মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
শিল্প-সাহিত্য
গল্প
কবিতা
প্রবন্ধ
রম্য
আলোচনা
শিশুতোষ
ক্রৌঞ্চমিথুন
ক্রৌঞ্চ–মৈথুনের মর্মার্থ বুঝতেন ঋষি বাল্মীকি। সময়ের সাহস কত, সে আমাদের শাসায়! সময় কে? সময় কী? না মানলে সে কিচ্ছু না। সময় যা বলে বলুক, কে শোনে তার কথা? সময়কে বুঝিয়ে বলো– তুমি কোন ছার হে? স্বর্গকেও তুচ্ছ মানে সঙ্গমের মদিরমুগ্ধতা।
প্রণয়
ড্রয়ার খুলে চিঠির স্তূপ বের করল চৈতি। গুনে গুনে দেখল মোট ৪৮টি চিঠি। এই ৪৮টি চিঠি ৪৮ জনের পাঠানো বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কোনো ছেলেকেই মনে ধরেনি চৈতির। তাই সবিনয়ে সবগুলো প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সৌরভকে দেখার পর তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল। ফলে সে বুঝতে পেরেছে এই পৃথিবীতে প্রেম বলে সত্যি সত্যি
খাদ্যসংস্কৃতির প্রাথমিক পাঠ
খাদ্যসংস্কৃতির প্রাথমিক পাঠ বলে আসলেই কিছু আছে কি না, তা তর্কসাপেক্ষ। তবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিষয়টি বুঝতে চাইলে কোনো না কোনো জায়গা থেকে শুরু করা দরকার। সে ক্ষেত্রে ‘খাদ্য, কিন্তু আহার্য নয়’ শিরোনামের বইটি প্রাথমিক পাঠ অবশ্যই। বইটি লিখেছেন সিরাজ সালেকীন।
কতিপয় চরিত্র
একজন লোক, বিমানবাহিনীর সদস্য। প্রশিক্ষণে যুদ্ধবিমান চালনায় খুব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর বিমান হামলার দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে। দীর্ঘ পথ বিমান চালনার অনুমতি পেয়ে সে খুশি। শব্দের গতিতে ফাইটার ছুটল। দ্রুতই সে উঁচুতে উঠে গেল, আর দেখা গেল না। এত উঁচুতে উঠে যে, সে মেঘের প্রেমে পড়ে যায়।
ব্যাঙেরা যাবে বর্ষাপুরে
পাঁচ-পাঁচটি ঋতু চলে গেল। এক মাস হয়ে গেল গ্রীষ্ম চলে যাওয়ার। তবুও কোনো বৃষ্টি নামার নাম নেই। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। রাতের বেলা প্রাসাদের ভেতর সবাই চুপচাপ হয়ে বসে আছে। প্রাসাদটা ইট বা পাথরের নয়। গাছের গুঁড়ির। কদমগাছের। ওরা খুবই চিন্তিত। ওরা মানে ব্যাঙেরা।
মেশিনতন্ত্র
তোমাকে তোমার চেয়ে আরও ভালো জানবে মেশিন। কখন কোথায় যাও, কী করো, কী ভাবো, কী পড়ো, কী খাও...
বিশ্বাসী মন
আমার গায়ে রৌদ্র পড়ুক তোমার থাকুক ছায়া
পারিওয়ালী
হাত চলে, পা চলে তাঁত চলে, তাঁত চলে…
দুজনের মিলিত কবিতা
ওই আঙুলে হৃদয় আছে হৃদয় আছে চুলেও
শাড়ি
লোকটা এক মুহূর্ত চিন্তা করল। যেন বিশেষ কেউ কি না—এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তারপর দ্বিধা কাটিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, বিশেষ তো অবশ্যই... বৃষ্টির মতো সুন্দর সময়ে কারও কথা মনে পড়লে সে তো বিশেষই, তাই না?’
লবণ না সল্ট চাই
কী মুশকিল! সল্ট ছাড়া ছোট্ট রাইয়ানের কান্না থামছেই না। এখন ওর সল্ট কোথায় পাবে! সেই কখন থেকে মা বলছে ফ্রেঞ্চফ্রাই খাও, এটাতে সল্ট আছে। স্যুপ খাও, এটাতেও সল্ট আছে। কত্তগুলা খাবার রাইয়ানের সামনে। ওর চাচা, ফুপি, দাদি সবাই বুঝিয়ে বলছে, এখানে সবগুলো খাবারেই সল্ট আছে। উঁহু! তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছু। রাইয়ানের
দ্বিতীয় গ্রন্থ
ছয় বছর বয়সে আমার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বেশ মনে আছে বিয়ের হলুদ হচ্ছে, সবাই হলুদ শাড়ি পরে মা’র কপালে, চিবুকে আলতো হলুদ লাগিয়ে দিচ্ছে আর একটু করে কেটে কেটে মিষ্টি তুলে দিচ্ছে মুখে। মাকে অপূর্ব লাগছিল হলুদ হলুদ আভায়। আমি মায়ের আঁচল ধরে বসে ছিলাম অনেক ক্ষণ।
রাজার মাথায় গাধার শিং
বলবে এখন আবার রাজা এল কোত্থেকে? আগের সেই দিন আর আছে? ঠাকুরমার গল্পের রাজাদের সঙ্গে তাদের রাজ্যও তো সে কবে উধাও হয়ে গেছে! সে তুমি যাই বলো; এই রাজা কিন্তু দিব্যি রাজ্য পরিচালনা করছেন।
উত্তরবঙ্গের ভুলে যাওয়া ইতিহাস
প্রায় চৌদ্দ বছর আগে মিরপুর বিহারি কলোনিতে আবু সুফিয়ান নামে প্রায় সত্তর বছর বয়সী একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। ঢাকায় বসবাসকারী উর্দুভাষী মানুষদের নিয়ে একটি গবেষণাকর্মে সহযোগিতার কাজ করছিলাম তখন। আবু সুফিয়ানের বাড়ি ছিল পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায়।
প্রাদুর্ভাব
লোকটা চা চাইল। কিন্তু কনুই দিয়ে খাবে কি করে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় বসলাম। চায়ের দোকানদারকে ইশারা দিল গরম চায়ের কাপটা পাশে রাখতে। লোকটা যে বেঞ্চটার শেষ মাথায় বসেছে সেখানে যে কিঞ্চিৎ জায়গা ফাঁকা ছিল ওখানেই কাপটা রাখল চাওয়ালা। আবার শুরু করল কথা।
কাফকার ছবি ছবির কাফকা
ফকা-সাহিত্যের অধিকাংশ লেখা লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি, আমরা জানি। মানুষের ধূসর একাকিত্ব এবং তীব্র বিমূর্ততাকে লিপিবদ্ধ করে গেছেন জীবনভর। যন্ত্রনির্ভরতাকাতর এই নতুন পৃথিবীর বীভৎস, রূঢ়, কর্কশ বাস্তবতা অসম্পাদিত আকারেই আমরা তাঁর লেখাপত্রে দেখি।