Ajker Patrika

নদী রক্ষায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা বিজয়ী হব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নদী রক্ষায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা বিজয়ী হব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান জেনারেশন অনেক ট্যালেন্ট, অনেক মেধাবী। কারণ তাঁদের এত বেশি পরিধি তৈরি হয়ে গেছে, যদি সেটাকে কাজে লাগাতে না পারি তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য যে রক্ত ক্ষয় হয়েছে; সে রক্ত বৃথা হয়ে যাবে।’ 

আজ রোববার ঢাকায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘জাতীয় নদী কনফারেন্স-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই না এ ধরনের অপরাধী, দখলদার, দূষণকারীদের কাছে বাংলাদেশের এত বড় একটি অহংকার, এত বড় গর্বের জায়গা পরাজিত হোক। এটা আমরা মানতে পারি না, আমরা মানবও না এবং আমাদের সংগ্রাম থাকবে ও সংগ্রাম নিরন্তর চলবে।’ 

ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, নিজেরা করি-এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, নদী সংগঠক জুলিয়েট কেয়া মালাকার, রণজিত দত্ত, আলিউর রহমান, নুর আলম শেখ, পল্টন হাজং, এস এম মিজানুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন সোহেল। 

 ‘নদী বাঁচাই, দেশ বাঁচাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নদী সম্মেলন-২০২৪ আজ শেষ হয়েছে। এএলআরডি, বেলা, ওয়াটার রাইটস ফোরাম, রিভারাইন পিপল, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের সম্মেলন প্রমাণ করে, নদীকে নিয়ে আমরা কত ভাবি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। সে সময় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএর জন্য সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের দেহে শিরা উপশিরা দিয়ে যেরকম রক্ত প্রবাহিত হয়, বাংলাদেশের নদীগুলো আমাদের সেরকম শিরা-উপশিরা। সেগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশ থেমে যাবে। নদীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনেক ভালোবাসা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে রক্ষা করার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বলেছেন। এর আগে কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এমন কথা বলেছেন, এর প্রমাণ নেই। আজকে সরকার প্রধান নদীকে রক্ষা করতে হবে এ ধরনের কথা বলেন বলেই যারা নদী নিয়ে ভাবেন, কথা বলেন, তাঁদের কাছে সেটি শক্তি হিসেবে দাঁড়ায়। শুধু নদী দখল নয়। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সকল ক্ষেত্র দখল হয়ে যায়। দখলদারিত্বের মহা উৎসব চলে। বঙ্গবন্ধু হত্যা ব্যক্তি বা পারিবারিক হত্যা নয়, এটি বাংলাদেশকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র।’ 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নৈতিকতার ওপর দেশ পরিচালনা করেছেন। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিতে পারে, সে দেশের মানুষ সোনার বাংলা তৈরি করতে পারবে না সেটা আমার বিশ্বাস হয় না। সেই দেশের মানুষ নদীকে হত্যা করতে পারে, দখল করতে পারে সেটি বিশ্বাস করা যায় না। নদী-নালা, খাল বিল আমাদের সম্পদ। নদী নালা খাল বিল না থাকলে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পারতাম না। সে সময়ে নদী-নালা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেভাবে সুন্দরবন আমাদের ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। তাঁরা বিভিন্ন সমীক্ষা করেছে, দখলদারদের তালিকা করেছে। এসব জায়গায় ভুল থাকতে পারে, তবে যাত্রা শুরু হয়েছে। নদী রক্ষায় বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হব। নদী রক্ষায় দখল, দূষণরোধ, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আপনারা যারা নদী রক্ষায় কাজ করেন তারা সচেতনতা তৈরি করুন। দায়িত্ব চিহ্নিত করুন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সহায়তা করবে, সরকার সহায়তা করবে।’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদীকে ঘিরে সভ্যতা গড়ে উঠেছে-এটা সত্য। নদীর পাড়ে ইন্ডাস্ট্রি হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে, শহর হবে সবই ঠিক আছে। সেগুলো হবে নদীকে রক্ষা করে কিন্তু নদীকে ধ্বংস করে নয়। ২০১৯ সালে ঢাকা শহরের চারপাশে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় অনেক ধরনের শক্তিশালী লোক ছিল; আমি সংসদে বলেছি সরকার বা রাষ্ট্রের চেয়ে কেউ শক্তিশালী নেই। নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের আন্তরিকতা আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে সেই সময় বলেছেন, তুমি চোখ বুজে কাজ কর। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কর এবং নদীর প্রাণ প্রবাহ ফিরিয়ে আন। নদী রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করছি। বর্তমান সরকারের সময়ে নদী রক্ষা কমিশন হয়েছে, হাওর বোর্ডকে অধিদপ্তরের উন্নীত করা হয়েছে, বালু ব্যবস্থাপনা নীতিমালা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন কোনো হাইড্রোগ্রাফি জরিপ ছাড়া বালুমহাল ইজারা দেওয়া যাবে না। একই জায়গায় বারবার বালু উত্তোলন করা যাবে না। আমরা প্রতিবছর নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে থাকি। কেউ কেউ বলেছেন, নদী দখল করার সময় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সবাই এক সঙ্গে থাকে। এটা রাজনৈতিক শক্তি নয়। এরা অপরাধী। সরকার এদের অপরাধীদের হিসেবে দেখবে। এই জায়গায় সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে। উন্নয়ন হতে হবে। উন্নয়নের জন্য বালু প্রয়োজন। কিন্তু সে জন্য বালুমহাল যত্রতত্র হবে না। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে বালু তুলতে হবে। সরকার দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে। বিআইডব্লিউটিএ নিরলসভাবে কাজ করছে। বিআইডব্লিউটিএর ৪৫টি ড্রেজার রয়েছে। সেগুলো বসে নেই। কাজ করছে। নীতিমালা অনুযায়ী ৪০% সরকারি, বাকি ৬০ পার্সেন্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খনন করা যাবে। সরকারের ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে আমাদের ১৫০টি সরকারি ড্রেজার প্রয়োজন। রাবনাবাদ চ্যানেলে ড্রেজিং হয়েছে। সিলটেশন হয়েছে। ১০ নম্বর বিপদ সংকেত আছে, এতে আরও সিলটেশন হবে। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের সম্মেলন আরও বেশি পথ দেখাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল বাছিতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার খাসড়ীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হত্যা মামলা রয়েছে। ওই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে নারীর আত্মহত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে চলন্ত ট্রেনের সামনে শুয়ে পড়ে দীপ্তি রানী সাহা (৪০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার শহরের টেপাখোলাস্থ হাবিলি গোপালপুরের সোলজার বোর্ড এলাকার রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি।

দীপ্তি রানী সাহা সদর উপজেলার শিবরামপুর চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত বিজয় কুমার সাহার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।

পুলিশ ও গেটম্যান মো. আসাদ মোল্যা জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফরিদপুর শহর রেলস্টেশন ত্যাগ করে হাবিলি গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে ওই নারী ট্রেনের সামনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এতে শরীরের মাঝামাঝি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আহাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়ি আটকে ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তা আটকে ছাত্রশক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, এনসিপি ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা এই দাবি জানান। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।

এ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-৪-কে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখান থেকে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।

ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনে তদবির-বাণিজ্য বন্ধসহ সাতটি দাবি জানান।

পরে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদি এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা সবাই তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন; যেন সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। পাশাপাশি আপনারা আরও যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা সবই যৌক্তিক। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলায় ডাকসু ভিপির জবাব চাইলেন বিএনপি নেতা, ভিডিও ভাইরাল

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের কাছে জবাব চাইলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় কোনো কারণ ছাড়াই সাদিক কায়েম বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। আবার জুমাদের নেতৃত্বেই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন মির্জা আব্বাস হাসপাতালে মবের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদি ইস্যুতে জল ঘোলা করার দায় তাদেরই বেশি।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও পরে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত