অনলাইন ডেস্ক
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাঁর দল বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পরে অবশ্য তিনি মোদির কট্টর সমালোচক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হয়েও কাজ করেন এবং সাফল্য পান। ভোট কুশলী হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ভারতজুড়ে। অনেকেই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী অব্যর্থ। এমন মনে করাটাই স্বাভাবিক। কারণ ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসনের বেশি পাবে। আর বিজেপি ১০০ আসন টপকাতে পারবে না। এটাও বলেছিলেন, ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হলে তিনি এই পেশাই ছেড়ে দেবেন।
সেবার প্রশান্ত কিশোরের কথা সত্যিই ফলে গিয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত ২১৫ আসনে জয় পায়। আর বিপরীতে বিজেপি পায় মাত্র ৭৭ টি। তবে মমতার সঙ্গেও একসময় দূরত্ব বাড়তে শুরু করে কিশোরের। আবারও বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি।
বলা বাহুল্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের চিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতার দলের ভরাডুবি হবে বলে জানিয়ে দেন প্রশান্ত কিশোর। এটাও জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতে এবার বাংলা দখল করবে বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাই এখন বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, খুব সতর্কতার সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষ বাছাই করেন তিনি। যাদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরই পক্ষেই কাজ করেন এবং তাদের অনুকূলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের যে কাল্পনিক দাবি উঠেছিল, তার ভিত্তিতেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিলেন কিশোর।
শুধু বাংলায় নয়, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র নিয়েও প্রশান্ত কিশোরের অনুমান এবার একেবারেই বিপরীত। নির্বাচনের আগে মোদি বলেছিলেন, ‘অব কি বার, ৪০০ পার।’ তবে কিশোর দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালে মোদির নেতৃত্বে ৩০৩ আসন পাওয়া বিজেপি এবার ৪০০ আসন পাড়ি দিতে না পারলেও গতবারের আসনসংখ্যা ঠিকই ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু দেখা গেল—মোদির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনই পায়নি। বিজেপি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে। যদিও জোটসঙ্গীদের নিয়ে দলটি এবারও ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত।
প্রশান্ত কিশোর এবার সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গেই। লোকসভা ভোটের আগে দাবি করেছিলেন, গত লোকসভায় রাজ্যটির ৪২ আসনের মধ্যে বিজেপি যে ১৮টি আসন পেয়েছিল, তার থেকে এবার আসন কমবে না, বরং বাড়বে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটাও বলেছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় জনমত তৈরি করবে।
শুধু একবার নয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তিনি বারবার বলেছেন, ‘বিধানসভা ভোটে বিজেপির ফল দেখে লোকসভার সম্ভাবনা বিচার করা ঠিক হবে না।’ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটুক বা না ঘটুক, এটা বাস্তব যে বাংলায় বিজেপি এখন বাড়ছে।’
প্রশান্ত কিশোরের এমন ভবিষ্যদ্বাণী স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছিল। কিছু পর্যবেক্ষকও মত দিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোর যেভাবে দম্ভ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তাঁর স্বার্থ আছে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন, তিনি বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন।
আরেকটি বিষয় হলো—নির্বাচনের পর এবার বুথ ফেরত জরিপগুলো যেভাবে বিজেপির ভূমিধস বিজয় ঘোষণা করেছিল, তা যেন প্রশান্ত কিশোরের মতের সঙ্গেই মিলে গিয়েছিল। জরিপ প্রকাশের পর তাই কিছুটা অহংকার নিয়ে কিশোর একটি টুইট করেন। এতে তিনি লিখেন—এর পর থেকে ভোট বা রাজনীতির কথা বলতে হলে, খালি ভুয়ো সাংবাদিক, বড় বড় কথা বলা নেতা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে সময় নষ্ট করবেন না।
এবারের পর হয়তো প্রশান্ত কিশোরের মতামত শুনে ভারতের আর কেউ সময় নষ্ট করবে না।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাঁর দল বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পরে অবশ্য তিনি মোদির কট্টর সমালোচক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হয়েও কাজ করেন এবং সাফল্য পান। ভোট কুশলী হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ভারতজুড়ে। অনেকেই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী অব্যর্থ। এমন মনে করাটাই স্বাভাবিক। কারণ ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসনের বেশি পাবে। আর বিজেপি ১০০ আসন টপকাতে পারবে না। এটাও বলেছিলেন, ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হলে তিনি এই পেশাই ছেড়ে দেবেন।
সেবার প্রশান্ত কিশোরের কথা সত্যিই ফলে গিয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত ২১৫ আসনে জয় পায়। আর বিপরীতে বিজেপি পায় মাত্র ৭৭ টি। তবে মমতার সঙ্গেও একসময় দূরত্ব বাড়তে শুরু করে কিশোরের। আবারও বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি।
বলা বাহুল্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের চিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতার দলের ভরাডুবি হবে বলে জানিয়ে দেন প্রশান্ত কিশোর। এটাও জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতে এবার বাংলা দখল করবে বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাই এখন বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, খুব সতর্কতার সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষ বাছাই করেন তিনি। যাদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরই পক্ষেই কাজ করেন এবং তাদের অনুকূলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের যে কাল্পনিক দাবি উঠেছিল, তার ভিত্তিতেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিলেন কিশোর।
শুধু বাংলায় নয়, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র নিয়েও প্রশান্ত কিশোরের অনুমান এবার একেবারেই বিপরীত। নির্বাচনের আগে মোদি বলেছিলেন, ‘অব কি বার, ৪০০ পার।’ তবে কিশোর দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালে মোদির নেতৃত্বে ৩০৩ আসন পাওয়া বিজেপি এবার ৪০০ আসন পাড়ি দিতে না পারলেও গতবারের আসনসংখ্যা ঠিকই ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু দেখা গেল—মোদির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনই পায়নি। বিজেপি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে। যদিও জোটসঙ্গীদের নিয়ে দলটি এবারও ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত।
প্রশান্ত কিশোর এবার সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গেই। লোকসভা ভোটের আগে দাবি করেছিলেন, গত লোকসভায় রাজ্যটির ৪২ আসনের মধ্যে বিজেপি যে ১৮টি আসন পেয়েছিল, তার থেকে এবার আসন কমবে না, বরং বাড়বে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটাও বলেছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় জনমত তৈরি করবে।
শুধু একবার নয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তিনি বারবার বলেছেন, ‘বিধানসভা ভোটে বিজেপির ফল দেখে লোকসভার সম্ভাবনা বিচার করা ঠিক হবে না।’ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটুক বা না ঘটুক, এটা বাস্তব যে বাংলায় বিজেপি এখন বাড়ছে।’
প্রশান্ত কিশোরের এমন ভবিষ্যদ্বাণী স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছিল। কিছু পর্যবেক্ষকও মত দিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোর যেভাবে দম্ভ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তাঁর স্বার্থ আছে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন, তিনি বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন।
আরেকটি বিষয় হলো—নির্বাচনের পর এবার বুথ ফেরত জরিপগুলো যেভাবে বিজেপির ভূমিধস বিজয় ঘোষণা করেছিল, তা যেন প্রশান্ত কিশোরের মতের সঙ্গেই মিলে গিয়েছিল। জরিপ প্রকাশের পর তাই কিছুটা অহংকার নিয়ে কিশোর একটি টুইট করেন। এতে তিনি লিখেন—এর পর থেকে ভোট বা রাজনীতির কথা বলতে হলে, খালি ভুয়ো সাংবাদিক, বড় বড় কথা বলা নেতা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে সময় নষ্ট করবেন না।
এবারের পর হয়তো প্রশান্ত কিশোরের মতামত শুনে ভারতের আর কেউ সময় নষ্ট করবে না।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে