অনলাইন ডেস্ক
প্রার্থী হিসেবে রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আয়-ব্যয়ের হিসেব প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর পরপরই ইন্টারনেটে নতুন করে মনোযোগ কেড়েছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের পুরোনো একটি বয়ান। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ৬ বছরে ১০ লাখ ডলারেরও কম আয় করেছেন পুতিন। নথি অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৬ বছরে পুতিন রুশ মুদ্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ রুবল আয় করেছেন। মার্কিন মুদ্রায় যা মাত্র ৭ লাখ ৫৩ হাজার ডলার।
কিন্তু ২০২২ সালে জার্মান ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিক ম্যাথিয়াস ডফনারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পুতিনের সম্পদ নিয়ে একটি চমকপ্রদ দাবি করেছিলেন ইলন মাস্ক। সে সময় পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, পুতিন বেশ ভালোভাবেই আমার চেয়ে বেশি ধনী।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পদের হিসেব এখনো রহস্যঘেরা। বলা হয়ে থাকে, কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে তাঁর আছে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাসাদ, আছে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মোনাকো অ্যাপার্টমেন্ট।
বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পুতিনের যেসব সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে সেগুলোর মূল্য কম করে হলেও ২০০ বিলিয়ন ডলার। আর মাস্কের ভাষায়, পুতিনের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ এর চেয়েও বেশি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার পর্যন্ত ২১০.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ইলন মাস্কই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী। অন্তত ৬টি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী তিনি। অন্যদিকে, জানা যায়—পুতিনের আছে কমপক্ষে ২০টি বাড়ি, ৭০০ গাড়ি, ৫৮টি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। আছে ৭ কোটি ডলারেরও বেশি দামে কেনা একটি বিশাল বিমান, যাকে অনেকেই ‘উড়ন্ত ক্রেমলিন’ বলে চিহ্নিত করেন।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, পুতিনের যেসব প্রাসাদসম বাড়ি আছে সেগুলোর দামই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। মস্কোর উপকণ্ঠেই তাঁর এমন একটি প্রাসাদ রয়েছে, যেটি ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহ্যাম প্যালেসের চেয়েও দ্বিগুণ বড়।
পুতিনের ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকার দাবিটি করেছিলেন অর্থনীতিবিদ বিল ব্রাউডার। ২০১৭ সালে তিনি মার্কিন সিনেটের বিচার বিভাগের সামনে হাজির হয়ে জানিয়েছিলেন, ২০০৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় রুশ ব্যবসায়ী (অলিগার্চ) মিখাইল খদোরকোভস্কিকে জেলে পাঠানোর পর পুতিন তার সম্পদ সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ফরচুনকে ম্যাগাজিনকে ব্রাউডার জানিয়েছিলেন, খোদরকোভস্কির পরিণতির পর রাশিয়ার অন্যান্য অলিগার্চও পুতিনের কাছে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন—খোদরকোভস্কির মতো জেলে যাওয়া ঠেকাতে হলে তাঁদের কী করতে হবে। সে সময় পুতিনের উত্তরটি ছিল—‘৫০ শতাংশ’। এই ৫০ শতাংশ রুশ কোষাগার কিংবা প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কাছে নয়, বরং একান্তই নিজের ব্যক্তিগত তহবিলে জমা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুতিন।
২০১৬ সালে ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসে সম্পদ লুকানো বিশ্বের অসংখ্য ধনী ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে এলে—সেখানে পুতিনের নামটিও ছিল।
এই সব দাবিই অস্বীকার করেন পুতিন। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হিসেবে তিনি স্বীকার করেন ঠিকই, তবে অন্যভাবে। তাঁকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক স্টিভেন লি মায়ার্স ‘দ্য নিউ জার’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। বইটিতে ধন-সম্পদ নিয়ে পুতিনের একটি মন্তব্য পাওয়া যায়। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘শুধু ইউরোপ নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীতে আমিই সবচেয়ে ধনী। আমি আবেগ পকেটে ভরি। আমি ধনী এ জন্য যে, রাশিয়ার জনগণ আমাকে দুইবার রাশিয়ার মতো একটি মহান জাতির নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ।’
প্রার্থী হিসেবে রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আয়-ব্যয়ের হিসেব প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর পরপরই ইন্টারনেটে নতুন করে মনোযোগ কেড়েছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের পুরোনো একটি বয়ান। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ৬ বছরে ১০ লাখ ডলারেরও কম আয় করেছেন পুতিন। নথি অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৬ বছরে পুতিন রুশ মুদ্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ রুবল আয় করেছেন। মার্কিন মুদ্রায় যা মাত্র ৭ লাখ ৫৩ হাজার ডলার।
কিন্তু ২০২২ সালে জার্মান ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিক ম্যাথিয়াস ডফনারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পুতিনের সম্পদ নিয়ে একটি চমকপ্রদ দাবি করেছিলেন ইলন মাস্ক। সে সময় পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, পুতিন বেশ ভালোভাবেই আমার চেয়ে বেশি ধনী।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পদের হিসেব এখনো রহস্যঘেরা। বলা হয়ে থাকে, কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে তাঁর আছে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাসাদ, আছে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মোনাকো অ্যাপার্টমেন্ট।
বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পুতিনের যেসব সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে সেগুলোর মূল্য কম করে হলেও ২০০ বিলিয়ন ডলার। আর মাস্কের ভাষায়, পুতিনের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ এর চেয়েও বেশি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার পর্যন্ত ২১০.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ইলন মাস্কই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী। অন্তত ৬টি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী তিনি। অন্যদিকে, জানা যায়—পুতিনের আছে কমপক্ষে ২০টি বাড়ি, ৭০০ গাড়ি, ৫৮টি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। আছে ৭ কোটি ডলারেরও বেশি দামে কেনা একটি বিশাল বিমান, যাকে অনেকেই ‘উড়ন্ত ক্রেমলিন’ বলে চিহ্নিত করেন।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, পুতিনের যেসব প্রাসাদসম বাড়ি আছে সেগুলোর দামই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। মস্কোর উপকণ্ঠেই তাঁর এমন একটি প্রাসাদ রয়েছে, যেটি ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহ্যাম প্যালেসের চেয়েও দ্বিগুণ বড়।
পুতিনের ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকার দাবিটি করেছিলেন অর্থনীতিবিদ বিল ব্রাউডার। ২০১৭ সালে তিনি মার্কিন সিনেটের বিচার বিভাগের সামনে হাজির হয়ে জানিয়েছিলেন, ২০০৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় রুশ ব্যবসায়ী (অলিগার্চ) মিখাইল খদোরকোভস্কিকে জেলে পাঠানোর পর পুতিন তার সম্পদ সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ফরচুনকে ম্যাগাজিনকে ব্রাউডার জানিয়েছিলেন, খোদরকোভস্কির পরিণতির পর রাশিয়ার অন্যান্য অলিগার্চও পুতিনের কাছে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন—খোদরকোভস্কির মতো জেলে যাওয়া ঠেকাতে হলে তাঁদের কী করতে হবে। সে সময় পুতিনের উত্তরটি ছিল—‘৫০ শতাংশ’। এই ৫০ শতাংশ রুশ কোষাগার কিংবা প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কাছে নয়, বরং একান্তই নিজের ব্যক্তিগত তহবিলে জমা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুতিন।
২০১৬ সালে ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসে সম্পদ লুকানো বিশ্বের অসংখ্য ধনী ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে এলে—সেখানে পুতিনের নামটিও ছিল।
এই সব দাবিই অস্বীকার করেন পুতিন। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হিসেবে তিনি স্বীকার করেন ঠিকই, তবে অন্যভাবে। তাঁকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক স্টিভেন লি মায়ার্স ‘দ্য নিউ জার’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। বইটিতে ধন-সম্পদ নিয়ে পুতিনের একটি মন্তব্য পাওয়া যায়। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘শুধু ইউরোপ নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীতে আমিই সবচেয়ে ধনী। আমি আবেগ পকেটে ভরি। আমি ধনী এ জন্য যে, রাশিয়ার জনগণ আমাকে দুইবার রাশিয়ার মতো একটি মহান জাতির নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ।’
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
১ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
১২ দিন আগে