজন জীবিত মানুষ যখন ফেসবুকে মৃতের খেতাব পান, তাঁর পরিবারের অবস্থাটা একবার ভাবুন। নিজেকে ওই জায়গায় বসান। অনেক আত্মীয়স্বজন দেশের বাইরে থাকতে পারেন, ঢাকার বাইরে থাকতে পারেন। তাঁদের মানসিক অবস্থাটা ভাবুন। বিষয়টা এমন হয়ে যায় যে, অসুস্থ নিকটজনের সেবা করার চেয়ে তিনি মারা গেছেন কি না, সেটার আপডেট দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় স্বজনদের। কারণ, ফেসবুকের ওই পোস্ট দেখে একের পর এক ফোন আসতে থাকে ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী বা স্বামীর মোবাইল ফোনে। সবাইকে একই উত্তর দিতে হয়—‘তিনি মারা যাননি’।
অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনির কান্নার কথা মনে আছে তো? বরেণ্য ওই শিল্পী মারা যাওয়ার আগেই তোলপাড় শুরু হলো। মৃত্যুর খবর এল সংবাদমাধ্যমেও, ছড়াল ফেসবুকে। যেন দ্রুত বিদায় দিতে পারলেই সবার কত লাভ। হাসপাতালের নানা ঝক্কি সামলে বাচ্চা মেয়েটি ফেসবুক লাইভে এসে হাত জোড় করে মিনতি করে জানিয়েছিল—‘জানের দাদা বেঁচে আছেন, ফেক নিউজ ছড়াবেন না।’ এ টি এম শামসুজ্জামান বেঁচে থাকতে বেশ কয়েকবার মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। একবার তো নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে বললেন, তিনি বেঁচে আছেন। অবশেষে তিনি যেন মরে গিয়েই বেঁচে গেছেন। অনেকটা গল্পের সেই কাদম্বিনীর মতো, যাকে মরে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে, সে আগে মরেনি। আক্ষরিক অর্থে না হলেও বাংলাদেশে এই কাদম্বিনীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
ফেসবুকটা আমাদের জন্য এখনো নতুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জায়গাটা তাই বাড়ছেই। সামাজিক মাধ্যমের জীবনাচার জানা নেই, কিন্তু আইডি আছে। টিকটক জেনারেশনের মধ্যে এই গলদ তো ছিলই, সাম্প্রতিককালে পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের ফেসবুকে যুক্ত হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের সবকিছু বিশ্বাস করার বাতিক তাঁদের মধ্যে বেশি লক্ষ করা যায়। একশ্রেণির ফেসবুক ব্যবসায়ী তাঁদের পেজের কাটতি বাড়াতে যা ইচ্ছা তাই পোস্ট করছেন। যত বিভ্রান্তিকর তথ্য, তত ভিউ, তত পয়সা।
একজন বাবা তাঁর পরিবারের কাছে বটবৃক্ষের ছায়া। একটি মানুষের মৃত্যু তাঁর পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাই মৃত্যুর খবর ফেসবুকে পোস্ট করার আগে সতর্ক হতে হবে আমাদের। কারও মৃত্যুর খবর পোস্ট করার আগে নিজেকেই কিছু প্রশ্ন করুন। জানুন, সেই খবরের উৎস কী? যিনি তথ্য দিচ্ছেন, তিনি কে? তিনি কি এমন কেউ, যিনি মৃত ব্যক্তির কাছে আছেন? এমন কেউ কি, যিনি মৃতের আপনজন? খবরটি কি কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এসেছে? কোনো স্পষ্ট ছবি বা ভিডিও কি দেখেছেন? এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনার কাছে না থাকলে ফেসবুকে মৃত্যুর সংবাদ পোস্ট করবেন না। যদি দিতেই হয়, অন্তত নির্ভরযোগ্য কোনো নিকটাত্মীয়কেই ফোন দিয়ে নিশ্চিত হোন বা নিজে হাসপাতালে যান।
তবে এ রকম অবস্থায় হাসপাতালে ভিড় করা বা নিকটাত্মীয়কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করাটাও খুব জরুরি কি? যদি তা না হয়, তবে তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরাটাই শ্রেয় নয় কি? আপনি ফেসবুক স্ট্যাটাস না দিলে মৃতের খুব বেশি উপকার তো হবে না। কিন্তু ভুল খবর দিলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৬ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে