ঢাবি প্রতিনিধি
বৈশ্বিক স্বীকৃতিটা আগেই মিলেছে। এবার পেলেন সম্মান-সংবর্ধনা। ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ১১১ জন রিকশাচিত্রশিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমির এমন সম্মাননায় আপ্লুত শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের মঞ্চে এসে তাঁরা জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। বলেছেন নিজেদের কষ্ট ও প্রত্যাশার কথা। সংবর্ধিতদের একজন মনির হোসেন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা অবহেলিত ছিলাম। আজ আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে। এ জন্য বাংলা একাডেমিসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা।’
পরে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা কয় এই শিল্পীর। মনির হোসেন বলেন, ‘ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রিকশাচিত্রের কাজ করেছি। মগবাজার ফ্লাইওভার, টিএসসিতে রিকশাচিত্র করেছি, বইমেলায় অঙ্গসজ্জা করেছি। এগুলো স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের যারা উস্তাদ (শিক্ষক) রয়েছেন, তাঁদেরও অবদান রয়েছে। আপনাদেরও (সাংবাদিক) বড় ভূমিকা রয়েছে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি অনেক লাভজনক হবে, যদি আমরা সেটা ধরে রাখতে পারি। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইনস্টিটিউট করা যায়।’
আরেক শিল্পী রুমা ইসলাম বলেন, ‘কী যে বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ, আমার আব্বু সম্পর্কে জানানো হয়েছে, আমি কার মেয়ে! আমার আব্বুর নাম আলাউদ্দিন আহমেদ নাজ। উনি রিকশাচিত্রের কাজ এতটা ভালোবাসতেন, এত পছন্দ করতেন, তা বলার মতো নয়। এত আবেগ উনার ছিল, আজকে উনি থাকলে কতই-না খুশি হতেন! আমি খুশি হয়েছি, কিন্তু আমার আব্বুর খুশি দেখছি না। আজকের প্রোগ্রাম দেখে সারাক্ষণ আব্বুর কথা মনে পড়েছে।’
রিকশাচিত্রের কাজ নিয়ে জানতে চাইলে শিল্পী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পেটের দায় থাকায় রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ আবেগ নিয়ে করতে পারছি না। এখন যা পাই, তা-ই করছি। শুধু রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ করে পেট চলবে না। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় রিকশা পেইন্টিং হারিয়ে যাবে।’
গতকাল সকাল ১০টার দিকে যখন বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে রিকশাচিত্রশিল্পীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান শুরু হয়, তার আগেই মিলনায়তনে এসে উপস্থিত হন শিল্পীরা। বাংলা একাডেমির পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বৈশ্বিক স্বীকৃতিটা আগেই মিলেছে। এবার পেলেন সম্মান-সংবর্ধনা। ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ১১১ জন রিকশাচিত্রশিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমির এমন সম্মাননায় আপ্লুত শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের মঞ্চে এসে তাঁরা জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। বলেছেন নিজেদের কষ্ট ও প্রত্যাশার কথা। সংবর্ধিতদের একজন মনির হোসেন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা অবহেলিত ছিলাম। আজ আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে। এ জন্য বাংলা একাডেমিসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা।’
পরে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা কয় এই শিল্পীর। মনির হোসেন বলেন, ‘ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রিকশাচিত্রের কাজ করেছি। মগবাজার ফ্লাইওভার, টিএসসিতে রিকশাচিত্র করেছি, বইমেলায় অঙ্গসজ্জা করেছি। এগুলো স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের যারা উস্তাদ (শিক্ষক) রয়েছেন, তাঁদেরও অবদান রয়েছে। আপনাদেরও (সাংবাদিক) বড় ভূমিকা রয়েছে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি অনেক লাভজনক হবে, যদি আমরা সেটা ধরে রাখতে পারি। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইনস্টিটিউট করা যায়।’
আরেক শিল্পী রুমা ইসলাম বলেন, ‘কী যে বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ, আমার আব্বু সম্পর্কে জানানো হয়েছে, আমি কার মেয়ে! আমার আব্বুর নাম আলাউদ্দিন আহমেদ নাজ। উনি রিকশাচিত্রের কাজ এতটা ভালোবাসতেন, এত পছন্দ করতেন, তা বলার মতো নয়। এত আবেগ উনার ছিল, আজকে উনি থাকলে কতই-না খুশি হতেন! আমি খুশি হয়েছি, কিন্তু আমার আব্বুর খুশি দেখছি না। আজকের প্রোগ্রাম দেখে সারাক্ষণ আব্বুর কথা মনে পড়েছে।’
রিকশাচিত্রের কাজ নিয়ে জানতে চাইলে শিল্পী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পেটের দায় থাকায় রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ আবেগ নিয়ে করতে পারছি না। এখন যা পাই, তা-ই করছি। শুধু রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ করে পেট চলবে না। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় রিকশা পেইন্টিং হারিয়ে যাবে।’
গতকাল সকাল ১০টার দিকে যখন বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে রিকশাচিত্রশিল্পীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান শুরু হয়, তার আগেই মিলনায়তনে এসে উপস্থিত হন শিল্পীরা। বাংলা একাডেমির পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
২ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৩ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২০ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২০ দিন আগে