আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সময় যত গড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ বাড়ছে এবং দেশটি নজিরবিহীন খেলাপি পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। আর এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও জাপানের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সিকিউরিটিজ বা বন্ডে চীন এবং জাপান সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। মার্কিন ট্রেজারি সিকিউরিটিজে বিভিন্ন দেশের মোট ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগের মধ্যে এ দেশ দুটির সম্মিলিত বিনিয়োগ ২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট বিনিয়োগের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
মার্কিন ট্রেজারির বন্ডে বেইজিং শেয়ার কেনা শুরু করেছে ২০০০ সালের দিকে, যখন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় কার্যকরভাবে চীনকে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল। এর ফলে চীনের রপ্তানিতে জোয়ার আসে এবং বিপুল পরিমাণ ডলার আসতে থাকে। আর এসব ডলার রাখার জন্য নিরাপদ জায়গার দরকার পড়ে, যা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি বন্ডকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করা হয়। স্বভাবত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণে চীনের শেয়ার ধারণ ১০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০১৩ সালে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
এদিকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চীন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। তবে ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় বেইজিং বিনিয়োগ থেকে অনেকটা সরে আসে। ফলে ওই বছর চীনের অবস্থান ছাড়িয়ে জাপানই দেশটির শীর্ষ ঋণদাতায় পরিণত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিতে টোকিওর শেয়ারের পরিমাণ ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার আর চীনের শেয়ার ৮৭০ বিলিয়ন ডলার। তার মানে মার্কিন ট্রেজারির মূল্যে যেকোনো ধস উভয় দেশের অবস্থাই নাজুক করে তুলবে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের জিওইকোনমিকস সেন্টারের বিশ্লেষক জোশ লিপস্কি ও ফিলিপ মেং বলেন, মার্কিন সরকারি সিকিউরিটিজে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ/শেয়ার জাপান ও চীনের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে, যদি ট্রেজারির মূল্য কমে যায়।
ট্রেজারির ক্রমহ্রাসমান মূল্য জাপান ও চীনের বৈদেশিক রিজার্ভে পতন ঘটাবে। তার মানে হলো, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির বিল পরিশোধ, নিজেদের বৈদেশিক ঋণের দায় মেটানো কিংবা জাতীয় মুদ্রা শক্তিশালী রাখতে তাদের কম অর্থ থাকবে।
জোশ লিপস্কি ও ফিলিপ মেং আরও বলেন, প্রকৃত ঝুঁকি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং সম্ভাব্য মার্কিন মন্দা থেকে আসবে, যা দেশটিকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
লিপস্কি ও ফিলিপ বলেন, এটা সব দেশের জন্যই ভীষণ উদ্বেগের, তবে দুর্বল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কারণে তা বিশেষভাবে চীনের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করবে।
করোনা মহামারিসংক্রান্ত বিধিনিষেধ গত বছর আকস্মিক প্রত্যাহার হয়। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসে। তবু চীনের অর্থনীতি এখন মূল প্রবাহ থেকে ছিটকেই রয়েছে। কারণ, দেশটির ভোগ, বিনিয়োগ এবং শিল্প উৎপাদন সব সূচকেই ভাটার টান লক্ষ করা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে ভোক্তা মূল্য বাড়ায় চাহিদা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মূল্য সংকোচনমূলক চাপ বেড়েছে। আরেকটা বড় উদ্বেগ হলো, তরুণদের বেড়ে চলা বেকারত্ব এপ্রিলে রেকর্ড ২০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে জাপানে সবে অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং মূল্য সংকোচনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হলে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আবার ব্যাহত হবে।
ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা গত শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হলে বিভিন্ন বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য মারাত্মক পরিণাম বয়ে আনবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন আশ্বস্ত করেছেন, মার্কিন সরকারের সব অর্থ ফুরিয়ে গেলে কিংবা সব বিল পরিশোধে অনন্যসাধারণ পদক্ষেপ নিতে হলেও তা ১ জুনের আগে ঘটবে না এবং সম্ভাব্য ঋণ খেলাপের মাত্রা তখনো থাকবে বেশ কম।
মার্কিন কিছু আইনপ্রণেতা অবশ্য বন্ডের শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারীদের সুদ পরিশোধকে প্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি প্রস্তাব করেছেন।
সময় যত গড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ বাড়ছে এবং দেশটি নজিরবিহীন খেলাপি পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। আর এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও জাপানের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সিকিউরিটিজ বা বন্ডে চীন এবং জাপান সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। মার্কিন ট্রেজারি সিকিউরিটিজে বিভিন্ন দেশের মোট ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগের মধ্যে এ দেশ দুটির সম্মিলিত বিনিয়োগ ২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট বিনিয়োগের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
মার্কিন ট্রেজারির বন্ডে বেইজিং শেয়ার কেনা শুরু করেছে ২০০০ সালের দিকে, যখন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় কার্যকরভাবে চীনকে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল। এর ফলে চীনের রপ্তানিতে জোয়ার আসে এবং বিপুল পরিমাণ ডলার আসতে থাকে। আর এসব ডলার রাখার জন্য নিরাপদ জায়গার দরকার পড়ে, যা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি বন্ডকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করা হয়। স্বভাবত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণে চীনের শেয়ার ধারণ ১০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০১৩ সালে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
এদিকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চীন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। তবে ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় বেইজিং বিনিয়োগ থেকে অনেকটা সরে আসে। ফলে ওই বছর চীনের অবস্থান ছাড়িয়ে জাপানই দেশটির শীর্ষ ঋণদাতায় পরিণত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিতে টোকিওর শেয়ারের পরিমাণ ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার আর চীনের শেয়ার ৮৭০ বিলিয়ন ডলার। তার মানে মার্কিন ট্রেজারির মূল্যে যেকোনো ধস উভয় দেশের অবস্থাই নাজুক করে তুলবে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের জিওইকোনমিকস সেন্টারের বিশ্লেষক জোশ লিপস্কি ও ফিলিপ মেং বলেন, মার্কিন সরকারি সিকিউরিটিজে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ/শেয়ার জাপান ও চীনের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে, যদি ট্রেজারির মূল্য কমে যায়।
ট্রেজারির ক্রমহ্রাসমান মূল্য জাপান ও চীনের বৈদেশিক রিজার্ভে পতন ঘটাবে। তার মানে হলো, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির বিল পরিশোধ, নিজেদের বৈদেশিক ঋণের দায় মেটানো কিংবা জাতীয় মুদ্রা শক্তিশালী রাখতে তাদের কম অর্থ থাকবে।
জোশ লিপস্কি ও ফিলিপ মেং আরও বলেন, প্রকৃত ঝুঁকি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং সম্ভাব্য মার্কিন মন্দা থেকে আসবে, যা দেশটিকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
লিপস্কি ও ফিলিপ বলেন, এটা সব দেশের জন্যই ভীষণ উদ্বেগের, তবে দুর্বল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কারণে তা বিশেষভাবে চীনের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করবে।
করোনা মহামারিসংক্রান্ত বিধিনিষেধ গত বছর আকস্মিক প্রত্যাহার হয়। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসে। তবু চীনের অর্থনীতি এখন মূল প্রবাহ থেকে ছিটকেই রয়েছে। কারণ, দেশটির ভোগ, বিনিয়োগ এবং শিল্প উৎপাদন সব সূচকেই ভাটার টান লক্ষ করা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে ভোক্তা মূল্য বাড়ায় চাহিদা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মূল্য সংকোচনমূলক চাপ বেড়েছে। আরেকটা বড় উদ্বেগ হলো, তরুণদের বেড়ে চলা বেকারত্ব এপ্রিলে রেকর্ড ২০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে জাপানে সবে অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং মূল্য সংকোচনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হলে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আবার ব্যাহত হবে।
ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা গত শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হলে বিভিন্ন বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য মারাত্মক পরিণাম বয়ে আনবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন আশ্বস্ত করেছেন, মার্কিন সরকারের সব অর্থ ফুরিয়ে গেলে কিংবা সব বিল পরিশোধে অনন্যসাধারণ পদক্ষেপ নিতে হলেও তা ১ জুনের আগে ঘটবে না এবং সম্ভাব্য ঋণ খেলাপের মাত্রা তখনো থাকবে বেশ কম।
মার্কিন কিছু আইনপ্রণেতা অবশ্য বন্ডের শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারীদের সুদ পরিশোধকে প্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি প্রস্তাব করেছেন।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৭ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১৫ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে