অপরাহ্ণ সুসমিতো
ঠাস করে শব্দ হলো। শব্দের আওয়াজ কি ঠাস?
তার কি গুলি লেগেছে? কোথাও তো ব্যথা অনুভূত হচ্ছে না।
সেদিন একজনের ফেসবুক পোস্টে পড়লাম যে তার স্কুলগামী মেয়ে একদিন ঘোড়ার ফার্মে গিয়ে ঘোড়াকে হত্যা করবার পদ্ধতি দেখে ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছে। ফার্মে এক লোক ঠোঁট গোল করে একধরনের শিস দেয়। টগবগ ঘোড়াটা শিসের নিপুণ ধ্বনি শুনে লোকটার দিকে তাকায়। তখনই লোকটা ঘোড়ার কপাল লক্ষ্য করে গুলি করে।
এই গল্প শুনে সে শিউরে উঠেছিল। পরে অবশ্য তার বন্ধু নন্দন বলেছে, এতেই নাকি ঘোড়াটা সবচেয়ে কম যন্ত্রণা পায়। মাথায় গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়াটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায়।
ঠাস শব্দ হওয়ার সঙ্গে মনে হলো, তবে কি তার মাথায় গুলি লেগেছে? কোনো যন্ত্রণা নেই বলে সে কি ক্রমেই মরে যাচ্ছে? মার সঙ্গে শেষবার একটু কথা বলবে? স্টোর রুমটায় যাওয়ার প্যাসেজে তার একটা টিয়া পাখি আছে, সেটাকে খাবার দেয়া দরকার। নিজ হাতে ওকে খাওয়ায় সে। মরে গেলে পাখিটাকে খাওয়াবে কে? নাকি পাখিটাকে জানালা গলে মুক্ত করে দেবে?
বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। আরাম লাগছে এই চেনা শক্ত বিছানাটা। মাথার পেছনে জানালাটা খোলা, বুঝতে পারছে। পর্দা উড়িয়ে অল্প বাতাস লাগছে, বাতাসটা শান্তিপুর। শান্তি শান্তি লাগছে। গতকাল বইমেলা থেকে বেশ কিছু বই কিনেছিল। কোথায় রেখেছে! বালিশের এক পাশে থাকার কথা নতুন ঘ্রাণের বইগুলোর। মুশতাক আহমেদের ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ বইটার পাতা ওলটানোই হলো না।
এখন কি সন্ধ্যা? মাথায় কি সন্ধ্যার বাতাসের দোলা? চিন্তাটাকে ঘুড়ির মতো গোত্তা খাওয়াল। নিজেই চিন্তাটার সুতো ছেড়ে দিচ্ছে। মুহূর্তে চিন্তারাম দারোগা বাবু পেটের কাছে বুট ঘষে সটান থামল। স্যালুট করে জানাল খিদে উঁকি দিচ্ছে। মারা যাওয়ার আগে খিদে পায় কারও?
রান্নাঘরে কি খাবার আছে কোনো মুখরোচক? অন্য সময় তার রান্নার খুঁটিনাটি মনে থাকে। রান্নাটা তার কাছে সঙ্গমের মতো মনোযোগ দাবি করে। এক লেখক বলেছেন, রান্না ও সঙ্গমে পূর্ণ মন দিতে হয়। লেবু পাতা মিশিয়ে ছোট মাছ রান্না করার ধোঁয়া ওড়ানো দৃশ্য, টাটকা রান্নার গরম ঘ্রাণ তিরতির করে খেলে যায়।
চারপাশে কোনো ঘড়ি নেই। সে বুঝতে পারছে না এখন সকাল নাকি সন্ধ্যা। তার স্ত্রী তাকে হাত ঘড়ি কিনে দিয়েছিল। সময় তাকে হাতে বেঁধে রাখবে সে মানতে পারেনি। ঘড়িটা ফেলে দিয়েছে। তার কষ্ট হচ্ছে না কেন কোথাও? কষ্ট হচ্ছে না তারপরও তার মাথায় তাহলে মৃত্যুর কথা উড়ে এল কেন? স্ত্রীকে ডাকবে?
আলো-আঁধারি ঘরের মাঝে সে একটা খসখস শব্দ শুনতে পেল। চোখের পাতায় যে আবেশ লেগেছিল সেটা কেটে যাচ্ছে। সেই যে ঠাস করে শব্দের উৎপত্তি স্থল সেখানে আবছায়া দেখা যাচ্ছে একজন হালকা ফ্রক-মূর্তি। বালিকা।
এবার সে পরিষ্কার অনুভব করল তার মেয়েটা দাঁড়িয়ে, ওর
হাতে খেলনা পিস্তল, বাবার দিকেই তাক করা…
ঠাস করে শব্দ হলো। শব্দের আওয়াজ কি ঠাস?
তার কি গুলি লেগেছে? কোথাও তো ব্যথা অনুভূত হচ্ছে না।
সেদিন একজনের ফেসবুক পোস্টে পড়লাম যে তার স্কুলগামী মেয়ে একদিন ঘোড়ার ফার্মে গিয়ে ঘোড়াকে হত্যা করবার পদ্ধতি দেখে ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছে। ফার্মে এক লোক ঠোঁট গোল করে একধরনের শিস দেয়। টগবগ ঘোড়াটা শিসের নিপুণ ধ্বনি শুনে লোকটার দিকে তাকায়। তখনই লোকটা ঘোড়ার কপাল লক্ষ্য করে গুলি করে।
এই গল্প শুনে সে শিউরে উঠেছিল। পরে অবশ্য তার বন্ধু নন্দন বলেছে, এতেই নাকি ঘোড়াটা সবচেয়ে কম যন্ত্রণা পায়। মাথায় গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়াটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায়।
ঠাস শব্দ হওয়ার সঙ্গে মনে হলো, তবে কি তার মাথায় গুলি লেগেছে? কোনো যন্ত্রণা নেই বলে সে কি ক্রমেই মরে যাচ্ছে? মার সঙ্গে শেষবার একটু কথা বলবে? স্টোর রুমটায় যাওয়ার প্যাসেজে তার একটা টিয়া পাখি আছে, সেটাকে খাবার দেয়া দরকার। নিজ হাতে ওকে খাওয়ায় সে। মরে গেলে পাখিটাকে খাওয়াবে কে? নাকি পাখিটাকে জানালা গলে মুক্ত করে দেবে?
বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। আরাম লাগছে এই চেনা শক্ত বিছানাটা। মাথার পেছনে জানালাটা খোলা, বুঝতে পারছে। পর্দা উড়িয়ে অল্প বাতাস লাগছে, বাতাসটা শান্তিপুর। শান্তি শান্তি লাগছে। গতকাল বইমেলা থেকে বেশ কিছু বই কিনেছিল। কোথায় রেখেছে! বালিশের এক পাশে থাকার কথা নতুন ঘ্রাণের বইগুলোর। মুশতাক আহমেদের ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ বইটার পাতা ওলটানোই হলো না।
এখন কি সন্ধ্যা? মাথায় কি সন্ধ্যার বাতাসের দোলা? চিন্তাটাকে ঘুড়ির মতো গোত্তা খাওয়াল। নিজেই চিন্তাটার সুতো ছেড়ে দিচ্ছে। মুহূর্তে চিন্তারাম দারোগা বাবু পেটের কাছে বুট ঘষে সটান থামল। স্যালুট করে জানাল খিদে উঁকি দিচ্ছে। মারা যাওয়ার আগে খিদে পায় কারও?
রান্নাঘরে কি খাবার আছে কোনো মুখরোচক? অন্য সময় তার রান্নার খুঁটিনাটি মনে থাকে। রান্নাটা তার কাছে সঙ্গমের মতো মনোযোগ দাবি করে। এক লেখক বলেছেন, রান্না ও সঙ্গমে পূর্ণ মন দিতে হয়। লেবু পাতা মিশিয়ে ছোট মাছ রান্না করার ধোঁয়া ওড়ানো দৃশ্য, টাটকা রান্নার গরম ঘ্রাণ তিরতির করে খেলে যায়।
চারপাশে কোনো ঘড়ি নেই। সে বুঝতে পারছে না এখন সকাল নাকি সন্ধ্যা। তার স্ত্রী তাকে হাত ঘড়ি কিনে দিয়েছিল। সময় তাকে হাতে বেঁধে রাখবে সে মানতে পারেনি। ঘড়িটা ফেলে দিয়েছে। তার কষ্ট হচ্ছে না কেন কোথাও? কষ্ট হচ্ছে না তারপরও তার মাথায় তাহলে মৃত্যুর কথা উড়ে এল কেন? স্ত্রীকে ডাকবে?
আলো-আঁধারি ঘরের মাঝে সে একটা খসখস শব্দ শুনতে পেল। চোখের পাতায় যে আবেশ লেগেছিল সেটা কেটে যাচ্ছে। সেই যে ঠাস করে শব্দের উৎপত্তি স্থল সেখানে আবছায়া দেখা যাচ্ছে একজন হালকা ফ্রক-মূর্তি। বালিকা।
এবার সে পরিষ্কার অনুভব করল তার মেয়েটা দাঁড়িয়ে, ওর
হাতে খেলনা পিস্তল, বাবার দিকেই তাক করা…
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
২ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৩ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২০ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২০ দিন আগে