‘মা মাদ্রাসা বন্ধ দেছে, বসে না থাহে জাহাজে যাই, টাকা হবে’

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
নিহত মাজেদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে জাহাজে হতাহতের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে দুজন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার। তাঁরা হলেন—সজিবুল মুন্সি (২২) ও মাজেদুল ইসলাম (১৬) রয়েছেন। দুজনই তিন-দুদিন সপ্তাহ আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

মাজেদুল ইসলাম চর যশোবন্তপুর গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে। আনিচুর রহমান পেশায় রিকশাচালক। ঝামা বরকাতুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরিবারের অভাবের কারণে মাত্র ১১ দিন আগে জাহাজে লস্করের চাকরিতে যোগ দেয়। কিন্তু চাকরির নয় দিনের মাথায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটল।

নিহত দুজনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের সমবেদনা জানাতে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন বাড়িতে।

মাজেদুল ইসলামের বাবা আনিচুর রহমান বলেন, ‘আমার মনি মাদ্রাসায় নাইনে পড়ত। এলাকার একজনের কথায় জাহাজে চাকরিতে পাঠাতে রাজি হয়। এখন তো আমার মনিকে হারিয়ে ফেললাম।’

মাজেদুল ইসলামের মা মুক্তি বেগম বলেন, ‘মাজেদুল কইছিল মা, মাদ্রাসা বন্ধ দেছে। এই বন্ধের সময় বসে না থাহে জাহাজে যাই। কিছু টাকা হবে। আমার মনি ওই যে গিলো, আর আলো না। ফোন দিছি বন্ধ কয়। আমার ছেলেরে হত্যার বিচার চাই।’

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের খবর শোনার পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত