আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চীনের টানা হুঁশিয়ার উপেক্ষা করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে তাইওয়ান পৌঁছান। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে তাইওয়ান ত্যাগের আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও দেশটির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
পেলোসির এই সফরকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক নতুন একটি পর্বে ঢুকেছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে সামরিক অচলাবস্থা আরও জটিল হবে উল্লেখ করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
এদিকে এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষক ডেভিড পি গোল্ডম্যান লিখেছেন, পেলোসির এই সফর ১৯৭২ সালের ‘সাংহাই ইশতেহার’-এর লঙ্ঘন। এর মধ্য দিয়ে বেইজিংয়ের টেনে দেওয়া ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করল বাইডেন প্রশাসন।
মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালে বিপ্লবের পর গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিক পার্টির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের মধ্য দিয়ে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটে। স্বাভাবিক হয় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। আর তখনই দুই দেশ সাংহাই ইশতেহারে সই করে।
ইশতেহারে চীন ঘোষণা করে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ‘তাইওয়ান প্রশ্ন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাইওয়ান চীনের একটি প্রদেশ। তাইওয়ানকে স্বাধীন করা চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে কারও হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না চীন। চীনের এ অবস্থান মেনে নিয়েই ইশতেহারে সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৭২ সালে নিক্সনের সঙ্গে সফরসঙ্গী ছিলেন এমন এক সদস্য এশিয়া টাইমসকে বলেছেন, পেলোসির সফর সাংহাই ইশতেহারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাংবিধানিক মর্যাদার কারণে তাঁর এই সফর চীনের জন্য অত্যন্ত আপত্তিকর। কারণ, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী নিম্নকক্ষের স্পিকারই তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাইওয়ানে তাঁদের সফর পরোক্ষভাবে দ্বীপটির স্বীকৃতির ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষক গোল্ডম্যানের ধারণা, সম্ভব এসব কিছু মাথায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পেলোসির সফর নিয়ে সতর্ক করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ‘আগুন নিয়ে না খেলতে, খেললে পুড়তে হবে’ বলে বাইডেনকে হুঁশিয়ার করেছিলেন সি।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর একান্ত ব্যক্তিগত। গোল্ডম্যানের প্রশ্ন, তাহলে তাঁকে সামরিক বিমান দেওয়া হলো কেন? বাইডেন চাইলে কি পেলোসিকে তাইওয়ান সফর থেকে নিবৃত্ত করতে পারতেন না?
মার্কিন এই বিশ্লেষক উপসংহার টানেন, বাইডেন প্রশাসনের মনে কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। ভুলে বা পরিকল্পিত, যেভাবেই তারা এটা করে থাকুক, দুই দেশের সংকট অন্যতর এক গভীরতায় চলে গেছে।
চীনের টানা হুঁশিয়ার উপেক্ষা করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে তাইওয়ান পৌঁছান। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে তাইওয়ান ত্যাগের আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও দেশটির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
পেলোসির এই সফরকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক নতুন একটি পর্বে ঢুকেছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে সামরিক অচলাবস্থা আরও জটিল হবে উল্লেখ করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
এদিকে এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষক ডেভিড পি গোল্ডম্যান লিখেছেন, পেলোসির এই সফর ১৯৭২ সালের ‘সাংহাই ইশতেহার’-এর লঙ্ঘন। এর মধ্য দিয়ে বেইজিংয়ের টেনে দেওয়া ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করল বাইডেন প্রশাসন।
মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালে বিপ্লবের পর গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিক পার্টির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের মধ্য দিয়ে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটে। স্বাভাবিক হয় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। আর তখনই দুই দেশ সাংহাই ইশতেহারে সই করে।
ইশতেহারে চীন ঘোষণা করে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ‘তাইওয়ান প্রশ্ন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাইওয়ান চীনের একটি প্রদেশ। তাইওয়ানকে স্বাধীন করা চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে কারও হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না চীন। চীনের এ অবস্থান মেনে নিয়েই ইশতেহারে সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৭২ সালে নিক্সনের সঙ্গে সফরসঙ্গী ছিলেন এমন এক সদস্য এশিয়া টাইমসকে বলেছেন, পেলোসির সফর সাংহাই ইশতেহারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাংবিধানিক মর্যাদার কারণে তাঁর এই সফর চীনের জন্য অত্যন্ত আপত্তিকর। কারণ, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী নিম্নকক্ষের স্পিকারই তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাইওয়ানে তাঁদের সফর পরোক্ষভাবে দ্বীপটির স্বীকৃতির ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষক গোল্ডম্যানের ধারণা, সম্ভব এসব কিছু মাথায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পেলোসির সফর নিয়ে সতর্ক করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ‘আগুন নিয়ে না খেলতে, খেললে পুড়তে হবে’ বলে বাইডেনকে হুঁশিয়ার করেছিলেন সি।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর একান্ত ব্যক্তিগত। গোল্ডম্যানের প্রশ্ন, তাহলে তাঁকে সামরিক বিমান দেওয়া হলো কেন? বাইডেন চাইলে কি পেলোসিকে তাইওয়ান সফর থেকে নিবৃত্ত করতে পারতেন না?
মার্কিন এই বিশ্লেষক উপসংহার টানেন, বাইডেন প্রশাসনের মনে কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। ভুলে বা পরিকল্পিত, যেভাবেই তারা এটা করে থাকুক, দুই দেশের সংকট অন্যতর এক গভীরতায় চলে গেছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
১ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
১২ দিন আগে