অনলাইন ডেস্ক
ভারত মহাসাগরে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করেছে ইরান, রাশিয়া ও ওমান। তবে বিষয়টি এই তিন দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব, ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার ও বাংলাদেশ। এই মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জাহাজগুলো নৌযানে আগুন নেভানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান শেয়ার করবে।
এই নৌ-মহড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ফায়দা তুলবে তুলনামূলক ছোট বহরের দেশ ইরান। এই মহড়া তেহরানের শাসকগোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক বৈধতাও এনে দেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান রুশ নৌবাহিনীর সঙ্গে মহড়া বাড়িয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী ওমানের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়েছে।
এই মহড়ার বিষয়ে ইরানি নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল মোস্তফা তাজুদ্দিন দেশটির বন্দর নগরী বন্দর আব্বাসে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অংশগ্রহণকারী জাহাজ ও ইউনিটগুলো বিভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করবে, যার মধ্যে আগুন নেভানো, সাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তেল অপসারণ করার বিষয় অন্যতম।’
এই নৌ-মহড়া মূলত ইন্ডিয়ান ওশেন নেভাল সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস) আয়োজিত ম্যারিটাইম এক্সারসাইজের (আইএমইএক্স-২২) ধারাবাহিকতা। ২০২২ সালে প্রথম এ ধরনের নৌ-মহড়া শুরু করা হয়।
নৌ-বাহিনী সংক্রান্ত খবরাখবরের ওয়েবসাইট নেভাল টেকনোলজি এই মহড়ার বিষয়ে বলেছে, ‘আইএমইএক্স-২২ এর প্রথম মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বছরে ২৬-৩০ মার্চ ভারতের গোয়ায় (আরব সাগর উপকূলবর্তী শহর)। আইওএনএস-এর ২৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৫টি এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, মরিশাস, মোজাম্বিক, কাতার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।’
ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনার তথ্য বলছে, এই মহড়ার ২০২৪ সালের সংস্করণটি শুরু হয়েছে ইরানে। রাশিয়া এবং ওমান তাদের যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠিয়েছে এতে অংশগ্রহণ করতে। এতে ইরানের নৌবাহিনীর পাশাপাশি দেশটির বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ-ইউনিটও যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া ইরানি কোস্টগার্ডও এতে যুক্ত হয়েছে।
এই মহড়ায় সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ইরান ও সৌদি আরব সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে বোঝাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সৌদি আরব সফর করেছেন।
কীভাবে সমুদ্রে আগুন নেভাতে হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হয় এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তেল অপসারণ করতে সাহায্য করতে হয় তা আরও ভালোভাবে আত্মস্থ করার চেষ্টা করছে তেহরান। তবে এই বিষয়ে ইরানের অনেক কিছুই হয়তো জানা উচিত। কারণ, ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে আক্রমণ করছে, আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠে তেল ফেলেছে। এই দুই চিত্রকল্প যদি একসঙ্গে মিলিয়ে পড়া হয়, তাহলে বোঝা যায় এ ক্ষেত্রে ইরান একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগকারী এবং অগ্নি নির্বাপণকারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছে। তবে এটি যে ক্ষতিকর সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইরান এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে আবার একই সঙ্গে আইএমইএক্সভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে মহড়ায় অংশ নিয়ে ‘শান্তি, বন্ধুত্ব, সংহতি এবং সম্মিলিত সহযোগিতার’—কথা বলছে। একই সঙ্গে, ইরানিরা টেকসই সম্মিলিত নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বহুপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের কথাও বলেছে। ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার, ওমান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ইরানের জামারান ডেস্ট্রয়ারে উপস্থিত ছিলেন—তারা মহড়ার বিভিন্ন পর্যায় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ইরানিরা জানিয়েছে, এই মহড়া ‘ইরানের নৌ শক্তি প্রদর্শন এবং ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তায় বিনিয়োগকারী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসারিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’ চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘রাশিয়া ও ওমান তাদের যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠিয়েছে আইআরজিসির সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে। এখানে লক্ষণীয় যে, আইআরজিসিকে যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চলমান এই আইএমইএক্স মহড়া যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আইএমইএক্স মহড়া থেকে ভিন্ন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সেই নৌ মহড়ায় ৭ হাজার সেনা, ৩৫টি জাহাজ এবং ৫০ টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩০টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাসহ সম্মিলিত অনুশীলন ব্যবস্থা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সেই মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো—বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া, কমোরোস, ডেনমার্ক, জিবুতি, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রিস, ভারত, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মরিশাস। , মরক্কো, মোজাম্বিক, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, সেনেগাল, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাঞ্জানিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে এবং ইয়েমেন।
এবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
জেরুসালেম পোস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
ভারত মহাসাগরে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করেছে ইরান, রাশিয়া ও ওমান। তবে বিষয়টি এই তিন দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব, ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার ও বাংলাদেশ। এই মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জাহাজগুলো নৌযানে আগুন নেভানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান শেয়ার করবে।
এই নৌ-মহড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ফায়দা তুলবে তুলনামূলক ছোট বহরের দেশ ইরান। এই মহড়া তেহরানের শাসকগোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক বৈধতাও এনে দেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান রুশ নৌবাহিনীর সঙ্গে মহড়া বাড়িয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী ওমানের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়েছে।
এই মহড়ার বিষয়ে ইরানি নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল মোস্তফা তাজুদ্দিন দেশটির বন্দর নগরী বন্দর আব্বাসে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অংশগ্রহণকারী জাহাজ ও ইউনিটগুলো বিভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করবে, যার মধ্যে আগুন নেভানো, সাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তেল অপসারণ করার বিষয় অন্যতম।’
এই নৌ-মহড়া মূলত ইন্ডিয়ান ওশেন নেভাল সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস) আয়োজিত ম্যারিটাইম এক্সারসাইজের (আইএমইএক্স-২২) ধারাবাহিকতা। ২০২২ সালে প্রথম এ ধরনের নৌ-মহড়া শুরু করা হয়।
নৌ-বাহিনী সংক্রান্ত খবরাখবরের ওয়েবসাইট নেভাল টেকনোলজি এই মহড়ার বিষয়ে বলেছে, ‘আইএমইএক্স-২২ এর প্রথম মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বছরে ২৬-৩০ মার্চ ভারতের গোয়ায় (আরব সাগর উপকূলবর্তী শহর)। আইওএনএস-এর ২৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৫টি এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, মরিশাস, মোজাম্বিক, কাতার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।’
ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনার তথ্য বলছে, এই মহড়ার ২০২৪ সালের সংস্করণটি শুরু হয়েছে ইরানে। রাশিয়া এবং ওমান তাদের যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠিয়েছে এতে অংশগ্রহণ করতে। এতে ইরানের নৌবাহিনীর পাশাপাশি দেশটির বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ-ইউনিটও যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া ইরানি কোস্টগার্ডও এতে যুক্ত হয়েছে।
এই মহড়ায় সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ইরান ও সৌদি আরব সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে বোঝাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সৌদি আরব সফর করেছেন।
কীভাবে সমুদ্রে আগুন নেভাতে হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হয় এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তেল অপসারণ করতে সাহায্য করতে হয় তা আরও ভালোভাবে আত্মস্থ করার চেষ্টা করছে তেহরান। তবে এই বিষয়ে ইরানের অনেক কিছুই হয়তো জানা উচিত। কারণ, ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে আক্রমণ করছে, আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠে তেল ফেলেছে। এই দুই চিত্রকল্প যদি একসঙ্গে মিলিয়ে পড়া হয়, তাহলে বোঝা যায় এ ক্ষেত্রে ইরান একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগকারী এবং অগ্নি নির্বাপণকারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছে। তবে এটি যে ক্ষতিকর সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইরান এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে আবার একই সঙ্গে আইএমইএক্সভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে মহড়ায় অংশ নিয়ে ‘শান্তি, বন্ধুত্ব, সংহতি এবং সম্মিলিত সহযোগিতার’—কথা বলছে। একই সঙ্গে, ইরানিরা টেকসই সম্মিলিত নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বহুপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের কথাও বলেছে। ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার, ওমান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ইরানের জামারান ডেস্ট্রয়ারে উপস্থিত ছিলেন—তারা মহড়ার বিভিন্ন পর্যায় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ইরানিরা জানিয়েছে, এই মহড়া ‘ইরানের নৌ শক্তি প্রদর্শন এবং ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তায় বিনিয়োগকারী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসারিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’ চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘রাশিয়া ও ওমান তাদের যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠিয়েছে আইআরজিসির সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে। এখানে লক্ষণীয় যে, আইআরজিসিকে যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চলমান এই আইএমইএক্স মহড়া যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আইএমইএক্স মহড়া থেকে ভিন্ন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সেই নৌ মহড়ায় ৭ হাজার সেনা, ৩৫টি জাহাজ এবং ৫০ টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩০টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাসহ সম্মিলিত অনুশীলন ব্যবস্থা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সেই মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো—বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া, কমোরোস, ডেনমার্ক, জিবুতি, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রিস, ভারত, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মরিশাস। , মরক্কো, মোজাম্বিক, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, সেনেগাল, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাঞ্জানিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে এবং ইয়েমেন।
এবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
জেরুসালেম পোস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
১৮ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৩ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৭ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
১১ দিন আগে