অনলাইন ডেস্ক
পূর্ব ইউরোপের সমরাস্ত্র শিল্প ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে। অঞ্চলটির দেশগুলোর সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, গোলাবারুদসহ নানা ধরনের অস্ত্র ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে যাচ্ছে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমরাস্ত্র শিল্পের উন্নতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে শুরু করার পর থেকেই উৎপাদন বেড়ে গেছে দারুণভাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির দেওয়া তথ্যানুসারে—গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই যুক্তরাজ্য। তৃতীয় স্থানে পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র আছে নয় নম্বরে। বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের পুরোনো প্রভু সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিভূ রাশিয়ান ফেডারেশনকে সহায়তার বদলে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্লেষকদের ধারণা—এই যুদ্ধ এই অঞ্চলে যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে তেমনি নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করেছে অঞ্চলটির সমরাস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে। এই বিষয়ে পোল্যান্ডের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান—পোলিশ আর্মামেন্টস গ্রুপের (পিজিজেড) প্রধান নির্বাহী সেবাস্তিয়ান চোয়ালেক বলেছেন, ‘ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের বাস্তবতায় প্রতিরক্ষা বাজেটের বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক দেশেই স্পষ্ট মনোভাব দেখিয়েছে। তাই সমরাস্ত্রের নতুন বাজারে প্রবেশের ও আগামী বছরগুলোতে সমরাস্ত্র রপ্তানি করে আয় বাড়ানোর সত্যিকারের সুযোগ রয়েছে।’
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজিজেডে ৫০ টিরও বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আগামী এক দশকে অন্তত ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। কেবল পোল্যান্ড নয়, অন্যান্য দেশগুলোর সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন করে বাড়তি শ্রমিক নিয়ো গিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক।
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ইউক্রেন সংকট নতুন আরেকটি সম্ভাবনাও হাজির করেছিল। সেটি হলো—দেশগুলো তাদের সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্রশস্ত্রগুলো সহায়তা দিয়ে গুদাম খালি করা। যাতে আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে এমন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভরানো যায়। এবং এটিই অঞ্চলটিতে অস্ত্র ব্যবসাকে বেশ চাগিয়ে তুলেছে।
উৎপাদন কী পরিমাণ বেড়েছে তার একটি নমুনা পাওয়া যায় নিচের তথ্য থেকে। সেবাস্তিয়ান চোয়ালেক বলেছেন, পিজিজেড ২০২৩ সালে অন্তত ১ হাজার বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উৎপাদন করবে। তবে এর সবই ইউক্রেনের জন্য নয়। যেখানে ২০২২ সালে পিজিজেড মাত্র ৬০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উৎপাদন করেছিল। তার আগের দুই বছরে উৎপাদন করেছিল যথাক্রমে ৩০০ ও সাড়ে ৩০০টি।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমরাস্ত্র শিল্পের এমন নতুন জীবন লাভ কেবল ব্যবসায়িক নয়। কিয়েল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ট্রেবেখ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যথেষ্ট সমর্থন করছে। এবং একই সঙ্গে এটি তাদের সামরিক শিল্প নতুন করে গড়ে তোলারও একটি সুযোগ।’
ইউক্রেন চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় ২১০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়েছে। এই বিষয়টিকে চেক প্রজাতন্ত্রের সমরাস্ত্র শিল্প বিকাশের একটি দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষমন্ত্রী টমাস কোপেকনি। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সংঘাতে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি চেক প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য বড় একটি উদ্দীপনার তৈরি করেছে যা আমরা গত ৩০ বছরে দেখিনি।’
চেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সুর ধরে এই বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসটিভি গ্রুপের মুখপাত্র আন্দ্রেজ কির্তেক রয়টার্সকে বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি কেবল ব্যবসা নয়। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দারুণ সুযোগ। তাই তো তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ এখনো ১৯৯০ এর আগের দশকগুলোতে রাশিয়ার দখলদারত্ব দেখেছে। আমরা এখন আর আমাদের সীমান্তে রুশ সৈন্যদের দেখতে চাই না।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
পূর্ব ইউরোপের সমরাস্ত্র শিল্প ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে। অঞ্চলটির দেশগুলোর সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, গোলাবারুদসহ নানা ধরনের অস্ত্র ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে যাচ্ছে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমরাস্ত্র শিল্পের উন্নতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে শুরু করার পর থেকেই উৎপাদন বেড়ে গেছে দারুণভাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির দেওয়া তথ্যানুসারে—গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই যুক্তরাজ্য। তৃতীয় স্থানে পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র আছে নয় নম্বরে। বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের পুরোনো প্রভু সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিভূ রাশিয়ান ফেডারেশনকে সহায়তার বদলে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্লেষকদের ধারণা—এই যুদ্ধ এই অঞ্চলে যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে তেমনি নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করেছে অঞ্চলটির সমরাস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে। এই বিষয়ে পোল্যান্ডের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান—পোলিশ আর্মামেন্টস গ্রুপের (পিজিজেড) প্রধান নির্বাহী সেবাস্তিয়ান চোয়ালেক বলেছেন, ‘ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের বাস্তবতায় প্রতিরক্ষা বাজেটের বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক দেশেই স্পষ্ট মনোভাব দেখিয়েছে। তাই সমরাস্ত্রের নতুন বাজারে প্রবেশের ও আগামী বছরগুলোতে সমরাস্ত্র রপ্তানি করে আয় বাড়ানোর সত্যিকারের সুযোগ রয়েছে।’
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজিজেডে ৫০ টিরও বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আগামী এক দশকে অন্তত ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। কেবল পোল্যান্ড নয়, অন্যান্য দেশগুলোর সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন করে বাড়তি শ্রমিক নিয়ো গিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক।
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ইউক্রেন সংকট নতুন আরেকটি সম্ভাবনাও হাজির করেছিল। সেটি হলো—দেশগুলো তাদের সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্রশস্ত্রগুলো সহায়তা দিয়ে গুদাম খালি করা। যাতে আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে এমন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভরানো যায়। এবং এটিই অঞ্চলটিতে অস্ত্র ব্যবসাকে বেশ চাগিয়ে তুলেছে।
উৎপাদন কী পরিমাণ বেড়েছে তার একটি নমুনা পাওয়া যায় নিচের তথ্য থেকে। সেবাস্তিয়ান চোয়ালেক বলেছেন, পিজিজেড ২০২৩ সালে অন্তত ১ হাজার বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উৎপাদন করবে। তবে এর সবই ইউক্রেনের জন্য নয়। যেখানে ২০২২ সালে পিজিজেড মাত্র ৬০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উৎপাদন করেছিল। তার আগের দুই বছরে উৎপাদন করেছিল যথাক্রমে ৩০০ ও সাড়ে ৩০০টি।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সমরাস্ত্র শিল্পের এমন নতুন জীবন লাভ কেবল ব্যবসায়িক নয়। কিয়েল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ট্রেবেখ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যথেষ্ট সমর্থন করছে। এবং একই সঙ্গে এটি তাদের সামরিক শিল্প নতুন করে গড়ে তোলারও একটি সুযোগ।’
ইউক্রেন চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় ২১০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়েছে। এই বিষয়টিকে চেক প্রজাতন্ত্রের সমরাস্ত্র শিল্প বিকাশের একটি দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষমন্ত্রী টমাস কোপেকনি। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সংঘাতে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি চেক প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য বড় একটি উদ্দীপনার তৈরি করেছে যা আমরা গত ৩০ বছরে দেখিনি।’
চেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সুর ধরে এই বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসটিভি গ্রুপের মুখপাত্র আন্দ্রেজ কির্তেক রয়টার্সকে বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি কেবল ব্যবসা নয়। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দারুণ সুযোগ। তাই তো তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ এখনো ১৯৯০ এর আগের দশকগুলোতে রাশিয়ার দখলদারত্ব দেখেছে। আমরা এখন আর আমাদের সীমান্তে রুশ সৈন্যদের দেখতে চাই না।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
গত সেপ্টেম্বরে ভ্লাদিভস্টকের একটি অর্থনৈতিক ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এ বিষয়ে পরে তিনি একটি উপহাসমূলক হাসি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেআব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৯ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৯ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
১০ দিন আগে