অনলাইন ডেস্ক
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনের পরদিন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁর দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। তবে সেদিনই মধ্যরাতে জেল থেকে প্রচার করা এক বিবৃতিতে ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন দলটির কারাবন্দী নেতা ইমরান খান।
নির্বাচনে ইমরান খান এবং তাঁর দলকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা তাই স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। শুধু তা-ই নয়, গতকাল শনিবার নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, ইমরানের সমর্থিত প্রার্থীরাই সম্মিলিতভাবে ১০১ আসন পেয়ে অন্য দলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।
তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারছে না। রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে সরকার গঠনের জন্য অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট করার তৎপরতা শুরু করেছেন ৭৫টি আসনে জয় লাভ করা পিএমএল-এন পার্টির নেতা নওয়াজ শরিফ। ৫৪ আসন নিশ্চিত করা বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি এ নিয়ে দর-কষাকষি করছে।
চারটি বিকল্প সমাধানের মাধ্যমে পাকিস্তানের এই অনিশ্চিত সময়টি শেষ হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এই চারটি বিকল্প এমন—
জোট গড়ে সরকার গঠন করবেন নওয়াজ শরিফ
এ ক্ষেত্রে এমন হতে পারে—নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। পিপিপি এবার ৫৪ আসনে জয় পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই দুটি দল এক হয়ে অন্য ছোট দলগুলোকেও সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ কিংবা তাঁর ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ। জোট সরকারে থাকা অন্য দলগুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে।
গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৬ মাস একসঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। সে সময় নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী এবং পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা ক্ষমতায়
এ ক্ষেত্রে ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো একটি ছোট দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এমন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংরক্ষিত আসনগুলোতেও বেশিসংখ্যক প্রার্থীকে রাখতে সমর্থ হবে। এভাবে জোটটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি চলে যেতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কোনো একজনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে পারে।
এমনও হতে পারে, জোটে থাকা একটি ছোট দলের কোনো নেতাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ইমরান খানের সমর্থকেরা মূলত ক্ষমতায় থাকতে চাইবেন, যেন তাঁরা তাদের কারাবন্দী নেতার মুক্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো আইনি অবস্থান নেই।
প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন পিপিপি থেকেও
নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খানের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হলেও, পিপিপিকে ছাড়া কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। আরেকটি বিষয় হলো—বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ উভয়ই চাইবেন একে অপরকে ক্ষমতা থেকে বাইরে রাখতে। এই পরিস্থিতিই বড় ধরনের একটি সুযোগ করে দিয়েছে পিপিপিকে। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে এই দলের নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো কিংবা তাঁর বাবা আসিফ আলী জারদারি প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।
কিছুই হলো না, আর্মি আবার ক্ষমতায়
এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতার নাটাই নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই বাহিনী এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সংগঠিত শক্তি।
শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ক্ষমতা নেওয়ার অতীত উদাহরণ রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর ৭৬ বছরের ইতিহাসে অন্তত তিনবার পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল।
সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘পরিপক্বতা ও ঐক্য’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনের পরদিন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁর দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। তবে সেদিনই মধ্যরাতে জেল থেকে প্রচার করা এক বিবৃতিতে ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন দলটির কারাবন্দী নেতা ইমরান খান।
নির্বাচনে ইমরান খান এবং তাঁর দলকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা তাই স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। শুধু তা-ই নয়, গতকাল শনিবার নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, ইমরানের সমর্থিত প্রার্থীরাই সম্মিলিতভাবে ১০১ আসন পেয়ে অন্য দলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।
তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারছে না। রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে সরকার গঠনের জন্য অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট করার তৎপরতা শুরু করেছেন ৭৫টি আসনে জয় লাভ করা পিএমএল-এন পার্টির নেতা নওয়াজ শরিফ। ৫৪ আসন নিশ্চিত করা বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি এ নিয়ে দর-কষাকষি করছে।
চারটি বিকল্প সমাধানের মাধ্যমে পাকিস্তানের এই অনিশ্চিত সময়টি শেষ হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এই চারটি বিকল্প এমন—
জোট গড়ে সরকার গঠন করবেন নওয়াজ শরিফ
এ ক্ষেত্রে এমন হতে পারে—নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। পিপিপি এবার ৫৪ আসনে জয় পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই দুটি দল এক হয়ে অন্য ছোট দলগুলোকেও সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ কিংবা তাঁর ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ। জোট সরকারে থাকা অন্য দলগুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে।
গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৬ মাস একসঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। সে সময় নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী এবং পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা ক্ষমতায়
এ ক্ষেত্রে ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো একটি ছোট দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এমন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংরক্ষিত আসনগুলোতেও বেশিসংখ্যক প্রার্থীকে রাখতে সমর্থ হবে। এভাবে জোটটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি চলে যেতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কোনো একজনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে পারে।
এমনও হতে পারে, জোটে থাকা একটি ছোট দলের কোনো নেতাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ইমরান খানের সমর্থকেরা মূলত ক্ষমতায় থাকতে চাইবেন, যেন তাঁরা তাদের কারাবন্দী নেতার মুক্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো আইনি অবস্থান নেই।
প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন পিপিপি থেকেও
নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খানের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হলেও, পিপিপিকে ছাড়া কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। আরেকটি বিষয় হলো—বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ উভয়ই চাইবেন একে অপরকে ক্ষমতা থেকে বাইরে রাখতে। এই পরিস্থিতিই বড় ধরনের একটি সুযোগ করে দিয়েছে পিপিপিকে। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে এই দলের নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো কিংবা তাঁর বাবা আসিফ আলী জারদারি প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।
কিছুই হলো না, আর্মি আবার ক্ষমতায়
এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না। উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতার নাটাই নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই বাহিনী এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সংগঠিত শক্তি।
শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ক্ষমতা নেওয়ার অতীত উদাহরণ রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর ৭৬ বছরের ইতিহাসে অন্তত তিনবার পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল।
সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘পরিপক্বতা ও ঐক্য’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে