মারুফ ইসলাম
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত জানুয়ারিতে বিদ্বেষ ও ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া তার টুইটার অ্যাকাউন্ট আবার চালু হতে পারে বলে গণমাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে।
এই কর্তৃত্ব বদল যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের ভবিষ্যতের জন্য ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ট্রাম্পকে যদি এই প্ল্যাটফর্মে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয় এবং মাস্ক টুইটারের নীতিমালা শিথিল করেন, তাহলে এর প্রভাব রাজনীতিতেও ছড়াতে পারে বলে পলিটিকোর এক প্রতিবেদন বলছে।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। এমন সময়ে ট্রাম্পের পুনরুজ্জীবিত টুইটার অ্যাকাউন্ট নির্বাচনের মাঠে ভূমিকা রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আবারও নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এবং মিথ্যা ছড়াতে মোক্ষম মেগাফোন হাতে পাবেন।
ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রকেও নাড়া দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে সিনেট ও কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন বলে খোদ হোয়াইট হাউজের ভেতর থেকে উদ্বেগের খবর দিয়েছে রয়টার্স।
এখন মাস্ক কি পদক্ষেপ নেবেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞাপনদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার মাস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘তিনি টুইটার এমন বিভীষিকাময় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে দেবেন না, যেখানে যাচ্ছেতাই বলে পার পাওয়া যাবে।’
তবে ‘চিফ টুইট’ হয়েই তিনি প্রথম যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা থেকে উল্টো ইঙ্গিতই মেলে। গণমাধ্যমগুলো বলছে, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল ও আইন শাখার প্রদান বিজয় গাড্ডেসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাটাই করেছেন। এরাই কোম্পানির নীতিমালা দেখতেন এবং ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গার পর এই নেতৃত্বই ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ করে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইলন মাস্কের টুইটার কেনার পর ট্রাম্পের নামে এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হয়, ট্রাম্পের স্থগিত অ্যাকাউন্টটি সোমবারের মধ্যে আবার চালু হবে।
ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টুইটার কেনার জন্য ইলন মাস্ককে তার অভিনন্দন। আমাকে বলা হয়েছে, সোমবারের মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
কিন্তু বিবৃতিটি আদৌ ট্রাম্পের কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছেন। কারণ ট্রাম্পের বিবৃতিগুলো সাধারণত তাঁর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে তার সর্বশেষ বিবৃতি ছিল গত ২৬ অক্টোবর, ওহাইয়োর সমাবেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল গত মে মাসে মন্তব্য করেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটারের মালিক হলে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট আবার চালুর প্রতিশ্রুতিও দেন তখন। আর মাস্ককে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা।
এখন মাস্ক তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন কি না, সেটি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বিশ্ববাসী। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার আগে টুইটারে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ট্রাম্প, তাঁর ৯ কোটি অনুসারী ছিল। সিএনএন বলেছে, অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেও ট্রাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব অনুসারীদের ফিরে পাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যদিও এর আগে টুইটারে ফিরবেন না বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন। তিনি বরং তার নিজের নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সক্রিয় থাকতে চেয়েছিলেন। ফক্স নিউজকে তিনি বলেছিলেন, ‘আশা করি, ইলন টুইটার কিনতে পারবেন এবং তিনি টুইটারকে আরও উন্নত করবেন। আমি ট্রুথ ছেড়ে যাব না।’
(তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্স ও পলিটিকো)
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত জানুয়ারিতে বিদ্বেষ ও ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া তার টুইটার অ্যাকাউন্ট আবার চালু হতে পারে বলে গণমাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে।
এই কর্তৃত্ব বদল যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের ভবিষ্যতের জন্য ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ট্রাম্পকে যদি এই প্ল্যাটফর্মে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয় এবং মাস্ক টুইটারের নীতিমালা শিথিল করেন, তাহলে এর প্রভাব রাজনীতিতেও ছড়াতে পারে বলে পলিটিকোর এক প্রতিবেদন বলছে।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। এমন সময়ে ট্রাম্পের পুনরুজ্জীবিত টুইটার অ্যাকাউন্ট নির্বাচনের মাঠে ভূমিকা রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আবারও নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এবং মিথ্যা ছড়াতে মোক্ষম মেগাফোন হাতে পাবেন।
ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রকেও নাড়া দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে সিনেট ও কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন বলে খোদ হোয়াইট হাউজের ভেতর থেকে উদ্বেগের খবর দিয়েছে রয়টার্স।
এখন মাস্ক কি পদক্ষেপ নেবেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞাপনদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার মাস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘তিনি টুইটার এমন বিভীষিকাময় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে দেবেন না, যেখানে যাচ্ছেতাই বলে পার পাওয়া যাবে।’
তবে ‘চিফ টুইট’ হয়েই তিনি প্রথম যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা থেকে উল্টো ইঙ্গিতই মেলে। গণমাধ্যমগুলো বলছে, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল ও আইন শাখার প্রদান বিজয় গাড্ডেসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাটাই করেছেন। এরাই কোম্পানির নীতিমালা দেখতেন এবং ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গার পর এই নেতৃত্বই ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ করে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইলন মাস্কের টুইটার কেনার পর ট্রাম্পের নামে এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হয়, ট্রাম্পের স্থগিত অ্যাকাউন্টটি সোমবারের মধ্যে আবার চালু হবে।
ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টুইটার কেনার জন্য ইলন মাস্ককে তার অভিনন্দন। আমাকে বলা হয়েছে, সোমবারের মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
কিন্তু বিবৃতিটি আদৌ ট্রাম্পের কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছেন। কারণ ট্রাম্পের বিবৃতিগুলো সাধারণত তাঁর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে তার সর্বশেষ বিবৃতি ছিল গত ২৬ অক্টোবর, ওহাইয়োর সমাবেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল গত মে মাসে মন্তব্য করেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটারের মালিক হলে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট আবার চালুর প্রতিশ্রুতিও দেন তখন। আর মাস্ককে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা।
এখন মাস্ক তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন কি না, সেটি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বিশ্ববাসী। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার আগে টুইটারে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ট্রাম্প, তাঁর ৯ কোটি অনুসারী ছিল। সিএনএন বলেছে, অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেও ট্রাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব অনুসারীদের ফিরে পাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যদিও এর আগে টুইটারে ফিরবেন না বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন। তিনি বরং তার নিজের নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সক্রিয় থাকতে চেয়েছিলেন। ফক্স নিউজকে তিনি বলেছিলেন, ‘আশা করি, ইলন টুইটার কিনতে পারবেন এবং তিনি টুইটারকে আরও উন্নত করবেন। আমি ট্রুথ ছেড়ে যাব না।’
(তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্স ও পলিটিকো)
ইউক্রেনের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, রাশিয়ার এ ধরনের আক্রমণকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে—যেমনটি ইসরায়েল উত্তর গাজাকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেট্রাম্প ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে পারে, সামান্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পেছনের সারিতে থাকলেও বাংলাদেশ,
১৪ ঘণ্টা আগেড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১ দিন আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
২ দিন আগে