অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ দেশ হিসেবে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে মালয়েশিয়া। এর পেছনে বিশ্ব অর্থনীতির অঙ্গনকে বৈচিত্র্যময় করার আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএর সঙ্গে কথা বলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দেশগুলোর নেতারা ভোটের রাজনীতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে নিজেদের অবস্থান ব্যবহার করতে চাইতে পারেন।
সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব হিউম্যানিটিজের আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন ড. জোসেফ লিও সিএনএকে বলেছেন, ‘সম্মিলিত সম্ভাবনার’ আকাঙ্ক্ষা থেকে দেশগুলো ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি তাঁদের জাতীয় স্বার্থ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে বৈচিত্র্যময় করবার ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।’
যাহোক, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসমূহের (অ্যাসিয়ান) আরও অনেক দেশ ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং বিবেচনা করছে। বিশ্লেষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এটি দেশগুলোকে চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালাঙ্কুরা গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বলেছেন, তাঁর দেশ ‘এক সপ্তাহ আগে’ ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে।
এদিকে, ১৬ জুন পোস্ট করা চীনা নিউজ পোর্টাল গুয়াঞ্চার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তাঁর দেশ ব্রিকসে যোগদানের ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ এবং ‘শিগগিরই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
গত ১৮ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের তিন দিনব্যাপী মালয়েশিয়া সফরের আগে আনোয়ার এমন মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পরে চীনের দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা লি কিয়াং। তিনি ২০১৫ সালের পর মালয়েশিয়া সফর করা প্রথম চীনা প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছিলেন, তাঁর দেশ এখনো ব্রিকসে যোগদানের ফলাফল নিয়ে অধ্যয়ন করছে। মিয়ানমার এবং লাওসের মতো দেশগুলো আগেই এই ব্লকে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে ভিয়েতনাম বলেছিল, তাঁরা ব্রিকসের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইন এ বিষয়ে এখনো তাঁদের অবস্থান জানায়নি।
ব্রিকসের আবেদন
ইন্দোনেশিয়ার থিংক-ট্যাংক সেন্টার অব ইকোনমিক অ্যান্ড ল স্টাডিজের (সিইএলআইওএস) নির্বাহী পরিচালক শ্রী ভীম যুধিষ্ঠির বলেছেন, দেশগুলো বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থ সহযোগিতার আশায় এই জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশেষ করে চীন এবং ভারতের টাকার প্রতিই তাঁদের নজর। আসিয়ানের বেশির ভাগ দেশ চীন এবং ভারতকে সম্ভাব্য বাজার হিসাবেও বিবেচনা করছে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিকসের প্রাথমিক সদস্য ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এই গ্রুপে যোগ দেয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সদস্য হওয়ার জন্য মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
একত্রে জোটটির সদস্য দেশগুলোর মোট অর্থনীতির পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ২৮ শতাংশের বেশি। ফলে সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ডক্টর অ্যালান চং ব্রিকসকে ‘বিশ্ব শাসনের ক্ষেত্রে বিকল্প নেতৃত্বের সার্কিট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জোটটিতে যোগ দিতে মালয়েশিয়ার আগ্রহের উদাহরণ টেনে ড. চং বলেছেন, এটি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিকে খুব ব্যতিক্রমীভাবে উন্নীত করার একটি উপায় হতে পারে। আনোয়ার এখন এই আন্তর্জাতিক স্পটলাইটটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি যে মালয়েশিয়ার জন্য এত বছর ধরে কাজ করেছেন সেটা প্রমাণের একটা চেষ্টা। আর কেনই বা করবেন না? তিনি বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে চীনের সঙ্গে থমকে যাওয়া বিশেষ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা আসলেই মঙ্গলজনক।’
চীনের ওপর সম্ভাব্য অতিরিক্ত নির্ভরতা
যাহোক, শ্রী ভীম আসিয়ান দেশগুলোর ব্রিকসে যোগদানের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি মনে করেন, এটি মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতে চীনকে বড় সুবিধা দিতে পারে।
ভীম বলেছেন, এটি ছাড়াও আসিয়ানের দেশগুলো তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের সংঘাত ও জিনজিয়াং/উইঘুরের মতো সংবেদনশীল ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সমালোচনা এড়িয়ে চলবে। এর বাইরেও বিভিন্ন কারণে চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বিপদ ডেকে আনতে পারে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এটি আসলে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে চীনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমতে যাচ্ছে এবং দেশটি এখনো সম্পত্তি সংকটের সঙ্গে লড়ছে। ফলে চীনের অর্থনীতি (যা মন্থর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে) আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপরও প্রভাব ফেলবে।
এদিকে ড. লিও বলছেন, ব্রিকসের মধ্যেই রাজনীতি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। চীন-ভারত বা সৌদি আরব-ইরানের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈরিতা দেশগুলোর সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে বড় গোলযোগ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটরাজনীতি সহজেই এখানে প্রবেশ করতে পারে, যা জোটের কার্যকারিতা কঠিন করে তুলতে পারে।
যদিও কিছু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, অন্যরা এই বিষয়ে এখনো নিশ্চুপ। অর্থনীতিবিদ ভীম বিশ্বাস করেন, এটির ভবিষ্যৎ দেশগুলোর আন্তঃসম্পর্ক এবং ব্রিকস ব্লকের মধ্যেকার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে।
অর্থনীতিবিদ ভীম বলেন, সিঙ্গাপুর মনে করছে ব্রিকসে যোগ না দিয়ে তাঁরা এরই মধ্যে অনেক চীনা কোম্পানির বিনিয়োগ এবং আর্থিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তবে দেশটি চীন এবং অন্যান্য ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় চুক্তি নকলের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে। আর দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতের কারণে ফিলিপাইন চীন থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে।
আরএসআইএসের সিনিয়র ফেলো ড. চং বলেছেন, যদিও চীন জোটের মধ্যে একটি ‘অনানুষ্ঠানিক’ ভোটদানের ক্ষমতা রাখতে পারে। তবে এটি আশা করা যায় যে, ব্রিকসের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নেতিবাচক অবস্থানে নেবে না।
এদিকে ভীম মনে করেন, ব্রিকসের আবেদন ও সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকবে। এটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সুবিধাও দিতে পারে। অনেক দেশই ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী হবে যদি চীন ও ভারতের মতো বড় দেশগুলো প্রকৃত বিনিয়োগের আশ্বাস দেয়। ব্রিকস সদস্য দেশগুলোতে রপ্তানির বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা হ্রাস, রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি এবং মেগা-প্রকল্প ঋণ সম্পর্কে আরও নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে। যা জাতীয় এজেন্ডার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ দেশ হিসেবে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে মালয়েশিয়া। এর পেছনে বিশ্ব অর্থনীতির অঙ্গনকে বৈচিত্র্যময় করার আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএর সঙ্গে কথা বলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দেশগুলোর নেতারা ভোটের রাজনীতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে নিজেদের অবস্থান ব্যবহার করতে চাইতে পারেন।
সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব হিউম্যানিটিজের আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন ড. জোসেফ লিও সিএনএকে বলেছেন, ‘সম্মিলিত সম্ভাবনার’ আকাঙ্ক্ষা থেকে দেশগুলো ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি তাঁদের জাতীয় স্বার্থ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে বৈচিত্র্যময় করবার ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।’
যাহোক, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসমূহের (অ্যাসিয়ান) আরও অনেক দেশ ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং বিবেচনা করছে। বিশ্লেষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এটি দেশগুলোকে চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালাঙ্কুরা গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বলেছেন, তাঁর দেশ ‘এক সপ্তাহ আগে’ ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে।
এদিকে, ১৬ জুন পোস্ট করা চীনা নিউজ পোর্টাল গুয়াঞ্চার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তাঁর দেশ ব্রিকসে যোগদানের ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ এবং ‘শিগগিরই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
গত ১৮ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের তিন দিনব্যাপী মালয়েশিয়া সফরের আগে আনোয়ার এমন মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পরে চীনের দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা লি কিয়াং। তিনি ২০১৫ সালের পর মালয়েশিয়া সফর করা প্রথম চীনা প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছিলেন, তাঁর দেশ এখনো ব্রিকসে যোগদানের ফলাফল নিয়ে অধ্যয়ন করছে। মিয়ানমার এবং লাওসের মতো দেশগুলো আগেই এই ব্লকে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে ভিয়েতনাম বলেছিল, তাঁরা ব্রিকসের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইন এ বিষয়ে এখনো তাঁদের অবস্থান জানায়নি।
ব্রিকসের আবেদন
ইন্দোনেশিয়ার থিংক-ট্যাংক সেন্টার অব ইকোনমিক অ্যান্ড ল স্টাডিজের (সিইএলআইওএস) নির্বাহী পরিচালক শ্রী ভীম যুধিষ্ঠির বলেছেন, দেশগুলো বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থ সহযোগিতার আশায় এই জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশেষ করে চীন এবং ভারতের টাকার প্রতিই তাঁদের নজর। আসিয়ানের বেশির ভাগ দেশ চীন এবং ভারতকে সম্ভাব্য বাজার হিসাবেও বিবেচনা করছে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিকসের প্রাথমিক সদস্য ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এই গ্রুপে যোগ দেয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সদস্য হওয়ার জন্য মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
একত্রে জোটটির সদস্য দেশগুলোর মোট অর্থনীতির পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ২৮ শতাংশের বেশি। ফলে সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ডক্টর অ্যালান চং ব্রিকসকে ‘বিশ্ব শাসনের ক্ষেত্রে বিকল্প নেতৃত্বের সার্কিট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জোটটিতে যোগ দিতে মালয়েশিয়ার আগ্রহের উদাহরণ টেনে ড. চং বলেছেন, এটি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিকে খুব ব্যতিক্রমীভাবে উন্নীত করার একটি উপায় হতে পারে। আনোয়ার এখন এই আন্তর্জাতিক স্পটলাইটটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি যে মালয়েশিয়ার জন্য এত বছর ধরে কাজ করেছেন সেটা প্রমাণের একটা চেষ্টা। আর কেনই বা করবেন না? তিনি বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে চীনের সঙ্গে থমকে যাওয়া বিশেষ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা আসলেই মঙ্গলজনক।’
চীনের ওপর সম্ভাব্য অতিরিক্ত নির্ভরতা
যাহোক, শ্রী ভীম আসিয়ান দেশগুলোর ব্রিকসে যোগদানের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি মনে করেন, এটি মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতে চীনকে বড় সুবিধা দিতে পারে।
ভীম বলেছেন, এটি ছাড়াও আসিয়ানের দেশগুলো তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের সংঘাত ও জিনজিয়াং/উইঘুরের মতো সংবেদনশীল ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সমালোচনা এড়িয়ে চলবে। এর বাইরেও বিভিন্ন কারণে চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বিপদ ডেকে আনতে পারে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এটি আসলে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে চীনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমতে যাচ্ছে এবং দেশটি এখনো সম্পত্তি সংকটের সঙ্গে লড়ছে। ফলে চীনের অর্থনীতি (যা মন্থর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে) আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপরও প্রভাব ফেলবে।
এদিকে ড. লিও বলছেন, ব্রিকসের মধ্যেই রাজনীতি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। চীন-ভারত বা সৌদি আরব-ইরানের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈরিতা দেশগুলোর সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে বড় গোলযোগ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটরাজনীতি সহজেই এখানে প্রবেশ করতে পারে, যা জোটের কার্যকারিতা কঠিন করে তুলতে পারে।
যদিও কিছু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, অন্যরা এই বিষয়ে এখনো নিশ্চুপ। অর্থনীতিবিদ ভীম বিশ্বাস করেন, এটির ভবিষ্যৎ দেশগুলোর আন্তঃসম্পর্ক এবং ব্রিকস ব্লকের মধ্যেকার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে।
অর্থনীতিবিদ ভীম বলেন, সিঙ্গাপুর মনে করছে ব্রিকসে যোগ না দিয়ে তাঁরা এরই মধ্যে অনেক চীনা কোম্পানির বিনিয়োগ এবং আর্থিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তবে দেশটি চীন এবং অন্যান্য ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় চুক্তি নকলের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে। আর দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতের কারণে ফিলিপাইন চীন থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে।
আরএসআইএসের সিনিয়র ফেলো ড. চং বলেছেন, যদিও চীন জোটের মধ্যে একটি ‘অনানুষ্ঠানিক’ ভোটদানের ক্ষমতা রাখতে পারে। তবে এটি আশা করা যায় যে, ব্রিকসের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নেতিবাচক অবস্থানে নেবে না।
এদিকে ভীম মনে করেন, ব্রিকসের আবেদন ও সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকবে। এটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সুবিধাও দিতে পারে। অনেক দেশই ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী হবে যদি চীন ও ভারতের মতো বড় দেশগুলো প্রকৃত বিনিয়োগের আশ্বাস দেয়। ব্রিকস সদস্য দেশগুলোতে রপ্তানির বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা হ্রাস, রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি এবং মেগা-প্রকল্প ঋণ সম্পর্কে আরও নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে। যা জাতীয় এজেন্ডার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৬ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে