অনলাইন ডেস্ক
বিচার বিভাগের সংস্কারে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার পর নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর সমালোচনা করায় এরই মধ্যে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। এতে লাখো মানুষ তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নেতানিয়াহুর এ উদ্যোগের সমালোচনা করছেন নিজ দলের নেতা থেকে শুরু করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রও এক বিবৃতিতে এ উদ্যোগের সমালোচনা করে জনগণের সঙ্গে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু ইসরায়েলর প্রধানমন্ত্রী এসব সমালোচনায় খুব একটা কান দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন। এরপর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে। জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়াও তেল আবিবের রাস্তায়ও হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
বিচার বিভাগ সংস্কার পরিকল্পনায় কী আছে
নেতানিয়াহু যে সংস্কার পরিকল্পনা করেছেন, সেটি পাস হলে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে দেশটির সংসদ নেসেটের কাছে। ফলে ক্ষমতাসীন দলগুলোই বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
কীভাবে বিচারক বাছাই করা হবে এবং নিয়োগ দেওয়া হবে, কোন আইনে সুপ্রিম কোর্ট চলবে—এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সংসদ। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তও বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে সংসদের হাতে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করা কঠিন হয়ে উঠবে। অর্থাৎ নেতানিয়াহুর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হবে এই বিল পাসের মাধ্যমে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগ সংস্কারের মধ্য দিয়ে সরকার বা নেসেট (দেশটির পার্লামেন্ট) সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবে। ফলে বিচারকদের স্বাধীনতা থাকবে না। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং দুর্নীতি বাড়তে থাকবে। সব মিলিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই হুমকিতে পড়বে।
নেতানিয়াহুর এসব পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি হবে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর বিচারব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডিসেম্বরে সরকার গঠনের পর বিচার বিভাগ সংস্কারের ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেও আইনপ্রণেতারা বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
ফিলিস্তিন ও জনগণের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে
নেতানিয়াহুর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দুর্বল হয়ে পড়বে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—উভয় দেশের জনগণের বিচার চাওয়ার অধিকার সীমিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি নাগরিক অথবা যাদের কাছে ‘রেসিডেন্সি’ কার্ড রয়েছে তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবশ্য হামাস শাসিত গাজায় যা ঘটছে তাতে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের এখনই কোনো প্রভাব নেই।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, আইনটি পাস হলে বিচার বিভাগের ওপর রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। এতে ইসরায়েলের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অধিকার খর্ব হবে।
উদাহরণ হিসেবে গত বছরের কথা বলা যায়। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহর আশপাশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর উচ্ছেদ বন্ধ করে দেন আদালত। তবে ইহুদিরা দাবি করে, ওই ভূখণ্ড তাদের এবং আদালত তাদের ওপর ন্যায্য বিচার করেননি।
একই সময়ে ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করে বলে, উচ্চ আদালত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারত্ব আরোপ করেছে। সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বৈধতা বিবেচনা করেননি আদালত।
ইসরায়েলের অতি ডানপন্থী ও বসতি স্থাপনকারীদের সমালোচনারও শিকার হয়েছেন উচ্চ আদালত। তারা বলেছে, আদালত বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ করছেন।
২০০৫ সালে গাজা এবং উত্তর পশ্চিম তীর থেকে বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের অনুমোদন দিয়েছিলেন ইসরায়েলের আদালত। আদালতের সেই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে তারা।
কেন বিচার বিভাগ সংস্কার করতে চান নেতানিয়াহু
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। বিক্ষোভকারীদের ধারণা, নিজেকে আইনি শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতেই তিনি বিচার বিভাগের সংস্কার করতে চাইছেন। তবে নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আদালতের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধের জন্য এ সংস্কার আইন ডিজাইন করা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি ও আল-জাজিরা
বিচার বিভাগের সংস্কারে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার পর নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর সমালোচনা করায় এরই মধ্যে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। এতে লাখো মানুষ তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নেতানিয়াহুর এ উদ্যোগের সমালোচনা করছেন নিজ দলের নেতা থেকে শুরু করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রও এক বিবৃতিতে এ উদ্যোগের সমালোচনা করে জনগণের সঙ্গে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু ইসরায়েলর প্রধানমন্ত্রী এসব সমালোচনায় খুব একটা কান দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন। এরপর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে। জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়াও তেল আবিবের রাস্তায়ও হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
বিচার বিভাগ সংস্কার পরিকল্পনায় কী আছে
নেতানিয়াহু যে সংস্কার পরিকল্পনা করেছেন, সেটি পাস হলে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে দেশটির সংসদ নেসেটের কাছে। ফলে ক্ষমতাসীন দলগুলোই বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
কীভাবে বিচারক বাছাই করা হবে এবং নিয়োগ দেওয়া হবে, কোন আইনে সুপ্রিম কোর্ট চলবে—এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সংসদ। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তও বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে সংসদের হাতে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করা কঠিন হয়ে উঠবে। অর্থাৎ নেতানিয়াহুর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হবে এই বিল পাসের মাধ্যমে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগ সংস্কারের মধ্য দিয়ে সরকার বা নেসেট (দেশটির পার্লামেন্ট) সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবে। ফলে বিচারকদের স্বাধীনতা থাকবে না। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং দুর্নীতি বাড়তে থাকবে। সব মিলিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই হুমকিতে পড়বে।
নেতানিয়াহুর এসব পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি হবে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর বিচারব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডিসেম্বরে সরকার গঠনের পর বিচার বিভাগ সংস্কারের ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেও আইনপ্রণেতারা বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
ফিলিস্তিন ও জনগণের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে
নেতানিয়াহুর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দুর্বল হয়ে পড়বে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—উভয় দেশের জনগণের বিচার চাওয়ার অধিকার সীমিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি নাগরিক অথবা যাদের কাছে ‘রেসিডেন্সি’ কার্ড রয়েছে তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবশ্য হামাস শাসিত গাজায় যা ঘটছে তাতে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের এখনই কোনো প্রভাব নেই।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, আইনটি পাস হলে বিচার বিভাগের ওপর রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। এতে ইসরায়েলের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অধিকার খর্ব হবে।
উদাহরণ হিসেবে গত বছরের কথা বলা যায়। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহর আশপাশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর উচ্ছেদ বন্ধ করে দেন আদালত। তবে ইহুদিরা দাবি করে, ওই ভূখণ্ড তাদের এবং আদালত তাদের ওপর ন্যায্য বিচার করেননি।
একই সময়ে ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করে বলে, উচ্চ আদালত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারত্ব আরোপ করেছে। সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বৈধতা বিবেচনা করেননি আদালত।
ইসরায়েলের অতি ডানপন্থী ও বসতি স্থাপনকারীদের সমালোচনারও শিকার হয়েছেন উচ্চ আদালত। তারা বলেছে, আদালত বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ করছেন।
২০০৫ সালে গাজা এবং উত্তর পশ্চিম তীর থেকে বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের অনুমোদন দিয়েছিলেন ইসরায়েলের আদালত। আদালতের সেই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে তারা।
কেন বিচার বিভাগ সংস্কার করতে চান নেতানিয়াহু
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। বিক্ষোভকারীদের ধারণা, নিজেকে আইনি শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতেই তিনি বিচার বিভাগের সংস্কার করতে চাইছেন। তবে নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আদালতের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধের জন্য এ সংস্কার আইন ডিজাইন করা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি ও আল-জাজিরা
ইউক্রেনের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, রাশিয়ার এ ধরনের আক্রমণকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে—যেমনটি ইসরায়েল উত্তর গাজাকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে হয়েছে।
১ দিন আগেট্রাম্প ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে পারে, সামান্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পেছনের সারিতে থাকলেও বাংলাদেশ,
১ দিন আগেড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
২ দিন আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
৩ দিন আগে