পরাগ মাঝি
চাঁদের একেকটি রাত কিংবা দিন পৃথিবীর প্রায় ১৫ দিনের সমান। সম্প্রতি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান অবতরণ করার ১০ দিন পর শুরু হয় চাঁদের দীর্ঘ রাত। পৃথিবীর হিসাবে ১৫ দিন দীর্ঘ এই রাত পাড়ি দিতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয় বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে।
কিন্তু এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে চাঁদের রাত পেরিয়ে দিন শুরু হলেও এখনো সচল করা যায়নি যান দুটিকে। বিগত দিনগুলোতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরন্তর প্রচেষ্টা এখনো ব্যর্থ।
মজার বিষয় হলো—অবতরণের পর চাঁদের রাত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্রম ও প্রজ্ঞানের প্রতিটি পদক্ষেপের খবর দিয়ে আসছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। পৃথিবীর হিসাবে ১৫ দিনের ঘুম শেষে যান দুটিকে যে সচল করা যাচ্ছে না, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চুপ।
এবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানের অচল হয়ে থাকার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর এমন নিশ্চুপ থাকার কারণ জানালেন সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির শান্তি ও সংঘর্ষবিষয়ক ভারতীয় অধ্যাপক অশোক শ্বৈন। তাঁর মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মান বাঁচাতেই খবরটি প্রকাশ না করতে এককাট্টা হয়েছে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমগুলো।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে অশোক বলেন, ‘এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের প্রাণান্ত চেষ্টার পরও চাঁদে পাঠানো ল্যান্ডার সচল হতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতা সফলতারই অংশ। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো মোদির ইগো রক্ষা করতে গিয়ে এ বিষয়ে একেবারে চুপ মেরে গেছে।’
বিষয়টি নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদে অবতরণ করা ভারতীয় ল্যান্ডার ও রোভারের জেগে ওঠার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে পা রাখে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। পরে টানা ১০ দিন ধরে এ দুটি যান চাঁদের মাটিতে খুঁটিনাটি নানা ধরনের কাজ শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের বুকে প্রায় ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে তারা। তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে। ৪ সেপ্টেম্বর চাঁদের রাত শুরু হলে যান দুটিকে ঘুম পাড়িয়ে (স্লিপ মুড) রাখেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
রাতের বেলায় চাঁদের তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। যান দুটিকে স্লিপ মুডে পাঠিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাঁদের চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। চাঁদের তীব্র শীতের রাত শেষে যান দুটি আবারও সচল হবে বলেও আশা করেছিলেন তাঁরা। এই আশাতেই এখনো যান দুটিকে সচল করার চেষ্টা চলছে। তিন-চার দিনের মধ্যেই আবারও রাত শুরু হয়ে যাবে চাঁদে। এর মধ্যে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে সচল করা না গেলে তাদের আশা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না ইসরো বিজ্ঞানীদের।
আরেকটি বিষয় হলো—চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান অবতরণ করেছে বলে ভারত যে দাবি করেছে, তা ভুল বলে জানিয়েছেন চীনের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ওউইয়াং জিউয়ান। যুক্তি দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নয়, দক্ষিণ গোলার্ধে অবতরণ করেছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।
চাঁদের একেকটি রাত কিংবা দিন পৃথিবীর প্রায় ১৫ দিনের সমান। সম্প্রতি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান অবতরণ করার ১০ দিন পর শুরু হয় চাঁদের দীর্ঘ রাত। পৃথিবীর হিসাবে ১৫ দিন দীর্ঘ এই রাত পাড়ি দিতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয় বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে।
কিন্তু এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে চাঁদের রাত পেরিয়ে দিন শুরু হলেও এখনো সচল করা যায়নি যান দুটিকে। বিগত দিনগুলোতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরন্তর প্রচেষ্টা এখনো ব্যর্থ।
মজার বিষয় হলো—অবতরণের পর চাঁদের রাত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্রম ও প্রজ্ঞানের প্রতিটি পদক্ষেপের খবর দিয়ে আসছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। পৃথিবীর হিসাবে ১৫ দিনের ঘুম শেষে যান দুটিকে যে সচল করা যাচ্ছে না, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চুপ।
এবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানের অচল হয়ে থাকার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর এমন নিশ্চুপ থাকার কারণ জানালেন সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির শান্তি ও সংঘর্ষবিষয়ক ভারতীয় অধ্যাপক অশোক শ্বৈন। তাঁর মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মান বাঁচাতেই খবরটি প্রকাশ না করতে এককাট্টা হয়েছে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমগুলো।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে অশোক বলেন, ‘এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের প্রাণান্ত চেষ্টার পরও চাঁদে পাঠানো ল্যান্ডার সচল হতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতা সফলতারই অংশ। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো মোদির ইগো রক্ষা করতে গিয়ে এ বিষয়ে একেবারে চুপ মেরে গেছে।’
বিষয়টি নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদে অবতরণ করা ভারতীয় ল্যান্ডার ও রোভারের জেগে ওঠার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে পা রাখে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। পরে টানা ১০ দিন ধরে এ দুটি যান চাঁদের মাটিতে খুঁটিনাটি নানা ধরনের কাজ শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের বুকে প্রায় ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে তারা। তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে। ৪ সেপ্টেম্বর চাঁদের রাত শুরু হলে যান দুটিকে ঘুম পাড়িয়ে (স্লিপ মুড) রাখেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
রাতের বেলায় চাঁদের তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। যান দুটিকে স্লিপ মুডে পাঠিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাঁদের চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। চাঁদের তীব্র শীতের রাত শেষে যান দুটি আবারও সচল হবে বলেও আশা করেছিলেন তাঁরা। এই আশাতেই এখনো যান দুটিকে সচল করার চেষ্টা চলছে। তিন-চার দিনের মধ্যেই আবারও রাত শুরু হয়ে যাবে চাঁদে। এর মধ্যে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে সচল করা না গেলে তাদের আশা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না ইসরো বিজ্ঞানীদের।
আরেকটি বিষয় হলো—চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান অবতরণ করেছে বলে ভারত যে দাবি করেছে, তা ভুল বলে জানিয়েছেন চীনের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ওউইয়াং জিউয়ান। যুক্তি দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নয়, দক্ষিণ গোলার্ধে অবতরণ করেছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৫ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে