শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
শিপুল ইসলাম, রংপুর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়।’
বেরোবি শিক্ষকেরা বলছেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এফআইআর চূড়ান্ত কিছু না, এটা তদন্ত শুরুর বিষয়মাত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেডের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের–২ নম্বর গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের আবু সাঈদ নামে একটি রোগী আসে। সেটি ব্রথ ডেড ছিল। অর্থাৎ মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। রাবার বুলেটের মতো অনেক আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে ছিল।’
পরের দিন শিক্ষকেরা সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসের–২ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধনও করেন। এ সময় তাঁরা গুলিকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৬ জুলাই রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দাখিল করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়। ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড হলেও কপি থাকে আড়ালে। সেই মামলার কপি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্নদিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ(২৩), পিতা- মকবুল হোসেন, সাং-জাফড়পাড়া বাবনপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা রংপুর।’
সাঈদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই লেখাতেই আপত্তি সবার। সহপাঠী, এলাকাবাসী, পিতামাতা, ভাই বোন, শিক্ষকেরা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গিয়ে আবু সাঈদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পুলিশের গুলির কথা উল্লেখ করেন।
নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে। গোসলের সময় তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখেছি। শুনেছি পুলিশ মামলায় গুলির কথা লেখে নাই। দেশবাসী সবার প্রতি অনুরোধ আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাঈদ আমার সব ছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে তাকে কীভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করে যে আমার বুক খালি করেছে, তার বিচার চাই। পুলিশ বা কেউ যাতে ঘটনা উল্টাতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।’
সাঈদের বোন সুমি বেগম বলেন, ‘আমি বিচার চাই, যে শয়তান আমার ভাইকে গুলি করে মেরেছে, তার আমি বিচার চাই।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আবু সাঈদকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ গুলি করেছে। সেই গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতিতেও সেটা দৃশ্যমান। গুলিতে মৃত্যুবরণ করা আবু সাঈদের সেই ঘটনাটাকে যদি অস্বীকার করা হয়, ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাহলে এটা আসলে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনাকে যদি বলা হয় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাই, তাহলে এটা সত্যের অপলাপ হবে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন যদি এটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্তের আওতায় না আনে তা হলে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কেও মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির মাধ্যমে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, তা দেখে স্পষ্ট এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুব শিগগিরই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতি করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অবশ্যই সেখানে থাকবে। তখন সবাই দেখতে পারবেন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।
বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এফআইআর হচ্ছে ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। এটার মধ্যে অনেক সময় ভুল থাকে। ত্রুটি থাকে। সকল তথ্য থাকে না। যখন এফআইআরটা হয়েছে, তখন কিন্তু পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট নাই। শুধুমাত্র সুরতহাল রিপোর্ট দেখেই এফআইআর হয়েছে। সকল ফুটেজ তখনো পাওয়া যায়নি। স্রেফ একটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর হয়েছে। দিস ইস এ ডকুমেন্টস টু স্টার্ট ইনভেস্টিগেশন। এটা তো চূড়ান্ত কোন কিছু না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এফআইআর যাই হোক তদন্ত প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আমরা প্রফেশনালী করার চেষ্টা করব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেই কমিশনও এই বিষয়টি দেখবেন। তারা এই বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। আমি অনুরোধ করব। সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। অপেক্ষা করুণ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা যে প্রক্রিয়ায় জানমালের ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছি। যে প্রক্রিয়ায় কোনো নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় করিনি। সেই প্রক্রিয়ায় তদন্তসহ ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটা পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩২ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেআখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মুন্না আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে মুন্নাকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।
আজ বেলা ২টার দিকে বাউতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্নার বাবা মো. শাহ আলম মিয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষা করছেন। এ সময় শাহ আলম মিয়া জানান, মুন্না বেকার। মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালালেও তিনি আলাদা ঘরে বসবাস করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সীমান্ত এলাকার এক ভারতীয় বাসিন্দার মাধ্যমে জানতে পারেন, বিএসএফ তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগরতলায় থাকা আমার আত্মীয়দের জানাই। তারা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে আত্মীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আখাউড়া কোম্পানি সদরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানার পর তাঁরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিকেল পর্যন্ত মুন্নাকে আটক করার বিষয়টি স্বীকার করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মুন্না আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে মুন্নাকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।
আজ বেলা ২টার দিকে বাউতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্নার বাবা মো. শাহ আলম মিয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষা করছেন। এ সময় শাহ আলম মিয়া জানান, মুন্না বেকার। মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালালেও তিনি আলাদা ঘরে বসবাস করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সীমান্ত এলাকার এক ভারতীয় বাসিন্দার মাধ্যমে জানতে পারেন, বিএসএফ তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগরতলায় থাকা আমার আত্মীয়দের জানাই। তারা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে আত্মীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আখাউড়া কোম্পানি সদরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানার পর তাঁরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিকেল পর্যন্ত মুন্নাকে আটক করার বিষয়টি স্বীকার করেনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩২ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এই হামলার পেছনে জড়িত, তা জানতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার খ্রিষ্টান মিশন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাগর। সে সময় মোবাইল ফোনে কারও একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুয়েক ব্যক্তি সাগরের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এই হামলার পেছনে জড়িত, তা জানতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার খ্রিষ্টান মিশন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাগর। সে সময় মোবাইল ফোনে কারও একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুয়েক ব্যক্তি সাগরের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দেইল্লা এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সিকিউরিটি গার্ডের ছেলে মো. রাকিব সরদার ডেমরা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমান নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মাকরাইল গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস শিকদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে ডেমরার বামৈল এলাকায় বসবাস করেন। মামলার অপর আসামি রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপার রানা (৩৮)।
নিহত ইদ্রিস সরদার (৬২) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সাকারিকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৬–৭ মাস ধরে দেইল্লা সরদার রি-রোলিংয়ের পরিত্যক্ত মিল এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিউটি শেষে তিনি ডিপোতেই রাত যাপন করতেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইদ্রিস সরদার ডিপোর মেইন গেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন। এ সময় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস (রেজি: ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯১১২) ব্যাক গিয়ারে ডিপোতে প্রবেশ করানোর সময় লোহার গেটে ধাক্কা দেয়। এতে গেট ভেঙে তাঁর ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্টাফ কোয়ার্টার হলি এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ইদ্রিস সরদারের ছেলে মো. রাকিব সরদার অভিযোগ করেন, বাসের হেলপার রানা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়া ডিপোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ফসিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে লোহার গেটের প্রয়োজনীয় মেরামত ও ফিটিংস ঠিক না করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসামিদ্বয়ের অবহেলার কারণেই তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন (পিপিএম) বলেন, মামলার পরপরই ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে ফসিয়ার রহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দেইল্লা এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সিকিউরিটি গার্ডের ছেলে মো. রাকিব সরদার ডেমরা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমান নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মাকরাইল গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস শিকদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে ডেমরার বামৈল এলাকায় বসবাস করেন। মামলার অপর আসামি রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপার রানা (৩৮)।
নিহত ইদ্রিস সরদার (৬২) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সাকারিকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৬–৭ মাস ধরে দেইল্লা সরদার রি-রোলিংয়ের পরিত্যক্ত মিল এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিউটি শেষে তিনি ডিপোতেই রাত যাপন করতেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইদ্রিস সরদার ডিপোর মেইন গেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন। এ সময় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস (রেজি: ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯১১২) ব্যাক গিয়ারে ডিপোতে প্রবেশ করানোর সময় লোহার গেটে ধাক্কা দেয়। এতে গেট ভেঙে তাঁর ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্টাফ কোয়ার্টার হলি এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ইদ্রিস সরদারের ছেলে মো. রাকিব সরদার অভিযোগ করেন, বাসের হেলপার রানা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়া ডিপোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ফসিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে লোহার গেটের প্রয়োজনীয় মেরামত ও ফিটিংস ঠিক না করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসামিদ্বয়ের অবহেলার কারণেই তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন (পিপিএম) বলেন, মামলার পরপরই ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে ফসিয়ার রহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩২ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)

রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও হত্যাকারীদের একটি মাথার ক্যাপ জব্দ করে পুলিশ। শাহজাহান আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এবং ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত শাহজাহানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাহানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল চাঁদাবাজেরা। একপর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে তাঁর ডিশ ও ইন্টারনেটের ব্যবসা দখল করতে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত শাহজাহানের চাচাতো ভাই সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও শাহজাহান ভাই ভাবিকে বলেছিলেন, আমি হয়তো বেশি দিন থাকব না। তুমি আমার ছেলেমেয়েদের দেখে রেখো।’ তিনি বলেন, ‘শাহজাহান ভাই যুবলীগের বিমানবন্দর থানার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের পর থেকে তাঁর কাছ সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাঁর কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা দখল করে নিয়েছিল।’
সোহেল জানান, নদ্দাপাড়া এলাকায় শাহজাহানের একটি ফ্ল্যাট কেনা ছিল। রাতে তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকতেন।
আরেক চাচাতো ভাই নাহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ৫ আগস্টের পর চাঁদার জন্য একাধিকবার শাহজাহানকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। এ ছাড়া বহুবার তৎকালীন ওসিকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা হত্যা করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও এমনটা জানিয়েছে।’

রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও হত্যাকারীদের একটি মাথার ক্যাপ জব্দ করে পুলিশ। শাহজাহান আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এবং ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত শাহজাহানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাহানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল চাঁদাবাজেরা। একপর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে তাঁর ডিশ ও ইন্টারনেটের ব্যবসা দখল করতে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত শাহজাহানের চাচাতো ভাই সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও শাহজাহান ভাই ভাবিকে বলেছিলেন, আমি হয়তো বেশি দিন থাকব না। তুমি আমার ছেলেমেয়েদের দেখে রেখো।’ তিনি বলেন, ‘শাহজাহান ভাই যুবলীগের বিমানবন্দর থানার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের পর থেকে তাঁর কাছ সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাঁর কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা দখল করে নিয়েছিল।’
সোহেল জানান, নদ্দাপাড়া এলাকায় শাহজাহানের একটি ফ্ল্যাট কেনা ছিল। রাতে তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকতেন।
আরেক চাচাতো ভাই নাহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ৫ আগস্টের পর চাঁদার জন্য একাধিকবার শাহজাহানকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। এ ছাড়া বহুবার তৎকালীন ওসিকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা হত্যা করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও এমনটা জানিয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে-নাকি ইটপাটকেলে মারা গেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার পর এই বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেখা গেলেও মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোল
২৮ জুলাই ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩২ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে