অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মামলায় ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের মতো শত্রু দেশগুলো ছাড়াও একই অভিযোগ করে আসছে ফিলিস্তিনিরাও। তবে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো গাজায় হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। তারা মনে করে, গাজায় যা হয়েছে, তা ইসরায়েলের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এ সম্পর্কিত এক নিবন্ধে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা করেছে—এমন অভিযোগ করছে পশ্চিমা দেশগুলোর বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে এই সংঘাত নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে মন্তব্য করা বিশ্লেষকেরাও। গত ২৮ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের নিউ ইয়র্ক অফিসের পরিচালক ক্রেইগ মোখিবার বলেছিলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী এটি গণহত্যারই ঘটনা।’
তবে ইসরায়েল বরাবারই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছে যে, তারা গাজায় কোনো গণহত্যা সংঘটিত করেনি। তা ছাড়া এই পরিস্থিতির জন্য হামাসই দায়ী। গত ২৬ অক্টোবর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ আর্ডেন বলেছিলেন, ‘এটা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ নয়। ইসরায়েল গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, দিনের পর দিন বোমা হামলায় গাজার সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের নির্মম হত্যাযজ্ঞ যদি গণহত্যা না হয়, তবে ‘গণহত্যা’ আসলে কী?
এ বিষয়ে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরম্পরায় ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে গণহত্যার মতো অপরাধ প্রতিরোধ এবং এর জন্য শাস্তি নিশ্চিত করতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে জাতিসংঘ। সেই সম্মেলনেই ‘গণহত্যাকে’ এমন একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়—যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একটি জাতি, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা হয়। আরেকটু সহজ করতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়—বিষয়টি শুধু হত্যার শিকার মানুষের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না। এ ক্ষেত্রে জেনেশুনে শারীরিকভাবে ধ্বংস করে দিতে কোনো গোষ্ঠীর ওপর আঘাত করাও বিবেচ্য হতে পারে। যেমন—‘গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি’, ‘জন্ম প্রতিরোধের উদ্দেশে কোনো ব্যবস্থা’ এবং ‘জোর করে কোনো গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে নিয়ে যাওয়া’র মতো নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার আইনগত কাঠামো আছে। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কাউকে অভিযুক্ত করতে সক্ষম।
এ ধরনের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন উদাহরণ দিতে গেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যার কথা বলা যেতে পারে। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় হুতু মিলিশিয়াদের দ্বারা ৫ লাখ তুতসিকে হত্যার ঘটনাও এর আওতায় পড়ে। উভয় ক্ষেত্রেই একটি জাতিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল।
আবার ২০০৩ সালে সুদানের দারফুরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের কথাই ধরা যাক। সে সময় ওই এলাকাটিতে ৩ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল দেশটির সরকারের মদদপুষ্ট বাহিনী। আমেরিকাও এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে জাতিসংঘ কমিশন সিদ্ধান্ত দেয় যে—ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুদানের সরকার গণহত্যার নীতি অনুসরণ করেনি।
ইতিপূর্বে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা সরকারের আচরণকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছিল। তবে এটিকে গণহত্যা মানতে নারাজ ছিল কয়েকটি পক্ষ। এমনকি ইকোনমিস্ট পত্রিকায়ও এ বিষয়ে এক উপসংহারে বলা হয়েছিল—উইঘুরদের প্রতি চীনের অত্যাচার ভয়াবহ ছিল, তবে এটি গণহত্যা নয়।
এদিকে ইকোনমিস্টের এ সম্পর্কিত নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, সংজ্ঞা অনুযায়ী হামাস একটি গণহত্যাকারী সংগঠন। ১৯৮৮ সালে এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সনদে স্পষ্টভাবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়, যত দিন মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে যুদ্ধ এবং তাদের হত্যা না করবে তত দিন বিচারের দিন আসবে না। ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংগঠনটি ইসরায়েল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত কোনো আপস বা শান্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে দেশটির প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করেছে।
দাবি করা হচ্ছে, হামাসের হামলার বিপরীতে গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার আওতায় পড়ে না। দেশটি ফিলিস্তিনি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। ইসরায়েল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হামাসকে ধ্বংস করতে চায় এবং এটি করতে গিয়ে যদি বেসামরিক মানুষেরা নিহত হয়, তবে তা করতেও প্রস্তুত দেশটি। কিছু ইসরায়েলি চরমপন্থী গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নির্মূল করতে চাইলেও এমনটি দেশটির সরকারি নীতির মধ্যে নেই। ফিলিস্তিনিদের জন্ম থামিয়ে দিতেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে মনে করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করা দক্ষিণ আফ্রিকা। দাবি করে, গাজা উপত্যকা অবরোধ করে সেখানে বসবাস করা সব মানুষের জীবনের ওপর আঘাত করেছে ইসরায়েল। দেশটি স্পষ্টভাবেই ফিলিস্তিনিদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে। গাজার উত্তর অংশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে তারা বাস্তুচ্যুত করেছে। যদি সেই মানুষদের তাদের বাসস্থানে ফেরত যেতে বাধা দেওয়া হয়, তবে এটি তাদের অঞ্চলের ধ্বংস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। জাতিসংঘের মানবিক ও ত্রাণ সংস্থার সাবেক প্রধান জ্যান অ্যাগল্যান্ড ‘মানুষদের জোর করে স্থানান্তর’ বলে যে বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন—সেই অপরাধই ইসরায়েল করেছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার।
কথা হচ্ছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গণহত্যার সীমা যদি অতিক্রম না করে থাকে, তারপরও এই বাহিনী অপরাধী হতে পারে। সুদানের দারফুর নিয়ে প্রতিবেদনে জাতিসংঘ যেমন উপসংহার টেনেছিল—‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গণহত্যার চেয়ে কম নির্মম নয়।’
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মামলায় ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের মতো শত্রু দেশগুলো ছাড়াও একই অভিযোগ করে আসছে ফিলিস্তিনিরাও। তবে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো গাজায় হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। তারা মনে করে, গাজায় যা হয়েছে, তা ইসরায়েলের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এ সম্পর্কিত এক নিবন্ধে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা করেছে—এমন অভিযোগ করছে পশ্চিমা দেশগুলোর বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে এই সংঘাত নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে মন্তব্য করা বিশ্লেষকেরাও। গত ২৮ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের নিউ ইয়র্ক অফিসের পরিচালক ক্রেইগ মোখিবার বলেছিলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী এটি গণহত্যারই ঘটনা।’
তবে ইসরায়েল বরাবারই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছে যে, তারা গাজায় কোনো গণহত্যা সংঘটিত করেনি। তা ছাড়া এই পরিস্থিতির জন্য হামাসই দায়ী। গত ২৬ অক্টোবর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ আর্ডেন বলেছিলেন, ‘এটা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ নয়। ইসরায়েল গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, দিনের পর দিন বোমা হামলায় গাজার সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের নির্মম হত্যাযজ্ঞ যদি গণহত্যা না হয়, তবে ‘গণহত্যা’ আসলে কী?
এ বিষয়ে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরম্পরায় ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে গণহত্যার মতো অপরাধ প্রতিরোধ এবং এর জন্য শাস্তি নিশ্চিত করতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে জাতিসংঘ। সেই সম্মেলনেই ‘গণহত্যাকে’ এমন একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়—যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একটি জাতি, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা হয়। আরেকটু সহজ করতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়—বিষয়টি শুধু হত্যার শিকার মানুষের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না। এ ক্ষেত্রে জেনেশুনে শারীরিকভাবে ধ্বংস করে দিতে কোনো গোষ্ঠীর ওপর আঘাত করাও বিবেচ্য হতে পারে। যেমন—‘গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি’, ‘জন্ম প্রতিরোধের উদ্দেশে কোনো ব্যবস্থা’ এবং ‘জোর করে কোনো গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে নিয়ে যাওয়া’র মতো নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার আইনগত কাঠামো আছে। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কাউকে অভিযুক্ত করতে সক্ষম।
এ ধরনের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন উদাহরণ দিতে গেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যার কথা বলা যেতে পারে। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় হুতু মিলিশিয়াদের দ্বারা ৫ লাখ তুতসিকে হত্যার ঘটনাও এর আওতায় পড়ে। উভয় ক্ষেত্রেই একটি জাতিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল।
আবার ২০০৩ সালে সুদানের দারফুরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের কথাই ধরা যাক। সে সময় ওই এলাকাটিতে ৩ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল দেশটির সরকারের মদদপুষ্ট বাহিনী। আমেরিকাও এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে জাতিসংঘ কমিশন সিদ্ধান্ত দেয় যে—ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুদানের সরকার গণহত্যার নীতি অনুসরণ করেনি।
ইতিপূর্বে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা সরকারের আচরণকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছিল। তবে এটিকে গণহত্যা মানতে নারাজ ছিল কয়েকটি পক্ষ। এমনকি ইকোনমিস্ট পত্রিকায়ও এ বিষয়ে এক উপসংহারে বলা হয়েছিল—উইঘুরদের প্রতি চীনের অত্যাচার ভয়াবহ ছিল, তবে এটি গণহত্যা নয়।
এদিকে ইকোনমিস্টের এ সম্পর্কিত নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, সংজ্ঞা অনুযায়ী হামাস একটি গণহত্যাকারী সংগঠন। ১৯৮৮ সালে এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সনদে স্পষ্টভাবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়, যত দিন মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে যুদ্ধ এবং তাদের হত্যা না করবে তত দিন বিচারের দিন আসবে না। ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংগঠনটি ইসরায়েল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত কোনো আপস বা শান্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে দেশটির প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করেছে।
দাবি করা হচ্ছে, হামাসের হামলার বিপরীতে গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার আওতায় পড়ে না। দেশটি ফিলিস্তিনি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। ইসরায়েল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হামাসকে ধ্বংস করতে চায় এবং এটি করতে গিয়ে যদি বেসামরিক মানুষেরা নিহত হয়, তবে তা করতেও প্রস্তুত দেশটি। কিছু ইসরায়েলি চরমপন্থী গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নির্মূল করতে চাইলেও এমনটি দেশটির সরকারি নীতির মধ্যে নেই। ফিলিস্তিনিদের জন্ম থামিয়ে দিতেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে মনে করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করা দক্ষিণ আফ্রিকা। দাবি করে, গাজা উপত্যকা অবরোধ করে সেখানে বসবাস করা সব মানুষের জীবনের ওপর আঘাত করেছে ইসরায়েল। দেশটি স্পষ্টভাবেই ফিলিস্তিনিদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে। গাজার উত্তর অংশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে তারা বাস্তুচ্যুত করেছে। যদি সেই মানুষদের তাদের বাসস্থানে ফেরত যেতে বাধা দেওয়া হয়, তবে এটি তাদের অঞ্চলের ধ্বংস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। জাতিসংঘের মানবিক ও ত্রাণ সংস্থার সাবেক প্রধান জ্যান অ্যাগল্যান্ড ‘মানুষদের জোর করে স্থানান্তর’ বলে যে বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন—সেই অপরাধই ইসরায়েল করেছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার।
কথা হচ্ছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গণহত্যার সীমা যদি অতিক্রম না করে থাকে, তারপরও এই বাহিনী অপরাধী হতে পারে। সুদানের দারফুর নিয়ে প্রতিবেদনে জাতিসংঘ যেমন উপসংহার টেনেছিল—‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গণহত্যার চেয়ে কম নির্মম নয়।’
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৬ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে