নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘পানি পানি করে আমার মেয়ে অনেকবার চিল্লাইছিল আমার সামনে, কিন্তু বিএসএফ পরোয়া করেনি।’ এভাবেই মেয়ের মৃত্যুর সময়ের ঘটনা স্মরণ করেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিচারের জন্য আবেদন করেছি, আওয়ামী লীগ সরকার কোনো বিচার করেনি, শুধু আশ্বাস দিয়েছে। নতুন সরকারের কাছে অনুরোধ, ফেলানীকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া হোক। আর কোনো মায়ের কোল খালি না হোক, এখন থেকে ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ তুলে কথা বলতে হবে।’
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময়ে ‘সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত যেভাবে নিজেদের করায়ত্ত করে নিয়েছে, তার ভেতর দিয়ে তারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে শোষণ-বঞ্চনার জায়গায় পাকাপোক্ত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘সীমান্তের সংকট স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারতকে বলব, আপনারা পলিসি পাল্টান, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ুন। না হয় নতজানু সম্পর্কের কারণে ভবিষ্যতে আপনাদের পস্তাতে হবে। বাংলাদেশের সীমান্তে, নদীতে, পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আসে, যদি কেউ ভারতের দালালি করার জন্য বাংলাদেশে আবির্ভূত হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিহত করবে। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে, সব গোপন চুক্তি উন্মোচন করে যেসব চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।’
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’, ‘সীমান্তে হত্যা কেন’, ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চলবে না’সহ একাধিক প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সমাবেশে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানার শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
‘পানি পানি করে আমার মেয়ে অনেকবার চিল্লাইছিল আমার সামনে, কিন্তু বিএসএফ পরোয়া করেনি।’ এভাবেই মেয়ের মৃত্যুর সময়ের ঘটনা স্মরণ করেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিচারের জন্য আবেদন করেছি, আওয়ামী লীগ সরকার কোনো বিচার করেনি, শুধু আশ্বাস দিয়েছে। নতুন সরকারের কাছে অনুরোধ, ফেলানীকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া হোক। আর কোনো মায়ের কোল খালি না হোক, এখন থেকে ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ তুলে কথা বলতে হবে।’
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময়ে ‘সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত যেভাবে নিজেদের করায়ত্ত করে নিয়েছে, তার ভেতর দিয়ে তারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে শোষণ-বঞ্চনার জায়গায় পাকাপোক্ত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘সীমান্তের সংকট স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারতকে বলব, আপনারা পলিসি পাল্টান, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ুন। না হয় নতজানু সম্পর্কের কারণে ভবিষ্যতে আপনাদের পস্তাতে হবে। বাংলাদেশের সীমান্তে, নদীতে, পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আসে, যদি কেউ ভারতের দালালি করার জন্য বাংলাদেশে আবির্ভূত হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিহত করবে। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে, সব গোপন চুক্তি উন্মোচন করে যেসব চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।’
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’, ‘সীমান্তে হত্যা কেন’, ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চলবে না’সহ একাধিক প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সমাবেশে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানার শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দেওয়ায় একেবারে কমে এসেছে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এর মধ্যে ভারত কিছু ভিসা দিলেও নানান শর্তের বেড়াজালে বেনাপোল বন্দরেই আগের বছরের চেয়ে গত বছর...
৩ মিনিট আগেসিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসআইইউ) ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ভ্রমণবিষয়ক লেখক মঈনুস সুলতানকে ঘিরে কেটেছে এক মোহিত দুপুর। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব...
১০ মিনিট আগেনোয়াখালী শহরের মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিসপ্লেতে হঠাৎ ভেসে ওঠে, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু—আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’—এমন লেখা। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে যুবদলের নেতা...
১৮ মিনিট আগেসিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অধিকৃত ভূমির টাকা প্রাপ্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
২৪ মিনিট আগে