অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন নতুন সংঘাত নিয়ে সৌদি গণমাধ্যম এবং সরকারি বিবৃতিগুলো আগের অবস্থান থেকে কিছুটা বিচ্যুত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই যুদ্ধে সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং গণমাধ্যম যেই সুরে কথা বলছে তার সংক্ষিপ্তসার দাঁড়ায়, ‘আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম।’
এর মানে এই নয় যে, হামাস তাদের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে এবং সৌদি আরব–ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করতে পেরেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে যে প্রচেষ্টা চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। সেই চুক্তির মধ্যে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে কিছু ছাড় দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে রাজি করানোর বিষয়ও যুক্ত থাকত বলে ধারণা করা হয়। সেই আশা এখনো যে নেই তা নয়।
বরং এখন যেটি প্রতীয়মান হচ্ছে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের পাশাপাশি আরব ও মুসলিম বিশ্বে নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব নতুন সুযোগ পেয়েছে।
সৌদি আরবের সরকারি বিবৃতি এবং গণমাধ্যম সুস্পষ্টভাবে হামাসের নাম উল্লেখ এড়িয়ে গেছে। পরিবর্তে হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (ফাতাহ সরকার) কথা প্রচার করেছে। একই সঙ্গে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডান, মিসর এবং উপসাগরীয় মিত্রদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন।
হামলার দিন সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলে, ‘বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সৌদি আরব। সেখানে বিভিন্ন ফ্রন্টের মধ্যে সহিংসতা মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তির জন্য উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বানও জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপও কামনা করে। এমন হামলার বিষয়ে ‘আগেই সতর্ক করেছিল’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ কর হয়।
বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে একটি ফোনালাপের বিষয় পুনরাবৃত্তি করে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য উভয় পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়।
৯ অক্টোবর সৌদি সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতায় হামাস–ইসরায়েলের যুদ্ধের খবর ছাপা হলেও তা ছিল নিচের দিকে। কেননা দেশটির সংবাদপত্র আল–রিয়াদ, ওকাজ এবং আল–মদিনাকে সৌদি নাগরিকদের সম্পর্কিত খবর অগ্রাধিকার দিতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ভূ–রাজনৈতিক যেকোনো অস্থিরতার সময়ই এমনটি করা হয়ে থাকে। এক দশক আগে আরব বসন্তের সময়ও তাই হয়েছিল। এবারেও পরিস্থিতি অনুকূলে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরব এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করছে সৌদি আরব। খবরের কাগজগুলোও আগের চর্চার ব্যতিক্রম করেনি।
১০ অক্টোবর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। যুদ্ধ ও আরব অঞ্চলে সংঘাত নিরসনে সৌদি আরব সব সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। এদিন জর্ডানের রাজা এবং মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যুবরাজ মোহাম্মদের আলাপ হয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আঞ্চলিক সংবাদপত্র আল–শারক আল–আওসাত—হতাহত বেড়েছে। সৌদি আরব পূর্ব সতর্কতাকে স্মরণ করাল। ওয়াশিংটন তেল আবিবকে সামরিক সাহায্য পাঠাল: ইসরায়েল হামলায় অবাক হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করল—এমন শিরোনামে খবর ছেপেছে।
দুই প্রধান সৌদি মিডিয়া ব্যক্তিত্বও একই রকম কলাম লিখেছেন। সৌদি আরবের পরামর্শকে অবজ্ঞা করায় ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন তাঁরা। সংবাদপত্রটির বর্তমান প্রধান সম্পাদক মতামত পাতায় লিখেছেন, ‘ঔদ্ধত্যের কারণেই ইসরায়েল বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে।’ বিশেষ করে সৌদি আরবের ২০০২ সালের শান্তি প্রস্তাবকে পুনর্বিবেচনা এবং ইসরায়েলের বর্তমান নীতিগুলোর সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আল–শারক আল–আওসাতের সাবেক সম্পাদক একইভাবে আরেকটি কলাম লিখেছেন। তিনি হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অবজ্ঞা করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন।
বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক আল–ইকতিসাদিয়াহ যুদ্ধের কারণে সৌদি আরবের আঞ্চলিক শেয়ারবাজারের ক্ষতি এবং তেলের দাম বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন।
সৌদি আরবের প্রধান আঞ্চলিক নিউজ চ্যানেল আল–আরাবিয়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার লাইভ ফিড এবং ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি বিশ্লেষকদের সঙ্গে অনলাইন সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার পর্যালোচনাতে গণমাধ্যমটি ওপেক প্লাসের অংশীদার রাশিয়ার বিবৃতি জুড়ে দিয়েছে। রাশিয়ার অবস্থান আরব লিগের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে প্রচার করেছে।
তবে সৌদি আরবের কোনো বক্তব্যে আঞ্চলিক সংঘাতের জন্য এবার ইরানকে দোষারোপ করতে দেখা যায়নি। যদিও এর আগে বরাবর এটি করে এসেছে সৌদি আরব। উল্টো সব সম্প্রচার মাধ্যমে গাজার বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলি সহিংসতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এমনকি সৌদি অনলাইন আউটলেট এলাফও একই অবস্থান নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি ২০১৭ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাদি আইসেনকোতের সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রতি সৌদি আর এবং ইসরায়েলের সাধারণ বৈরীভাবের মনোভাবকেই প্রচার করেছিল।
সৌদি আরব চলমান সংঘাত পরিস্থিতিকে বেশ কিছু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাসের সরকার) পক্ষে সম্মতি আদায়; ইরানি প্রক্সির বিকল্প হিসেবে একটি উদীয়মান আরব ভূখণ্ডকে প্রতিষ্ঠা করা; অভ্যন্তরীণ বা নাগরিকদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা; মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত জনপ্রিয় ফিরিয়ে আনা।
তবে সৌদি আরবের সেই কাঙ্ক্ষিত অর্জন এখন নির্ভর করছে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা নিরসন এবং একটি বৃহৎ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করতে পারার ওপর।
সৌদি আরবের ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের সম্পাদক বিষয়টিকে খোলাসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন ইস্যুকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার সময় এসেছে বিশ্বের।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই একটি বিশ্বাসযোগ্য শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এটিই বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সর্বোত্তম উপায়। মনে হচ্ছে, বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন? সম্ভবত এটি ঠিক। তবে অন্তত সৌদি আরব বলতে পারে যে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং কয়েক দশক ধরে সেটি করে আসছে।
এই বক্তব্যের মধ্যেই সৌদি আরবের বর্তমান অবস্থান এবং আকাঙ্ক্ষা অনেকখানি স্পষ্ট।
ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিবন্ধ অবলম্বনে
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন নতুন সংঘাত নিয়ে সৌদি গণমাধ্যম এবং সরকারি বিবৃতিগুলো আগের অবস্থান থেকে কিছুটা বিচ্যুত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই যুদ্ধে সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং গণমাধ্যম যেই সুরে কথা বলছে তার সংক্ষিপ্তসার দাঁড়ায়, ‘আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম।’
এর মানে এই নয় যে, হামাস তাদের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে এবং সৌদি আরব–ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করতে পেরেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে যে প্রচেষ্টা চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। সেই চুক্তির মধ্যে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে কিছু ছাড় দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে রাজি করানোর বিষয়ও যুক্ত থাকত বলে ধারণা করা হয়। সেই আশা এখনো যে নেই তা নয়।
বরং এখন যেটি প্রতীয়মান হচ্ছে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের পাশাপাশি আরব ও মুসলিম বিশ্বে নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব নতুন সুযোগ পেয়েছে।
সৌদি আরবের সরকারি বিবৃতি এবং গণমাধ্যম সুস্পষ্টভাবে হামাসের নাম উল্লেখ এড়িয়ে গেছে। পরিবর্তে হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (ফাতাহ সরকার) কথা প্রচার করেছে। একই সঙ্গে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডান, মিসর এবং উপসাগরীয় মিত্রদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন।
হামলার দিন সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলে, ‘বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সৌদি আরব। সেখানে বিভিন্ন ফ্রন্টের মধ্যে সহিংসতা মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তির জন্য উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বানও জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপও কামনা করে। এমন হামলার বিষয়ে ‘আগেই সতর্ক করেছিল’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ কর হয়।
বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে একটি ফোনালাপের বিষয় পুনরাবৃত্তি করে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য উভয় পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়।
৯ অক্টোবর সৌদি সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতায় হামাস–ইসরায়েলের যুদ্ধের খবর ছাপা হলেও তা ছিল নিচের দিকে। কেননা দেশটির সংবাদপত্র আল–রিয়াদ, ওকাজ এবং আল–মদিনাকে সৌদি নাগরিকদের সম্পর্কিত খবর অগ্রাধিকার দিতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ভূ–রাজনৈতিক যেকোনো অস্থিরতার সময়ই এমনটি করা হয়ে থাকে। এক দশক আগে আরব বসন্তের সময়ও তাই হয়েছিল। এবারেও পরিস্থিতি অনুকূলে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরব এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করছে সৌদি আরব। খবরের কাগজগুলোও আগের চর্চার ব্যতিক্রম করেনি।
১০ অক্টোবর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। যুদ্ধ ও আরব অঞ্চলে সংঘাত নিরসনে সৌদি আরব সব সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। এদিন জর্ডানের রাজা এবং মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যুবরাজ মোহাম্মদের আলাপ হয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আঞ্চলিক সংবাদপত্র আল–শারক আল–আওসাত—হতাহত বেড়েছে। সৌদি আরব পূর্ব সতর্কতাকে স্মরণ করাল। ওয়াশিংটন তেল আবিবকে সামরিক সাহায্য পাঠাল: ইসরায়েল হামলায় অবাক হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করল—এমন শিরোনামে খবর ছেপেছে।
দুই প্রধান সৌদি মিডিয়া ব্যক্তিত্বও একই রকম কলাম লিখেছেন। সৌদি আরবের পরামর্শকে অবজ্ঞা করায় ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছেন তাঁরা। সংবাদপত্রটির বর্তমান প্রধান সম্পাদক মতামত পাতায় লিখেছেন, ‘ঔদ্ধত্যের কারণেই ইসরায়েল বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে।’ বিশেষ করে সৌদি আরবের ২০০২ সালের শান্তি প্রস্তাবকে পুনর্বিবেচনা এবং ইসরায়েলের বর্তমান নীতিগুলোর সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আল–শারক আল–আওসাতের সাবেক সম্পাদক একইভাবে আরেকটি কলাম লিখেছেন। তিনি হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অবজ্ঞা করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন।
বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক আল–ইকতিসাদিয়াহ যুদ্ধের কারণে সৌদি আরবের আঞ্চলিক শেয়ারবাজারের ক্ষতি এবং তেলের দাম বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন।
সৌদি আরবের প্রধান আঞ্চলিক নিউজ চ্যানেল আল–আরাবিয়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার লাইভ ফিড এবং ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি বিশ্লেষকদের সঙ্গে অনলাইন সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার পর্যালোচনাতে গণমাধ্যমটি ওপেক প্লাসের অংশীদার রাশিয়ার বিবৃতি জুড়ে দিয়েছে। রাশিয়ার অবস্থান আরব লিগের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে প্রচার করেছে।
তবে সৌদি আরবের কোনো বক্তব্যে আঞ্চলিক সংঘাতের জন্য এবার ইরানকে দোষারোপ করতে দেখা যায়নি। যদিও এর আগে বরাবর এটি করে এসেছে সৌদি আরব। উল্টো সব সম্প্রচার মাধ্যমে গাজার বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলি সহিংসতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এমনকি সৌদি অনলাইন আউটলেট এলাফও একই অবস্থান নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি ২০১৭ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাদি আইসেনকোতের সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রতি সৌদি আর এবং ইসরায়েলের সাধারণ বৈরীভাবের মনোভাবকেই প্রচার করেছিল।
সৌদি আরব চলমান সংঘাত পরিস্থিতিকে বেশ কিছু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাসের সরকার) পক্ষে সম্মতি আদায়; ইরানি প্রক্সির বিকল্প হিসেবে একটি উদীয়মান আরব ভূখণ্ডকে প্রতিষ্ঠা করা; অভ্যন্তরীণ বা নাগরিকদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা; মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত জনপ্রিয় ফিরিয়ে আনা।
তবে সৌদি আরবের সেই কাঙ্ক্ষিত অর্জন এখন নির্ভর করছে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা নিরসন এবং একটি বৃহৎ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করতে পারার ওপর।
সৌদি আরবের ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের সম্পাদক বিষয়টিকে খোলাসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন ইস্যুকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার সময় এসেছে বিশ্বের।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই একটি বিশ্বাসযোগ্য শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এটিই বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সর্বোত্তম উপায়। মনে হচ্ছে, বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন? সম্ভবত এটি ঠিক। তবে অন্তত সৌদি আরব বলতে পারে যে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং কয়েক দশক ধরে সেটি করে আসছে।
এই বক্তব্যের মধ্যেই সৌদি আরবের বর্তমান অবস্থান এবং আকাঙ্ক্ষা অনেকখানি স্পষ্ট।
ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিবন্ধ অবলম্বনে
ইউক্রেনের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, রাশিয়ার এ ধরনের আক্রমণকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে—যেমনটি ইসরায়েল উত্তর গাজাকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে হয়েছে।
৩ দিন আগেট্রাম্প ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে পারে, সামান্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পেছনের সারিতে থাকলেও বাংলাদেশ,
৩ দিন আগেড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
৪ দিন আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৫ দিন আগে