অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্টেট ভিজিট’ বা রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সফরেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো অল্প কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা এই সম্মান পেয়েছেন। জো ও জিল বাইডেন বুধবার রাতে মোদীকে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেছেন। বোঝা যাচ্ছে, এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। মোদীর সফরকে এত গুরুত্ব কেন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? তা নিয়ে ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের গৌতম হোড়।
দিল্লির কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রবীণ সাংবাদিক প্রণয় শর্মা ডয়েচে ভেলেকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রেড কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে মোদির জন্য। নানা ধরনের সফর হয়, ওয়ার্কিং ভিজিট হয়। অল্প সময়ের জন্য এসে কিছু বিষয়ে আলোচনা করে রাষ্ট্রনেতা চলে যান। মধ্যাহ্নভোজ বা এ ধরনের একটা অনুষ্ঠান থাকে সেখানে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু স্টেট ভিজিটে যিনি আসবেন, তাঁকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হয়। সাউথ লনে সবার সঙ্গে আলাপ করানো হয়। নৈশভোজ বা ব্যাংকোয়েট দেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে অ্যামেরিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা থাকেন।’
প্রণয়ের মতে, মোদির প্রতি কংগ্রেসের উভয় পক্ষের সমর্থন আছে। শুধু বাইডেন বা তার দল নয়, বিরোধী রিপাবলিকানরাও তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে তাঁরাও সুসম্পর্ক চান। মোদিকে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে ডেকেছেন হাউসের স্পিকার ম্য়াকার্থি। ফলে বাইডেন ও রিপাবলিকান দুই পক্ষই চাইছে দুই দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হোক।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ যেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভারতের মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন কংগ্রেস সদস্য চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রণয় শর্মা বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের মত থাকবে। সবার মত এক হবে তা নয়। অ্যামেরিকা ভাইব্র্যান্ট গণতন্ত্র। তাদের নিজেদের প্রেসিডেন্টকে নিয়েও কত মত রয়েছে। তাই নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সরকারি একটা মত থাকতে পারে, কিছু প্রতিনিধির অন্য মত থাকতে পারে। তাঁরা সেটা তুলতে পারেন। কিন্তু সরকারিভাবে এমন কোনো প্রশ্ন তোলার চেষ্টা হচ্ছে না, যাতে তিক্ততা বাড়ে। ইতিবাচক দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।’
সামরিক কৌশলগত সম্পর্ক
সামরিক দিক থেকে এই সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য।
ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন শুধু ওয়ারশ চুক্তিভুক্ত দেশ থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে লড়েছি। যখন সোভিয়েত ভেঙে যায়, আমাদের খুব অসুবিধা হয়েছিল। এখন আমরা ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ থেকে অস্ত্র পাচ্ছি। অ্য়ামেরিকা থেকে প্রচুর অস্ত্র পাচ্ছি বা পেতে পারি। যেমন ড্রোনের কথা হচ্ছে, সাবমেরিনের কথা হচ্ছে, জেট ইঞ্জিনের কথা হচ্ছে।’
উৎপল ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘২০০০ সালের পর থেকে যখন আমরা অ্যামেরিকা থেকে বেশি করে অস্ত্র কেনা শুরু করলাম, তখন ওরা সর্বশেষ প্রযুক্তির অস্ত্র দিত না, কিছুটা পুরোনো অস্ত্র দিত। এখন অবস্থা পাল্টেছে। আমরাও আশা করব, সর্বশেষ অস্ত্র, প্রযুক্তি আমাদের দেবে অ্যামেরিকা। পাকিস্তানকে ওরা সর্বশেষ প্রযুক্তির এফ-১৬ দিয়েছে।’
ভারত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এত আগ্রহ কেন
সাংবাদিক প্রণয় শর্মার মতে, শুধু অস্ত্র বিক্রির জন্য নয়, ভারতের বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণির বাজারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আকর্ষণীয়। তাছাড়া ভারতের ‘নলেজ পুল’ও আছে।
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে উৎপাদন খরচ অনেক কম ইউরোপ বা অ্য়ামেরিকার তুলনায়। তারা আগে চীনে বিনিয়োগ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় করেছে। কিন্তু চীনের পর ভারতের মতো এত বড় বাজার নেই।’
প্রণয়ের মতে, কোভিডের পর অনেকের মনে হচ্ছে, একটামাত্র বাজারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়, ছড়িয়ে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশ বেছে নিয়েছে, ভারত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাথায় চীন
উৎপল ভট্টাচার্য মনে করছেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো প্রশান্ত মহাসাগর। চীন এটাকে দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে মিলিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রাধান্য় বিস্তার করতে চাইছে। তার মোকাবিলায় কোয়াড হয়েছে। অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত মিলে কোয়াড তৈরি করেছে—এটা চীনের প্রতি বার্তা। সেই দিক থেকে ভারতের গুরুত্ব অ্যামেরিকার কাছে বাড়ছে।’
প্রণয় শর্মাও মনে করেন, চীনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাইডেন দেখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে কোনো দেশ যদি চ্যালেঞ্জ করতে পারে, সেটা চীন। তাই চীনকে তারা সবচেয়ে বড় বিপদ মনে করে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এমন অনেক দেশ আছে, যারা চীনের এই উত্থানের ফলে ‘ব্যাপক সমস্যায়’ আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্তে ২০২০ থেকে সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে। চীন একতরফা চুক্তি ভেঙে সীমানা বদলাতে চেয়েছে। অ্যামেরিকা অন্য দেগুলো সঙ্গে নিয়ে চীনকে মোকাবিলা করতে চাইছে। তবে অ্যামেরিকা যেভাবে চীনকে দেখবে, ভারত সেভাবে দেখতে পারে না। চীন ভারতের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের সমস্যার মোকাবিলা অন্যভাবে করতে হবে।’
রাশিয়া ও অ্যামেরিকার মধ্যে ব্যালেন্স
প্রণয় শর্মা বলেন, ‘ভারতের নীতি, যা এখন অনেক দেশ নিচ্ছে, তা হলো, আমি কোনো দেশের সঙ্গে এমন শত্রুতা রাখব না যাতে ক্ষতি হয়। গায়ে পড়ে ঝগড়া করলে অন্য কথা। তাছাড়া যত বেশি দেশের সঙ্গে সম্ভব সুসম্পর্ক রাখব। অনেক বিষয়ে একমত না হলেও রাখব। অ্যামেরিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা মানে রাশিয়ার সঙ্গে রাখতে পারব না, এমন নয়। আরো অনেক দেশের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। তাতে ভারতের লাভ। কোনো দেশের প্রাথমিকতা তো তার নিজের স্বার্থ দেখা। সবাই এটা করে।’
উৎপল ভট্টাচার্যের মতে, ‘আমরা রাশিয়া বা ইউক্রেন কারো পক্ষে নেই। আমরা রাশিয়া থেকে তেল নিয়ে অন্য দেশে বিক্রি পর্যন্ত করছি। কারণ, আমরা নিজেদের স্বার্থ দেখছি। আমরা বলছি, যুদ্ধ কোনো বিকল্প নয়।’
তিনি বলেছেন, ‘অ্য়ামেরিকা ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক চায় ভারত। এটা একটা ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট, যা এখনো পর্যন্ত ভারত ঠিকভাবেই করে চলেছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্টেট ভিজিট’ বা রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সফরেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো অল্প কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা এই সম্মান পেয়েছেন। জো ও জিল বাইডেন বুধবার রাতে মোদীকে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেছেন। বোঝা যাচ্ছে, এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। মোদীর সফরকে এত গুরুত্ব কেন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? তা নিয়ে ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের গৌতম হোড়।
দিল্লির কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রবীণ সাংবাদিক প্রণয় শর্মা ডয়েচে ভেলেকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রেড কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে মোদির জন্য। নানা ধরনের সফর হয়, ওয়ার্কিং ভিজিট হয়। অল্প সময়ের জন্য এসে কিছু বিষয়ে আলোচনা করে রাষ্ট্রনেতা চলে যান। মধ্যাহ্নভোজ বা এ ধরনের একটা অনুষ্ঠান থাকে সেখানে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু স্টেট ভিজিটে যিনি আসবেন, তাঁকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হয়। সাউথ লনে সবার সঙ্গে আলাপ করানো হয়। নৈশভোজ বা ব্যাংকোয়েট দেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে অ্যামেরিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা থাকেন।’
প্রণয়ের মতে, মোদির প্রতি কংগ্রেসের উভয় পক্ষের সমর্থন আছে। শুধু বাইডেন বা তার দল নয়, বিরোধী রিপাবলিকানরাও তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে তাঁরাও সুসম্পর্ক চান। মোদিকে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে ডেকেছেন হাউসের স্পিকার ম্য়াকার্থি। ফলে বাইডেন ও রিপাবলিকান দুই পক্ষই চাইছে দুই দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হোক।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ যেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভারতের মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন কংগ্রেস সদস্য চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রণয় শর্মা বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের মত থাকবে। সবার মত এক হবে তা নয়। অ্যামেরিকা ভাইব্র্যান্ট গণতন্ত্র। তাদের নিজেদের প্রেসিডেন্টকে নিয়েও কত মত রয়েছে। তাই নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সরকারি একটা মত থাকতে পারে, কিছু প্রতিনিধির অন্য মত থাকতে পারে। তাঁরা সেটা তুলতে পারেন। কিন্তু সরকারিভাবে এমন কোনো প্রশ্ন তোলার চেষ্টা হচ্ছে না, যাতে তিক্ততা বাড়ে। ইতিবাচক দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।’
সামরিক কৌশলগত সম্পর্ক
সামরিক দিক থেকে এই সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য।
ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন শুধু ওয়ারশ চুক্তিভুক্ত দেশ থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে লড়েছি। যখন সোভিয়েত ভেঙে যায়, আমাদের খুব অসুবিধা হয়েছিল। এখন আমরা ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ থেকে অস্ত্র পাচ্ছি। অ্য়ামেরিকা থেকে প্রচুর অস্ত্র পাচ্ছি বা পেতে পারি। যেমন ড্রোনের কথা হচ্ছে, সাবমেরিনের কথা হচ্ছে, জেট ইঞ্জিনের কথা হচ্ছে।’
উৎপল ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘২০০০ সালের পর থেকে যখন আমরা অ্যামেরিকা থেকে বেশি করে অস্ত্র কেনা শুরু করলাম, তখন ওরা সর্বশেষ প্রযুক্তির অস্ত্র দিত না, কিছুটা পুরোনো অস্ত্র দিত। এখন অবস্থা পাল্টেছে। আমরাও আশা করব, সর্বশেষ অস্ত্র, প্রযুক্তি আমাদের দেবে অ্যামেরিকা। পাকিস্তানকে ওরা সর্বশেষ প্রযুক্তির এফ-১৬ দিয়েছে।’
ভারত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এত আগ্রহ কেন
সাংবাদিক প্রণয় শর্মার মতে, শুধু অস্ত্র বিক্রির জন্য নয়, ভারতের বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণির বাজারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আকর্ষণীয়। তাছাড়া ভারতের ‘নলেজ পুল’ও আছে।
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে উৎপাদন খরচ অনেক কম ইউরোপ বা অ্য়ামেরিকার তুলনায়। তারা আগে চীনে বিনিয়োগ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় করেছে। কিন্তু চীনের পর ভারতের মতো এত বড় বাজার নেই।’
প্রণয়ের মতে, কোভিডের পর অনেকের মনে হচ্ছে, একটামাত্র বাজারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়, ছড়িয়ে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশ বেছে নিয়েছে, ভারত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাথায় চীন
উৎপল ভট্টাচার্য মনে করছেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো প্রশান্ত মহাসাগর। চীন এটাকে দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে মিলিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রাধান্য় বিস্তার করতে চাইছে। তার মোকাবিলায় কোয়াড হয়েছে। অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত মিলে কোয়াড তৈরি করেছে—এটা চীনের প্রতি বার্তা। সেই দিক থেকে ভারতের গুরুত্ব অ্যামেরিকার কাছে বাড়ছে।’
প্রণয় শর্মাও মনে করেন, চীনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাইডেন দেখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে কোনো দেশ যদি চ্যালেঞ্জ করতে পারে, সেটা চীন। তাই চীনকে তারা সবচেয়ে বড় বিপদ মনে করে। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এমন অনেক দেশ আছে, যারা চীনের এই উত্থানের ফলে ‘ব্যাপক সমস্যায়’ আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্তে ২০২০ থেকে সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে। চীন একতরফা চুক্তি ভেঙে সীমানা বদলাতে চেয়েছে। অ্যামেরিকা অন্য দেগুলো সঙ্গে নিয়ে চীনকে মোকাবিলা করতে চাইছে। তবে অ্যামেরিকা যেভাবে চীনকে দেখবে, ভারত সেভাবে দেখতে পারে না। চীন ভারতের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের সমস্যার মোকাবিলা অন্যভাবে করতে হবে।’
রাশিয়া ও অ্যামেরিকার মধ্যে ব্যালেন্স
প্রণয় শর্মা বলেন, ‘ভারতের নীতি, যা এখন অনেক দেশ নিচ্ছে, তা হলো, আমি কোনো দেশের সঙ্গে এমন শত্রুতা রাখব না যাতে ক্ষতি হয়। গায়ে পড়ে ঝগড়া করলে অন্য কথা। তাছাড়া যত বেশি দেশের সঙ্গে সম্ভব সুসম্পর্ক রাখব। অনেক বিষয়ে একমত না হলেও রাখব। অ্যামেরিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা মানে রাশিয়ার সঙ্গে রাখতে পারব না, এমন নয়। আরো অনেক দেশের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। তাতে ভারতের লাভ। কোনো দেশের প্রাথমিকতা তো তার নিজের স্বার্থ দেখা। সবাই এটা করে।’
উৎপল ভট্টাচার্যের মতে, ‘আমরা রাশিয়া বা ইউক্রেন কারো পক্ষে নেই। আমরা রাশিয়া থেকে তেল নিয়ে অন্য দেশে বিক্রি পর্যন্ত করছি। কারণ, আমরা নিজেদের স্বার্থ দেখছি। আমরা বলছি, যুদ্ধ কোনো বিকল্প নয়।’
তিনি বলেছেন, ‘অ্য়ামেরিকা ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক চায় ভারত। এটা একটা ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট, যা এখনো পর্যন্ত ভারত ঠিকভাবেই করে চলেছে।’
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৮ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে