সৌম্য সালেক
মধুগ্রামের মেয়ে
সেই সিক্ত শ্যামাঙ্গির কথা ভেবে আর কত ব্যথা পাব
আর কত পোড়াব হৃদয়—স্মরণে-সজ্জায় নিশিদিন
মধুগ্রামের সেই বিকেলের শোভা মহৎ শিল্পের মতো আজও রেঙে আছে হৃদয়ের পটে
ছোট নদী, সাঁকো পারাপার, একটুখানি দৃষ্টি বিনিময়
তার হাতে ছিল ভেজা বকুলের মালা
বাহুর কিনারে ফুল মধুমাসি
ফুলের দখিনা শ্বাসে খসেছিল মাথার বসন
মধুর সুবাসে তার জমেছিল ফাল্গুনী
এমন কোমল আর দেখিনি তো কখনও কোথাও
আমার স্বপ্নসার তীর্থ-ভোলার মতো আজও ফিরে তার পিছে—
উজানি ঢলের মতো কূলপ্লাবী...
পৃথিবীর চক্রপথে যদি কভু দেখা পাই:
হৃদয়ের অবিরাম আশ্বাসে সাড়া দেয় আজও এই দেহযান
আজও একা চুপিসারে বসে থাকি নদীতীরে
ব্যথাহত বিজন সন্ধ্যায়!
প্রেমে নেই
প্রেমে নেই বহুদিন
বহুদিন শুষ্কমুরুতে একা—গান করি প্লাবনের
বহুদিন নেই কারো সজল চাহনি—নবীন ইশারা
বহুদিন দিনগুনি প্রতীক্ষার
পায়ে পায়ে আনন্দ জাগাতে এসে বলবে কেউ গোপন কথাটি
বহুদিন অন্বেষার আঁখি করুণ সজল—
বাঁধবে কেউ হৃদয়ের নদী—প্রেমের কমল বুনে
বহুদিন আসেনি কেউ
বহুদিন স্নেহছায়াহীন
বহুদিন পুড়ছে মন পরবাসী
কেউ এসে না বলেই ফিরে যাবে ভেবে ঘুম নেই বহুদিন
বহুদিন আর্ত কেটেছে
বহুদিন পারের পিপাসা বুকে
বহুদিন তপ্তমরুতে একা
বহুদিন প্রেমে নেই
প্রেমহীন আর কত দিন!
বৃক্ষে সলিলে
হৃদয় ছড়িয়েছিল বৃক্ষে সলিলে
আমায় ফেলেছে ঝড় ভাঙনের কূলে
আমার কেটেছে ছায়া ছিঁড়েছে মুকুল
আমার ঝরেছে পুষ্প ডুবেছে দুকূল
আমার পুড়েছে আশা পুড়েছে স্বপন
জীবন বিকিয়ে তাই বইছি দহন!
ভেবেছি প্রাণের সুখ বনের কূজনে
ভেবেছি মিলাব মন স্বজনে-সুজনে
সুরের বদলে কেবল পেয়েছি যে হেলা
পণ্যের বাজারে যেন আমি এক খেলা
খেলছে বণিক-বালা খেলছে মাছিরা
খেলছে আমায় নিয়ে চতুর পাখিরা
হৃদয় ছড়িয়েছিল বৃক্ষে সলিলে—
আবার ভাসব কবে নীল-নৌকা-পালে।
মধুগ্রামের মেয়ে
সেই সিক্ত শ্যামাঙ্গির কথা ভেবে আর কত ব্যথা পাব
আর কত পোড়াব হৃদয়—স্মরণে-সজ্জায় নিশিদিন
মধুগ্রামের সেই বিকেলের শোভা মহৎ শিল্পের মতো আজও রেঙে আছে হৃদয়ের পটে
ছোট নদী, সাঁকো পারাপার, একটুখানি দৃষ্টি বিনিময়
তার হাতে ছিল ভেজা বকুলের মালা
বাহুর কিনারে ফুল মধুমাসি
ফুলের দখিনা শ্বাসে খসেছিল মাথার বসন
মধুর সুবাসে তার জমেছিল ফাল্গুনী
এমন কোমল আর দেখিনি তো কখনও কোথাও
আমার স্বপ্নসার তীর্থ-ভোলার মতো আজও ফিরে তার পিছে—
উজানি ঢলের মতো কূলপ্লাবী...
পৃথিবীর চক্রপথে যদি কভু দেখা পাই:
হৃদয়ের অবিরাম আশ্বাসে সাড়া দেয় আজও এই দেহযান
আজও একা চুপিসারে বসে থাকি নদীতীরে
ব্যথাহত বিজন সন্ধ্যায়!
প্রেমে নেই
প্রেমে নেই বহুদিন
বহুদিন শুষ্কমুরুতে একা—গান করি প্লাবনের
বহুদিন নেই কারো সজল চাহনি—নবীন ইশারা
বহুদিন দিনগুনি প্রতীক্ষার
পায়ে পায়ে আনন্দ জাগাতে এসে বলবে কেউ গোপন কথাটি
বহুদিন অন্বেষার আঁখি করুণ সজল—
বাঁধবে কেউ হৃদয়ের নদী—প্রেমের কমল বুনে
বহুদিন আসেনি কেউ
বহুদিন স্নেহছায়াহীন
বহুদিন পুড়ছে মন পরবাসী
কেউ এসে না বলেই ফিরে যাবে ভেবে ঘুম নেই বহুদিন
বহুদিন আর্ত কেটেছে
বহুদিন পারের পিপাসা বুকে
বহুদিন তপ্তমরুতে একা
বহুদিন প্রেমে নেই
প্রেমহীন আর কত দিন!
বৃক্ষে সলিলে
হৃদয় ছড়িয়েছিল বৃক্ষে সলিলে
আমায় ফেলেছে ঝড় ভাঙনের কূলে
আমার কেটেছে ছায়া ছিঁড়েছে মুকুল
আমার ঝরেছে পুষ্প ডুবেছে দুকূল
আমার পুড়েছে আশা পুড়েছে স্বপন
জীবন বিকিয়ে তাই বইছি দহন!
ভেবেছি প্রাণের সুখ বনের কূজনে
ভেবেছি মিলাব মন স্বজনে-সুজনে
সুরের বদলে কেবল পেয়েছি যে হেলা
পণ্যের বাজারে যেন আমি এক খেলা
খেলছে বণিক-বালা খেলছে মাছিরা
খেলছে আমায় নিয়ে চতুর পাখিরা
হৃদয় ছড়িয়েছিল বৃক্ষে সলিলে—
আবার ভাসব কবে নীল-নৌকা-পালে।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
৩ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৪ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২১ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২১ দিন আগে